নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাজু আহমেদ । এক গ্রাম্য বালক । অনেকটা বোকা প্রকৃতির । দুঃখ ছুঁয়ে দেখতে পারি নি ,তবে জীবনের সকল ক্ষেত্রে অনুভব করেছি । সবাইকে প্রচন্ড ভালবাসি কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে প্রকাশ করতে পারি না । বাবা এবং মাকে নিয়েই আমার ছোট্ট একটা পৃথিবী ।

সত্যকা

সত্যকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

জনতার সাথে লড়াই করে টেকা যায়না

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৮

ইতিহাস স্বাক্ষ্য দেয়, জনতার সাথে লড়াই করে টেকা যায়না । দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে মুক্তিকামী নিপীড়িত জনগণ রাজপথে নেমে আসে । সর্বস্তরের দেশপ্রেমিক জনতার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও আত্মত্যাগে পিছু হটতে বাধ্য হয় স্বৈরচারী শাসক । বিপ্লবের মাধ্যমে শাসন ক্ষমতায় বসেন নিপীড়িত জনগণের রায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধি । মানবজাতির পথ চলার দীর্ঘ ইতিহাসে এমন জাতীয় ঘটনা বহুবার ঘটেছে । বিশ্বের অনেক প্রতাপশালী শাসক, যারা ধরাকে সরা জ্ঞান করতেন তারা নিক্ষিপ্ত হয়েছেন ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে । সে দিনগুলোতে তাদের চরম পরিণতি দেখে মানুষ আঁৎকে উঠেছিল । তবুও মানুষ সেসকল ঘটনা থেকে খুব কমই শিক্ষা গ্রহন করেছে । বিখ্যাত দার্শনিক জর্জ বার্নাড’শ বলেছেন, ‘ইতিহাসের সবচেয়ে বড় শিক্ষা হল, ইতিহাস থেকে কেউ শিখে না’ । দুনিয়ার অনেক শাসককে এজন্য খেসারত দিতে হয়েছে, দিতে হয়েছে চরম মূল্য । হতে হয়েছে নাজেহাল ও ইতিহাসের নির্মম শিকার । এমনকি খেসারত দিতে হয়েছে তাদের ভবিষ্যত বংশধরদেরকেও । তাদের পতন কাহিনী শতাব্দীর পর শতাব্দী মানুষের মুখে মুখে চলছে এবং আজও তা শুনলে বিবেককে নাড়া দেয় । সকল স্বৈরচারী শাসকদেরকে তাদের মসনদ থেকে নামানোর জন্য বিপ্লব ছাড়া অন্য কোন পন্থা ছিলনা, অন্তত পৃথিবীর ইতিহাস তাই বলে । যুগে যুগে এমন বহু অত্যাচারী শাসকের জন্ম হয়েছিল এবং তারা দাম্ভিকতার মাধ্যমে বিশাল সম্রাজ্য গড়ে তুলেছিল কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি । জনতার বিষ্ফোরণে সীমাহীন দাম্ভিকতার স্থান থেকে বিচ্যুত হয়ে ইতিহাসের অন্ধকার গহ্বরে তাদের আশ্রয় হয়েছে । আজও ঘৃণাভরে তাদের নাম উচ্চারিত হয় কিন্তু তাদের এ দশা দেখেও তাদের পরবর্তী শাসকদের অনেকেই স্বৈরাচারী মনোভাব ত্যাগ করেনি বরং জনগণের মতকে উপেক্ষা করে দাম্ভিকতার সাথে শাসনকার‌্য পরিচালনা করছে । অথচ এদের পরিণতিও যে ভয়াবহ হবে তা যেন এরা বুঝেও না বোঝার ভান করে রয়েছে । কিন্তু ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করেনি কিংবা ক্ষমা করতেও জানে না । আজ কিংবা কাল যখন বিশ্বের বুক থেকে এ ধরনের স্বৈরচারী শাসকদের পতন হবে তখন তাদেরকেও মানুষ ঘৃণা ভরে স্মরণ করবে । ইতিহাস স্বাক্ষ্য দেয়, যে রাজা যতবেশি দাম্ভিকতা প্রদর্শন করেছিল তার পতনও ততো মারাত্মকভাবে হয়েছিল । তবুও দূর্ভাগ্য, ইতিহাস থেকে যাদের শিক্ষা নেয়া দরকার তারা ইতিহাস থেকে কেবল শিক্ষাই নিচ্ছে না বরং ইতিহাসের এ অংশকে রীতিমত অস্বীকার করেছে ।
ইতিহাসের পাতায় গুরুত্বপূর্ন স্থান দখল করে রয়েছে ফরাসি বিপ্লব । যে বিপ্লবের সূচনা হয়েছিল ১৭৮৯ সালে রাজা অষ্টাদশ লুইয়ের শাসনামলে । যদিও এ বিপ্লবের পেছনে প্রজাদের যে ক্ষোভ ছিল তা শুধু রাজা অষ্টাদশ লুইয়ের বিলাসিতা কিংবা অদূরদর্শীতার কারণেই নয় বরং তার পূর্ববর্তী অর্থ্যাৎ ষষ্ঠদশ ও সপ্তদশ লুইয়ের বিলাসিতার কারণে রাজকোষ শূণ্য হয়ে যাওয়া এবং প্রজাসাধারণের উপর অধিকহারে করারোপের কারণেই তৃতীয় স্টেট অর্থ্যাৎ সাধারণ শ্রেণী বিক্ষোভে ফেটে পড়েছিল এবং ১৯৯৪ বাস্তিল দূর্গ পতনের মাধ্যমে ইতিহাসের পাতায় লিখিত হয়েছিল শোষিত, নির‌্যাতিত মানুষের জয়ের নতুন এক উপখ্যান । ইতিহাসে যার নাম ‘ফরাসী বিপ্লব’ । মূলত ফরাসী বিপ্লব ছিলো তদানীন্তন ফ্রান্সের শত শত বছর ধরে নির‌্যাতিত ও বঞ্চিত ‘থার্ড স্টেট’ বা সাধারণ মানুষের পুঞ্জীভূঁত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ । এই বিপ্লবের পূর্বে সমগ্র ফ্রান্সের ৯৫ ভাগ সম্পত্তির মালিক ছিলো মাত্র ৫ ভাগ মানুষ, অথচ সেই পাঁচ ভাগ মানুষ কোন আয়কর দিতোনা । অথচ যারা আয়কর দিতো তারা তেমন কোন সুযোগ ভোগ করতে পারতোনা । এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে যারা প্রতিবাদ করতো তাদেরকে গ্রেফতার করে বাস্তিল দূর্গে এনে নির‌্যাতন করা হতো । অবশেষে স্বৈরশাসকের পতনের জন্য যারা আন্দোলন করেছিল তারা সফল হয় এবং প্রতিবিপ্লবের মাধ্যমে ১৯৭৪ সালের ২৭ জুন রাজা জ্যাকোবিনকে পরাজিত করার মাধ্যমে ফরাসি বিপ্লবের ইতি টানা হয় । এরপর থেকে সরকারী চাকুরী, রাষ্ট্রীয় পদমর‌্যাদা প্রভৃতি সকল অধিকার নাগরিকের কাছে উম্মুক্ত করা হয় । এই ব্যবস্থার ফলে ফ্রান্সের পুর্বতন সমাজ ব্যবস্থার অবসান ঘটে, সামন্ত প্রথার চির অবসান ঘটে এবং ফ্রান্সের ইতিহাসে মধ্যযুগের অবসানে আধুনিক যুগের সূচনা হয় ।
বিংশ শতাব্দীর রুশ বিপ্লব বিশ্বের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ঘটনা । প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ফলে পশ্চিম ইউরোপে যখন এক বিরাট পরিবর্তন ঘটতে চলে সেই সময় রাশিয়ার এই বিপ্লব সংঘঠিত হয় ১৯১৭ সালে । একাধারে এই বিপ্লবকে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিপ্লব বলা হয় । ফরাসী বিপ্লবের ন্যায় রুশ বিপ্লবে শ্রমিকশ্রেণী ক্ষমতা দখল করলেও তা বুর্জোয়া বা মধ্যবিত্ত শ্রেণীর হাতে ছেড়ে দেয় । তারা অস্থায়ী সরকার গঠন করে । এই সরকারের উদ্দেশ্য ছিল গণতান্ত্রিক, পার্লামেন্টারি সরকার স্থাপন করা । এই সরকার ধর্ম, সংবাদপত্র ও বাক স্বাধীনতা সংস্কার প্রবর্তন করেন । কিন্তু রাশিয়ার ন্যায় একটি অনগ্রসর দেশের জনসাধারণ রাজনৈতিক সংস্কারের প্রতি বিশেষ উৎসাহী ছিল না । তাদের দাবি ছিল দেশে শান্তি ও আর্থিক স্বচ্ছলতা সুনিশ্চিত করা । কিন্তু অস্থায়ী বুর্জোয়া সরকার এই সকল দাবি দাওয়া পূরণে ব্যর্থ হলে কৃষকগণ সর্বত্র বিক্ষুব্ধ হয়ে জমিদারদের ক্ষেত খামার লুন্ঠন করে, তাহাদের ভূ-সম্পত্তি দখল করে এবং বহু সরকারী রাজস্ব কর্মচারীদের হত্যা করে । এক বলশেভিক নেতার মতে ‘বিদ্রোহী বর্বরতার সহিত কৃষকশ্রেণী মধ্যযুগের বর্বরতা নিশ্চিহ্ন করে’ । লিপসন এর ভাষায়, ‘কৃষি সন্ত্রাস রাশিয়ার সর্বত্র এক অস্থিতিকর পরিবেশের সৃষ্টি করে । জমি আদায় করার উদ্দেশ্যে কৃষকগণ শিল্পশ্রমিকদের সাথে যোগ দেয় এবং বুর্জোয়াদের ধ্বংস করিতে বদ্ধপরিকর হয়’ । অবশেষে লেলিন বিশ্বের এক মহান বিপ্লববাদী দলের অবিসংবাদী নেতারূপে আত্মপ্রকাশ করেন । লেলিন দৃপ্ত কন্ঠে ঘোষণা করেন যে, রাশিয়ার পক্ষে সংসদীয় প্রজাতন্ত্র অথবা বুর্জোয়া গণতন্ত্রের কোন প্রয়োজন নাই । তিনি ঘোষণা করেন, রুশ বিপ্লবের প্রথম পর্যায়ের সাফল্য হল বুর্জোয়াদের ক্ষমতালাভ, কিন্তু বিপ্লবের দ্বিতীয় পর্যায় হবে কৃষক ও প্রোলেটেরিয়েটদের হস্তে ক্ষমতার হস্তান্তর । এদিকে সেনাবাহিনীর লেলিনপন্থী দলও সাধারণ কৃষক শ্রমিকদের সাথে একাত্বতা ঘোষণা করেন । এই সুযোগে লেলিন, ট্রটস্কি ও স্টালিনের নেতৃত্বে বলশেভিকগণ ১৯১৭ সালের ৭ নভেম্বর বিদ্রোহ করে রেলস্টেশন, রাষ্ট্রীয় ব্যাংক, টেলিফোন এক্সচেঞ্জ ও অনান্য সরকারী ভবনগুলো দখল করে বলশেভিক দলের সরকার প্রতিষ্ঠার কথা ঘোষণা করেন । এইভাবে রুশ বিপ্লবের দ্বিতীয় পর্যায় সম্পন্ন হয় এবং রাশিয়ায় প্রোলেটেরিয়েটদের একনায়কতন্ত্র শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় । বিপ্লবী আন্দোলনের ইতিহাসে এই ধরণের মহা গণঅভ্যুত্থানের নজির বিরল ।

