নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
একজন মানুষকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে।
রাস্তায় ধরা পরা চোর ছিনতাইকারীকে যেভাবে মারা হয়, ঠিক সেভাবে মেরে ফেলা হচ্ছে। উত্তেজিত জনতা বড় কঠিন জিনিস। কেউ না খেয়ে থাকলে, কেউ চিকিৎসার অভাবে মরতে বসলে, কেউ ক্ষুধায় কষ্ট পেলে উত্তেজিত জনতা নড়াচড়া দেয় না। কিন্তু একজনকে পিটিয়ে মেরে ফেলতে উত্তেজিত জনতা দারুন ভূমিকা রাখে। যাকে মারা হচ্ছে তার বয়স পঁচিশ বছর। সে একজন ইমাম। যে গ্রামের লোকজন ইমামকে মারছে, সেই গ্রামের মসজিদের ইমাম সে। তার নাম শফিকুল ইসলাম। সহজ সরল একটা ছেলে। শফিক মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। তার সারা শরীরে রক্ত। তবু লোকজন তাকে মেরেই চলেছে। সে মৃত্যুর খুব কাছে চলে গেছে। এখন শফিকের কোনো ব্যথা বোধ হচ্ছে না। সে উত্তেজিত জনতাকে চোখে দেখতে পাচ্ছে না, সে দেখছে রাতের আকাশ। রহস্যময় আকাশ। যে আকাশে থেকে জোছনা এসে পড়ছে এই পৃথিবীতে।
গ্রামের নাম রয়না।
অতীব সুন্দর গ্রাম। গ্রামের একপাশ দিয়ে বয়ে গেছে চিত্রা নদী, অন্য পাশ দিয়ে গেছে চন্দনা নদী। আমি খেয়াল করে দেখেছি যে গ্রামের পাশ দিয়ে নদী বয়ে যায়, সে গ্রামের মানুষদের দুঃখ কষ্ট কম। এবং গ্রামের মানুষ গুলো ভালো হয়। মানবিক হয়। হৃদয়বান হয়। রয়না গ্রামের চেয়ারম্যান হচ্ছেন এজাজ উদ্দিন। উনি নিজের টাকায় একটা পাকা মসজিদ করেছেন। মসজিদের নাম রেখেছেন নিজের মায়ের নামে কিন্তু তার দুঃখ গ্রামের মানুষজন শুক্রবার ছাড়া প্রায় মসজিদে আসেই না। দিন দিন মানুষ আল্লাহ খোদার নাম ভুলেই যাচ্ছে। কি এক যন্ত্র এসেছে ইন্টারনেট। ফেসবুক, টিকটক আর ইউটিউবে ব্যস্ত পোলাপান। সারাক্ষণ চোখের সামনে মোবাইল ধরে থাকে। এজাজ উদ্দিন তার মসজিদের জন্য শহর থেকে একজন ইমাম এনেছেন। ইমামের নাম শফিকুল। অল্প বয়স। একদম চ্যাংড়া। ঢাকার বাগিচা মসজিদের মোয়াজ্জেম সাহেব তাকে পাঠিয়েছেন। শফিকুল নাকি অনেক জ্ঞানী মানুষ। খুব ভালো ছেলে।
ভনিতা বাদ দিয়ে, মূল গল্পে প্রবেশ করি।
শফিকুল কোরানে হাফেজ হলেও সে বাইবেল, ত্রিপিটক পর্যন্ত তার মুখস্ত। ফিজিক্স কেমিস্ট্রি সম্পর্কে তার জ্ঞান আছে। একবার গ্রামের এক কৃষক পেটের তীব্র ব্যথা নিয়ে তার কাছে আসে পানিপড়ার জন্য। শফিক হুজুর স্পষ্ট বলে দেয়, পানি পড়ায় কাজ হবে না। আপনি ডাক্তারের কাছে যান। আরেকবার গ্রামের এক স্ত্রীলোক তাবিজের জন্য তার চার বছরের ছেলেকে নিয়ে আসে, ছেলে বিছানায় প্রস্বাব করে দেয়। শফিক হুজুর বলে তাবিজ কোনো কাজের জিনিস নয়। তাবিজ দিয়ে দুনিয়ার কোনো সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। গ্রামের কাঠ ব্যবসায়ী সলিমুল্লাহ আসে শফিক হুজুরের কাছে। তার মেয়ের আগামীকাল বৃত্তি পরীক্ষা। হুজুর যেন একটু দোয়া করে দেয়। শফিক হুজুর স্পষ্ট বলে দেন, দোয়ায় কাজ হবে না। যদি আপনার কন্যা ভালো করে পড়ে এবং সব প্রশ্নের উত্তর সঠিক ভাবে দেয় তাহলেই সে পাশ করবে। দোয়া দিয়ে তাকে পাশ বা ফেল করানো যাবে না।
