নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজকের ডায়েরী- ১২৫

০৩ রা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:৫৭

ছবিঃ আমার তোলা।

পুরুষ মানুষের সর্বশ্রেষ্ঠ গুন ব্যক্তিত্ব।
বুদ্ধি, মেধা, অন্যান্য সাফল্যের চেয়েও ব্যক্তিত্ব অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ব্যক্তিত্ববান তাকেই বলা যায়, যে ঘৃনাকে ঘৃনা করে, সুন্দরকে আলিঙ্গন, শুভকে অভিনন্দন জানাতে কুন্ঠিত হয় না। যে লক্ষ লোকের বিরুদ্ধতা সত্ত্বেও সত্যকে সত্য বলে ঘোষণা করতে ভয় পায় না। কিন্তু কিছু লোক ক্যাচাল তৈরি করতে গিয়ে নিজের ব্যক্তিত্ব নষ্ট করে দেয়। এজন্য সে নিজেই দায়ী। মূলত চুলকানী থেকে এ রোগের উৎপত্তি। হায়রে মজার চুলকানী। চুলকাতে চুলকাতে জায়গা লাল বানিয়ে ফেলে। চুলকানী এক কঠিন অসুখ। অবশ্য আজ আমি চুলকানী নিয়ে লিখব না। কি লিখব সেটাও আমি জানি না। কাজী নজরুল ইসলাম বলেছেন- 'বড় কথা, বড় ভাব আসে না ক' মাথায় বন্ধু বড় দুখে! অমর কাব্য তোমরা লিখিও, বন্ধু, যাহারা আছ সুখে!

দার্শনিক হওয়ার কোনো মানে হয় না।
কবি সাহিত্যিক হওয়ার কোনো মানে হয় না। সাংবাদিক বা চাকরিজীবি হওয়ার কোনো মানে হয় না। নেতা হওয়ার কোনো মানে হয় না। কিছু হওয়ারই কোনো মানে হয় না। কারণ, কেউ কিছু করতে পারবে না এই দেশের। চারিদিকে এত দু:খ কষ্ট যে আমার বুকটা সারাক্ষণ হুহু করে। চারিদিকে প্রচুর গরীব মানুষ। রাস্তায় বের হলেই ভিক্ষুক। আবর্জনা, অসুখ। ফুটপাতে হকার। প্রতিটি রাস্তায় জ্যাম। লাখ লাখ বেকার। অসৎ রাজনীতিবিদ। এমনকি ব্লগেও শান্তি নেই। ব্লগ থেকে এক ক্যাচালবাজ যায় তো নতুন করে আরেক ক্যাচালবাজ তৈরি হয়। তাঁরা ইচ্ছা করে ক্যাচাল লাগাতে চায়। পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া করতে আসে। আমার ইচ্ছা করে এদের কঠিন কয়েকটা গালি দিয়ে দেই। অবশ্য গালি দিয়েও লাভ নেই। এরা লাইনে আসবে না। নো নেভার।

আমার দম বন্ধ হয়ে আসে। রাতে স্বপ্নও দেখি সব ভয়ংকর।
গতকাল রাতে স্বপ্নে দেখলাম-আকাশ ভরা মেঘ। চারপাশ কালো মেঘে ঢেকে গেছে। উথাল-পাথাল বাতাস! বিশাল এক ধানক্ষেত। ধানক্ষেতের আইল দিয়ে কে যেন দু'বগলে ক্রাচ নিয়ে হেটে চলেছে। দূর থেকে লোকটাকে দেখে মায়া লাগলো। ভালো করে তাকিয়ে দেখি- আরে ওই লোকটা আমি। আজ দুপুরে ভাতঘুম দিয়ে স্বপ্নে দেখলাম- সাদা একটা ঘোড়ায় করে আমি রাস্তায় বের হয়েছি। আমার একহাতে চাবুক। আরেক হাত দিয়ে ঘোড়ার লাগাম টেনে ধরে রেখেছি। প্রভু আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন- সমাজের দুষ্টলোকদের দুই ঘা করে বাচুক মারার। ক্ষমতা হাতে পেয়েও আমি ক্যাচালবাজদের ক্ষমা করে দিলাম। ইচ্ছা করলে আমি চাবুকের দুই ঘা লাগাতে পারতাম। কিন্তু Muddat lakh bura chahe kya hota hai, hota wahi hai jo manzoore king hota hai.

ক্যাচাল ও চুলকানী বাদ দিয়ে এবার ভালো কথা বলি।
ছোটবেলা আব্বার সাথে ভোরবেলা পদ্মানদীর পাড় দিয়ে হাটতাম। শীতকাল। প্রচুর ঠান্ডা। বেশ কুয়াশা। আব্বার গায়ে শাল। আমার গায়ে উলের জামা। তবু শীতের বাতাস এসে তীরের মতো গায়ে বিঁধতো। নদী পাড়ে নৌকায় বসে আব্বা আর আমি খেজুরের রস খেতাম। একবার নদীর পাড়ে কিছু বেদে আশ্রয় নিলো। তাঁরা একমাস থাকবে। ছোট নৌকায় তাদের বসবাস। রান্না খাওয়া ঘুম সব নৌকায়। একদিন ভোরে আব্বা আর আমি নদীর পাড়ে হাঁটছি। দেখলাম পাড়ে বেশ কয়েকটা নৌকা বাঁধা। এক নৌকায় এক বেঁদে কন্যা সকালবেলা খিচুরী রান্না করছে। আব্বা আর আমি সেই নৌকার কাছে গেলাম। বেদে মেয়েটার অল্প বয়স। সবজি খিচুড়ী। দারুন গন্ধ বের হয়েছে। আমি আব্বার সাথে অনেকক্ষন হেটেছি। বেশ ক্ষুধা পেয়েছে।

