নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
একজন নারী ও পুরুষের সম্পর্ক কতটা নির্বিকার হতে পারে।
বিশেষ করে যেখানে প্রেম নেই, অধিকার বোধ নেই, আবেগ নেই অথচ সম্পর্ক আছে। নারী পুরুষের অনেক রকম সম্পর্ক হয়, সেসব সম্পর্কের কোন নাম দেওয়া যায় না।
মেয়েটা বলল, আমি যে আজ মনিপুরী কাজ করা তাঁতের দারুণ এক শাড়ি পড়েছি, তুমি তো লক্ষ্যই করলে না! আমি ভেবেছিলাম তুমি মুগ্ধ হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে থাকবে! আমি হেসে বললাম, কোনো কিছুতেই আমি উত্তেজিত হই না। আমি বিচার বিশ্লেষণ এবং সমস্যা সমাধানের চেস্টা করি। এখানেই অন্য সবার সাথে আমার পার্থক্য। তুমি দুহাত বাড়িয়ে ডাকলেও আমি দৌড়ে তোমার বুকে ঝাপ দেব না। তুমি সুযোগ করে দিলেও তোমার সাথে রাত্রি যাপন করবো না। অর্থ্যাৎ কোনো বন্ধনেই আমাকে বাধতে পারবে না।
এই পৃথিবীতে বহু জ্ঞানী লোক বসবাস করে।
তারাই একদিন কুসংস্কার ও গোড়ামীমুক্ত, বুদ্ধি ও লজিক্যাল একটি সমাজ ব্যবস্থা চালু করবে। মেয়েটার হাসি সুন্দর। একদম সহজ সরল প্রানবন্ত। মেয়েটাকে বললাম, তুমি পৃথিবীটাকে যে চোখে দেখো, পৃথিবীটা সেরকম নয়। আসলে ছোটবেলা থেকেই মেয়েদের যা শেখানো হয়, তাতে তাদের নিজস্ব ইচ্ছা গুলোর, স্বপ্ন গুলোর মৃত্যু হয়ে যায়।
যেসব মেয়ে একা এবং স্বাধীন জীবনযাপন করতে চায় সেসব মেয়েদের পদে পদে বিপদ। কেউ কাছে ডাকবে, কেউ ইশারা দেবে, কেউ ভালোবাসার কথা বলবে, কেউ প্রেম করতে চাইবে, কেউ অফার করবে, কেউ পিছু নেবে এবং কেউ টিটকারি দিবে। এসব সহ্য করে মেয়েদের টিকে থাকতে হয়, চলাফেরা করতে হয়। আলটিমেটলি দেখেছি, মেয়েরা স্বাধীন হয়ে থাকতে চাইলে থাকতে পারে। একটু আধটু অসুবিধে যা হয় তার তুলনায় লাভই বেশি।
মেয়েটা আমাকে বলেছিল, তুমি তো আর আমাকে ভালোবাসো না?
আমি বলেছিলাম, আমি তোমাকে একরকম ভালোবাসি। শুধু রকমটা আলাদা। আমি তোমাকে একজন পৃথিবীবাসী হিসেবেই ভালোবাসি। আমি চেস্টা করছি আমার ভালোবাসাকে ব্যাক্তিবিশেষে সীমাবদ্ধ না রেখে সকলের প্রতি সমানভাবে ছড়িয়ে দিতে। তোমার প্রতি তাই আমার বিশেষ দুর্বলতা নেই। আমি একটা সর্বজনীন ভালোবাসা আয়ত্ত করতে চাই।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি জানেন এই ঢাকা শহরে কত মেয়ে একা থাকে?
