নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখক নই আমি। কোন চলচ্চিত্র দেখা মাত্র মনের কথা গুলি লিখে ফেলি আর কি।

রাজিন

আমি অসাধারণ মায়ায় আবৃত সাধারণ একজন মানুষ

রাজিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

১২ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:২২


পৃথিবীতে বিনোদন মানেই কি হলিউড কিংবা বলিউড? কোরিয়ান ড্রামার অনুরাগীদের সংখ্যা কিন্তু কোন অংশেই হলিউড মুভির দর্শকদের থেকে কম নয়। এদিকে কোরিয়ান মুভি “প্যারাসাইট" অস্কার পাবার পর তো কোন কথাই নেই। কোরিয়ায় নির্মীত বিনোদন কে এখন ঠ্যাকায় কে? নেটফ্লিক্সের কল্যাণে দেখে ফেললাম লুতুপুতু প্রেম কাহিনী নিয়ে সিরিয়াল “Crash Landing on You”। মানতেই হবে অত্যন্ত প্রসংশনীয়। সব কোরিয়ান ড্রামাই কী এতটা ভালো?

কাহিনীটা বেশ আজগুবি যদিও। নায়িকা ইউন সেরি (Son Ye-Jin) দক্ষিণ কোরিয়ার বেশ সফল ব্যবসায়ী । যদিও ব্যক্তিগত জীবনে সে বেশ একা। ভাইদের সাথে ব্যবসা নিয়ে বিরাট দ্বন্দ্ব। বলা যায় পরিবার বলতে কেউ নেই। হঠাৎ ঘটনাচক্রে সে পৌছে যায় উত্তর কোরিয়ায়। এখন উত্তর কোরিয়া তো আর ফার্মগেট না যে ১২ নাম্বার বাসে উঠলেই বাসায় পৌছে যাবো। তাকে আশ্রয় দেয় নায়ক রি জং হিওক (Hyun Bin)। নায়িকা কি বাসায় আসতে পারবে? পারলেই বা কী? কেই বা আছে তার অপেক্ষায়?

নাটকটির কাহিনী যেমনই হোক না কেন মেকিং চিন্তার বাইরে দারুন। নায়ক-নায়িকার দৃশ্যগুলি এত মিষ্টিভাবে উপস্থাপন করা যে সম্ভব, সেটা জানা ছিল না। দৃশ্যটি যদি সুখের হয় তবে দর্শকদের মুখে একটু হাসি লেগেই থাকবে। আর দুঃখের হলে আর কী বলবো? কলিজা বাইর হইয়া বুকটা ফাইট্টা যায়।

নায়ক-নায়িকার চরিত্রে হিউন বিন এবং সন ইয়েজিনকে মারাত্মক মানিয়েছে। তাদের আসল জীবনে প্রেমের গুজব থাকলেও অভিনেতা হিসেবে তারা দুজনেই দারুন। সন ইয়েজিন আগের থেকেই বেশ নামকরা অভিনেত্রী। এদিকে হিউন বিনের মত সুদর্শন নায়ক সারা দুনিয়াতেই বোধহয় কম আছে। এই সিরিয়াল দেখার পর থেকে তো আমার স্ত্রী পুরাই হিউন বিন জ্বরে আক্রান্ত। এর আগে এরকম জ্বর বলে “কাহো না প্যায়ার হ্যায়”এর সময় হৃতিক রোশনের জন্য এসেছিল।

অভিনয় তো ভালো হয়েছেই, তবে আসল কৃতিত্ব হলো লেখক এবং নির্দেশকের। উত্তর কোরিয়ার জীবন খুবই সুন্দর করে দেখানো হয়েছে। প্রেম কাহিনী হওয়া স্বত্বেও সিরিয়ালটিতে হাসির সংলাপ দিয়ে সবসময়ে উপভোগ্য করে তুলতে নির্মাতারা ভুলেন নাই। এমন কি কিছু ফাটাফাটি এ্যাকশান দৃশ্যও আছে যেটা দেখে পুরা হা হয়ে গিয়েছিলাম। এছাড়া প্রোডাকশনের মানও বেশ ভালো। নাটকটির নির্মাণের কোন কিছুতেই কার্পণ্য করা হয় নাই।
সিরিয়ালের সেরা দিক অবশ্যই আবেগঘন দৃশ্যগুলি। তার সাথে আছে দারুন আবহ সংগীত। নির্মাতারা তো পারলে চোখের উপর চাপকল বসায়ে কান্না বাইর করে। এক দৃশ্যে নায়ক একটা গাছের দিকে তাকায়ে শুধু “পিয়ানো” বলে। এই দৃশ্য দেখেই আমার চোখ দিয়ে দেখি পানি পড়ছে।

খারাপ দিক আগেই বলেছি যে কাহিনী বেশ আজগুবি। ১৬ টা পর্বের সবগুলিই বেশ বড়। শেষ পর্বটা আমার কাছে অতিরিক্ত বড় লেগেছে। কিছু দৃশ্য বেশ মজার হলেও অপ্রয়োজনীয়।

নেটফ্লিক্সের কল্যাণে সিরিয়ালটি বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। কোরিয়ান ভাষায় খুব বেশি কিছু আগে দেখি নাই। তবে এই সিরিয়াল টি দারুন লেগেছে। সব মিলিয়ে চরম।

রেটিং – ৪.৫ /৫.০

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৪৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: নিপুণ ও বস্তুনিষ্ঠ ।

২| ১২ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে ঢুকতেই তো জীবন শেষ।
উফ আল্লাহ!!!

৩| ১২ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৫১

সোহানী বলেছেন: লিখাটি দুইবার এসেছে। দেখার আগ্রহ থাকলো।

১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১:৩২

রাজিন বলেছেন: এডিট করা হয়েছে। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.