![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
আপনি ধূমপান করবেন, না ছাড়বেন সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনার উপর।
আপনাকে যদি হাজার কথা বলি, হাজার যুক্তি দেখাই, সেগুলো কোনো কাজে আসবে না। আপনি এখন থেকে বলুন সিগারেট আর খাবো না। ব্যস খাবেন না। আর কোনো উপায়ের দরকার নেই। নিজেকে বলুন ধূমপানের মায়রে বাপ। আজ এখন থেকেই ধূমপান করবো না। ব্যস হয়ে গেলো। আর যদি না পারেন সেটা আপনার ব্যর্থতা। সিগারেট না খেলে আপনার কোনো ক্ষতি হবে না।
আপনি তো ছয় বছর ধূমপান করেছেন,
এমন লোকও দেখেছি টানা ৩০ বছর ধূমপান করেছে। তারপর ছেড়ে দিয়েছে। এরপর সে আর কোন দিন ধূমপান করেনি। অর্থাৎ সে চেয়েছে আমি আর ধূমপান করবো না। সে তার ইচ্ছা শক্তি দিয়ে ধূমপান ছেড়ে সবাইকে দেখিয়ে দিয়েছে। আমার কথা বলি, আমি নিজেই ধূমপান করা ছেড়ে দিয়েছি। তীব্র নেশা ছিলো আমার। অথচ মুহুর্তের মধ্যে ধূমপান করা ছেড়ে দিলাম। এখন কেউ আমার সামনে সিগারেট খেলে বিরক্ত লাগে। ধোয়া নাকে এলে বমি পায়।
ধূমপানের কোনো ভালো দিক নেই।
তাহলে সেই জিনিস কেন খাবেন? মাস শেষে দেখবেন আপনার কমপক্ষে ৩/৪ হাজার টাকা বেচে গেছে। এক বছরে ৩৬ হাজার টাকা বেচে যাবে। যদি আপনি পুরুষ হয়ে থাকেন, আপনার ব্যাক্তিত্ব থাকে, তেজ থাকে তাহলে এই মুহুর্তেই ধূমপান ছেড়ে দিন। মানুষ সুস্থ ও ভালো থাকার জন্য কত কিছু করছে। আর আপনি সেধে সেধে কেন নিজের ক্ষতি করবেন? কাজেই আর সিগারেট নয়। নো নেভার। আপনার বাবা মায়ের কথা ভাবুন।
আমার নিজের কথা বলি,
এসএসসি পরীক্ষার পর মনে হলো অনেক বড় হয়ে গেছি। সেয়ানা হয়ে গেছি। নিজের এলাকা বাদ দিয়ে পাশের এলাকায় গিয়ে সিগারেট খাই। মুখ ভরতি করে ধোয়া ছাড়ি। কায়দা করে সিগারেটের ছাই ফেলি। নিজেকে বাংলা সিনেমার নায়ক বলে মনে হতো। ধীরে ধীরে সিগারেট খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিলাম। টানা ২৫ বছর সিগারেট খেলাম। তারপর একদিন হুট করে মনে হলো, আরেহ আমি তো গাধার মতো কাজ করছি। সিগারেটের তো কোনো ভালো দিক নেই। তাহলে এই জিনিস আমি খাচ্ছি কেন!! এরপর সিগারেট ছেড়ে দিলাম।
আপনি সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিলে, আমার উপকার হবে না। আপনার বন্ধুর উপকার হবে না। আত্মীয় স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী কারো উপকার হবে না। উপকার হবে আপনার। নিজের বুঝ তো পাগলেও বুঝে। তাহলে আপনি কেন বোকামি করবেন? ৬ বছর তো বোকামি করলেন, আর কত? জেগে উঠুন। জীবন সুন্দর। জীবন উপভোগ করুন। নিজে ভা
২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১:৪৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এবার আমাদের এখানকার কথা বলি।
বড় কোন সুপার মার্কেটে গেলে দেখি চিপায় চাপায় দাঁড়াইয়া নারীরা বিড়ি ফুঁকছেন।
দেখে কি যে ভালো লাগে।
বাংলাদেশে তো নারীরা প্রকাশ্যে বিড়ি টানে না।
একবার আমি যখন লালমাটিয়াতে ছিলাম তখন পার্কে দেখেছিলাম- কলেজ পড়ুয়া এক মেয়ে তাদের বন্ধুদের সাথে গল্প করতে করতে বিড়ি টানছে।
এটাও দেখতে খুব একটা খারাপ লাগেনি।
এর আসুন, শ্লোগান ধরি-
দুনিয়ার বিড়িখোর এক হও!!!
এক হও, বিড়ি টান!
৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:৫৭
নতুন বলেছেন: বিড়ি খাবি খা মারা যাবি যা। আমার কোন সমস্যা নাই।
আমার সমস্যা হয় বিড়ির ধোয়ায়। তাই যারা তামাকের নেশা করতে চায় তারা বিড়ি পানিতে গুলিয়ে খেয়ে ফেলুক আমার সমস্যা নাই।
কিন্তু বিড়িতে আগুন দিয়ে ধোয়া আমার দিকে দিলে সেটা আমার সমস্যা। তাই জনসম্মুখে বিড়ি ১০০% নিষেধ করতে হবে। বিড়ি পানি দিয়ে গুলিয়ে খেতে উতসাহ দিতে হবে।
আরেকটা জিনিস দেখেছি যারা বিড়ি খোড় তাদের কমনসেন্স কম থাকে। তারা পাশের মানুষের কস্ট হচ্ছে সেটা কেয়ার করেন। বিড়ির বাট যেখানে সেখানে ছুড়ে ফেলে । এই দুইটা কাজই তাদের কম কমনসেন্সের পরিচয় দেয়।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১:৩৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ভাত না খাইয়া বাঁচতে পারুম ।
কিন্তু বিড়ি না খাইয়া বাঁচতে পারুম না।
বিড়ি না খাইলে পেট ভরে না।
আসুন, বিড়িকে জাতীয় খাদ্য ঘোষণার দাবিতে রাজুতে জড়ো হই।