নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে সে কি ভালো মানুষ?

৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:০৭



পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়লেই কেউ ভালো মানুষ হয়ে যায় না।
অনেক চোর, ছিনতাইকারী, ডাকাত, দূর্নীতিবাজ এবং ধর্ষনকারীও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে। আবার কেউ নামাজ না পড়লেই খারাপ মানুষ হয়ে যায় না। অর্থ্যাত নামাজ দিয়ে মানুষকে ভালো বা মন্দ বলা সঠিক কাজ হবে না। আমার এক পরিচিত চাচা আছেন, তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। নামাজ পড়তে পড়তে তার কপালে স্থায়ী কালো দাগ বসে গেছে। সে একজন ব্যবসায়ী। সে মানুষকে ঠকায়। নকল জিনিস বিক্রি করে। সে তার কাস্টমারকে বলে- মাত্র নামাজ পড়ে এলাম। মিথ্যা বলব না। কাস্টমার তাকে মুরুব্বী এবং নামাজী হিসেবে বিশ্বাস করে। এবং ঠকে। বছরের পর বছর ধরে এই নামাজী লোক মানুষকে ঠকিয়ে যাচ্ছে। আমার ধারনা, সে নামাজকে ব্যবহার করছে।

এক মসজিদের হুজুর নিয়মিত মোবাইলে পর্ণ ভিডিও দেখে।
এবং তার ইচ্ছা ইউরোপ যাবে। কারন সে শুনেছে ইউরোপে মেয়েরা উলঙ্গ হয়ে সমুদ্রের পাড়ে শুয়ে থাকে। আরেক হুজুরের ইচ্ছা আমস্টারডাম যাবেন। কারন সে শুনেছেন, আমস্টারডাম শহরে লাইফ সেক্স অনুষ্ঠান হয়। এই হুজুর টিকিট কেটে এই অনুষ্ঠান দেখবেন। নামাজ পড়লেই মানুষ ভালো মানুষ হয়ে যায় না। অথচ এই সমাজের মানুষজন মনে করে যে নামাজ পড়ে সে ভালো মানুষ। আসলে কিছু লোক নিজেদের অন্যায় গুলো লুকাবার জন্য নামাজি হয়। খেয়াল করে দেখবেন বেশির ভাগ মন্দ লোক নামাজ পড়ে। আমি নিজেই বহু দূর্নীতিবাজকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে দেখেছি। এক চ্যাংড়া হুজুর কে বলতে শুনেছি- নিয়মিত নামাজ পড়ি কিন্তু কিছুতেই হস্তমৈথুন ছাড়তে পারছি না।

এক মেয়ে খুব ধার্মিক।
নামাজ পড়ে। রোজা রাখে। সারাক্ষণ আখিরাত নিয়ে ভাবে। বোরখা ছাড়া রাস্তায় বের হয় না। বাসার মধ্যেও হিজাব পড়ে থাকেন। সেই মেয়ে তার বৃদ্ধা ও অসুস্থ শ্বাশুড়িকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে। আরেক মেয়ে আছে, সে নামাজ পড়ে নিয়মিত। কিন্তু সে তার স্বামীর কাছ থেকে টাকা চুরী করে নিজের বাবা মাকে দেয়। অর্থ্যাত নারী বা পুরুষ। হোক তাঁরা নামাজি। কিন্তু তাঁরা ভালো মানুষ নন। আমাদের এলাকায় এক বুড়ো আছেন। নামাজ পড়েন নিয়মিত। সেই বুড়ো স্কুল কলেজের মেয়েদের দেখলেই তাদের গায়ের উপর গিয়ে পড়েন। এবং বলেন স্যরি আজকাল চোখে ভালো দেখতে পাই না। এই হচ্ছে নামাজি মানুষদের অবস্থা। আমি বহু মানুষ দেখেছি যারা নামাজ পড়েন না। কিন্তু তাঁরা মানুষ হিসেবে ভালো। যথেষ্ঠ মানবিক। এবং হৃদয়বান। নামাজ মানুষকে ভালো বানাতে পারে না।

নাস্তিকেরা বলে- নামাজ পড়লে কিছুই হবে না।
নামাজ মানে কি উঠবস করা। আমি নিয়মিত উঠবস করলে তাতে আল্লাহর কি লাভ? সমাজের কি লাভ? হ্যাঁ তবে নামাজ ভালো ব্যায়াম। এছাড়া নামাজের আর কোনো উপকার নেই। সবচেয়ে বড় কথা নামাজ পড়লে আপনার বালো ব্যায়াম হবে। কিন্তু দেশ বা সমাজের কোনো উপকার হবে না। আল্লাহরও কোনো উপকার হবে না। এরচেয়ে যদি আপনি সমাজের মানুষদের জন্য ভালো ভালো কাজ করেন সেটাতে অনেক বড় উপকার হবে সমাজের। যেমন একজন বেকারকে চাকরী পাইয়ে দিলেন। একজন অসুস্থ দরিদ্র লোককে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ করে দিলেন। অথবা একজন দরিদ্র পিতা মাতার সন্তানকে স্কুলে ভরতি করিয়ে দিলেন, তাদের লেখাপড়ার খরচ দিলেন- নামাজ পড়ার চেয়ে সেটা হবে বেশি বড় ও ভালো কাজ।