শফিক হুজুরকে নিয়ে রয়না গ্রামের লোকজন কিছুটা হতাশ।
এ আবার কেমন হুজুর ফুঁ দেয় না, তাবিজ কবচে বিশ্বাস নেই, দোয়া করে না, বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে বলে। গত শুক্রবার খুতবার সময় শফিক হুজুর বলেছেন, মাদ্রাসার চেয়ে স্কুলে পড়ানো ভালো। মাদ্রাসায় পড়ালে আপনার সন্তান হয়তো মসজিদে আযান দেওয়ার কাজ পাবে, অথবা মুসুল্লিদের নামাজ পড়াবে, মরা বাড়িতে গিয়ে কোরআন খতম দেবে কিন্তু স্কুল কলেজে পড়লে সে বড় চাকরী পাবে। দেশ এবং সমাজের জন্য ভালো কিছু করতে পারবে। তখন আর তাকে মানবেতর জীবনযাপন করতে হবে না। এই গ্রামের মানুষ একসময় সাবান শ্যাম্পু ব্যবহার করতো না। কিন্তু এখন করছে। একজন কৃষকের জমিতে সমস্যা হলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সমাধান খুঁজে নিতে পারছে। আজকের এই আধুনিক দুনিয়ার সমস্যা গুলোর সমাধান ধর্মীয় কিতাবে বা হাদিসে নেই। অর্থ্যাত মানুষকে পুরোনো ধ্যান ধারনা আগলে রাখলে হবে না। আধুনিক হতে হবে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে।
রাত দুটা। শফিক হুজুর পুকুর ঘাটে বসে আছেন।
তার হাতে একটা বই। বইয়ের নাম- 'দ্য গড ইকুয়েশন'। লেখক মিচিও কাকু। চমৎকার বই। কিন্তু বই পড়লেই তার মন খারাপ হয়ে যায়। কত কিছু আছে জানার। অথচ জীবন কত ছোট। গত সপ্তাহে শফিক পড়েছে- 'প্যারালাল ওয়ার্ল্ডস'। অত্যন্ত চমৎকার একটা বই। শফিক যত বই পড়ে নিজেকে তার তত মূর্খ বলে মনে হয়। এই মধ্যরাতে শফিক হুজুর বুকের গবীর থেকে অনুভব করতে পারছে- কোরআন হাদিসের বাইরেও অনেক মহৎ বই আছে, সেগুলো পড়তে হবে। নইলে অন্ধকারে থাকতে হবে। মানুষ অন্ধকারে থাকলে জাতি পেছনে পড়ে থাকবে। মাদ্রাসার বাচ্চারা এসব বই থেকে কেন বঞ্চিত হবে? তাদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করা দরকার। কিছু একটা করতে হবে। মানুষকে বুঝাতে হবে। মানুষ আর কতকাল অন্ধকারে থাকবে, ভুলের মধ্যে থাকবে?
এদিকে গ্রামের লোকজন শফিককে নিয়ে কঠিক একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে।
শফিক তার কিছুই জানে না। তার হাতে একটা বই। বইয়ের নাম- 'দ্য থিওরি অব এভরিথিং'। লেখক- স্টিফেন হকিং। বইটি পড়লেই বুঝা যায়- হকিং সাহেব অনেক দরদ দিয়ে বইটি লিখেছেন। বইয়ে কোনো রুপকথার গল্প নেই। শফিক হুজুর নক্ষত্র খচিত আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে। তার মনে হয়- ফিজিক্সেই সব রহস্য লুকিয়ে আছে। অনেক পড়াশোনা করতে হবে। অনেক। ধর্মীয় বই পড়ে কোনো লাভ নেই। ধর্মীয় বই পড়া মানে সময়ের অপচয়। পুরো কোরআন তার মূখস্ত। সমস্ত হাদীস সে জানে- তাতে কি? তাতে কিছুই না। সে যদি একজন পদার্থবিদ হতে পারতো। তাহলে সে বিশ্বের জন্য কিছু করতে পারতো। একজন হুজুর হয়ে কিছুই করা সম্ভব না। এই পৃথিবীতে হুজুরদের কোনো দরকার নেই। দরকার আছে- আলবার্ট আইনস্টাইন, আইজাক নিউটন, গ্যালিলিও গ্যালিলেই, নিকোলা টেসলা, টমাস আলভা এডিসন ইত্যাদি মহান ব্যাক্তিদের।
(দ্বিতীয় পর্ব আগামীকাল।)
২৩ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: এত উত্তেজিত কেন??
