![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভালোবাসি কবিতা লিখতে, অবসরে নিজের মনের কথা গুলো ফুটিয়ে তুলি বিভিন্ন ব্লগে বা ফেবুর ওয়ালে। পত্রযোগ https://www.facebook.com/RazuRahmanBD
পৃথিবীতে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কটা সবচাইতে মধুর। কিন্তু স্বামী-স্ত্রীর এই সম্পর্কটা অনেক সময় সংসারের একটা গন্ডির মধ্যে আবদ্ধ হয়ে যায়। নিজেদের ভালোলাগা খারাপ লাগা কোনকিছুকেই দেখা হয়ে উঠে না সংসারের ঝামেলায়।
স্ত্রী সারাদিন ঘরের কাজ করবে বাচ্চা-কাচ্চা লালনপালন করবে। আর স্বামী জীবিকার তাগিদে দৌড়াবে টাকার পিছু। এটা যেন একটা রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই রীতি পালন করতে গিয়ে কখন যে একজন আরেকজনের কাছ থেকে দূরে সরে যায় সেটা বুঝতেও পারে না।
একই বিছানায় পাশাপাশি ঘুমালেই একজন আরেকজনের কাছে আসা যায় না? শুধুমাত্র দেহের মিলন হলেই আত্মার পরিপূর্ণতা ঘটে না। আত্মার পরিপূর্ণতার জন্য প্রয়োজন আত্মার সাথে আত্মার মিলন।
তিরিশ থেকে চল্লিশ বছর একই স্বামীর ঘর করে, একই বিছানায় রাত কাটিয়ে, বুকে মাথা রেখে ঘুমিয়ে, একে অপরকে আদর সোহাগ করে। কিন্তু গভীর রাতে স্বামীর মৃত্যুর পর সেই স্বামীর লাশের পাশে পাঁচ মিনিটও একা থাকতে পারে না। ভয়ে তার বুক ফেটে যায়। স্বামীর লাশ যেন তার কাছে ভৌতিক একটা বস্তু।
"শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের"- একটা লাইন মনে পড়ে গেল---
"ইহা আর একটা শক্তি যাহা বহু স্বামী-স্ত্রী এক শ’ বৎসর একত্রে ঘর করার পরেও হয়ত তাহার কোন সন্ধান পায় না"
হ্যাঁ সত্যিই বহু স্বামী-স্ত্রী এক শ’ বৎসর একত্রে ঘর করে তাদের দেহের মিনল ঘটলেও আত্মার মিলন ঘটে না, আর তাইতো স্বামীর মৃত্যুর পর স্বামীর লাশের পাশে একা বসে থাকতে স্ত্রীর বুক দুরুদুরু কাঁপে !!
১৯ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৩১
রাজু রহমান বলেছেন: হ্যাঁ যুগের তারতম্য আছে এটা আমি স্বীকার করি।
হ্যাঁ ভাই আমি আপনার কমেন্টের সাথে একমত
ধন্যবাদ আপনাকে
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৩৪
নতুন বলেছেন: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় :- উনি বস কিন্তু কিন্তু উনার কোন অভিঙ্গতায় উনি এটা বলেছেন জানিনা...
আমি যতটা জানি তাতে দেখেছি.. ঐ সময়ে মানুষের মনের অবস্হায় লাস+ভয় এই চিন্তা থাকেনা...
তাই সেই অবস্তায় না পড়ার আগে এই উপসংহারে আসা ঠিক না @ রাজু...
আমার মনে হয় যারা তাদের কাছের মানুষ হারিয়েছে তাই উপরের ঘটনায় একমত হবেনা...
এই রকমের ঘটনা দুই একটা ঘটতে পারে....