![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছবি: সোহেল সরওয়ার/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
চট্টগ্রাম: পায়ে হেঁটে ১২৩ দেশ সফর! অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে! তবে ঘটনা সত্যি। শীত, গ্রীষ্ম ও বর্ষা উপেক্ষা করে এ অবিশ্বাস্য কাজ সম্পন্ন করেছেন রুশ নাগরিক ভ্লাদিমির নেশিন।
এজন্য তাঁর সময় লেগেছে প্রায় ১৬ বছর। তবে এখানেই থামতে চান না নেশিন। হেঁটে হেঁটে ঘুরে দেখবেন পৃথিবীর আরও অনেক দেশ।
পৃথিবীর এতগুলো দেশ সফরে তিনি সবকিছুর ওপরে খুঁজে পেয়েছেন একটিই বাণী। আর তা হচ্ছে ‘মানবতা’। মানবতার বাণী নিয়ে নেশিন পা রাখবেন তার না দেখা আরও নানা দেশে।
পৃথিবী ভ্রমণের এ পর্যায়ে নেশিন এখন আছেন চট্টগ্রামে। এর আগে গত ১১ জানুয়ারি বেনাপোল হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। ওখান থেকে হেঁটে হেঁটে গেছেন টেকনাফ পর্যন্ত। চট্টগ্রামে এসেছেন ২৪ জানুয়ারি।
টেকনাফ হয়ে মায়ানমার যাওয়ার ইচ্ছে ছিল তাঁর। কিন্তু অনুমতি না মেলায় তা আর সম্ভব হয়নি। বাধ্য হয়ে ফিরে আসেন চট্টগ্রামে। এখান থেকে সুন্দরবন হয়ে কলকাতা যাওয়ার উদ্দেশ্যে রয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম ছাড়বেন তিনি।
তিনি এখন অবস্থান করছেন চট্টগ্রামের খুলশীতে অবস্থিত রাশিয়ান কনস্যুলেট অফিসে। মঙ্গলবার বিকেলে কনসুলেট অফিসে তার সঙ্গে কথা হয় বাংলানিউজের।
এসময় চট্টগ্রামের রুশ ফেডারেশনের কনসাল জেনারেল ওলেগ পি বয়কো, রুশ কনস্যুলেটর এডমিনিস্ট্রেটর আলী আমজাদ নাজির কিশোরসহ কনস্যুলেটরের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। আলাপকালে এ ভ্রমণের আদ্যোপান্ত জানান তিনি।
নেশিনের এ উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন কনসাল জেনারেল ওলেগ পি বয়কা।
বিশ্ব পরিব্রাজক নেশিন জানান, ১৯৯৬ সালে মঙ্গোলিয়া দিয়ে তার এ যাত্রা শুরু। অবশ্য তার আগেই ঘুরে শেষ করেছিলেন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের ১৫টি প্রজাতন্ত্র।
তার এ দুঃসাহসিক অভিযানে বিভিন্ন পর্যায়ে পরিবারের সদস্যরাও সঙ্গী হয়েছেন। ওই প্রবীণ ব্যক্তির সঙ্গে হাঁটতে হাঁটতে রণে ভঙ্গ দিয়েছেন সবাই। বর্তমানে তারা একেক দেশে বসবাস শুরু করেছেন। তবে তিনি হেঁটে যাচ্ছেন এক দেশ থেকে আরেক দেশে।
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ভ্রমণে তার সঙ্গী ছিলেন প্রথম স্ত্রী ও তিন কন্যা। একমাত্র ছেলে তার সঙ্গে ঘুরেছেন ৩০টি দেশ। আর দ্বিতীয় স্ত্রী গত ২০০২ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তার সঙ্গে হেঁটেছেন ৫০টি দেশে।
ভ্রাদিমির নেসিন ইতোমধ্যে ছয়টি মহাদেশ সফর করেছেন। তাঁর সফরের মধ্যে থাকা উল্লেখযোগ্য দেশগুলো হচ্ছে আমেরিকা, কানাডা, মেক্সিকো, ভেনেজুয়েলা, দক্ষিণ আফ্রিকা, মরক্কো, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, চীন, ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ।
নেশিনের জন্ম সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের বেলারুশ প্রজাতন্ত্রের দ্রগিচিন শহরে ১৯৫০ সালের ১৩ জানুয়ারি। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাওয়ার পর বর্তমানে রুশ নাগরিক হিসেবে পায়ের ছাপ ফেলে এসেছেন বিশ্বের এই দেশগুলোতে।
৬৩ বছর বয়সী নেশিন পেশাগত জীবনে ছিলেন জুডো বিষয়ের শিক্ষক। অবসর গ্রহণের পর পৃথিবী ঘুরে দেখার সাধ জাগে তার। একসময় বের হয়ে যান পৃথিবী দেখতে। তবে গাড়িতে কিংবা বিমানে চেপে নয়, তিনি পৃথিবী দেখতে বের হন খালি পায়ে হেঁটে হেঁটে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘খালি পায়ে হেঁটে ভ্রমণ করার উদ্দেশ একটাই, পৃথিবীর অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করা। যা বিমান বা গাড়িতে করে হলে সম্ভব হত না।’
তবে কখনো কখনো জাহাজে কিংবা বিমানে চড়তে হয়েছে হাঁটার সুযোগ না পেয়ে। এ অধ্যায়টুকু বাদ দিলে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার করে হেঁটে যাচ্ছে সাবেক জুডো শিক্ষক।
তার হাঁটার অন্য আরেকটি লক্ষ্যও আছে। হেঁটে হেঁটে ভ্রমণ করায় বিভিন্ন দেশের গ্রামাঞ্চল, মানুষের জীবনযাপন, সংস্কৃতি ও খাদ্য এককথায় মানুষের সঙ্গে একাত্ম হওয়া যায় সহজেই।
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে তার মন্তব্য, অধিকাংশ মানুষ গরীব হলেও সুখী। দারিদ্র্য তাদের মুখের হাসি মুছে দিতে পারেনি। এ অঞ্চলের মানুষ খুবই কৌতুহলী।
আলাপকালে তিনি বলেন, ‘শাসকগোষ্ঠীদের ‘শাসনের জন্য ভাগ কর’ নীতির কারণে বিশ্বব্যাপী অশান্তি বিরাজ করছে। পৃথিবীর নানা দেশের নানা মানুষের গায়ের রং, চেহারা, ভাষা ভিন্ন হলেও মনের ভেতর এক। সবাই শান্তি চায়।
সুজন ঘোষ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১০
আহমেদ রশীদ বলেছেন: কঠিন ভাবে স্যালুট এই পরিব্রাজক কে ।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: কঠিন ভাবে স্যালুট এই পরিব্রাজক কে ।