নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ধর্ম একটা ফালতু বিষয়। ধর্ম টিকিয়ে রেখেছে ধার্মিকেরা।
ধার্মিকদের সমস্যা হলো তাঁরা শুধু ধার্মিক হয়েছে, 'মানুষ' হতে পারেনি। কিন্তু আমাদের দরকার 'মানুষ'। ভালো মানুষ। ধার্মিক নয়। ধর্ম ও ধার্মিক দিয়ে সমাজের কোনো উপকার হয় না। কিন্তু একজন খাটি মানুষ দিয়ে দেশ ও দশের অনেক কল্যাণ হয়। উন্নত দেশগুলো অনেক আগেই বুঝে গেছে, ধর্ম আকড়ে থাকলে উন্নতি সম্ভব নয়। তাই তাঁরা ধর্মের ধারধারে না। খেয়াল করে দেখুন, ধর্মহীন দেশ গুলোই ভালো আছে। আর ধর্ম আকড়ে থাকা দেশ গুলোর করুণ অবস্থা। মধ্যেপ্রাচ্যের দেশ গুলোর দিকে তাকালেই টের পাবেন। দুবাই কিছুটা উন্নতি করছে, কারন তাঁরা ধর্ম আকড়ে থাকে নাই। ইদানিং সৌদি বদলাচ্ছে। তাঁরা আরো অনেক বদলে যাবে। সবে তো মাত্র শুরু। সৌদির ধনীরা নিজ দেশে রঙতামাশা করতে পারে না বলে, তাঁরা ইউরোপে গিয়ে মনের স্বাদ মেটাচ্ছে।
আমাদের দেশ কিন্তু ধর্মের নিয়মে চলে না।
দেশ চলে সংবিধান অনুযায়ী। আমাদের দেশে মসজিদের অভাব নেই। তবুও দেখুন আমাদের দেশে সৎ মানুষ নেই। দূর্নীতি করে করে দুষ্টলোকেরা দেশের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে। অথচ দূর্নীতিবাজেরা নিয়মিত নামাজ পড়ছে। নামাজ পড়তে পড়তে কপালে স্থায়ী দাগ বসিয়ে ফেলেছে। যে নামাজ অথবা যে ধর্ম অথবা এত এত মসজিদ লোকজনকে ভালো করতে পারছে না, সৎ পথে আনতে পারছে না। তাহলে আমরা মসজিদ ও ধর্ম দিয়ে কি করবো? অর্থ্যাত ধর্ম কোনো উপকার করার ক্ষমতা রাখে না। পাকিস্তানের একটা ঘটনা বলি, একলোক ওদের প্রধানমন্ত্রী ইমরানকে বলেছেন, আমি আপনাকে নবীজির মতোণ ভালোবাসি। এই কথার জন্য লোকটাকে নির্মম ভাবে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। ধর্ম মানুষকে কোনঠাসা করে ফেলছে। আর এর প্রতিশোধ নিচ্ছে বিজ্ঞান। আমি দেখেছি, ধার্মিকেরা মূলত 'ছাগল' টাইপ হয়। একটা উদাহরণ দেই। একলোকের স্ত্রীর বাচ্চা হবে। কিন্তু সে স্ত্রীকে হাসপাতালে নিচ্ছে না। বলছে, আল্লাহর নিয়মে বাচ্চা হোক। স্ত্রী মরতে বসেছিলো। তখন শেষ মুহুর্তে হাসপাতালে নেওয়া হলো। এবং বেঁচে গেলো। এই হলো ধার্মিকদের অবস্থা।
পৃথিবী সৃষ্টির পর ধর্ম নিয়ে কম হানাহানি হয়নি।
দেশভাগ হয়ে গেলো ধর্মের কারনে। অসংখ্য মানুষকে ধর্মের কারনে হত্যা করা হয়েছে। আজও ধর্ম নিয়ে হানাহানি চলছে। শুধু মাত্র পৃথিবীতে ধর্ম না থাকলে রক্তপাত এবং খুনাখুনি অনেক কম হতো। দেখুন, আমাদের দেশটা দরিদ্র। আশেপাশে দরিদ্র লোকের অভাব নেই। কেউ তাদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে না। অথচ মসজিদ নির্মানের কথা শুনলে মানুষ পাগল হয়ে যায়। দান করে। মসজিদে এসি লাগবে, হাসি মুখে টাকা দান করে। মূলত এই টাকা দান করার পেছনে আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে- বেহেশতে যাওয়া। ধার্মিকেরা বেহেশতে গিয়ে হুরের সাথে রঙ ঢং করবে, সেই স্বপ্নে তাঁরা বিভোর। লোকজন হজ্ব করতে যায়। লাখ লাখ টাকা খরচ করে। মক্কা মদীনায় যায়। পাথর ছুরে মারে শয়তানকে। আল্লাহকে ডাকে। ইত্যাদি। ব্যস শেষ। কিন্তু একজন লোক যদি হজ্ব না করে দরিদ্র একটা লোককে আয়ের পথ করে দেয়, তাহলে কি আল্লাহ খুশি হবেন না? ধার্মিকদের মধ্যে মানবতা কম। যদি তাঁরা ধার্মিক না হয়ে মানুষ হতো তাহলে তাঁরা মানবিক হতে পারতো।
দেশে মাদ্রাসা দিয়ে ভরে গেছে।
