![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভালোবাসি কবিতা লিখতে, অবসরে নিজের মনের কথা গুলো ফুটিয়ে তুলি বিভিন্ন ব্লগে বা ফেবুর ওয়ালে। পত্রযোগ https://www.facebook.com/RazuRahmanBD
রুপন্তি তার বাবাকে বলল,
"বাবা কাল তো পহেলা বৈশাখ, সবাই পানতা-ইলিশ খাবে,
প্লীজ বাবা কাল তুমি ইলিশ মাছ কিনে নিয়ে এসো"
বাবা বললেন; ঠিক আছে মা, দেখি কাল আনতে পারি কিনা !!??
রুপন্তির বাবা একজন বেসরকারি স্কুল শিক্ষক, খুব কম বেতন পান তিনি। তা দিয়ে কোন মতে সংসার চালান। রুপন্তির পড়াশোনার খরচ, সংসারের খরচ সবকিছু সামলাতে অনেক হিমসিম খেতে হয় তাকে। তার উপর মেয়ের এই আবদার। আবদার যদিও ছোট, কিন্তু পহেলা বৈশাখ ইলিশের দাম, সোনার লকেটের থেকে কোন অংশে কম নয়।
৫০০ টাকা পকেটে করে নিয়ে বাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলেন রুপন্তির বাবা। কিন্তু বাজারে গিয়ে দেখেন সবচেয়ে ছোট থেকে ছোট ইলিশ মাছের দামও ৮০০-১০০০ টাকা । তার মন অনেক খারাপ হয়ে গেল, মেয়েটির এই ছোট আবদার তিনি পূরণ করতে পারবেন না? কেমন বাবা তিনি?
তিনি হাল ছেড়ে দিলেন না, সমস্ত বাজার খুঁজলেন পাগলের মত। তবুও একটাও ইলিশ মাছ পেলেন না তার সাধ্যের মধ্যে। তিনি নিজের ভাগ্যের উপর দোষ দিলেন এবং কিছুক্ষণ নির্জনে বসে থেকে একটা পাঙ্গাস মাছ কিনে নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলেন।
দরজায় কলিং বেল বাজার সাথেসাথেই রুপন্তি দরজার কাছে গিয়ে হাজির। বাবার হাত থেকে চিলের মত ছোঁ মেরে বাজারের ব্যাগ টা নিয়ে রান্নাঘরে চলে গেল এবং অনেক আশা নিয়ে বাজারের ব্যাগ টা খুলল। কিন্তু ব্যাগ খুলে সে তার প্রিয় ইলিশ মাছ টা দেখতে পেল না।
মধ্যবিত্ত পরিবারের চাওয়া পাওয়া কিন্তু খুব বেশি না। তাদের স্বপ্ন সীমিত, ভালোবাসা সীমাহীন।
শুধু রুপন্তি না, এই পহেলা বৈশাখে এমন অনেক মধ্যবিত্ত ও গরীব ঘরের ছেলেমেয়েরা সবার মত পানতা ইলিশ খেতে পারবে না।
অথচ দেখুন, কতজনই তো এক টুকরা ইলিশ আর হাফ প্লেট পানতা ২০০০-৩০০০ টাকায় কিনে খাবে হয়তো মেলায়, বা বিলাসবহুল কোন রেস্টুরেন্টে।
©somewhere in net ltd.