| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাজীব নুর
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ভুল মানুষকে ভালোবাসলে ঠকে যেতে হয়।
এখন কথা হচ্ছে ভুল মানুষকে কি করে চেনা যায়? বর্তমান যুগটা হচ্ছে অবিশ্বাসের যুগ। এযুগে কেউ কাউকে বিশ্বাস করে না। বিশ্বাস করা যায় না। স্বচ্ছ পবিত্র ভালোবাসা নেই বললেই চলে। আমি কাউকে উপদেশ দেই না। বড়জোর অনুরোধ করি। উপদেশ খুব সস্তা হয়ে গেছে আজকাল। কেউ উপদেশ শুনেও না, মানেও না। এজন্য আমি অনুরোধ করি। আমার অনুরোধ মেনে চললে, উপকার হবে। যাইহোক, কাউকে ঠকানোর চেয়ে নিজে ঠকা ভালো। প্রেম ভালোবাসা করে প্রতারণা করলে গায়ে অভিশাপ লগে। সেই অভিশাপে জীবন এলোমেলো অগোছালো হয়ে যায়।
যারা বারবার ভালোবাসার কথা মুখে বলে, তাদের সমস্যা আছে।
ভালোবাসার কথা মুখে বলতে হয় না। আমি আমার মা, স্ত্রী বা কন্যাকে কখনো বলিনি, ভালোবাসি। কিন্তু তারা আমার ভালোবাসা অনুভব করে গরীব ভাবে। এটাই হচ্ছে আসল ভালোবাসা। কিন্তু এযুগের নারী পুরুষ বারবার বলে, ভালোবাসি ভালোবাসি। যাকে বলা হচ্ছে ভালোবাসি, সে অনুভব করতে পারে না। কারণ এই ভালোবাসাটা স্বচ্ছ পবিত্র নয়। বুকের গভীর থেকে যা উঠে আসে, তা অন্য হৃদয়ের গভীরে ঠিকই পৌছে যায়। এজন্য যারা সত্যিকার ভাবে ভালোবাসে তারা মুখে বলে না, ভালোবাসি। ভালোবাসি। স্বচ্ছ পবিত্র ভালোবাসা অনুভব করা যায়। খাটি ভালোবাসায় মানুষের উন্নতি হয়। দীর্ঘদিন বেচে থাকে।
ভালোবাসা- বাসি না করে সরাসরি বিয়ে করে ফেললে সমস্যা কি?
তাহলে কেউ আপনাকে আপনার ভালোবাসা নিয়ে ঠকাতে পারবে না। ছেলেরা মূলত মেয়েদের সাথে সম্পর্ক করে সেক্স করার জন্য। এই সেক্স করতে গিয়ে তারা প্রেম করে, ভালোবাসার অভিনয় করে। যে ছেলে সত্যিকারের ভালোবাসবে, সে বিয়ের আগেই সেক্স করতে চাইবে না। চুমু তো দূরের কথা হাতও ধরতে চাইবে না। এ-যুগে স্বচ্ছ পবিত্র ভালোবাসা নেই। কোথাও নেই। যারা প্রেম ভালোবাসা করছে, সেটা অভিনয়। সেটা সেক্স করার স্বপ্ন থেকে। সবচেয়ে ভালো হয়, প্রেম ভালোবাসা না করে বাপ মায়ের পছন্দ মতো বিয়ে করে ফেলা। অনেক মেয়ে ভালোবাসা টিকিয়ে রাখার জন্য, ভালোবাসা বিয়ে পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার শরীর দেয়। ফলাফল শুন্য।
নিজের মনের দুখ কষ্ট গুলো লিখুন।
লিখে লিখে ছড়িয়ে দেন সবখানে। ভালোবাসা খুব জটিল একটা বিষয়। আজকালকার ছেলেমেয়ে গুলো ভালোবাসতে জানে না। আপনি বলুন ভালোবাসার মায়রে বাপ। চিৎকার করে বলুন, লাইফ অজ বিউটিফুল। দুখ কষ্ট অপমান অবহেলা সব ঝেড়ে ফেলুন। নিজেকে ভালোবাসুন। নিজেকে সময় দিন। কারো কারো ভালোবাসার রাশি খারাপ। যতবার ভালোবাসবেন ততবার ঠকবেন। সত্যিকার স্বচ্ছ পবিত্র ভালোবাসা আপনার জীবনে আসেনি। এযুগের মানুষ গুলো বড় জটিল আর কুটিল। এরা যান্ত্রিক হয়ে গেছে। মায়াদয়াহীন হয়ে গেছে। আপনি সব মেনে নিয়ে আপনার নিজের জন্য নতুন পথ তৈরি করুন। ভালোবাসার ফাদে আ দিবেন না। কোনো রক্ত মাংসের মানুষকে ভালোবাসার কোনো প্রয়োজন নেই। মানুষ খারাপ। আপনি যাকে ভালো মনে করছেন, সে আরো বেশি খারাপ।