কেউ শখ করে একা থাকে না। থাকতে বাধ্য হয়। একা থাকা অনেক কষ্টের ও যন্ত্রনার। কিন্তু পরিস্থিতি এমন হয়ে যায় যে একা না থেকে উপায়ও থাকে না।
আমি একটা মেয়েকে চিনি। মেয়েটা একা থাকে। চারটা প্রেম ও দুটা বিয়ে করেছিলো। টিকে নি। এখন সে একা। মধ্যরাতে মেয়েটা হঠাত অসুস্থ হয়ে যায়। তারপর আমি সেই মেয়েটাকে নিয়ে হাসপাতালে ভরতি করিয়ে দেই।
২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১:৪৪
সোনাগাজী বলেছেন:
মেয়েরা পরিবারের সাথে, পরিবারকে দেখাশোনা করে, পরিবারের সবকিছুতে মতামত রাখার মতো অধিকার নিয়ে থাকতে চায়; পরিবারও তা চায়; সমস্যা হচ্ছে আরব ও আফ্রিকানদের নিয়ে, ওরা মেয়েদেরকে পরিবারের কোন কিছুতেই রাখে না।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: একটা পরিবারে সুস্থ ও বুদ্ধিমতি নারী থাকলে- সেই পরিবার অনেক দূর এগিয়ে যায়।
৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ২:০৪
কামাল১৮ বলেছেন: প্রত্যেকে তার নিজের মতো করে বাজবে।অন্যের অধিকারকে লঙ্গন না করে।প্রচলিত প্রেম বলতে আমরা যা বুঝি সেটা একটা সামন্তবদী ধারণা।
আধুনিক প্রেমের ধারণা একটু অন্যরকম।আমি তোমার জন্য ততটুকু করবো তুমি আমার জন্য যতটুকু করো।ব্যক্তি বিশেষে এর ভিন্নতা আছে।সেটা ব্যক্তির উপর নির্ভর করে।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: যে একা থাকে, সে তার নিজের মতো করে বাঁচতে পারবে।
কিন্তু যে পরিবারের সাথে থাকবে, সে তার নিজের মতো করে বাঁচতে পারবে না।
প্রেমের চেয়ে পরিবার গুরুত্বপূর্ন।
৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০১
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: স্বাধীনতা কথা জঠিল আসলে দেখা যায় মেয়েরা স্বাধীন ভাবেই থাকে কিন্তু তারা বুঝে না স্বাধীনতা কি?
কামুক ভাবনা প্রকাশ করার নাম স্বাধীনতা নয় এখানেই বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় স্বাধীনতা----------------------
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:০৯
নতুন বলেছেন: পুরুষ এবং নারী দুজন একসাথে সন্তান নিয়ে জীবন জাপন করতে চায়।
এখন অনেকেই জানেনা সে কিভাবে সুখী হবে।
তারা নারী বা পুুরুষ সঙ্গীর সাথে ভালো আচরন করেনা, করতে জানেনা। তাই দুজনের সুখী জীবন জাপন করাটা হয়ে উঠে না।
সুখী জীবনে আসলে খুব বেশি কিছু লাগেনা। সেটা বেশির ভাগ মানুষই জানেনা।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:১১
রাজীব নুর বলেছেন: যখন আপনি বছরের পর বছর খালি পকেটে থাকবেন। তখন আপনার মন্তব্যটি এই রকম থাকবে না।
৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: যখন আপনি বছরের পর বছর খালি পকেটে থাকবেন। তখন আপনার মন্তব্যটি এই রকম থাকবে না।
মানুষ নিজের দোষে খালি পকেটে থাকে।
কাজ করার মানুষিকতা থাকলে সেউ খালি পকেটে থাকেনা।
একটা বাস্তব উদাহরন দেই:- দুবাইতে আমাদের বাসায় পাকিস্তানি একটা ছেলে বাসায় ঘরের কিছু কাজ করে তাকে ২০০ দিরহাম দেয় শারমিন।
সে বাসা ছাড়ু দিয়ে, মুঝে, চুলা পরিস্কার, টয়লেট পরিস্কার করে দিয়ে যায় মাসে ৮দিন = ২০০ টাকা
