নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

হুমায়ূন আহমেদ হওয়ার উপায় কী?

০৮ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:২৯



প্রতিটা মানুষের হাতের ছাপ আলাদা।
ঠিক তেমনি প্রতিটা মানুষ আলাদা। ভাবে, প্রেমে, চিন্তা চেতনায়, ভালোবাসায়, ভালোত্বে, মহত্বে সব কিছুতেই মানুষ আলাদা। কেউ কারো মতো হতে পারে না। হুমায়ূন আহমেদ একজন লেখক। তার সমতুল্য বাংলাদেশে আর কেউ নেই। যদি হুমায়ূন আহমেদ হওয়া সম্ভব হতো, তাহলে বাংলাদেশের সব লেখক হুমায়ূন আহমেদ হয়ে যেতো। তারপর সাহিত্যে রাজত্ব করতো। বাংলাদেশ ছোট দেশ হলেও, এই দেশে কবি সাহিত্যিকের অভাব নেই। দুঃখের বিষয় তাদের লেখা কেউ পড়ে না। বই ছাপালে সেই বই কেউ কিনে না। শেষে নিজের খরচে বইগুলো একে-ওকে কুরিয়ার করে পাঠায়। অথচ হুমায়ূন আহমেদের বই লোকজন পাগলের মতো কিনে এবং পড়ে। হুমায়ূন আহমেদ হওয়া গেলে সমস্ত অগা মগা জগারা সেই কবেই হুমায়ূন আহমেদ হয়ে যেতো।

হয়তো আপনি চেষ্টা করলে হুমায়ূন আহমেদকে ছাড়িয়ে যাবেন।
বাংলাদেশের একজন শ্রেষ্ঠ লেখক হুমায়ূন আহমেদ। আমাদের ভাগ্য তিনি এদেশে জন্মেছিলেন। হুমায়ূন আহমেদ মূলত একজন যাদুকর। যখন হুমায়ূন আহমেদ বেঁচে ছিলেন, অনেকেই তাকে নিয়ে হাসাহাসি করেছেন। কটু কথা বলেছেন। তারাই এখন হাত কচলাতে কচলাতে হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার গ্রহন করছে। যারা হুমায়ূন আহমেদের নিন্দা করেছেন তাতে হুমায়ূন আহমেদের জনপ্রিয়তার ভাটা পড়েনি। মৃত্যুর এতে বছর পরেও হুমায়ূন আহমেদ জনপ্রিয়। বইমেলাতে নিশ্চয়ই দেখেছেন ছেলেমেয়েরা পাগলের মতো হুমায়ূন আহমেদের বই কিনছে। লিখতে জানতে হয়। হুমায়ূন আহমেদ লিখতে জানতেন। সবচেয়ে বড় কথা একজন লেখককে সবার আগে একজন ভালো মানুষ হতে হয়। হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন একজন ভালো মানুষ। তাই তিনি কোটি মানুষের মনের কথা সহজ সরল ভাষায় লিখে গেছেন। বর্তমানে মানে যারা লেখালেখি করছেন, তাদের মন নানান রকম জটিলতা আর কুটিলতায় ভরা।

আমার বসার ঘরের দেয়ালে একটা হুমায়ূন আহমেদের ছবি টানিয়ে রেখেছি।
প্রায় সময়ই আমি ছবিটার দিকে তাকিয়ে থাকি। বড় ভালো লাগে। মানুষটার আরো দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার দরকার ছিলো। হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যু সংবাদ যেদিন পেলাম, মনে হতো আত্মার কাছের কেউ মারা গেলো। ভীষন কষ্ট হয়েছিলো। কান্না করে ছিলাম। অনেক রাত পর্যন্ত জেগেছিলাম। সে রাতে না খেয়েই ছিলাম। বাংলাদেশে অনেক কবি সাহিত্যিক আছেন, তাঁরা অনেকেই মারা গেছেন আমার একটুও কষ্ট লাগেনি। হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন একজন খাটি মানুষ। তার কোনো লোভ ছিলো না। অতি সরল ও সাধারন জীবনযাপন করতেন। হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনে আমি বাসার সবাইকে নিয়ে কেক কাটি। মৃত্যু বার্ষিকীতে আমি পনের জন দরিদ্র মানুষকে খাওয়াই। মসজিদে মিলাদ পড়াই। হুজুরকে দিয়ে স্পেশাল দোয়া পড়াই। আমি যতদিন বেঁচে আছি, এই কাজ করে যাবো।