চিল। চিল।
২| ২৩ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:৪৯
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
শফিক কি অবশেষে হুজুর থাকতে পারবে?
২৩ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: আগামীকাল বিস্তারিত আসছে।
৩| ২৩ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:৩৯
কামাল১৮ বলেছেন: ঈমানী জোসে এলাকাবাসি এমন অনেক কাজ করে যেটা কোন সুস্থ মানুষের পক্ষে করা সম্ভব না।ঈমান অনেক কঠিন জিনিস।সেখানে দয়া মায়া থাকতে নাই।
খুবই তাত্পর্যপূর্ণ একটা লেখা।
২৩ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ শ্রদ্ধ্যেয়।
৪| ২৪ শে মে, ২০২৩ ভোর ৪:২২
চারাগাছ বলেছেন: প্রথম পাতায় লিখতে পারা খুব বেশি হয়নি কিন্তু!
হয়ত আবার আপনাকে খুঁজে পড়তে হবে।
মামুন হাফেজ কে চেনেন?
২৪ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।
মামুন হাফেজকে চিনি না।
৫| ২৪ শে মে, ২০২৩ সকাল ১০:১২
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: ঠিক কথায় কছেন রাজীব দা
যত হিংসা হানাহানি সব এদের ইচ্ছাই হচ্ছে
বর্তমান সমাজের চিত্র তুলে আনার ক্ষমতা নেই
ভাল থাকবেন--------
২৪ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ২৪ শে মে, ২০২৩ সকাল ১১:৩৯
নতুন বলেছেন: আমাদের সমাজের অবস্থা এতোটা খারাপ এখনো হয় নাই যে সুধুই নাস্তিকতা বা ভিন্ন মতের কারনে মানুষকে সমাজের মানুষ মেরে ফেলবে।
বেশির ভাগ ঘটনার পেছনে অন্য কোন মোটিভ থাকে।
বেশিরভাগই রাজনিকিত বা ব্যক্তিসার্থের বিষয় জড়িত আছে।
২৪ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি বোকার স্বর্গে বাস করছেন।
বহু লোককে ধর্মের কারনে মেরে ফেলা হয়েছে। অভিজিৎ থেকে হুমায়ূন আজাদ। নাম বলতে শুরু করলে শেষ হবে না।
৭| ২৪ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১:০৩
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি বোকার স্বর্গে বাস করছেন।
বহু লোককে ধর্মের কারনে মেরে ফেলা হয়েছে। অভিজিৎ থেকে হুমায়ূন আজাদ। নাম বলতে শুরু করলে শেষ হবে না।
এদের কি সাধারন মানুষ মেরে ফেলেছে? না কি কোন গোস্ঠি তাদের কোন উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য মেরেছে ?
২৪ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: তাদের হত্যা করেছে- গোষ্ঠি না আপনি না আমি অথবা অন্য কেউ সেটা বড় কথা নয়।
তাদের ধর্মের কারনে হত্যা করা হয়েছে।
৮| ২৪ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১:০৪
রিদওয়ান খান বলেছেন: শফিক হুজুর মাদ্রাসায় পড়েও শিখার আগ্রহে মনমানসিকতা উন্মুক্ত রাখে সেজন্য তার হাতে ফিজিক্সের বই কিন্তু ফিজিক্স পড়নেওয়ালার মনমানসিকতা এখানো এমন হয়নি যে দেখি তো তাওহীদুর রুবুবিইয়্যাহ, তাওহীদুল উলুহিইয়্যাহ, আসমাউস-সিফাত এগুলো কী একটু জানি। তারপরেও দিন শেষে ফিজিক্স পড়নেওয়ালা/ পড়ানেওয়ালা নিজেকে মুক্ত মনা দাবী করে!
হুজুর যখন জুমু'আর বয়ানে কোরআনের স্টেটমেন্ট কী আর বিজ্ঞানের স্টেটমেন্ট কী বলে তখন আমরা বলি মোল্লা কোরআনের কথা বলবে তা না বরং কোরআনকে বিজ্ঞানের সাথে তুলনা করে(!) যদিও দিনশেষে এত ফিজিক্স পড়েও ঐ কোরআনকেই ফিজিক্সের বিপরীতে দাড় করিয়ে ধারাবাহিক লিখতে থাকি..
২৪ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৩:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: আসলে আপনি কি বলতে চাচ্ছেন?