১৯৬৯ সালের ২৫ মার্চ দোর্দন্ড পাকিস্তানী স্বৈরশাসক যিনি লৌহ মানব হিসেবে খ্যাত দীর্ঘ একযুগের শাসক ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খানের পতন হয় একটি গণ-অভ্যূত্থানের মাধ্যমে । এটাই আমাদের দেশের ইতিহাসে ’৬৯ এর গণঅভ্যূত্থাণ নামে পরিচিত । ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নানা প্রকার রাজনৈতিক টানাপোড়নে বারবার উত্তাল হতে থাকে দেশ । ’৪৮, ’৫২, ’৫৪, ’৫৮ ইত্যাদি বিভিন্ন ধাপের রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগে তদানীন্তন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইস্কান্দার মির্জা সামরিক শাসন জারি করেন (১৯৫৮ সালের ৮ অক্টোবর মধ্যরাতে) । এই সামরিক শাসন জারির মাত্র ২০ দিনের মাথায় ২৭ অক্টোবর ১৯৫৮ সালের আরেক পাল্টা ক্যূ’র মাধ্যমে ইস্কান্দার মির্জাকে সরিয়ে জেনারেল আইয়ুব খান প্রধান সামরিক প্রশাসক ও রাষ্ট্রপতির পদ দখল করেন । ১৯৫৮ সালে আয়ুইব খানের এই ক্ষমতা দখল ছিল পাকিস্তানের মাটিতে সামরিক বাহীনির প্রথম বারের মত সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার ঘটনা । আইয়ুব খানের সময় উন্নয়ণ হয়েছিল যুগান্তকারী । ইন্ডাস্ট্রিয়ালইজেশনে এতো অধিক মাত্রা হয়েছিলো যে এই সময়কে বলা হয় ‘দেশের ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ দশক’ । বাংলাদেশের চিটাগং ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিটি, খুলনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিটি, ঢাকার তেজগাঁ এরিয়া আইয়ুব খানের যুগেরই সুফল । আইয়ুব খানের শাসনামলে উন্নয়ন হলেও সেই সময়ের সমালোচনাও রয়েছে ব্যাপক । একটি দেশের জনগণের জন্য যেটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেই বাক-স্বাধীনতাই ছিলোনা তার সময়ে । দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে তার সরকারের প্রতি । আইয়ুব খানের পুত্র গওহর আয়ুইবের ব্যক্তিগত সম্পদের মূল্য ছিলো চার মিলিয়ন মার্কিন ডলার, এবং তাদের পারিবারিক ধন-সম্পত্তির হিসাব হয়েছিল বিশ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পর‌্যন্ত । তাছাড়া শিল্প-ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়ন যা কিছু হয়েছিল তা মূলত ২২ টি পরিবারের হাতে জিম্মি ছিল । তারাই দেশের ৬০ শতাংশ ইন্ডাষ্ট্রী ও ৮০ শতাংশ ব্যাংকিং ও বীমা নিয়ন্ত্রন করত । ফলে সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রার মানোন্নয়ন হয়েছিল কম । এ্সব চাপা ক্ষোপ থেকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় । অসন্তোষের প্রতিক্রিয়া ও গণ-অভ্যূত্থান আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে অসন্তোষ দানা বাঁধতে বাঁধতে এক সময় বিষ্ফোরিত হয় । শুরু হয় গণ আন্দোলন । ১৯৬৬ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান লাহোরে একটি সর্বদলীয় রাজনৈতিক সম্মেলনে ছয় দফা দাবী প্রকাশ করেন । এ সম্মেলনে আইয়ুব বিরোধী সকল রাজনৈতিক দল প্রতিনিধি প্রেরণ করে । আইয়ুব শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে ছাত্র সমাজ । হাজার হাজার ছাত্র জনতা ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারী স্বৈরাচারী আইয়ুব বিরোধী গণ আন্দোলনের সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনের সড়কে বুকে গুলিবদ্ধি হয়ে নিহত হন কিংবদন্তীতুল্য অকুতোভয় ছাত্রনেতা আসাদ । আসাদের মৃত্যুর পর আইয়ুবের পতন ত্বরান্বিত হয় এবং শেষে বাধ্য হয়ে ১৯৬৯ সালের ২৫ মার্চ আইয়ুব খান ক্ষমতা ছেড়ে দেন । এভাবে দীর্ঘ এক যুগের কাছাকাছি দোর্দন্ড শাসনের অভিজ্ঞতা, ঘরে ও বাইরে ব্যাপক প্রভাব এবং বিশাল সামরিক শক্তি থাকা সত্ত্বেও জনতার রোষের কাছে আইয়ুব শাহীর একনায়কতন্ত্রের পতন ঘটে । এ থেকেই প্রতীয়মান হয়, জনতার সাথে লড়াই করে টেকা যায়না । জাতি এমন আরেকটি ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি দেখেছে ১৯৯০ সালের স্বৈরচারী এইচএম এরশাদের পতনের মাধ্যমে । ইতিহাসের ধারবাহিকতায় সর্বত্র একই চিত্র । কোন সরকারই জনগণের ভাষা না বুঝে ক্ষমতায় থাকতে পারেনি । জনগণের চাওয়া ব্যতীত কোন সরকারই ক্ষমতায় থাকতে পারে না । তাতে সে সরকার যতই ক্ষমতাশালী হোক । ইতিহাসের হাজারো ঘটনা এমন প্রমান দেয় । পেশী শক্তি কিংবা সামরিক শক্তির বড়াই করে ক্ষমতায় থাকা যায়না বরং জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে চাইলে পতনের তীব্রতা ভয়াবহ হয় ।