ভালোবাসায় ব্যর্থ মানুষেরা আসলে খাটি মানুষ।
আগুনে জ্বলে পুড়েই তো সোনা খাটি হয়। দুখ কষ্ট পাওয়া মানুষ গুলোই খাটি হয়। ভালোবাসার আঁধার হচ্ছেন আমাদের রবীন্দ্রনাথ। এখন থেকে জীবিত নয় মৃত মানুষকে ভালোবাসুন। রবীন্দ্রনাথকে ভালোবাসুন। আইনস্টাইনকে ভালোবাসুন। গৌতম বুদ্ধকে ভালোবাসুন। শিল্প আর সৃষ্টিকে ভালোবাসুন। মানুষের জীবনের আসল উদ্দেশ্য হলো, জীবনটাকে উপভোগ করা। প্রেম ভালোবাসা বাদ দিয়ে আপনি জীবনটা উপভোগ করুন। আমরা এখন এক অবিশ্বাসের যুগে আছি। এখানে সবাইকে অবিশ্বাস করে। সবাই সবাইকে ঠকাচ্ছে। কেউ কাউকে ঠকাতে পারলেই ভাবে জিতে গেলাম। সব বাদ দিয়ে নিজে কি করে ভালো থাকা যায় সেটা ভাবুন। সেই পথে চলুন। আনন্দ করুন। উপভোগ করুন। মানুষের জীবন অনেক ছোট।
২|
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৪৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
লেখাটি পাঠে মনে হল এ যেন আমাদের সময়ের সম্পর্ক ও ভালোবাসাকে নিয়ে এক নির্মম সত্যকথন।
াআপনি যেভাবে ভালোবাসার স্বচ্ছতা, প্রতারণা, প্রত্যাশা ও বাস্তবতার দ্বন্দ্বকে তুলে ধরেছেন, তা হৃদয়কে নাড়া
দেয়। আজকের যান্ত্রিক, অবিশ্বাসের যুগে ভালোবাসা সত্যিই যেন শব্দে আটকে গেছে অনুভবে নয়।
তাই আপনার এই বক্তব্য যে “যারা সত্যিকারের ভালোবাসে তারা মুখে বলে না” এটি মন গভীরভাবে নারা দেয়।
লেখাটিতে শক্তিশালী অংশটি হলো মানুষের প্রতারণা ও স্বার্থের বিরুদ্ধে সতর্কবার্তা। বিশেষ করে সম্পর্কের নামে
শরীরের ব্যবহার, আবেগের শোষণ, এই বাস্তবতা যে কত ভয়াবহ হয়ে উঠেছে, আপনি তা অত্যন্ত সরল অথচ
তীক্ষ্ণ ভাষায় তুলে ধরেছেন। একই সঙ্গে “নিজেকে ভালোবাসুন, নিজেকে সময় দিন”এই আহ্বানটিও আজকের
সময়ের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
তবে লেখাটি পুরোপুরি হতাশাবাদী নয়। এতে আছে কষ্টের মধ্যেও আত্মসম্মান খুঁজে পাওয়ার পরামর্শ, আছে
শিল্প-সাহিত্য ও সৃষ্টিতে আশ্রয় নেওয়ার দার্শনিক দিকনির্দেশনা। এ যেন আঘাতের ভেতর থেকে আলোর পথ
খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা।
সর্বোপরি, লেখাটিতে মনের ভেতরের জমে থাকা প্রশ্ন, ক্ষত, ক্ষোভ এবং সত্যগুলো খুব খোলামেলা ভঙ্গিতে
তুলে ধরেছেন। পাঠক হিসাবে আমাদের মনে ব্যথা যেমন জাগে, তেমনি জাগে সচেতনতা। ভালোবাসার
জটিলতা নিয়ে এমন নি:সংকোচ, সরল অথচ শক্তিশালী আলোচনা নিশ্চয়ই ভাবনার নতুন দরজা খুলে দেয়।
আশা করি সহজ সরল সত্য উপলব্দি সকলের মাঝে আসবে ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:০০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ভালোবাসা না হলে বুঝবেন কিভাবে যে সে ভুল মানুষ।
সঠিক মানুষ কৈ পাবেন?