নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফুটপাতে কোন খাবারের চাহিদা বেশি?

০৯ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৫:০৩



ভারত ও বাংলাদেশে সব কিছুর চাহিদা বেশি।
এবং আল্লাহর রহমতে আমাদের দেশে সব কিছু বেশি বেশি আছে। যেমন ধরুন- ভিক্ষুক, বেকার, অসহায়- দরিদ্র লোকজন, অসুস্থ লোকজন, মিথ্যাবাদী, চোর বাটপার, দূর্নীতিবাজ, প্রতারক।
রাস্তায় বের হলেই ভিক্ষুক। বাংলাদেশের এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানে ভিক্ষুক পাবেন না। সারা বাংলাদেশে বেকারের অভাব নেই। অসহায় ও দরিদ্র লোকজন সব জায়গায় এসে হাত পাতে। অসুস্থ লোকজন প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে ভিক্ষায় করে বেড়ায়। এমন কি চলন্ত বাসের ভেতরেও। চোর বাটপার দিয়ে তো দেশ ভরা। কক্সবাজার থেকে শুরুর করে নীলগিরি পাহাড়, গুলিস্তান অথবা বাস স্টেশন যেখানেই যান চোর বাটপার দিয়ে ভরা। দূর্নীতিবাজের অভাব নেই আমাদের দেশে নব্যধনী যারা আছেন তাঁরা সকলেই দূর্নীতিবাজ। বাংলাদেশের প্রতিটা ব্যবসায়ী প্রতারক। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের মানসিকতা এরকম, যে একজনকে ঠকাতে পারলেই ভাবে হুররে জিতে গেলাম।

ফুটপাতে খাবারের দোকান গুলো খুব জমজমাট।
ফুটপাতে এমন কোনো খাবার নেই যা পাওয়া যায় না। বাংলাদেশের যে কোনো ফুটপাত থেকেই খাবার খান না কেন সেটা স্বাস্থ্যকর না। অথচ লোকজন পাগলের মতো খায়, খাচ্ছে। মিথ্যা বলব না আমি নিজেও খাই। অবশ্য আজকাল কিছু কিছু ফুটপাতে মোটামোটি ভালো ও উন্নত খাবার পাওয়া যায়। আমার আবার বার্গার খুব পছন্দ। একটা ভালো দোকানে বার্গার খেতে গেলে ৩৫০ টাকা লাগে। অথচ ফুটপাতে ৬০ টাকা দিয়ে মিনি বার্গার পাওয়া যায়। স্বাদ একেবারে খারাপ না। বিষয়টা এমন হয়ে দাড়িয়েছে নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো। ফুটপাতে চিকেন ফ্রাই পাওয়া যায়। কিন্তু একেবারে স্বাদ নাই। ফুটপাতের চিকেন কেএফসি বা বিএফসি'র মতো স্বাদ হয় না। আমি পত্রিকা অফিসে কাজ করার সময়, ফুটপাতের খাবার নিয়ে নিউজ করেছিলাম।

ফুটপাতে সব রকম খাবারের চাহিদা আছে।
বাংলাদেশ দরিদ্র দেশ। বেশির ভাগ মানুষ দরিদ্র। তাঁরা শুধু সস্তা খোজে। দামে কম এরকম খাবার গুলোর ব্যাপক চাহিদা। সকালে মানুষ ফুটপাত থেকে পরোটা বাজি ডাল দিয়ে নাস্তা করে। এরপর ১১ টার দিকে চলে সমুচা সিংগাড়া। এক দেড় ঘন্টা পরেই সমুচা সিংগাড়া শেষ হয়ে যায়। এরপর দুপুরবেলা ভাত। ভাতের সাথে সস্তায় যা দিবেন, পাবলিক তাই খাবে। আল-সালাদিয়া হোটেল গুলোতে লোকজন দাঁড়িয়েই খায়। বসার জন্য সিট পর্যন্ত পাওয় যায় না। রান্না স্বাদ না। তবু মানুষ গপ-গপ করে খায়। খেতেই থাকে। বিকেলে পুরী, পিয়াজু, আলুর চপ। অনেক লোক আছে, বাসার চা ভালো লাগে না। ভালো লাগে ফুটপাতের চা। ফুটপাতের চায়ের দোকান গুলো সব সময় জমজমাট। লোকজন চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে বিশেষ পছন্দ করে।

ফুটপাতে ফুচকা, চটপটি নারী পুরুষ আগ্রহ নিয়ে খায়।
এরপর ঝালমূড়ি, ভেলপুরি, হালিম। অনেকে সিদ্ধ ডিম খুবই পছন্দ করে খায়। অনেক বিক্রেতা ডিমের সাথে দুধ রাখেন। লোকজন এক গ্লাস গরম দুধ দাড়িয়েই খেয়ে নেয়। দামও কম। মাত্র বিশ টাকা। গরম কালে শরবত মানুষের খুবই পছন্দ। ফুটপাতের দোকান সারা বছর জমজমাট থাকে। এদের আয় ইনকাম ভালো। পুলিশ ও স্থানীয় নেতাকে প্রতিদিন একশ' করে টাকা দিতে হয়। প্রতিটা ফুটপাতে লাইনম্যান আছে। উনি এসে প্রতিদিন টাকা নিয়ে যায়। বাংলাদেশে এক কোটি লোক ফুটপাতে দোকানদারি করে সংসার চালাচ্ছে। বেশ ভালো আছে তাঁরা। খেয়েপরে বেঁচে তো আছে। ঢাকার দুই মেয়র ফুটপাত দখল মুক্ত করতে পারেন না। কোনোদিন পারবেও না। গুলিস্তান এলাকার ফুটপাত প্রধানমন্ত্রীও হকার মুক্ত করতে পারবেন না।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মে, ২০২৩ রাত ১০:০৬

কামাল১৮ বলেছেন: ঢাকার রাস্তার মতো এমন অস্বাস্থ্যকর খাবারের ধোকান এখানে চোখে পড়ে নি।গাড়িতে করে কিছু খাবার বিক্রি হয় বিশেষ বিশেষ যায়গায়।লেকের পাড়ে বা শিশু পার্কে।

১০ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশের গজব অবস্থা।
আপনারা থাকেন বেহেশতে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.