নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাবনার খাবার-দাবার

২৫ শে নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৫৫



পাবনা ক্যাডেট কলেজে আমি বহুবার গিয়েছি।
আমার ভাই সেখানে লেখাপড়া করতো। গত বছর শীতের সময় একবার গেলাম। ভয়াবহ শীত! চারিদিকে ঘন কুয়াশা। বাংলাদেশে অনেক অঞ্চলের মধ্যে পাবনার খাবার সম্পর্কে অনেকের ধারনা নেই! পাবনা আমি বিভিন্ন অঞ্চলের খাবার কয়েকবার খেয়েছি। যে বাড়িতেই গিয়েছি আমাকে ভূনা খিচুড়ি খেতে দিয়েছে। আর ভাতের সাথে কই মাছ আর শিং মাছ দিয়েছে।

একবার অজপাড়া গাঁয়ে গিয়েছি, সেখানে আমাকে খেতে দিয়েছে, হাসের মাংস আর দেশি মূরগী।
ঝাল ঝাল করে রান্ন করেছিল। মাটির চুলার রান্না। মাটির চুলার রান্না স্বাদ হয়। এখন তো বেশীর ভাগ বাড়িতে সিলিন্ডার গ্যাসে রান্না হয়। পাবনার মানুষ পিঠা ভালো বানায়। বিশেষ করে চিতই, পুলি, নকশি পিঠা। পুরো বাংলাদেশের মধ্যে বিক্রমপুর মুন্সিগঞ্জের মানুষের রান্না আমার ভালো লাগে। এরা পিঠাও দারুণ বানায়। বিশেষ করে বিবিখানা পিঠা। অনেক অঞ্চলের মানুষ বিবিখানা পিঠার নামই শুনে নাই। চমৎকার একটা পিঠা।

পাবনা শহরে কলিজা সিংগারা বেশ জনপ্রিয়।
পাবনাতে খাটি ঘি পাওয়া যায়। আমার এক পরিচিত লোক গরম ভাতের সাথে ঘি মিশিয়ে খেয়ে ফেলে। এমনকি তাকে দেখেছি, চায়ের সাথেও ঘি মিশিয়ে খেয়ে ফেলে। ঘি এত অপছন্দ করার কি আছে আমি বুঝি না। আমি অনন্ত মোড়ে মালাই রুটি আর চা খেয়েছি। আমার কাছে তেমন ভালো লাগেনি। অথচ পাবনার লোক আগ্রহ নিয়ে খায়। অবশ্য সবার রুচি আর স্বাদ এক নয়। যেমন আমি বোরহানি খাই না। অথচ অনেকে পোলাও মাংস আর রোস্টের সাথে বোরহানি লাগবেই।

পাবনার ঈশ্বরদীতে কাবাব, গ্রীল আর হালিম খেয়েছি।
কিন্তু ভালো লাগেনি। কারণ ঢাকায় এর চেয়ে ভালো কাবাব, গ্রীল আর হালিম খেয়েছি। পাবনার রেলস্টেশন এলাকায় আর কলেজ রোডে সন্ধ্যার পর অনেক রকম খাবারের দোকান বসে। লোকজন আগ্রহ নিয়ে খায়। সেসব খাবার আমাকে টানেনি। একবার কোনো এক গ্রামের হাটে গিয়েছি। লোকজন ভরা। একলোক আমিত্তি বিক্রি করছে। কমলা রঙের আমিত্তি। ঢাকায় তো আজকাল আমিত্তি পাওয়া যায় না। আমি আগ্রহ নিয়ে আমিত্তি খেলাম দুটো। এবং বাসার জন্য এক কেজি নিয়ে নিলাম।

হাজীর হাটে, সপ্তাহে দুইবার হায় বসে।
হাটের দিন গরুর মাংস আর গরুর পায়া পাওয়া যায়। লোকজন ভিড় করে আগ্রহ নিয়ে খায়। খেয়ে দেখেছি, মোটামুটি। তবে পাবনা মেন্টাল হাসপাতালের পাশে ডাবল হিটের চা খেয়েছিলাম। দারুন লেগেছিল। সেই চায়ের স্বাদ আজও মুখে লেগে আছে। পাবনার একটা মিষ্টি আছে। এই মুহুর্তে মিষ্টির নামটা মনে করতে পারছি না। খেতে ভালো। আমাদের বাসার সবাই আগ্রহ নিয়ে খায়। কেউ পাবনা গেলেই এই মিষ্টির অর্ডার করে দেই। ফারাজার জন্মের পর এই মিষ্টি পাবনা থেকে এনে আত্মীয় স্বজন আএ পাড়াপ্রতিবেশিকে দিয়েছিলাম।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সুজানগর উপজেলা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.