৯| ২৪ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:০০
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: তাদের হত্যা করেছে- গোষ্ঠি না আপনি না আমি অথবা অন্য কেউ সেটা বড় কথা নয়।
তাদের ধর্মের কারনে হত্যা করা হয়েছে।
সাধারন মানুষ যদি হত্যা করে থাকে সেটা খুবই খারাপ জিনিস। সমাজের বিরাট সমস্যা এটা, তার জন্য অনেক বড় আন্দলন দরকার।
কিন্তু যখন আইএস বা অন্য কোন গোস্টি হত্যা করে তার পেছনে রাজনিতিক কারন থাকে। ধর্মের নামে এসব করে রাজনিতিক ফয়দা হাসিল করে অনেকে।
সেটা যদি না বুঝে থাকেন তবে কিছুই বলার নাই।
২৪ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:১২
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি আসলে শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চাইছেন।
আপনি একজন বিচক্ষন মানুষ। আপনাকে বুঝিয়ে বলার কিছু নাই।
১০| ২৪ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:১৯
নতুন বলেছেন: আপনি গড় পড়তায় সাধারন জনগনকে দোষী করতে চাইছেন সেটা সম্ববত আমাদের দেশের সাধারন মানুষের ভাবনার প্রতিফলন না।
২৪ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: আমি একবার বাংলাদেশের এক গ্রামে গিয়েছিলাম।
রাতে খেয়ে আমার ডাকবাংলোয় ফেরার পথে গ্রামের লোকজন আমাকে ধরে এবং খুব মারে। আমি আমার অফিসের আইডি কার্ড দেখিয়েছি। তাঁরা তবু আমাকে মারলো। মেরেই ফেলতো তার আগে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
১১| ২৪ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:১৮
নতুন বলেছেন: যদি ছিন্তাইকারীরা ধরে থাকে তবে সেটা আলাদা।
অন্য কোন কাহিনি আছে সেটা খুজে দেূখন।
কিন্তু এখনো গ্রামের মানুষ মানুষকে সাহাজ্য করে।
শহরে মানুষ পথে সাহাজ্য করতে ভয় পায় করান এটা ফাদও হতে পারে।
কিন্তু গ্রামে সবাই সবাইকে চেনে তাই তারা পথের মানুষকে সাহাজ্য করতে ভয় পায় না।
২৪ শে মে, ২০২৩ রাত ৯:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: এখন কেউ কাউকে সাহায্য করে না। সময় এবং যুগ বদলে গেছে। আপনি হয়তো অনেক আগের কথা বলছেন।
যারা আমাকে মেরেছে তাঁরা গ্রামবাসী। এরকম মাইর আমি আমার জীবনে খানি। এরপর পুলিশ আমাকে ধরে নিয়ে গিয়ে লকাপে রেখে দিলো সারারাত। আমার ফাস্টএইড পর্যন্ত দেয়নি।
১২| ২৫ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১:৩৮
অক্পটে বলেছেন: আমার পড়ালেখা শুরু হয়েছিল মাদ্রাসায়। আমাদের মসজিদের একজন ইমাম আমার বাবাকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে আমাকে দূরের একটা প্রাইমারী স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিয়েছিলেন হুজুর নিজে গিয়ে। সেই প্রামারী স্কুলের সাথে ছিল ১৯০০ সালের প্রতিষ্ঠিত একটা হাই স্কুল। আমার সাথে মাদ্রাসায় যারা পড়তো তারা আর এগুতে পারেনি। আপনার এই লেখা পড়ে আমার ছোট্টবেলার অনেক কিছুই মনে পড়ছে। আমাদের মসজিদের ইমাম ছিলেন শিক্ষিত মার্জিত এবং একজন সংস্কারক। ইংরেজীতে অনর্গল স্পীচ দিতে পারতেন। একবার মালয়েশিয়া থেকে একদল তাবলীগ এলেন তারা ইংরেজীতে বয়ান করে এবং দোভাষীর কাজটি করছেন আরেকজন বাংগালী তাবলিগ। আমাদের হুজুর বললেন আপনার অনুবাদ ঠিক হচ্চেনা। তো সেই বাংগালী তাবলীগ হালকা একটু