বেদে মেয়েটা আমাকে এক প্লেট গরম খিচুড়ী দিলো।
আব্বা খাবে না। আমি একাই খাবো। ধোয়া উঠছে। এদিকে শীতের সকাল। চারিদকে কুয়াশা। আমি নৌকায় আসন পেতে বসেছি। মিথ্যা বলব না এত ভালো খিচুরী আমি কোনোদিন খাইনি। বেদেদের নেতা এলেন। তাঁরা আব্বার সাথে কথা বলল। আমি গপ গপ করে খিচুড়ী খেলাম। আব্বা সমস্ত বেদেদের দাওয়াত করলো। পরের দিন দুপুরে সমস্ত বেদেরা আমাদের বাড়িতে এলো। সাপের খেলা দেখালো। নাচ করলো। গান করলো। পুরো গ্রামের মানুষ আমাদের বাড়িতে এসে উপস্থিত। বেশ উৎসব হলো একটা। বেদেদের যথেষ্ঠ আপ্যায়ন করা হলো। সবাইকে নতুন জামা দেওয়া হলো। আমার দুঃখ হয়- আমার কন্যাকে নিয়ে নদীর পাড়ে হাঁটা হলো না। সাপের খেলা দেখালাম না। কবি বলেছেন, দেরী হোক যায়নি সময়। কিন্তু সময় তো দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। আমি টের পাই।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:০৪

সোনাগাজী বলেছেন:


শেরজার উচিত ছিলো এডমিনকে বলে আপনার কমেন্টব্যান তুলে নেয়া; এসব অসৎ লোকজন এসে ব্লগে ইলিশ মাছের জন্য কাঁদে আর আমাকে ধরার জন্য ফাঁদ বসায়।

২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:১৭

কামাল১৮ বলেছেন: মানুষের সর্বশ্রেষ্ঠ গুন মনুষত্ব্য।
টঙ্গী ব্রীজের পাশে অনেক বেদে ও বেদে নৌকা আছে।ইচ্ছা করলে একদিন সবাইকে নিয়ে দেখে আসতে পারেন।উত্তরা আট নাম্বারে অফিসার্স কোয়াটারে অনেক দিন ছিলাম।

৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:০৫

জনারণ্যে একজন বলেছেন: পুরুষ কিংবা মহিলা নয় - 'মানুষের' অন্যতম ভালো গুণের একটি হলো ব্যক্তিত্ব।

জাস্ট কিউরিয়াস, লেখা-চোর কিংবা মন্তব্য-চোরের ব্যক্তিত্ব কতটুকু। আই মিন, যারা অন্যের লেখা কিংবা মন্তব্য নিজের নামে চালিয়ে দেয়, তাদের ব্যক্তিত্বের ব্যাপারে আপনার ধারণা কি?

আপনি নিশ্চই অন্যের লেখা কিংবা মন্তব্য চুরি করে এখানে নিজের বলে চালিয়ে দেন না। যেহেতু অন্যের ব্যক্তিত্ব নিয়ে আপনি ব্যাপক চিন্তিত এবং 'ব্যক্তিত্ব' বিষয়ক আপনার সুচিন্তিত মতবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করলেন, তাই জানতে মন চাইলো আর কি।

৪| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৩ ভোর ৪:৪১

জনারণ্যে একজন বলেছেন: ওপস্.... কেনো যে দুষ্টু মানুষগুলি আপনার পিছনে লাগে! অবাক লাগে মাঝে মাঝে এই ভেবে যে, এদের কি খেয়ে-দেয়ে আসলেই কোনো কাজ নেই …?! অযথাই আপনার মতো মহান ব্যক্তিত্বের চরিত্র-হননের অপচেষ্টায় লিপ্ত এরা।

তবে যত যাই বলুক, যতই প্রমান দিয়ে প্রমান করার চেষ্টা করুক - অন্ততঃ আমি নিশ্চিতভাবে জানি, আপনার ব্যক্তিত্ব হিমালয়ের মতোই অটুট, গ্রানাইটের মতোই মজবুত। আপনি কখনোই অন্যের লেখা কিংবা মন্তব্য নিজের নামে চালিয়ে দিতে পারেন না। কখনোই না।

সকালে এক বর্ণ, বিকেলে আরেক বর্ণ, তো রাতে আবার ভিন্ন বর্ণ ধারণ করার মানুষই নন আপনি।

বহুরূপী গিরগিটির বেশ ধারণ করতেও তো যোগ্যতা লাগে, তাই না?

৫| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৩ ভোর ৪:৪১

জনারণ্যে একজন বলেছেন:

৬| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:৫৭

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


ছবিটা কোখাকার?

৭| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৪

বাকপ্রবাস বলেছেন: জনরণ্যে একজন কী বলছে, আমার মাথা ঘুরছে, বুঝতে কষ্ট হচ্ছে

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: 'জনারণ্যে একজন' মূলত একটা মাল্টি নিক।
কার মাল্টি সেটা আমি জানি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.