যদি হুমায়ূন আহমেদ হওয়া যেতো তাহলে বাংলাদেশের সমস্ত সাহত্যিক হুমায়ূন আহমেদ হয়ে যেতো।
যারা হুমায়ূন আহমদের নিন্দা করেছেন তারাও হুমায়ূন আহমেদ হয়ে যেতেন। বাংলাদেশে হুমায়ূন ছিলেন সাহ্যিতের পারমাণবিক বোমা। তিনি শুধু সাহ্যিতিক নন, তিনি একজন নাট্য নির্মাতা। তার মতো এত সুন্দর ও প্রানবন্ত নাটক আর কেউ বানাতে পারেন নাই। অথচ আমাদের দেশে কত নাট্যকার আছেন। হুমায়ূন আহমেদ হলেন ওস্তাদের ওস্তাদ। হিমু, মিসির আলি, শুভ্র দারুন সব চরিত্র। এরকম চরিত্র বাংলাদেশে আর কোনো লেখক তৈরি করতে পারেননি। তসলিমা নাসরিনকে দেশ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের কোনো লেখক সরকারকে বলে নাই, তসলিমা নাসরিনকে দেশে ফিরিয়ে আনুন। এদেশে তো চোর, বাটপার, দূর্নীতিবাজ, রাজাকার সবাই আছে। তাহলে তসলিমা নাসরিনকে কেন আসতে দেওয়া হবে না? একমাত্র হুমায়ূন আহমেদ বলেছেন, দেশের মেয়ে দেশে ফিরে আসুক। ফিরে আসাই উচিৎ।

ডাক্তার হওয়া সহজ, পাইলট হওয়া সহজ, কিন্তু হুমায়ূন আহমেদ হওয়া সম্ভব নয়।
তবে মন থেকে চাইলে, চেষ্টা চরিত্র করলে লেখক হওয়া সম্ভব। আমাদের দেশে বর্তমানে যারা লেখালেখি করছেন তাঁরা মূলত লোভী। তাদের স্বভাব হচ্ছে চাটুকারিতা করা। তাঁরা তাদের লেখার মধ্যেও চাটুকারিতা করেন। দালালি করেন। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের একটা উপন্যাস আছে 'পার্থিব'। এরকম উপন্যাস বাংলাদেশের কোনো লেখক কি লিখতে পারবে? পারবে না? এত মগজ কারো নেই। এত জ্ঞান কারো নেই। তাঁরা পারবে চাটুকারিতা টাইপ লিখা লিখতে। তাঁরা লিখবে শেখ মুজিবকে নিয়ে, শেখ রাসেলকে নিয়ে, তাঁরা লিখবে শেখ হাসিনাকে নিয়ে। আবার বিএনপি ক্ষমতায় এলে লিখবে জিয়াকে নিয়ে, তারেককে নিয়ে, খালেদা জিয়াকে নিয়ে। এই সমস্ত লেখকদের ব্যাক্তিত্ব নেই। যাদের ব্যাক্তিত্ব নেই তাঁরা কোনো দিনও ভালো লেখক হতে পারবে না। আমাদের সাহিত্যিকেরা করে ছ্যাবলামি।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:৩৮

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


হুমায়ূন আহমেদ আর শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের লেখার পটভূমি আলাদা।

দুজনই আমার প্রিয় লেখক।

০৮ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি নিশ্চয়ই শীর্ষেন্দুর- পার্থিব, চক্র, দূরবীন পড়েছেন?

২| ০৮ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:৪৪

রানার ব্লগ বলেছেন: লেখক হবার উপায় ভাবুন হুমায়ূন না !