গোস্বা করে বললেন তাহলে আপনি বলুনতো আমি কি ভুল বলেছি। হুজুর বলে দিলেন কি ভুল করেছেন। এরপর হুজুর ফ্লোয়েন্টলি মালয় হুজুরের বয়ান অনুবাদ করে দিতে লাগলেন। একজন আরবী লাইনের মানুষ এমন ফ্লোয়েন্টলি ইংরেজী বলেন! আমরা সবাই সেদিন আশ্চর্য হয়েছিলাম। গালিব, আল্লামা ইকবাল, ফায়েজ, রুমী এদের কবিতা, নাগমা গজলে উর্দুতে হুজুরের পান্ডিত্য ছিল অসাধারণ। তিনি মাদ্রাসার ছাত্রদের বলতেন বঙ্কিম রবীন্দ্রনাথ পড়তে। এই হুজুর আমাদের মসজিদের পাশে একটি গণপাঠাগার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেখানে সব রকমের বই তিনি রেখেছিলেন। তিনি চাইতেন মানুষ পড়ুক। তিনি বলতেন পড়ার অভ্যাস জাতির মননকে আচরণকে বদলে দিতে পারে।
আমার মন্তব্য বড় হয়ে যাচ্ছে, বুঝতে পারছি আমাকে কথায় পেয়ে বসেছে। এই হুজুরের বিদায়ে আমরা সবাই কেঁদেছিলাম। তাঁর বিদায় দিনের অনুষ্ঠানে জেলা প্রসাশক এসেছিলেন। হুজুরের শেষ বক্তব্যে জেলা প্রসাশকের চোখেও জল এসেছিল।
১৩| ২৫ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: জাস্ট গ্রেট।
১৪| ২৭ শে মে, ২০২৩ সকাল ১০:৩০
নাহল তরকারি বলেছেন: আপনার কথাতে যুক্তি আছে। তাবিজ আর ফু তে কোন শক্তি নাই। সকল শক্তি আল্লাহর। তার কোন শরীক নেই। আমরা পরিশ্রম করিবো। আল্লাহ আমাদের পরিশ্রমের মর্যাদা অবশ্যই দিবেন।
বর্তমানেও কিছু মানুষ আছে যারা বিজ্ঞান থেকে আলৌকিকতা কে বিশ্বাস করে। যা একদমই ঠিক না। পরিশ্রম একদমই করতে চায় না। কোন যুক্তির ধার ধারে না।
ইসলাম সবাইকে হাফেজ হতে বলে নাই। যতটুকু ধর্মীয় জ্ঞান না থাকলেই নয়; অথাৎ ধর্মীয় প্রথমিক জ্ঞানটুকু সবাই কে জানতে হবে। শুধু মাত্র আল্লাহর প্রিয় বান্দা না হলে কেউ কোরআন এর হাফেজ, পীর ওলী হতে পারে না।
ধর্মীয় বিষয়ে প্রাথমিক জ্ঞান পাওয়ার পর কেউ ডাক্তার হবে, কেউ ইজ্ঞিনিয়ার হবে, কেউ মিস্ত্রি হবে, কেউ টিচার হবে। এখানে আল্লাহ বাধা দেয় নাই বাংলাদেশীরা সব কিছুতে আবেগে বিচার করে। কোন যুক্তি তারা মানতে চায না।
২৭ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: মানুষকে সচেতন হতে হবে।
১৫| ২৭ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:৫২
নাহল তরকারি বলেছেন: একটা গণ্প মনে পড়ে গেলো। ১৯৪০ সালের ঘটনা। এক বড়লোক গাড়ি ক্রয় করেছে। ঐ সময় গাড়ির সাথে ড্রাইবারও দিতো। একদিন গাড়ির মালিক ড্রাইবার কে বলেন “গাড়ি বাহির করো। ওমুক স্থানে যাবো।” ড্রাইবার বলে “গাড়ি এখন চলবে না।” মালিক প্রশ্ন করে “গাড়ি কেন চলবে না?” ড্রাইবার উত্তরে বললো “স্যার, গাড়ি চলতে ১০ কেজি বাশমতি চাল, ২ কেজি ঘি, এক কেজি খাসির গোস্ত, ২ কেজি সোয়াবিন তেল ও ৫ লিটার ওকটেল লাগবে।”
কিছু কিছু হুজুর আছে এমন ফতোয়া দেয়। এমন ভুল বাল ফতোয়া দিলে যেন আমরা ভুল টা ধরতে পারি, আর ইবাদত করতে গেলে যাতে সমস্যা না হয় সেক্ষেত্রে কিছু ধর্মীয় জ্ঞান থাকা আবশ্যক।
১৬| ২৭ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: হা হা হা---
ব্বেশ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:২০
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: হুজুর আসলে অনেক আছে। এদের অধিকাংশ ভন্ড। নতুন করে হুজুরের দরকার নেই। মাদ্রাসা নামক বলৎকারের আস্তানা গুলো বন্ধ হওয়া জরুরী।