নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ছবিঃ আমার তোলা।
ছেলেটার নাম কামাল।
গ্রাম থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে ঢাকা এসেছে। দরিদ্র পরিবারের ছেলে। এর আগে সে জীবনে ঢাকা আসে নাই। একটা মেসে উঠেছে। ঢাকা শহরের কাউকে সে চিনে না, জানে না। ছেলেটা প্রতিদিন ফযরের নামাজ পড়তে মসজিদে যায়। একদিন মসজিদে বেশ কয়েকজন বুড়ো বলল, তোমার মতোন বয়সী কোনো ছেলে ফযর পড়তে মসজিদে আসে না। তুমি আসো, এটা আমাদের ভালো লাগে। কামাল দূর্দান্ত চালাক ছেলে। মসজিদে সে মূলত নামাজ আদায় করতে যায়নি। সে গিয়েছে নিজের স্বার্থে। সেই বুড়োদের অনুরোধ করে কামাল চারটা টিউশনি পেয়ে যায়। চারটা থেকে আরো চারটা টিউশনি যোগাড় করে ফেলে। এদিকে সে জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হয়ে যায়। চলতে থাকে জীবন। এখন সে মেসের প্রধান ব্যাক্তি। সারা মাসের বাজার থেকে যে টাকা বাঁচে সেটা দিয়ে হাত খরচ হয়ে যায়। এমনকি মেস ভাড়াও তাঁরা দিতে হয় না। সিস্টেমে হয়ে যায়। এবং এলাকার কিছু বাড়িওলার ছেলের সাথে সে বন্ধুত্ব করে ফেলেছে। বেশ ভালো দিন যাচ্ছে তার।
কামাল অনার্স পাশ করে ফেলল।
কামালের গুণ সে দেখতে নিরীহ। এবং কথা বলে সুন্দর করে। এরপর কামাল মাস্টার্স পাস করলো। এমনকি এমবিএ করে ফেলল। এতদিনে তার অনেক লোক চেনাজানা হয়ে গেছে। সে একটা দেশের নামকরা ফার্নিচারে চাকরী পেয়ে গেলো। টানা পাঁচ বছর এই ফার্নিচারে সে কাজ করলো। এবং প্রায় দশ লাখ টাকার ফার্নিচার সরিয়ে ফেলল। কিছু ফার্নিচার গ্রামে পাঠিয়ে দিলো। কিছু ফার্নিচার বিক্রি করে দিলো। এরপর আরেক ফার্নিচারে জয়েন করলো। সেখান থেকেও সে অনেক চুরী করলো। কামাল এখন বর্তমানে নামকরা এক ফার্নিচার কোম্পানিতে বড় পদে কাজ করছে। এতদিনে সে ঢাকায় জমি কিনেছে। বিয়ে করেছে। ব্যাংকে অনেক টাকা জমিয়েছে। নিজ গ্রামেও অনেক জমিজমা কিনেছে। অথচ সে শূণ্য হাতে ঢাকা এসেছিলো। সে তার বুদ্ধি দিয়ে ঢাকা এসে সফল হয়েছে। মানুষের সফলতা দেখতে আমার ভালো লাগে।
আরেকটা ঘটনা বলি-
একলোক বর্তমানে সীমাহীন টাকার মালিক। তার কত টাকা আছে, কত জমি আছে সে নিজেও জানে না। এখন তাঁরা একটা টিভি চ্যানেল আছে। দৈনিক পত্রিকা আছে। আরো নামে-বেনামে পনেরটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। এখন সে তার গ্রামের বাড়ি যায় হেলিকাপ্টারে করে। তার স্ত্রীর প্রতিমাসে পার্লারের বিল আসে ৫ লাখ টাকা। শোনা যাচ্ছে- খুব শ্রীঘই এই লোক মন্ত্রী হবে। গ্রামের বহু লোকের জমি সে নামমাত্র মূল্যে কিনে নিয়েছে। গ্রামের অনেক লোককে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে। নিজে এক কোটি বিশ লাখ টাকা দামের গাড়িতে ঘুরে বেড়ান। বহু লোম এখন তাকে তোয়াজ করে। উনি গ্রামে গেলে সারা রাত পাঁচজন পুলিশ তার বাড়ি পাহাড়া দেয়। দুইহাতে তিনি গ্রামে নগদ টাকা বিলান।
এই লোকের এক সময় কিছুই ছিলো না।
তার স্ত্রী বলতো তোমাকে বিয়ে করে ভুল করেছি। মস্ত বড় ভুল। একটা দামী শাড়ি কিনে দিতে পারো না। একটা গহনা কিনে দিতে পারো না। দেশ বিদেশ ভ্রমন তো দূরের কথা। তিন বছরের মধ্যে লোকটা সীমাহীন টাকার মালিক হয়ে গেলো। লোকটার সবচেয়ে বড় গুণ। কখনও কৃপণতা করেন না। দুই হাতে টাকা খরচ করেন। মানুষকে টাকা দিতে কখনও সংকোচ বোধ করেন না। যে-ই তার কাছে টাকা নিতে আসে। সে টাকা দিয়ে দেয়। অবশ্য টাকা দেওয়ার আগে সাদা কাগজে সাইন করিয়ে নেয়। তাঁর ছেলের জন্মদিনে বিশ লাখ টাকা খরচ করে ফেলেন। নিজে পরিবার নিয়ে দুবাই বেড়াতে গেলে কাজের লোক নিয়ে যান চারজন। লোকটার আত্মা আছে। পানির মতোন টাকা খরচ করেন। অনেকের টাকা আছে, কিন্তু মন উজার করে খরচ করেন না। দুই হাতে টাকা খরচ করতে কলিজা লাগে।
১৩ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:২১
রাজীব নুর বলেছেন: কাউকে নিয়ে লিখতে হলে, তাকে জানতে হয়, বুঝতে হয়। কামাল সাহেব সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। তবে তিনি অভিজ্ঞ মানুষ, আধুনিক মানুষ। কুসংস্কার মুক্ত মানুষ।
২| ১৩ ই মে, ২০২৩ রাত ২:৩৭
হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: আপনাকে খুঁজে বের করলাম, হয়ত নিকট ভবিষ্যতে এর উত্তরণ ঘটবে। দুজনেই সফল মানুষ এবং একজন মেধার সদ্ব্যবহার ও অন্যজন দুর্ব্যবহার করেছে
১৩ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: মডারেটর আমাকে, আমার লেখালেখিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাচ্ছেন। কিন্তু না, সূর্যকে দাবিয়ে রাখা যায় না।
৩| ১৩ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:৪৯
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: চড়ইয়ের ছবিটা বেশ সুন্দর হয়েছে।
১৪ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
ছবিটা আমিই তুলেছি।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই মে, ২০২৩ রাত ১:৫৬
চারাগাছ বলেছেন: আমি ভেবেছিলাম আপনি ব্লগার শ্রদ্ধেয় কামাল কে নিয়ে লিখেছেন?
স্মৃতিচারণ লিখবেন নাকি? কি ঠিক করলেন? নাকি প্রথম পাতায় যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন?