নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

২০০৬ এর ২৮ অক্টোবর ঢাকার রাজপথে হাসিনার দ্বারা লগি বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যার দায়ে শেখ হাসিনার ফাসি চাই।২২৮ অক্টোবর রাজপথে হাসিনার দ্বারা লগি বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যার দায়ে শেখ হাসিনার ফাসি চাই।

সত্যের সেনানীরা নেবেনাকো বিশ্রাম ! আমাদের সংগ্রাম চলবেই অবিরাম।

রাজনীতি

আমার সোনার বাংলা ........... আমি তোমায় ভালবাসি................ বাংলাদেশ ...........আমার অহংকার।

রাজনীতি › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুর্নীতির কূটনীতি? আমাদের বিবেচনা কি কূটচালে আটকানো?

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ১০:০৩

প্রতিবারের মতো এবারও বার্লিনভিত্তিক আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী সংস্খা ট্রান্সপারেন্সী ইন্টারন্যাশনাল বিশ্বব্যাপী তাদের বার্ষিক দুর্নীতির ধারণা সূচক ২০০৮ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশে এই রিপোর্টটি প্রকাশের দায়িত্ব পালন করে ট্রান্সপারেন্সী ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। গত ২৩শে সেপ্টেম্বর টিআইবি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ জানিয়েছেন যে, দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের স্খান এবার দশম। গত বছর এই অবস্খান ছিল সাত নম্বরে। জনাব মোজাফফর আহমদ জানিয়েছেন সূচকে বাংলাদেশের অবস্খানে পরিবর্তন দেখানো হলেও এই সময়ে ছোটখাট দুর্নীতির পরিমাণ বেড়ে গেছে। দুর্নীতির তীব্রতা ও পরিমাণ বেড়েছে। তাছাড়া পদ্ধতিগত দুর্নীতি রয়েই গেছে। প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার কাজ না হওয়ায় সরকারের দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে সাধারণ মানুষ কোনো সুফল পায়নি। গত বছরের তুলনায় এবার বাংলাদেশের সাফল্য ০.১ পয়েন্ট হলেও পরিসংখ্যানের হিসাবে এর কোনো তাৎপর্য নেই। এ হিসাব থেকে বোঝা যায় না যে, দুর্নীতির ব্যাপকতা কমেছে কি না। দুর্নীতি বিরোধী অভিযান পরিচালনায় সরকার প্রথম দিকে যে উদ্যোগ নিয়েছিল তার পরিণতি শেষ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। যেভাবে অভিযান পরিচালিত হয়েছে তাতে তাড়াহুড়া ছিলো। মানুষের প্রত্যাশা বাড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সরকার তদন্ত কাজে দক্ষতার পরিচয় দিতে পারেনি। যে প্রত্যাশা দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে সৃষ্টি হয়েছিল, এখন জনগণ সে প্রত্যাশার ব্যাপারে হতাশ। দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে শুধু রাজনীতিবিদদেরই বেশি করে ধরা হয়েছে। কিন্তু ব্যবসায়ী ও আমলারা তা থেকে বাদ পড়েছে।



বিগত প্রায় এক দশক ধরে ট্রান্সপারেন্সী ইন্টারন্যাশনাল, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের দুর্নীতির মাত্রা নিয়ে শোরগোল তুলছে। বাংলাদেশের ব্যাপারে ট্রান্সপারেন্সী ইন্টারন্যাশনালের মনোযোগ একটু বেশিই লক্ষ্য করা গেছে। বাংলাদেশকে সবচাইতে বড় দুর্নীতিবাজ রাষ্ট্র হিসাবে প্রায় পাঁচ বছর ধরে চিহ্নিত করেছে ট্রান্সপারেন্সী ইন্টারন্যাশনাল। তাদের এ দেশীয় এজেন্ট টিআইবি সেই ঘোষণার নকিবের ভূমিকা পালন করেছে। তারা এবং তাদের সহযোগী তথাকথিত সুশীল সমাজ ট্রান্সপারেন্সী ইন্টারন্যাশনালের এই ধারণাপত্র হাতে নিয়ে বাংলাদেশের দুর্নীতি বিরোধী প্রচারাভিযানের পাশাপাশি বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারাভিযানে মনোনিবেশ করেছে। যাতে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশকে অকার্যকর ও ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসাবে চিহ্নিত করা যায়। ট্রান্সপারেন্সী ইন্টারন্যাশনালকে বাংলাদেশের দুর্নীতি বিরোধী তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করেছে ট্রান্সপারেন্সী ইন্টারন্যাশনালের বাংলাদেশ চ্যাপ্টার (টিআইবি) এবং বিদেশী অর্থে পরিচালিত পরজীবী কিছু সংগঠন। তারা আবার এসব তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছেন পত্র-পত্রিকার রিপোর্ট দেখে। সাম্রাজ্যবাদী শক্তির স্বার্থের ক্রীড়নক এদেশীয় কিছু মিডিয়া কোনোরূপ তথ্য প্রমাণ ছাড়াই দুর্নীতির ঢাউস ঢাউস রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। পরশক্তির স্বার্থে বাংলাদেশ বিরোধী প্রাপাগাণ্ডা উস্কে দেবার জন্য তারা এ ধরনের অপপ্রচারে লিপ্ত হয়। সেগুলোই বাংলাদেশকে নিকৃষ্টতম দুর্নীতিবাজ রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করার আলামত হিসাবে ব্যবহৃত হয়। আর পরশক্তির দেশীয় এজেন্টারা তা নিয়ে ডুগডুগি বাজায়।



কিন্তু বাংলাদেশকে কেন নিকৃষ্টতম দুর্নীতিবাজ দেশ হিসেবে প্রমাণ করার দরকার পড়লো পরাশক্তি ও তার এজেন্টদের? কারণ তাদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য এমন একটি ভঙ্গুর নতজানু, মেরুদণ্ডহীন তাঁবেদার সরকার এখানে দরকার, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ লুণ্ঠনের পথ প্রশস্ত করা যায়। বাংলাদেশের রাজনীতিকরা দুর্র্নীতিবাজ। ফলে সেখানে এমন একটি জনভিত্তিহীন শাসকগোষ্ঠী দরকার যারা পরাশক্তির কথায় উঠবস করবে। এক এগারো পরবর্তী বিগত বিশ মাসে বাংলাদেশে সে ব্যাপারে আমাদের অভিজ্ঞতা যথেষ্ট হয়েছে।



ট্রান্সপারেন্সী ইন্টারন্যাশনালের এই মতলবী কর্মকাণ্ডে সুনির্দিষ্ট টার্গেট লক্ষ্য করা যায়। সে টার্গেট সমন্বিত। এক-এগারোর পরিবর্তনের আগে বাংলাদেশে জঙ্গীবাদ, ইসলামী সন্ত্রাসবাদ, মৌলবাদ, হুজি কানেকশন, তালেবান ইত্যাকার অনেক কথাই আমরা শুনেছি। তার সঙ্গে দুর্নীতি। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে আঘাত হানার চমৎকার পরিবেশ।



অধ্যাপক মোজাফফর সাহেব আজ বলছেন, দুর্নীতির এই ধারণা- সূচক তৈরিতে টিআইবি কোনো ভূমিকা পালন করে না। ট্রান্সপারেন্সী ইন্টারন্যাশনালের সচিবালয় এটি তৈরি করে একই সঙ্গে তিনি তথাকথিত সুশীল সমাজ থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করারও চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেছেন, আমরা দেখেছি, গত দুই বছর দেশের সুশীল সমাজ খুব বেশি সক্রিয় ছিল না। অনেক সভা সেমিনার করা হয়েছে। কিন্তু দুর্নীতি বিরোধী উচ্চ কণ্ঠ এ সময় শোনা যায়নি। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্খাকালে মোজাফফর সাহেবের তথ্য-উপাত্ত নিয়েই তো তথাকথিত সুশীল হঠাৎ চুপ হয়ে গেল কেন? তাদের উদ্দেশ্য কী তবে হাসিল হয়ে গেছে। এ থেকেও প্রমাণিত হয় ঐ সুশীল সমাজের লক্ষ্য দুর্নীতিরোধ করা ছিল না, ছিল গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রদ করা। অধ্যাপক মোজাফফরও সে দায় এড়াতে পারেন না।



মজার ঘটনা হলো এই যে, নিকৃষ্টতম দুর্নীতিবাজ রাষ্ট্র হিসাবে এবার তুলে আনা হয়েছে মুসলমান অধ্যুষিত সোমালিয়াকে। ২ নম্বরে আছে মিয়ানমার ও ইরাক। কিন্তু মিয়ানমার কেন? মিয়ানমারের ব্যবসা-বাণিজ্য সীমিত। কৃষি নির্ভর দেশ। মিয়ানমারের বিরোধী দলীয় নেত্রী অং সান সুকী গৃহবন্দী আছেন বহু দিন। মিয়ানমারের উপর হামলা হয়তো সম্ভব নয় কিন্তু তাকে ব্যর্থ ও অকার্যকর দেখানো সম্ভব। সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলোর বিচার চমৎকার। মিয়ানমারের বিরোধী দলীয় নেত্রী সুকী শান্তির জন্য নোবেল পেয়েছেন। কিন্তু আলজেরিয়ার বিরোধী দলীয় নেতা নির্বাচিত হয়েও গৃহবন্দী আছে।



এখন এটা সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হচ্ছে যে, ট্রান্সপারেন্সী ইন্টারন্যাশনাল কার্যত সাম্রাজ্যবাদী শক্তির হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। পত্রিকায় কারো বিরুদ্ধে দুর্নীতির খবর ছাপা হলেই তাকে দুর্নীতিবাজ বলা হচ্ছে। আর দুর্নীতিবাজ বলার জন্য সাম্রাজ্যবাদীশক্তির এজেন্ট পত্রিকাগুলোকে নানাভাবে মদদ দেয়া হচ্ছে। নগদ দেয়া হচ্ছে কিনা, জানি না কিন্তু বহুজাতিক কোম্পানীর সকল বিজ্ঞাপন তারাই পাচ্ছে। এই ধারার অবসান ঘটানোর জন্য দরকার জনসচেতনতা। দুর্নীতির অভিযোগ উথাপন করার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দাবি তুলতে হবে যে, প্রমাণ দিন। প্রমাণ না দিতে পারলে প্রত্যাখ্যানই হবে সবচেয়ে বড় জবাব।



মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ১০:১৬

বিবিধ বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। আরো লিখুন।
Click This Link

২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ১০:৩৫

ক্রুদ্ধ বলেছেন: চমৎকার! ভাই রাজনীতি আপনাকে ধন্যবাদ। আপনি টিআইবি-র স্বরূপ উন্মোচন করে দিয়েছেন। টিআইবি নিজেই্ একটা চোর, টিআইবি-র ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের বিরুদ্ধেই তো দূর্ণীতির অভিযোগ রয়েছে। তারা আবার চোর ধরার দায়িত্ব পালন করে, শুনলে সত্যি গা জ্বালা করে। ধন্যবাদ, আরও লিখুন।

৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:১৪

ফালতু মিয়া বলেছেন: দুর্নীতির অভিযোগ উথাপন করার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দাবি তুলতে হবে যে, প্রমাণ দিন। প্রমাণ না দিতে পারলে প্রত্যাখ্যানই হবে সবচেয়ে বড় জবাব। না প্রত্যাখ্যান দিয়ে নয়, এদেরকে সমূলে বিনাশ করতে আইন করতে হবে। কোন চাপের কাছে নতি স্বীকার করা যাবে না। মোজাফ্ফর আহমেদের বিরুদ্ধে বিদেশী ফান্ডের টাকা চুরির অভিযোগ আছে, ব্যাটা নিজে চোর হয়ে অন্যকে চোর বানানো খেলা খেলছে। সেই সাথে জাতীয় স্বার্থকে বিসর্জন দিয়ে সুশীল সাজার চেষ্টা করছে। তথা কথিত সুশীল বুদ্ধিজীবি!! সু = ভাল, শীল= নাপিত, ক্ষৌরকর্ম যিনি করেন, অর্থাৎ নরসুন্দর বা নাপিত।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:২০

রাজনীতি বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাল বলেছেন।

৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:১১

মুসতাইন জহির বলেছেন:
এর পেছনের রাজনীতি নিয়া একটি লেখার খোজ দিলাম, আশা করি ভালো লাগবে
Click This Link

৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:১৬

পি মুন্সী বলেছেন: এই রিপোর্টে, "জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার" স্বঘোষিত দালালদের দেউলিয়াত্ত্ব প্রমাণ হয়েছে। পরাশক্তির স্বার্থে ক্ষমতা দখল করা হয়েছিল। এটা ঢাকার জন্য দূর্নীতি দমনের যে উছিলা দাঁড় করানো হয়েছিল সেই দূর্নীতি দমনের উছিলা ও এর আর্দশগত ভিত্তি যার উপর দাঁড়িয়ে ১১১ সরকার কায়েম করা হয়েছিল তা মিথ্যা, ভুয়া প্রমাণ হয়েছে। এটা বাইরের কেউ প্রমাণ করেনি, নিজেরাই প্রমাণ করে বলছে, "দুর্নীতির তীব্রতা ও পরিমাণ বেড়েছে"। যদি বেড়েই গিয়ে থাকে তবে এর জবাব দিবে কে? এরও তো একটা জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা থাকতে হবে? "জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার" স্বঘোষিত দালালদেরই আজ এর জবাব দিতে হবে। এই ব্যর্থতা থেকে পিঠ বাঁচাতে আজকে দুদুক, পুলিশের আইজি, টিআইবি, মোজাফ্ফর আহমেদ ও সর্বশেষ নির্বাচন কমিশন সকলে একে অপরকে দোষারোপ করছে। দেখা যাচ্ছে, যত দিন যাচ্ছে ততই এর দায়দায়িত্ত্ব নেবার কেউ আর অবশিষ্ট থাকছে না। এই অনুমান করে, ১৯ শে জুন, ২০০৮ সকালে একটা পোষ্টে লিখেছিলাম, "জাহাজ ডুবতে শুরু করার লক্ষণ হলো নেংটি ইদুরের দৌড়াদুড়ি আর দিকবিদিকশুণ্য হয়ে লাফিয়ে পড়ে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা" করে। Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.