রাজু আহমেদ । কলামিষ্ট ।
[email protected]

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: পৃথিবীর ইতিহাস তাই বলে । যুগে যুগে এমন বহু অত্যাচারী শাসকের জন্ম হয়েছিল এবং তারা দাম্ভিকতার মাধ্যমে বিশাল সম্রাজ্য গড়ে তুলেছিল কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি । জনতার বিষ্ফোরণে সীমাহীন দাম্ভিকতার স্থান থেকে বিচ্যুত হয়ে ইতিহাসের অন্ধকার গহ্বরে তাদের আশ্রয় হয়েছে । আজও ঘৃণাভরে তাদের নাম উচ্চারিত হয় কিন্তু তাদের এ দশা দেখেও তাদের পরবর্তী শাসকদের অনেকেই স্বৈরাচারী মনোভাব ত্যাগ করেনি বরং জনগণের মতকে উপেক্ষা করে দাম্ভিকতার সাথে শাসনকার‌্য পরিচালনা করছে । অথচ এদের পরিণতিও যে ভয়াবহ হবে তা যেন এরা বুঝেও না বোঝার ভান করে রয়েছে । কিন্তু ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করেনি কিংবা ক্ষমা করতেও জানে না । আজ কিংবা কাল যখন বিশ্বের বুক থেকে এ ধরনের স্বৈরচারী শাসকদের পতন হবে তখন তাদেরকেও মানুষ ঘৃণা ভরে স্মরণ করবে

এটাকেই মনে হয় বলে নিয়তি!!!!

নইলে জেনেশুনে কেন মানুষ অহংকার আর আত্ম্ভরিতার এই পতন পথে চলবে!!!

++++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.