![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিপাহ ভাইরাস প্রথম নজরে আসে মালয়েশিয়ায় ১৯৯৯ সালে। এ সময় মালয়েশিয়ার আচেহ প্রদেশের নিপাহ গ্রামে শুকর পালকদের মধ্যে এ ভাইরাসজনিত রোগ মহামারি আকারে দেখা দেয়। তারপর থেকে এ পর্যন্ত দক্ষিণ এশিয়ায় নিপাহ ভাইরাসজনিত রোগের বার চৌদ্দটি মহামারি দেখা দিয়েছে। মালয়েশিয়ায় শুকর থেকে মানুষের শরীরে নিপাহ ভাইরাসজনিত রোগ সংক্রমিত হয়েছিল। শুধু শুকরের শরীরে নয়, বাদুরের শরীরেও নিপাহ ভাইরাস থাকে। এবং বাদুরের লালা ও প্রস্রাবের মাধ্যমে এসব ভাইরাস মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। বাংলাদেশ ও ভারতে বাদুর থেকে মানুয়ের শরীরে এসব ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি মহামারি সংঘটিত হয়েছে। ২০০১ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ৯টি মহামারি হয়েছে বাংলাদেশে। এসব মহামারিতে ১৫৩ জন লোক আক্রান্ত হয়েছিল এবং তাদের মধ্যে ১১১ (৭৩%) জন মারা গিয়েছিল। সর্বশেষটি হয়েছে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা লালমনিরহাটে ২০১১ সালের জানুয়ারির শেষে ও ফেব্রুয়ারির শুরুতে। সেই মহামারিতে ২০ জন লোক আক্রান্ত হয়েছিল এবং তাদের সবারই মৃত্যু হয়েছিল। নিপাহ ভাইরাস মানুষের শরীরে প্রবেশ করে মস্তিষ্কের প্রদাহ বা এনকেফালাইটিস ও শ্বাসতন্ত্রের রোগ সৃষ্টি করে। ভাইরাসগুলো শরীরে ঢোকার চার থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে রোগের লক্ষণসমূহ প্রকাশ পায়। ইনফ্লুয়েঞ্জার মত জ্বর, মাথা ব্যথা, পেশিতে ব্যথা, বমি, ইত্যাদি থেকে শুরু করে মাথা ঘোরা, শ্বাস কষ্ট, নিউমোনিয়া, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া- এসব লক্ষণ দেখা দেয়। নিপাহ ভাইরাস রোগে আক্রান্ত ৪০ থেকে ৭৫ শতাংশ রোগীর মৃত্যুও হতে পারে। বেঁচে যাওয়া রোগীদের প্রায় ১৫-২০ শতাংশ ক্ষেত্রে স্নায়ুবিক দুর্বলতা থেকে যায়।
কিভাবে ছড়ায়:বাদুরে খাওয়া ফলমূল খেলে কিংবা বাদুরের লালা বা প্রস্রাব দিয়ে সংক্রমিত খেজুরের রস খেলে এসব ভাইরাস মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। বাংলাদেশে বিগত মহামারিগুলোতে খেজুরের রস পান করার মাধ্যমেই ভাইরাসগুলো মানুষের দেহে প্রবেশ করেছিল। নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর লালার মাধ্যমেও অন্য মানুষ সংক্রমিত হতে পারে।
চিকিত্সা:নিপাহ ভাইরাসের সুনির্দিষ্ট কোন চিকিত্সা নাই। চিকিত্সাি দিতে হয় লক্ষণ ভিত্তিক।
প্রতিরোধ:নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য কোন টিকা নাই। যেহেতু সংক্রমিত খেজুরের রস ও বাদুরে খাওয়া ফলমূলের মাধ্যমে ভাইরাসগুলো মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে, তাই কাঁচা খেজুরের রস ও বাদুরে খাওয়া ফলমূল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। খেজুরের রস ভাল করে ফুটিয়ে নিলে নিপাহ ভাইরাস মরে যায়। তাই খেজুরের রস ভাল করে ফুটিয়ে খেতে হবে। আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এলে সাবধান থাকতে হবে। ভাল করে ঘন ঘন হাত ধুয়ে নিতে হবে।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগ
কমিউনিটি বেজড্ মেডিকেল কলেজ
ময়মনসিংহ।
২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৭
সানহিমেল বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারলাম। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২১
আমি পিচ্চি পোলা বলেছেন: নাস্তিক সমাজের ধর্মগুরু আসিফ মহিউদ্দীনের কুরুচীপূর্ণ মন মানসিকতা জানুন এই লিংকে ক্লিক করে
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫২
জেবিন বোস্টন বলেছেন: +