নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঈশ্বরে বিশ্বাসের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় মানুষের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা থেকে

১৮ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৫



১। তাজ্জব! তাজ্জব!
আমি ঠিক করেছিলাম কোনোদিন জন্মদিন করবো না। কেক কাটাকাটির মধ্যে নাই। কোনো জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যাবো না। এগুলো গুনাহ। আমাদের ইসলাম ধর্মে জন্মদিন পালন করার নিয়ম নাই। আমার হুজুর আমাকে এরকমটাই শিখিয়ে ছিলেন।
আমি সব ভুলে গেছি। এখন জন্মদিন পালন করি। সেজেগুজে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যাই। কেক কাটি। খাই। উৎসব করি। আনন্দ করি।

২। তোমাকে ছেড়ে আমি থাকতে পারি না। তবু তোমার জন্যই তোমাকে ছেড়ে থাকতে হবে। পৃথিবীতে কাউকে আমার খুব একটা প্রয়োজন নেই। মানুষে মানুষে কোনো স্থায়ী সম্পর্ক নেই, আমি এই জীবনে তা বহুবার প্রত্যক্ষ করেছি। মোহ ভঙ্গের যন্ত্রণায় ছটফট করেছি, শোক থেকেই উৎপন্ন হয় ক্রোধ। তাই পৃথিবীর ঘটনাবলী এবং মানুষ আমার কাছে অর্থহীন। প্রেমিক প্রেমিকার সম্পর্কের ইতি ঘটবে, সে তুলনায় রাজাকারের মৃত্যু কোনো ঘটনাই না।

৩। আমার এক বন্ধু বই পড়তে পড়তে আর সিনেমা দেখতে দেখতে পাগল হয়ে গেল!
বন্ধু বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে গেলো। মেয়েকে প্রশ্ন করলো- বিভূতিভূষণের 'আরণ্যক' পড়েছেন? মেয়েটা বলল, না পড়িনি। বন্ধু খুব রেগে গেলো। দ্বিতীয় প্রশ্ন করলো, রবীন্দ্রনাথ পড়েছেন?
আমি ইশারায় মেয়েটিকে হ্যা বলতে বললাম। এবার যদি মেয়েটা না বলে, তাহলে হয়তো আমার বন্ধু মেয়েটিকে থাপ্পড় মেরে বসবে।
মেয়েটি বলল, না রবীন্দ্রনাথও পড়িনি। আমার বাবা মুরগীর ব্যবসা করেন। আমি জানি মূরগীর কেজি কত।
নাটক সিনেমা তো মানুষকে খুশি রাখার একটা কৌশল মাত্র। বই এবং সিনেমা মানুষকে হিপনোটাইজ করে ফেলতে পারে। আমার বন্ধু নিজেকে সিনেমার নায়ক ভাবতো। নায়কদের মতো করে কথা বলতো, চুল কাটাতো। রাস্তায় মারপিট করতো।
সমস্যা হলো প্রচুর বই পড়লে আর সিনেমা দেখলে ইমাজিনেশন আর রিয়ালিটি গুলিয়ে যায়।

৪। ঝড়, তুফান, সুনামী, ভূমিকম্প আর দাউ দাউ করে আগুন লেগে যাওয়া দৃশ্য গুলোর মধ্যে এক অপার্থিব সৌন্দর্য রয়েছে। কিন্তু এসব বুঝার জন্য উন্নত চিন্তাভাবনা ও হৃদয় থাকতে হয়। অথচ আমরা ঘর সংসার সাজিয়ে ছেলেখেলা খেলছি। মানুষের জীবন নিস্কন্টক নয়। প্রতিদিন কত লোকের সর্বনাশ হচ্ছে। মানুষ মূলত একা। এই রহস্যময় একাকীত্বের উৎস কি? ছোট ছোট বাচ্চাদের কোনো বিচার বুদ্ধি থাকে না। পিতামাতার বিচার বুদ্ধিই তাদের পথ দেখায়।

৫। লোকে স্ক্যানডাল পছন্দ করে। শুনতে চায় এবং বিশ্বাস করে। একজন লোক সম্পর্কে ভালো কথা বলা হলে লোকে তা শুনতে বেশি আগ্রহ বোধ করে না। খুব কমন সাইকোলজি। তাই একবার একটা স্ক্যানডাল ছড়িয়ে পড়লে সহজে সেটাকে ওল্টানো যায় না। কাজেই কারো সম্পর্কে খারাপ কিছু প্রচার করার আগে ভালো করে চিন্তা করা উচিত।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আধ্যাত্মিক জ্ঞান আহরন না করে পার্থিব জ্ঞান বেশী আহরন করলে মানুষ স্রষ্টা সম্পর্কে সন্দিহান হয়ে যায়। আপনি অনেক অপ্রয়োজনীয় বই পড়েন। ফলে স্রষ্টা নিয়ে আপনি বিপরীতমুখী কথাবার্তা সকাল বিকাল বলে থাকেন। এই বিষয়ে ব্লগে নির্দিষ্ট নীতি থাকা উচিত।

১৮ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: জবান, আমি খেলায় করিয়া দেখিয়াছি, আপনি চান আমি- ধর্মহীন থাকি, অর্থহীন থাকি, ভালোবাসাহীন থাকি। তাতে যেন আপনার আনন্দ!!!

২| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৯

কামাল১৮ বলেছেন: কিছু আধ্যাত্মিক,কিছু বাস্তব ও কিছু কাল্পনিক কথার মিশ্রণ।সব মিলিয়ে ভালো হয়েছে।

১৮ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
দেশে কি আর ফিরবেন না?

৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮

ফেনা বলেছেন: একটা কথা আছে দূর্জন বিদ্যান হলেও পরিত্যাজ্য।

১৮ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: সঠিক কথাই।

৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৯

দিকশূন্যপুরের অভিযাত্রী বলেছেন: মানুষের জ্ঞান আসলেই সীমাবদ্ধ। তাই পৃথিবী যতদিন টিকে থাকবে, আর মানুষ যতদিন বেঁচে থাকবে তাকে ঈশ্বরে বিশ্বাস করতেই হবে। না হলে কোন গতি নেই। না এখানে, না ঐখানে!
একজন মানুষ পৃথিবীর সব বই পড়ে সব জ্ঞান আহোরন করে ফেললেও এই দুনিয়া সম্পর্কেই তার জ্ঞান হবে খুবই নগন্য। বাকি বিশ্ব ভ্রম্মান্ডের কথা বাদই দিলাম। প্রকৃত জ্ঞানের ছিটেফোঁটাও কারও মধ্যে থেকে থাকলে সেটা ঈশ্বরে বিশ্বাসের জন্যে যথেষ্ট বলে আমি মনেকরি।

১৮ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: ঈশ্বর বিশ্বাসের জন্য জ্ঞানের দরকার হয় না। দরকার হয় বিশ্বাসের।
ধর্মের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে বিজ্ঞান। বিজ্ঞান ধর্মকে কোনঠাসা করে ফেলেছে। ধর্ম গুলো চিপায় পড়ে গেছে।

৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১২

কামাল১৮ বলেছেন: যদি বেচে থাকি কোন এক সময় হয়তো কয়েক দিনের জন্য আসবো।তবে গিন্নি দুই এক বছর পর পর দেশে যাবে তার বাড়ী দেখতে।

১৯ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:২২

রাজীব নুর বলেছেন: দেশে এলে আমার বাসায় আসবেন। অবশ্যই আসবেন।

৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:৪৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: নামাজ রোজা হয়তো ঠিকমত করেন না, কিন্তু তবুও যতটুকু জানি আপনি একজন ঈশ্বর বিশ্বাসী ধার্মিক মানুষ। তাই এই পোস্ট আপনার সাথে ঠিক যায় না, অহেতুক ব্যালেন্স করার চেষ্টা করে কোন লাভ নেই।

সবার আগে নিজেকে চিনতে হবে, নবীজী বলেছেন- "যে নিজেকে চিনলো সে যেন সারা দুনিয়া জয় করলো"।

সবার আগে নিজেকে চেনা খুব বেশি জরুরী, মিস্টার রাজীব।

১৯ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: শুধু নিজেকে চিনলে হবে না। আশেপাশের সবাইকে চিনতে হবে। নইলে কপালে দুঃখ আছে।

৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:০০

মিশু মিলন বলেছেন: 'ঈশ্বরে বিশ্বাসের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় মানুষের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা থেকে।'
অনেকের অপছন্দ হলেও এটাই সত্য। ভালো লিখেছেন।

১৯ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি আধুনিক মানুষ। কুসংস্কার মুক্ত মানুষ।

৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:১০

মোগল সম্রাট বলেছেন:



ঈশ্বরকে তার মতো থাকতে দেন। হুদাই নতুন ক্যাচালের আমদানি বাড়িয়ে লাভ কি?

৯| ১৯ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:৫০

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


ঈশ্বর আপনার পোষ্ট দেখেছে,পড়েছে,হেসেছে এবং বিদায় নিয়েছে।

১০| ১৯ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:৩৪

নাহল তরকারি বলেছেন: আমরা আল্লাহ কে ভালোবাসি। সে আমাদের ভালো অভিবাবক। তার উপর ভরসা করে অনেক কাজ করি। আপনি একটু খেয়াল করে দেখবেন যারা সৃষ্টিকর্তাকে ভালোবাসে তাদের মধ্যে তালাকের সংখ্যা কম। তাদের মধ্যে যৌন অক্ষতাম কম। তাই বৈবাহিক জীবনে তারা খুসি। তারা ঋনের মধ্যে থাকে না।

মুক্তমনাদের মধ্যে তালাকের প্রবণতা বেশী। তাদের মধ্যে অনেক পুরুষের যৌন অক্ষমতা রয়েছে। তাই তারা বৈবাহিক জীবনে খুসি। তারা পরকীয়া বেশী করে। তাদের মধ্যে কনফিডেন্স নাই। তাই বিপদে পড়লে অনেকে আত্নহত্যা করে থাকে।

১১| ১৯ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:৪৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: শুধু নিজেকে চিনলে হবে না। আশেপাশের সবাইকে চিনতে হবে। নইলে কপালে দুঃখ আছে।

ও আচ্ছা তাহলে এই কাহিনী। তা আপনি না লিখে সমাজ পরিবর্তন করে দিতে চান কিন্তু এভাবে খোলস বন্দি হয়ে আর কতকাল থাকবেন? ভয়কে জয় করতে হবে তো। B-)

১২| ১৯ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৩:০২

অক্পটে বলেছেন: ঈশ্বর ভাবনাটা পৃথিবীর সব মানুষকেই মোহচ্ছন্ন করে রেখেছে। স্বল্প সংখ্যক মানুষ আছে যারা এর বাইরে। অথচ দেখুন আইনস্টানও নাস্তিকতাকে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছিলেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.