| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মো: রাজু রহমান
এমন মানব সমাজ কবে গো সৃজন হবে যেদিন হিন্দু মুসলমান বুদ্ধ খৃষ্টান জাতি গোত্র নাহি রবে।
আবার আসিব ফিরে
ধান সিড়ির এই তীরে
হয়তোবা কাক, শঙ্খচিল, শালিকের বেশে।
ঠিক কবির এমন আকুতির মতই বার বার বাংলার বুকে ফিরে ফিরে আসছে শাসন শোষণ। ব্রিটিশ শাসন শেষ, শুরু হলো পাকিস্থানী শাসন শোষণ।
১৯৭১সাল, নামে মাত্র স্বাধীন হলো একটি দেশ। পৃথিবীর বুকে জন্ম নিলো বাংলাদেশ নামক একটি ভুখন্ড। সেই থেকে শুরু স্বাধীনতা নামক আরেকটি পরাধীনতা।
আশির দশক থেকে শুরু হয় এরশাদ এর স্বৈর-শাসন। স্বৈরাচার পতনের মাধ্যমে শুরু হয় বাপ-স্বামীর শাসন। ৫ বছরের জন্য একজন আসেন তাহার মরা স্বামীকে সামনে রেখে দেশটাকে শাসন শোষণ করতে। শাসন শোষণ করতে করতে জনগনের রক্ত চুষে সব শেষ করার পর আমরা আম জনতা মুখ ফিরিয়ে নেই স্বামীহারা মহিলাটির দিক থেকে, তাকাই অন্য দিকে।
অনেক আশা নিয়ে ফিরে যাই বাবা হারা মেয়ের দিকে, দেশের উন্নয়নের আশায়, যুদ্ধাপরাধের বিচারের আশায়, প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ পাবার আশায়। কিন্তু সেই আশায় গুঁড়োবালি ধরিয়ে দিয়ে আমাদের আশা-নিরাশার মধ্যমণি বর্তমান সরকার মুলো ঝুলিয়ে তালগাছ দেখিয়ে আমাদের রক্ত চুষে শেষ করে দিয়েছে।
খারাপ লাগলেও বলতে ইচ্ছে করে, আমরা যদি ব্রিটিশদের অধীনে থাকতাম তাহলে এতদিনে সবাই ব্রিটিশ জনগন হয়ে যেতাম, সবার গায়ের রঙ সাদা থাকত, হয়ে যেতে পারতাম ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুক্ত একটি উন্নত দেশ!!! আমাদের টাকার নাম হত ইউরো মান হত অনেক বেশি। ঠেলা গাড়ির মতন যে রেলগাড়ি বর্তমানে আমরা ব্যাবহার করি তা হতে পারত দ্রুত গতির মেট্রো রেল।
কোন মন্ত্রী আমাদের কে ভাতের বদলে আলু খেতে বলতে পারত না বা কম কম খাদ্য গ্রহনের উপদেশও দিত না।
কেউ বলতে পারতো না আল্লার মাল আল্লায় নিয়া গেছে। সাংবাদিক হত্যার বিচার পাইতাম। শিক্ষকদের কে পিপার স্প্রের শিকার হতে হতনা। জামাত শিবিরের জন্মই হতে পারত না।
যে কেউ তখন আমাদের বাঙালি বলতে পারতো না। আমাদেরকে বলতে হত বাঙালি নয় ব্রিটিশ।
ঢাকা শহর বলেন অথবা রংপুর বা দিনাজপুর, ফরিদপুর যাই বলেন না কেন ব্রিটিশেরা চলে যাওয়ার পর এই দেশের মাটিতে কোন উন্নয়ন হয়েছে বলে মনে পড়েনা। বড় কোন স্থাপনা থেকে শুরু করে মোটামুটি ছোট কোন স্থাপনা তৈরি করার সুযোগ পায়নি আমাদের দেশের কর্তারা। আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করি ব্রিটিশেরা আমাদেরকে নির্মম ভাবে শাসন শোষণ করেছে। নীল চাষ করতে বাধ্য করেছে, শিক্ষা দিক্ষার দিক থেকে পিছিয়ে রেখেছে। কিন্তু তারাই আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা। বাংলাদেশের যত ভাল ভাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সরকারি অফিস আদালত এমনকি জাতীয় যাদুঘর টাও ব্রিটিশদের গড়ে দেয়া। আমাদের নেতা নেতৃরা শুধু ভোগ করতে জানে, মন্ত্রি ভাই বোনেরা দুর্নিতি করতে করতে ভাল কোন কাজ করার সময়ই পান না।
এইসব নেতাদের আর মানতে ইচ্ছে করেনা। কামের কাম একটাও করে না। খালি রাজনীতি করে, শুধু শাসন আর শোষণ করে।
ব্রিটিশেরা এতটা দুর্নিতি করে নাই। অরা শুধু অত্যাচার করেছে তার সাথে সাথে উন্নতিও, কিন্তু আমাদের নেতারা অত্যাচার তো করেই সাথে দুর্নিতি, মারামারি, কাটাকাটি, চুরি, বাটপারি সব ফ্রি।
মনে হয় আগেই ভাল ছিলাম। সবাই বাংলার লন্ডনে বসবাস করতে পারতাম, প্র্যাচের অক্সফোর্ড তার সুনাম বজায় রাখতে পারতো । শুধু লন্ডন না আমেরিকা, জার্মানি, কানাডা সব জাগায় সহজেই যাইতে পারতাম। তখন কেউ বাঙ্গালি বলতে পারত না বলত ব্রিটিশ। আমরাও বলতাম “আমরা বাঙ্গালি নই ব্রিটিশ” !!!
©somewhere in net ltd.