০৮ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: একদম সঠিক কথা বলেছেন।

৩| ০৮ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:০১

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:



দেশের সাহিত্যপ্রতিভার সর্ব্বোচ্চ ধাপ হুমায়নকে ধরে এখনো বিবেচনা করা হয়।

০৮ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যাঁ অবশ্যই।
অন্য কোনো উপায় নাই তো।
শুধু সাহিত্য না, নাটকেও।

৪| ০৮ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:০৬

নতুন বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যু সংবাদ যেদিন পেলাম, মনে হতো আত্মার কাছের কেউ মারা গেলো। ভীষন কষ্ট হয়েছিলো।

আমারও সারাদিন মনের মাঝে একটা কস্ট কাজ করেছে যেন কাছের কাউকে হারিয়েছি।

এখানেই একজন মানুষের সার্থকতা। উনি ভালো মানুষ ছিলেন।

০৮ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই-
আপনি লেখক হোন, ডাক্তার হোন, ইঞ্জিনিয়ার হোন- যা-ই হোন, সবার আগে আপনাকে একজন ভালো মানুষ হতে হবে।

৫| ০৮ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:৪২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কেউ হুমায়ূন আহমেদ হতে পারবে না। কারণ তিনি সহজাত প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। অন্ধের মত যারা ওনার অনুসরণ করে তারা আসলে বোকা এবং নিজের প্রতিভা নষ্ট করছে। প্রত্যেক লেখককে স্বকীয়তা অর্জন করতে হয়। অনেক লেখক বড় লেখকদের দ্বারা প্রভাবিত হন। কিন্তু ধীরে ধীরে সেই প্রভাব থেকে বেড়িয়ে আসতে হয়।

০৮ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:২১

রাজীব নুর বলেছেন: সঠিক কথা বলেছেন।

৬| ০৮ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:১৩

বিষাদ সময় বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদ নিঃসন্দেহে অত্যন্ত জনপ্রিয় লেখক। তিনি মানুষের আবেগ নিয়ে ভাল খেলতে পারতেন। কিন্তু তার লেখার গভীরতা বা সাহিত্যমান নিয়ে প্রশ্ন তোলার যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে।

০৮ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:২২

রাজীব নুর বলেছেন: একজন লেখকের বিচারক সবাই। দুঃখজনক।

৭| ০৮ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৯

কামাল১৮ বলেছেন: হুমায়ূন একজন বড় লেখক কিন্তু আপনি যেমন করে বলছেন তেমন না।আপনি তাকে ভালোবাসেন,তার লেখা পছন্দ করে তাই আপনি তার প্রতি বায়াস।

০৮ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: তা ঠিক।

৮| ০৮ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:০৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমরা গর্বিত প্রজন্ম, আমরা হুমায়ুন আহমেদকে দেখেছি।

০৮ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: দেখাদেখি কোনো বিষয় না। পড়াটাই আসল।
আমরা তো রবীন্দ্রনাথকে দেখি নাই, আইনস্টাইনকে দেখি নাই।

৯| ০৯ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ২:৩৮

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:




লেখক বলেছেন: আপনি নিশ্চয়ই শীর্ষেন্দুর- পার্থিব, চক্র, দূরবীন পড়েছেন?
==================================

চক্র পড়ার আগেই আমার চোখের অসুখ শুরু হয়। গত ৭/৮ বছরে আমি কোন বইই পড়ে শেষ করতে পারি নাই।

০৯ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: ইদানিং আমার চোখেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবু আমি বই পড়ি।

১০| ০৯ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:৫০

কাছের-মানুষ বলেছেন: প্রত্যেক মানুষই ভিন্ন, আমার মনে হয় হুমায়ূন আহমেদ না হয়ে নিজের মত কিছু হওয়া ভাল! হুমায়ূন আহমেদ যদি রবীন্দ্রনাথ হতে চাইতেন তাহলে আমরা হুমায়ূন আহমেদ পেতাম না!

০৯ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: সঠিক কথা বলেছেন।

১১| ১০ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ২:১৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমি জ্যাক স্মিথ হতে চাই।

১০ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষ তো কত কিছু চায়।
এই চাওয়াই মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.