![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
বাংলাদেশে যখন মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়, তখন শুভেন্দুর জন্ম হয়।
তিনি রাজনীতিবিদ। জনতা পার্টি সদস্য। গত ৩/৪ বছর ধরে শুভেন্দু বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি পরিবহন মন্ত্রী ছিলেন। তারও আগে সেচ ও জলসম্পদ মন্ত্রী ছিলেন। অনেক কামিয়েছেন। লোকজন কামানোর জন্যই রাজনীতিতে আসে। দেশের কথা ভেবে শুভেন্দুরা রাজনীতি করতে আসে নাই। সত্যিকার অর্থে দেশের সেবা করতে চাইলে রাজনীতি করার দরকার নাই। যারা খাটি মানুষ তারা রাজনীতির খাতায় নাম না লিখিয়েই, দেশের জন্য কাজ করে যায়। একবার ভেবে দেখুন, কি কি করেছে শুভেন্দু পশ্চিম বঙ্গের মানুষের জন্য? অন্য একজনের কথা বলি, তার নাম হরি। হরি থাকে নদীয়া জেলার বাগডাঙা গ্রামে। সে তার গ্রামে এক হাজার গাছ লাগিয়েছে। সেই গাছ গুলোর যত্ন নিয়েছে নিজ হাতে। এখন বাগডাঙা গ্রাম পুরো সবুজ। একজন গ্রামের দরিদ্র হরি পুরো গ্রাম বদলে দিয়েছেন।
একজন মন্ত্রী যেমন হয়, শুভেন্দু তার ব্যাতিক্রম নয়।
প্রচুর মিথ্যা বলেন। মন্ত্রী থাকা কালীন তিনি তার দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করেননি। শুভেন্দু ভুলভাল হুমকি ধামকি দিতে পছন্দ করেন। যেসব মানুষের ভাবনায় লজিক ও এনালাইটিক্যাল জ্ঞান না থাকে, তারা চারিপাশের বিশ্বকে সঠিকভাবে বুঝতে পারে না, কোন বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। সমাজে তাদের অবদান থাকে না। এই শুভেন্দু কিছুদিন আগে বাংলাদেশ নিয়ে অনেক আজেবাজে কথা বলেছে। বাংলাদেশের মানুষ নাকি খেতে পায় না। ইত্যাদি অনেক রকমের বাজে কথা। শুভেন্দু সাহেব বাংলাদেশ নিয়ে আপনার কোনো ধারনা নেই। সময় করে একদিন এসে বাংলাদেশ ঘুরে যাবেন। নিজের চোখে সব দেখে যাবেন। ঢাকা শহর দেখলে আপনার মাথা ঘুরে যাবে। যে সমস্ত শপিংমল হয়েছে, দেখলে আপনার চোখ কপালে উঠে যাবে। আধুনিক হাসপাতাল গুলো দেখলে আপনার মাথা ঘুরে যাবে। আমাদের ইউনিভার্সিটি গুলো দেখলে হা করে তাকিয়ে থাকবেন। রাস্তাঘাট এবং যানবাহন আপনাদের কলকাতার চেয়ে অনেক উন্নত। প্লীজ একবার এসে দেখে যান। বাংলাদেশ নিয়ে আপনার ধারণা বদলে যাবে।
যার ভালো লাগে সে খাবে গরুর মাংস।
যার ভালো লাগবে না সে খাবে না। আমি গরুর মাংস পছন্দ করি, তাই আপনি আমাকে গরুর মাংস খেতে মানা করতে পারেন না। আপনি মানা করলেও আমি কেন শুনিবো? শুভেন্দু আপনি লুকিয়ে গরুর মাংস খান। কিন্তু অন্যকে খেতে মানা করেন কেন? মানসিকতা বদলান। শুভেন্দু একজন অসৎ মানুষ। নীতিহীন মানুষ। তার মধ্যে কোনো সততা নেই। জাস্ট ভন্ড। ভারত কে আমরা আমাদের বন্ধু মনে করি। আমরা ভুলি নাই ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত আমাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে, খাদ্য দিয়েছে, চিকিৎসা দিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিং দিয়েছে। কলকাতার লোকজনদের আমরা আমাদের আত্মার আত্মীয় মনে করি। বড় আপন কলকাতার মানুষজন আমাদের। শুভেন্দু আপনি জানেন ভারত থেকে কত ছেলেমেয়ে আমাদের দেশে পড়তে আসে? শুভেন্দু আপনি জানেন পশ্চিম বঙ্গের অনেকের আদি বাড়ি আমাদের বাংলাদেশে? দেশভাগ না হলে পশ্চিম বঙ্গের মানুষ আর আমরা একই থাকতাম। আমাদের ভিসা করে কলকাতা যেতে হতো না। আমাদের দেশ থেকে লোকজন কলকাতা গিয়ে অনেক টাকার শপিং করে। আপনাদের ব্যবসায়ীদের ব্যবসা ভালো হয়। সেটা জানেন?
