নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখক নই আমি। কোন চলচ্চিত্র দেখা মাত্র মনের কথা গুলি লিখে ফেলি আর কি।

রাজিন

আমি অসাধারণ মায়ায় আবৃত সাধারণ একজন মানুষ

রাজিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজিন রিভিউ: Ray (2021)

০৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ২:২২



রাজিন রিভিউ: Ray (2021)
Streaming: Netflix

মানতেই হবে বেশ ভালোই বানিয়েছে। কোন ছোট গল্প থেকে চিত্রনাট্য তৈরি করে সেটিকে পর্দায় আনা এবং বর্তমান যুগের দর্শকদের নিকট নান্দনিকভাবে উপস্থাপন করাটা খুব একটা সহজ কাজ নয়। সত্যজিৎ রায়ের ৪ টি গল্প থেকে বেশ ভালো ৩ টি পর্ব বানিয়েছে তবে বাকি একটি পর্ব পুরাই অখাদ্য। ৪টি মূল গল্প বেশ মজাদার তবে অসাধারন কোন সমাপ্তি নেই। তবুও প্রথম তিনটি পর্ব বেশ মজাদারভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

পর্ব-১
Forget Me Not
মূল- বিপিন চৌধুরীর স্মৃতিভ্রম
চিত্রনাট্য - সিরাজ আহমেদ
নির্দেশনা - সৃজিত মুখার্জী

ইপ্সিত নায়ার (আলি ফজল), যার মাথায় মস্তিষ্কের জায়গায় মেমোরি কার্ড বসানো। কোন কিছুই ভুলেন না। কোন সুপার পাওয়ার নিশ্চয়ই। ব্যবসায় ক্লায়েন্টরা তার উপস্থাপনায় পুরাই মুগ্ধ! কিন্তু একদিন এক পূর্বপরিচিত তার কাছে আসলে তাকে তার কোনভাবেই তার মনে পরে না। সুপার পাওয়ার কি হারিয়ে যাচ্ছে?

আলি ফজলকে দারুন ড্যাশিং লেগেছে। সমাপ্তিটাও মূল গল্পের সমাপ্তি থেকে ভালো।

পর্ব - ২
Bahrupiya
মূল- বহুরুপী
চিত্রনাট্য - সিরাজ আহমেদ
নির্দেশনা - সৃজিত মুখার্জী

নাটকের মেকআপ আর্টিস্ট ইন্দ্রশিশ (কেকে মেনন), একেবারে গোবেচারা টাইপ মানুষ। কেউ তাকে দুই পয়সার পাত্তা দেয় না। একদিন কপালের জোরে পেয়ে গেল এক মেকআপের পান্ডুলিপি। নিজের চেহারা বদলিয়ে নিশ্চয়ই ভাগ্যও বদলানো যাবে।

৪টি মূল গল্পের মধ্যে এটিই সবচেয়ে হাস্যরসাত্মক হলেও সিরিজের এই পর্বটি সবচেয়ে বেশি ডার্ক। ফিনিশংটাও একটু ডিস্টার্বিং। কে কে মেনন যথারীতি ভালো করেছেন। তবে ভালো লেগেছে দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য্যের পীর বাবা চরিত্রটি।

পর্ব-৩
Hungama Hain Kyon Barpa
মূল- বারীন ভৌমিকের ব্যারাম
চিত্রনাট্য - নিরেন ভাট
নির্দেশনা - অভিষেক চৌবে

সিরিজের এই পর্বটিই সেরা। এছাড়া এ পর্ব না থাকলে খুব কম লোকই এই সিরিজ দেখতো। কারন এই পর্বে আছেন বর্তমানে হিন্দী বিনোদনের সবচেয়ে বড় তারকা। সালমান খান নয়, তিনি হচ্ছেন মনোজ বাজপায়ী। এই লোকটা সব চরিত্রে এখনও মুগ্ধ করেই যাচ্ছেন!

বিখ্যাত গজল শিল্পী মুসাফির আলি (মনোজ বাজপায়ী), ট্রেন ধরেছেন দিল্লীর পথে। ফার্স্ট ক্লাস বগিতে একজন সহযাত্রী উঠলেন। উনাকে কোথায় যেন দেখেছি?

পর্বের কাহিনী সবচেয়ে ভালো ছিল। এছাড়া বানিয়েছেও ফাটাফাটি। সমাপ্তিও মারাত্মক হয়েছে। মনোজ বাজপায়ীকে তো অসাধারন লেগেছেই, তার সাথে গজরাজ রাও এবং রঘুবীর যাদবেরও জবাব নেই।

পর্ব-৪
Spotlight
মূল - স্পটলাইট
চিত্রনাট্য - নিরেন ভাট
নির্দেশনা - ভাসান বালা

শুটিং এর জন্য সুপারস্টার ভিক অরোরা(হর্ষবর্ধন কাপুর) একটি হোটেলে এসেছেন। কিন্তু তাকে কেউ পাত্তাই দিচ্ছে না। কারন হোটেলে আছেন আরেক মহান অতিথী “দিদি”।

এই পর্বটি সবচেয়ে জঘন্য। এটি দেখার চেয়ে দুটি কাঁচা পিয়াঁজ চোখে ডলা দিলে আরাম পেতাম। আগের পর্বগুলিতে কাস্টিং ছিল খুবই পছন্দনীয় কিন্তু এই পর্বে মূল চরিত্রে নিতে হলো হর্ষবর্ধন কাপুরকে? আর কাউকে পেল না? পুরা ডুবাইসে। যে চরিত্রটি বলা যায় সালমান খানের আদলে লেখা, সেখানে হর্ষবর্ধন কাপুর? ছেলেটি এত বড় সুযোগ পেয়েও কোন চেষ্টা করেনি। পুরা যাচ্ছে তাই।শেষের পর্বটি প্রমাণ করলো যে হিন্দী বিনোদন জগতে এরকম বেশরমের মত নেপোটিজম থেকেই যাবে। খুবই দুঃখজনক।

বাকি ৩ টি পর্বকে শেষ পর্ব দ্বারা বিচার করা ঠিক হবে না। সুতরাং সিরিজের প্রথম তিনটি পর্বকে ধরেই বলবো সব মিলিয়ে বেশ দারুন।

রেটিং - ৩.৫ / ৫.০



মন্তব্য ০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.