সে ইংরেজী জানেনা, শুধুই উর্দূ জানে।
সে কয়েকদিন আগে ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়েছে। সেখানে প্রায় ৮/৯ হাজার দিরহাম খরচ হবে।
সে রাতে ২০/২৫টা গাড়ী ধুয়ে দেয়। ৩/৪ টা বাসায় কাজ করে। এই টাকা যোগাড় করেছে।
সে ড্রাইভিংএর প্রায় অর্ধেক সম্র্পন করেছে ইতিমধ্যে। এবং তার যেই প্রচেস্টা সে অবশ্যই ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে মাসে ৪-৬ হাজার দিরহাম আয়ের পথ খুজে নেবে।
ডুবাইতে কয়েক হাজার বাংলাদেশী আছে বেকার এবং অনেকেই দেশে ফিরে যাবে।
কিন্তু তসিফের সাথে কথা বলে তার সংকল্প এবং কাজের গল্প শুনে বুঝেছি যে সে সফল হবেই।
তাই যারা দরিদ্র থাকে তাদের কাহিনি সুনলে বুঝতে পারবেন যে তারা যথেস্ট চেস্টা করছেনা বলেই তারা দরিদ্র।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী ধন্যবাদ।
আপনি আবার ফিরে আসবেন এ বিষয়ে নিশ্চিত ছিলাম না। তাহলে এই মন্তব্য করতাম না।
৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১:৫৪
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: এমন আজিব কথা কেমনে কইলেন, তাও আবার বাংলাদেশের মেয়েরা। তারা কেউ ইচ্ছা করলো আর স্বাধীন জীবন যাপন করতে আরম্ভ করলো, কদাপি নহে। তাদের প্রতিরোধ শুরু হবে তাদের ঘর থেকেই। বিনা পয়সার উকিলরা আছে নানা পরামর্শ দিবে। পাছে লোকে অনেক কিছুই বলে। একা থাকা মাইয়ার জীবনেই শান্তি নাই , তায় আবার স্বাধীন! আমাদের মতন এমন ফেরেশতার দেশে অসম্ভব। তবে সম্ভব- যদি তারা বধির হইয়া যাইতে পারে।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২২
রাজীব নুর বলেছেন: সমাজে অনেক মেয়ে একা একা থাকে। ইহা সত্য। মিথ্যা নয়।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১:১৭
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আমার মনে হয় না মেয়েরা একা ও স্বাধীনভাবে নিজে নিজের মতো করে জীবপন-যাপন করতে চায়। যৌবনে তাদের চাওয়া-পাওয়া ভিন্ন হলেও পরিণত হওয়ার পর বেশীরভাগ মেয়েই একটা সময় পর স্বামী-সংসার, সন্তানাদি চায়। উন্নত বিশ্বে মেয়েরা তুলনামূলকভাবে অনেকটাই স্বাধীন। আমি অনেককেই দেখেছি, বেশ শিক্ষিত, সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত ও আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী তথা সামগ্রিকভাবে সফল বলতে যা বোঝায়। আমার সমবয়সী হওয়াতে তাদেরকে কাছ থেকে জানা ও চেনার সুযোগ হয়েছে। মোটাদাগে ৩০/৩৫ বছর হওয়ার পরে তাদেরও আক্ষেপ করতে দেখেছি যদিও ততদিনে অনেকটাই দেরী হয়ে গেছে। জীবন নিয়ে তার মন্তব্য শুনলে আপনাকে অনেকটাই অবাক হতে হবে। প্রকৃতি নারী-পুরুষকে এককভাবে বেঁচে থাকার জন্য তৈরী করে নি। বিভিন্ন কারনেই তাদের সঙ্গী প্রয়োজন হয়, যতটা জৈবিক তার চেয়েও অনেক বেশী মানবিক কারনেই। প্রেম-ভালোবাসা, আবগ-অনুভূতি মেয়েদের কাছে পুরুষের তুলনায় অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ বলে আমার মনে হয়েছে। আমার ধারনা ভুলও হতে পারে তবে এখনো পর্যন্ত ভুল দেখিনি। ধন্যবাদ।