শুভেন্দু এমন কেউ না যে তার কথা শুনতে হবে, মানতে হবে।
কলকাতা তার বাবার না। কলকাতা শহর সবার। হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ। কলকাতা শুভেন্দুর কথা মতো চলবে না। কিছুদিন আগে শুভেন্দু বাংলাদেশ নিয়ে অতিমাত্রায় চ্যাটাং চ্যাটাং কথা বলেছেন। উনি যদি একজন মানবিক এবং হৃদয়বান মানুষ হতেন তাহলে বাংলাদেশ নিয়ে বাজে মন্তব্য করতে পারতেন না। আমরা তো চিকিৎসা করাতে শুধু ভারত না, লন্ডন, আমেরিকা, অস্টেলিয়া, থাইল্যান্ড, সিংগাপুর সহ পৃথিবীর অনেক দেশেই যাই। শুভেন্দু বাবু একবার এসে আমাদের দেশের হাসপাতাল গুলো নিজ চোখে দেখে যাবেন। লন্ডন আমেরিকা গেলেও আপনি বাংলাদেশের ডাক্তার খুজে পাবেন। আমি নিজে কলকাতা গিয়েছি। যে এলাকাতেই গিয়েছি, ভিক্ষুক পেয়েছি। দরিদ্র মানুষ পেয়েছি। কি নেই আপনাদের ভারতে? চোর ডাকাত খারাপ মানুষ প্রতারক, ভন্ড, দূর্নীতিবাজ, ছিনতাইকারী পুরো কলকাতা শহরে ভরা। আসলে আপনি বাংলাদেশকে ছোট করতে গিয়ে, আপনি নিজেই ছোট হয়েছেন। নীচু মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন।
শুভেন্দু একবার বাংলাদেশে এসে দেখে যান, কি নেই বাংলাদেশে।
বড় বড় শপিংমল, হাসপাতাল। পার্ক, লেক, বড় বড় রাস্তা, বিশ্ববিদ্যালয়, কি নেই? সব আছে, সব। বরং আপনাদের কলকাতা শহর থেকে ঢাকা অনেক বেশি সুন্দর। আপনাদের বন্ধু ভেবে বাংলাদেশের মানুষ জন আপনাদের দেশে যায়। চিকিৎসা করায়, ভ্রমন করে, শপিং করে। এটা স্বাভাবিক। বাংলাদেশের মানুষ শুধু আপনাদের দেশেই যায় না। পৃথিবীর সব দেশেই যায়। শীর্ষেন্দু, সুনীল সমরেশ মজুমদার তো কোনোদিন বাংলাদেশ কে ছোট করে কথা বলেন নাই। আপনি কোন ক্ষেতের মুলা? আপনার ক্ষমা চাওয়া উচিৎ। আপনি কি জানেন কলকাতায় আমাদের বাড়ি আছে। শুভেন্দু সাহেব আপনি আমাকে দুটা মন্দ কথা বলুন, আমি সহ্য করবো কিন্তু আমাদের দেশকে নিয়ে মন্দ কথা বলবেন না। হ্যা জানি আমাদের দেশটা অনেক ছোট, মানুষ বেশি। আপনি কি আমাদের ৫২' ইতিহাস জানেন? ৭১' ইতিহাস জানেন? অনেক কষ্টে পাওয়া আমাদের এই দেশ। কাজেই চ্যাটাং চ্যাটাং কথা বন্ধ করুন। ভালো হোন।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: হা হা হা----
২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৩৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: শুভেন্দু অধিকারী কলিকাতার ওবায়দুল কাদের ভার্সন।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: রাইট।
৩| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:২২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
গরুর মাংস খাওয়া কি বেআইনী?
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: মোটেও বেইনী না। কিন্তু শুভেন্দু শালা বলে কলকাতায় গরুর মাংস বিক্রি করতে দিবে না।
৪| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৩১
আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: যারা হিন্দু হয়েও গরুর মাংস খেয়ে আমাদের গরুর মাংসে ভাগ বসাচ্ছে তাদের বিচার হওয়া উচিৎ।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:০০
রাজীব নুর বলেছেন: যার ভালো লাগে সে খাক গরুর মাংস।
৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:৪৫
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: ওনি বর্তমানে আওয়ামী লীগের পশ্চিম বঙ্গ শাখার মুখপাত্র।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:০১
রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা তার মতো নেতা আমাদের দেশে বেশ কয়েকজন আছে।
৬| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:৫০
খায়রুল আহসান বলেছেন: ওদের কথা শুনলে মনে হয় ওরা পাতকুয়োর ব্যাঙ।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:০১
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো বলেছেন।
৭| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:২৭
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: নমস্কার দাদা,
দুই দেশের সম্পর্ক অবনতির জন্য এই মাথামোটা বেশি দায়ি।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: আমাকে নমস্কার দিচ্ছেন কেন? আমি তো মুসলমান। আমাকে সালাম দেবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:১৩
অগ্নিবাবা বলেছেন: গোমাংস খুবই সুস্বাদু, হিন্দু শাস্ত্রমতে গোমাংস খেতে কোনো বাধা নেই, কিন্ত কিছু সংস্কারের জন্য হিন্দুরা এখন গোমাংস ভক্ষন করে না। হিন্দুরা যদি শুভেন্দুর মত গোমাংস খাওয়া শুরু করে তাহলে খুবই অন্যায় হবে, কেজি ১০০০ টাকা ছাড়িয়ে যাবে। সুভেন্দুদের প্রতি অনুরোধ দোহাই গরু খাবেন না, সেলিমদের প্রতি অনুরোধ দোহাই লাগে আপনারা শুকর খাবেন না। কারন আমরা বারাসাতে গরু শুকর উভয়ই ন্যায্য মূল্যে পেয়ে থাকি, আমাদের পেটে লাথি মারবেন না।