ঢাকা শহরে মসজিদের অভাব নেই।
প্রতিটা এলাকায় ৪/৫ টা করে মসজিদ। যখন আযান শুরু হয়- একদম বেড়াছেড়া অবস্থা। সব গুলো মসজিদের আযান একসাথে শুরু হয়। একটা মসজিদের আযানও ভালো করে শোনা যায় না। মনে হয় হুজুরেরা হাতে মাইক পেয়ে মজা নিচ্ছেন। এভাবে মানুষকে বিরক্ত করার কোনো মানে হয় না। মানুষজন রাস্তায় ঘুমায়। অথচ মসজিদে এসি। শুক্রবার ছাড়া মসজিদে লোকজন হয় না। মসজিদের জন্য যে কেউ টাকা দিতে এগিয়ে আসে। অথচ অসহায় ও দরিদ্র লোক না খেয়ে থাকলে কেউ ফিরে তাকায় না। সিনেমার নায়ক নায়িকারা সারা জীবন নষ্ঠামি করে শেষ বয়সে নিজ এলাকায় একটা মসজিদ করে দেন। এবং ভাবেন বেহেশত নিশ্চিত করা হল। আমাদের দেশের মতো জাপানে মোড়ে মোড়ে মসজিদ নেই। কিন্তু তাঁরা মানুষ ভালো। সৎ ও পরিশ্রমী। মানবিক ও হৃদয়বান।

নামাজ পড়তে হবে সুন্দর করে। মন থেকে।
আল্লাহকে ভালোবেসে। যেন আল্লাহ্‌ সামনে আছেন। নামাজ পড়ে আল্লাহকে খুশি করতে হবে। নামাজে দাঁড়িয়ে দুনিয়ার কথা ভুলে যেতে হবে। শুধু নামাজ পড়লেই হবে না। কোরআন পড়তে হবে। রোজা রাখতে হবে। সৎ জীবনযাপন করতে হবে। কোরআন এবং হাদিস মোতাবেক চলতে হবে। মিথ্যা বলা যাবে না। কারো ক্ষতি করা যাবে না। গীবত করা যাবে না। কারো দিকে কুনজর দেওয়া যাবে না। কাউকে কটু কথা বলা যাবে না। সহজ সরল জীবনযাপন করতে হবে। আল্লাহর আদেশ নিষেধ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে। নবীজির দেখানো পথে চলতে হবে। তবেই না আপনার নামাজে আল্লাহপাক খুশি হবেন। কবর আযাব এবং হাশরের ময়দানে শাস্তি থেকে বেঁচে যাবেন।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মে, ২০২৩ রাত ১:৫৯

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আপনি নামাজ পড়া মানুষদের মধ্যে কাউকে দেখেননাই ভাল ও সৎ আচরণ করতে। এখানেই প্রশ্ন জাগে আপনার চোখে দৃষ্টি কতো প্রখর! এমন করে ধর্মীয় কোন বিধানকে অস্বীকার করা ঠিক না(যদি মুসলমান হয়ে থাকেন)। আর ধর্ম বিশ্বাস না থাকলে সে অন্য কথা। বিশ্বাস যখন নেই তখন অন্যদের বিষয়ে মাথা ঘামানো নিশ্চয় ভালো মানুষের কাজ নয়। ভালো থাকবেন। নিজের প্রতিদিনকার কর্মলিপি রাতে ঘুমানোর সময় খতিয়ে দেখবেন তবেই পৃথিবীর তাবৎ কিছু চোখে পড়বে।

০১ লা মে, ২০২৩ দুপুর ১:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আমি আমার নিজের কথা কিছু বলিনি। চারপাশে যা দেখেছি তাই বলেছি।

২| ০১ লা মে, ২০২৩ সকাল ৭:২৪

কামাল১৮ বলেছেন: যার যা খুশি করুক।মানুষের ক্ষতি না করলেই হলো।মানুষের অধিকারকে লংঙ্গন না করে ,সমাজের ক্ষতি না করে যেকোন কাজ করা তার অধিকার আছে।প্রত্যেকের ধর্ম পালন করার অধিকার আছে আবার পালন না করার অধিকারও আছে।

০১ লা মে, ২০২৩ দুপুর ১:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম পালন করুণ তাতে ক্ষতি নেই। কিন্তু ধর্মকে সামনে রেখে ভন্ডামি না করলেই হলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.