দুঃখ লাগে। মাদ্রাসা শিক্ষা দিয়ে জাতি কি পাবে? সেদিন এক সাংবাদিক মাদ্রাসার এক বাচ্চাকে জিজ্ঞেস করেছে- বাংলাদেশের জাতীয় মাছের নাম কি? ছেলেটা উত্তর দিয়েছে পাঙ্গাশ। এই হলো মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা। এই ছেলে মাদ্রাসায় লেখাপড়া শেষ করে কি হবে? কি কাজ পাবে? মসজিসে আযান দেবে, নইলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছেলেমেয়েদের কায়দা আমপারা পড়াবে, অথবা কোনো মসজিদে আযান দেবে। এটা কি কোনো লাইফ? হুজুরেরা ছেলেমেয়েদের বাবা মাকে বলেন- স্কুল কলেজের শিক্ষা ইহকালের জন্য, আর মাদ্রাসার শিক্ষা ইহকাল পরকাল দু জাহানের জন্য। মগজহীণ হুজুরেরা পুরো জাতিকে পেছনে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। ধর্মের নিয়ম কানুন গুলো অনেক পুরনো। যখন কোরআন নাজিল হয় তখন ইন্টারনেট ছিলো না, ইড়োজাহাজ ছিলো না। ক্যামেরা ছিলো না। মোবাইল ফোন ছিলো না। জীবনযাপন ছিলো অনেক কঠিন। আরবের লোকেরা সব সময় কম জ্ঞানী ছিলো। তাঁরা চিনতো না এরিস্টটলকে। তাঁরা চিনতো না- পীথাগোরাসকে। তা চিনতো না মহামতি বুদ্ধকে। আরবের লোকজন ছিলো জ্ঞানহীন।
পৃথিবীতে কোনো ধর্মই সঠিক ধর্ম নয়।
সব ধর্মই মানুষের বানানো। একজন আরেকজনেরটা দেখে এবং কিছু মনের মাধুরী মিশিয়ে বানিয়ে নিয়েছে। এক শ্রেনীর চতুর লোক ধর্মকে টিকিয়ে রাখার জন্য আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে গেলো। তাঁরা জানে এরচেয়ে ভালো ব্যবসা আর কিছু নাই। পুঁজি ছাড়া ব্যবসা। এখন চতুর লোকেরা সব কিছুতেই ধর্মকে ব্যবহার করেই যাচ্ছে। নির্বোধ ও মগজহীণ জাতিকে খুব সহজেই ধর্ম দিয়ে কাঁত করে ফেলা যায়। ধর্ম হলো চালাকদের জন্য হাতিয়ার। মাছের পেটে আটকে গেছেন এক নবী। প্রভুর কারিশমায় সে উদ্ধার হতে পেরেছেন। একটা লাঠি সাপ হয়ে গেছে। প্রভুর কারিশমার তুলনা হয় না। নাসা লোকজন মহাকাশে পাঠায়। আর নবীজ মুহুর্তের মধ্যে চলে গেলেন মহাকাশে। কী কারিশমা! অথচ নবীজি জানতেন না আরবের মাটির নিচে তেল রয়েছে। এই তেল বেঁচেই তাঁরা ধনী থাকবে। জাতিকে সঠিক শিক্ষা দেওয়া গেলো- জাতি কুসংস্কার থেকে দূরে থাকবে। অন্ধ বিশ্বাস থেকে দূরে থাকবে। ধর্ম নারীদের খুব ক্ষতি করছে। তাদেরকে বস্তা বন্ধী করেছে। এমনও বলা হয়, তাদের কন্ঠ যদি কেউ শুনে তাহলে গুনাহ হবে। অথচ নারীরা হচ্ছে ধরনী। নারীরা ভালো থাকলে ভালো থাকবে সারা বিশ্ব।
ধর্ম বলে, প্রশ্ন করো না, শুধু বিশ্বাস করে যাও।
বোকারা বিশ্বাস করছে, আর ধার্মিক হচ্ছে। মসজিদ বানাচ্ছে, মন্দির বানাচ্ছে। আর ইচ্ছা মতো ধান্দা করছে। আমাদের দেশে সব কিছুতেই ব্যবসা। লেখাপড়া ব্যবসা। চিকিৎসা ব্যবসা। এমন কি মসজিদ মাদ্রাসাও ব্যবসা। মসজিদ গুলোতে অনেক ইনকাম। এই টাকা যায় কোথায়? মসজিদের হুজুররা তো সমাজের কোনো ভালো কাজে অংশ গ্রহনও করে না। কাউকে সাহায্য সহযোগিতাও করে না। আমাদের এলাকার মসজিদের কথা বলি- প্রতি শুক্রবার ৫৫ থেকে ৬৫ হাজার টাকা ওঠে। মাসে কম করে হলেও দুই আড়াই লাখ টাকা। এই টাকা যায় কোথায়? কারা পায় এই টাকা? লোকজন রাস্তায় ঘুমায়। আর মসজিদ গুলোতে দামী মার্বেল টাইলস। এসি। জাঁকজমক অবস্থা। দুই লাইনের একটা গল্প বলে লেখাটা শেষ করছি- এক মহিলা মসজিদে কিছু টাকা দিতে চায়। হুজুর বললেন, আমি তোমার টাকা নিবো না। তুমি পতিতা। তখন মুসুল্লিরা বললেন, হুজুর টাকা নিয়ে নিন, এগুলো আমাদেরই টাকা।
©somewhere in net ltd.