নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজকের ডায়েরী- ১১৭

০৬ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:৪৫

ছবিঃ আমার তোলা।

মানুষের অভাবের শেষ নেই।
অর্থনীতির সুত্র অনুযায়ী বিনা দ্বিধায় বলা যায়- মানুষের চাহিদার শেষ নেই। দুটা জিনিস দুনিয়া থেকে কোনোদিন শেষ হবে না- এক অভাব। দুই, মানুষের চাহিদা। ধনী গরীব সবাই-ই কোনো না কোনো জিনিসের জন্য অভাব বোধ করেই। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মানুষের 'অভাব' শেষ হবে না। সবাই শুধু চায়। চায় আর চায়। বাজার করতে যাবেন ভিক্ষুক এসে হাত পাতবে। ছেলে মেয়ে বাবা মায়ের কছে চায়। প্রেমিকা প্রেমিকের কাছে চায়। এই চাওয়া চাওয়ি চলছেই। চলবে। আমার ছোট কন্যা। আড়াই বছর বয়স। গতকাল তাকে নিয়ে হাঁটতে বের হয়েছি। সে বলছে- বাবা, মন চায়। বাবা, খুব মন চায়। আমি বললাম, কি মন চায়? মেয়ে বলল- বাবা রিকশায় করে ঘুরে বেড়াতে মন চায়।

আমি বর্তমানে বই এর অভাব বোধ করছি।
পড়ার মতো নতুন কোনো বই আমার কাছে নেই। আর্থিক সমস্যার কারনে দীর্ঘদিন ধরে নতুন বই কিনি না। প্রতিটা পুরনো বই গুলো অনেকবার করে পড়া হয়ে গেছে। আমার পরিচিতজনরা বই পড়ে না। পড়লে ভালো হতো, তাদের কাছ থেকে বই চেয়ে নিয়ে এসে পড়তে পারতাম। প্রচন্ড বইয়ের ভাব বোধ করছি। পিডিএফ বই কিছু নামিয়েছি। কিন্তু পিডিএফ পড়ে আরাম পাওয়া যায় না। পিডিএফ পড়ে বই পড়ার সঠিক আনন্দটা পাই না। নতুন বই হাতে নিয়ে শুয়ে-বসে পড়লে যে আনন্দ সেটা পিডিএফ দিয়ে পাওয়া যায় না। দুইশ'টা বইয়ের তালিকা করেছি। এই দুই'শ বইয়ের প্রচন্ড অভাব বোধ করছি। এই দুই'শ বই না পড়ে মরে গেলে, মরেও শান্তি পাবো না।

আমি আড্ডা দিতে পছন্দ করি বুদ্ধিমান মানুষদের সাথে।
কিন্তু আমার কোনো বন্ধু নেই। একসময় আমার অনেক বন্ধু ছিলো। কিন্তু এখন আমি একা। কেউ আমার সাথে যোগাযোগ করে না। বিয়ের পর আসলে বন্ধুবান্ধব সব বদলে যায়। নিজ সংসার জীবনে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আমার খুব ইচ্ছা করে আড্ডা দিতে। সাহিত্য, সংগীত, ধর্ম, ইতিহাস, সমসাময়িক সমস্যা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আড্ডায় আলোচনা হবে। চা খাবো। সিগারেট খাবো। অথচ আড্ডা দেওয়ার মতো আমার কেউ নেই। চায়ের দোকানে অথবা রাস্তায় প্রায় দেখি- ৮/১০ জন মিলে আড্ডা দিচ্ছে। অথচ আড্ডা দেবার মতো আমার কেউ নেই। বাঙ্গালীরা হচ্ছে আড্ডা দেওয়ায় ওস্তাদ। আড্ডা না দিলে তাদের পেটের ভাত হজম হয় না।

আমি একজন মানুষের অভাব বোধ করি।
হোক সে নারী অথবা পুরুষ। যে মানুষটা সব প্রশ্নের উত্তর জানেন। মন খারাপ হলে যেন তার কাছে গিয়ে বলতে পারি। এমনকি মন খারাপ হলে যেন তার কাঁধে মাথা রেখে কাঁদতে পারি। তার কাছে যেন সমস্ত মনের কথা খুলে বলতে পারি। যদি বার্গার আর কোক খেতে ইচ্ছা করে- তাকে বলা মাত্র সে বার্গার আর কোক অর্ডার করে দেবে। যদি কোনো গ্রামে নির্জন পুকুর পাড়ে বসে থাকতে ইচ্ছা করে, সে সেই ব্যবস্থা করে দেবে। অর্থ্যাত এমন একজন মানুষের অভাব বোধ করি- যে আমাকে আলোর পথ দেখাবে। আনন্দের পথ দেখাবে। যে আমাকে শেখাবে মঙ্গলময় মহান সত্য। এমন একজন মানুষের অভাব বোধ করি, যে আমাকে স্নেহ করবেন, মায়া করবেন, ভালোবাসবেন। মমতা দেখাবেন।

আমি একটা চাকরীর অভাব বোধ করি।
ইচ্ছা করে একটা চাকরী করি। সকালবেলা তাড়াহুড়া করে অফিস যাবো, ইস্ত্রি করা জামা কাপড় পড়ে। জুতোটা পালিস করে নেবো বের হওয়ার আগে। সারাদিন অফিসে ব্যস্ত থাকবো। সন্ধ্যায় ক্লান্ত হয়ে বাসায় ফিরবো। ছুটির দিনে দূরে কোথাও বেড়াতে যাবো। মাস শেষে যখন সেলারি পাবো- তখন লাইব্রেরীতে গিয়ে অনেক গুলো পছন্দের বই কিনব। বইয়ের চেয়ে সুন্দর দুনিয়াতে আর কিছু নেই। 'জ্ঞান' দেখা যায় না, ছোঁয়া যায় না। অথচ জ্ঞানের অদৃশ্য আলো মানুষকে আলোকিত করে তোলে। সেই আলো স্বচ্ছ ও পবিত্র। এবং অবশ্যই কল্যাণময়।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই মে, ২০২৩ সকাল ৯:০৬

কামাল১৮ বলেছেন: বর্তমানে বাংলাদেশে চাকরি পাওয়া মনে হয় একটু কঠিন।অর্নৈতিক অবস্থা আরো খারাপ হলে সমস্যা আরো বেশি হবে।তখন দেশের অবস্থা ভয়াবহ হবে।

০৭ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১:১২

রাজীব নুর বলেছেন: যে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে সে দেশে চাকরী পাওয়া যাবে না কেন? সে দেশে মানুষ রাস্তায় ঘুমাবে কেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.