| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাজীব নুর
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ মানবসভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ যুদ্ধ।
১৯৩৯ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল, অর্থ্যাৎ টানা ছয় বছর যুদ্ধ হয়। যুদ্ধের মূল কারণ ছিল মিত্র শক্তির এক পক্ষ চুক্তি। মিত্র শক্তির এই একপক্ষ চুক্তি জার্মানিরা মেনে নিতে পারেনি তারা ভাবে যে তাদের সাথে পক্ষপাতিত্ত করা হয়েছে। অন্য ভাবে বলা যায়- ২য় বিশ্বযুদ্ধের পেছনে প্রধান কারন ছিল, হিটলারের উচ্চাভিলাষী, আগ্রাসী স্বপ্ন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমীকরণ সহজ নয়, জটিল। অবশ্যই জটিল।ইরান সমর্থন করেছিলো- জার্মানকে! এই ভয়াবহ যুদ্ধে আনুমানিক ৬ কোটি ২০ লক্ষ মানুষ মারা যায়। যার মধ্যে প্রায় অর্ধেকই ছিল রাশিয়ার নাগরিক। হিটলারের জীবনের সবচেয়ে বড় এজেন্ডা ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নকে ধ্বংস করা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ভারতীয় সৈন্যরা আফ্রিকা, ইউরোপ এবং এশিয়ার তিনটি মহাদেশে যুদ্ধ করেছিল।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়- কলকাতা ছিল ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী।
সেই সময় কলকাতার মানুষ গুলো ছিলো সহজ সরল এবং মানবিক। তারা তখনও জটিল কুটিল হতে পারেনি। তবে ধর্মীয় কারণে হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা অব্যহত ছিলো। থেমে থেমে হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা চলছিলো। কলকাতা দাঙ্গার পর হিন্দু-মুসলমান সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে নোয়াখালী ও বিহারে। এদিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারনেই ১৯৪৩ সালে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। দুর্ভিক্ষে মৃত্যু হয়- প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ। আমরা যাকে পঞ্চাশের মন্বন্তর বলে জানি। এই দুর্ভিক্ষের মধ্যেই বিটিশ সরকার নৌকা ও গরুর গাড়ি জব্দ করা শুরু করে। মানুষ হয়ে পড়ে বেকার। এখানে-ওখানে পড়ে থাকতে দেখা যায় হাড্ডিসার লাশের সারি। নদীতে ভাসছে লাশ।
হিটলার ব্যস্ত ছিলো যুদ্ধ নিয়ে।
যুদ্ধের ধাক্কা কম বেশি সব দেশেই লেগেছে। এদিকে ঢাকা ও কলকাতার অবস্থা ভালো ছিলো না। যুদ্ধের বাতাস লেগেছে। সৈন্যদের শায়েস্তা করার জন্য- টানা পাঁচ দিন ধরে- আড়াইশো জাপানি বোমারু বিমান হানা দেয় কলকাতার উপর। তখন অনেক লোক ভয়ে কলকাতা ছেড়ে গ্রামে চলে যায়। বোম্বে শহর থেকেও লোকজন পালাতে শুরু করে। কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের রং কালো করে দেওয়া হয়। এই বোমায় মানুষ মারা যায় একশ'র উপরে। অনেক গবাদি পশু মারা যায়। রেললাইন বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলো। অনেক ঘরবাড়ি ভেঙ্গে যায়। কলকাতার ভবানীপুরের মানুষজন সাহসী ছিলো তারা বোমা দেখার জন্য আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতো। লোকজন ঢাকা থেকে কলকাতা যাওয়া আসা বন্ধ করে দেয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রভাব ঢাকা ও কলকাতায় পড়েছে।
বিনা দ্বিধায় বলা যেতে পারে- কলকাতা শহরটি সরাসরি যুদ্ধের ঝুঁকিতে ছিল, যেখানে অনেক আমেরিকান সৈন্যের উপস্থিতি ছিল এবং আকাশ পথে আক্রমণের ভয় ছিল। এছাড়া যুদ্ধের কারণে সব কিছুর দাম বেড়ে গিয়েছিলো। নানান রকম গুজব ছড়াচ্ছিলো। হিটলার কখনও ভারতে আসেননি। হিটলারের লেখায় এবং বক্তৃতায় তার আগেও বহুবার ভারতের প্রসঙ্গ এসেছে। ২৩ লাখেরও বেশি ঔপনিবেশিক ভারতের জওয়ান অংশ নিয়েছিলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে। প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় ৮৯ হাজার জওয়ান। প্রায় ৫০ হাজার
ভারতীয় সেনা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় লড়েছিলেন ইতালিতে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন ১৯ বছর থেকে ২২ বছর বয়সের মধ্যে।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশে যুদ্ধ হয়েছিলো।
যুদ্ধ কোনো ভালো জিনিস নয়। যুদ্ধ সব তছনছ করে দেয়। যুদ্ধে কে জিতে? আসলে হাতে ক্ষমতা না থাকলে যুদ্ধ করা বোকামি। ফিলিস্তিন টের পাচ্ছে যুদ্ধ কাকে বলে। ১৯৭১ সালে যুদ্ধের মধ্যেই ঢাকায় সিনেমা হল খোলা ছিলো। ইদের নামাজ হয়েছে। লোকজন শপিং করেছে। যুদ্ধের মধ্যেই বিয়ে হয়েছে। প্রেম ভালোবাসা হয়েছে, জন্ম, মৃত্যু এবং বিয়ে যুদ্ধের কারণে কিছুই থেমে থাকে না। যাইহোক, কলকাতা অনেক বড় শহর। অনেক মানুষের বাস। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, কলকাতায়- প্রেম ভালোবাসা হয়েছে, বিয়ে হয়েছে, মেলা হয়েছে, আড্ডা হয়েছে। লেখালেখি হয়েছে। পিঠা উৎসব হয়েছে। শুটিং হয়েছে। লোকজন দল বেঁধে সিনেমা দেখতে গিয়েছে।
২২ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: পৃথিবীর সব দেশে মিলে সিদ্ধান্ত নিক- আর যুদ্ধ নয়।
২|
২২ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৪:১০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: পড়লাম।
২২ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া।
৩|
২২ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৪:২৬
খাঁজা বাবা বলেছেন: নৌকা ও গরুর গাড়ি জব্দ করা হয় কেন?
২২ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: বিটিশ সরকার করেছে।
ক্ষমতা হাতে আছে, ক্ষমতা দেখিয়েছে।
৪|
২২ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
কলকাতা ও বাংলায় ভয়ংকর দুর্ভিক্ষ হয়েছিলো।
৫|
২২ শে অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৯
গোবিন্দলগোবেচারা বলেছেন: কে কি মন্তব্য করেছে দেখতে আসলাম
৬|
২২ শে অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩১
গোবিন্দলগোবেচারা বলেছেন: এই পোস্টের কতটুকু আপনার লেখা?
গুগুল সার্চ করে তো দেখি বিভিন্ন জায়গা থেকে এক লাইন দুই লাইন করে চুরি করে মারে দিছেন।
৭|
২২ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:৩১
কামাল১৮ বলেছেন: আপনি আপনার দাদার কাছে শুনেছেন।আমার বাবা যুদ্ধ করেছেন বার্মায় জাপানিের সাথে।যুদ্ধশেষে কলকাতায় স্থায়ী হন।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৩
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
অনেক নতুন তথ্য জানলাম।
আমার বড় ফুফা ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ব্রিটিশ বাহিনীতে ছিলেন।