নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একটি শিশির বিন্দু

একটি শিশির বিন্দু

আমি সাদাদিধে প্রক্রিতির একজন মানুষ। নিজে পুরোপুরি পজেটিভ তাই সবকিছু পজেটিভভাবেই চিন্তা করি। সৃষ্টিশীলতার প্রতি সম্মান দেখানো এই অধমের স্বভাব। সবার সুখে আমি সুখী আর সবার দুখে বড়ই কতর। পরিশেষে আবারো বলতে চাই সৃষ্টিশীলতার প্রতি সম্মান দেখানো এই অধমের স্বভাব ।

একটি শিশির বিন্দু › বিস্তারিত পোস্টঃ

জন্মে নয়, কর্মেই মানুষের আসল পরিচয়

১৭ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:১৭

আমরা সবাই জানি যে, আপন জন্মের ব্যাপারে মানুষের নিজের কোনো ভূমিকা থাকে না। উঁচু-নিচু, ধনী বা দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেয়াটা তার ইচ্ছার উপর নির্ভর করে না। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে তার ভূমিকা ও অবদানের দায় তার নিজের ওপর বর্তায়। পৃথিবীতে মানুষের প্রকৃত বিচারে তাইতো তার জন্ম-পরিচয় তেমন গুরুত্ব বহন করে না। বরং তার কর্মের অবদানের মাধ্যমেই মানুষ পায় মর্যাদার আসন, হয় সে বরণীয় স্মরণীয়।

সমাজে এক শ্রেণির মানুষ আছে যারা বংশ আভিজাত্যে নিজেদের সম্ভ্রান্ত মনে করেন। তারা বংশ মর্যাদার অজুহাতে সমাজে বিশেষ মর্যাদা দাবি করেন। কিন্তু তাদের এই প্রয়াস বাস্তবতা বিবর্জিত ও হাস্যকর। সমাজের নিচু তলায় জন্ম নিয়েও মানুষ কর্ম ও অবদানে বড় হতে পারে। মানব সমাজের ইতিহাসে এ রকম উদাহরণ অজস্র।

পদ্ম ফুলের সৌদর্যই বড়। পঙ্কে জন্মেছে বলে তাকে হেয় গণ্য করা হয় না। তেমনি মানুষের কর্মের সাফল্যই বড়, জন্ম-পরিচয়ে মানুষের বিচার হীনমন্যতারই পরিচায়ক। বস্তুত প্রকৃতির রাজ্যে মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ নেই। সমাজের এক দল মানুষ মানুষের উপর আধিপত্য স্থাপন করে ছোট বড় ধনী-গরিব ইত্যাদি ভেদাভেদ সৃষ্টি করেছে। ধর্মীয় ব্যবধান রচনা করেছে মানুষই। ফলে সমাজে মানুষে মানুষে আপাতদৃষ্টে ভেদাভেদ সৃষ্টি হয়েছে। তাই যে-কোন পেশা, যে-কোন কাজ মানুষ করুক না কেন, তা সমাজে গুরুত্বহীন নয়। তাকে অপ্রয়োজনীয় ও অবজ্ঞেয় করা সুস্থতার পরিচয়ক নয়। মানুষ যেখানেই জন্মগ্রহণ করুক বা যে কাজই করুক , সে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করছে কিনা সেটাই বিবেচ্য। মানুষের কল্যাণে সমাজের অগ্রগতিতে সে যতটা অবদান রাখে তার ভিত্তিতেই তাকে মূল্যায়ন করা হয়। সে বংশ পরিচয়ের অজুহাতে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পদ, ক্ষমতা ও দম্ভের শক্তিতে মানুষের ওপর জবরদস্তি করে সমাজে মর্যদার আসন লাভ করা যায় না।

জন্মের ভ্রান্ত কুহেলিকা ভেঙ্গে বরং কর্মের মাধ্যমে নিজের একাগ্রতা, চেষ্ঠা, পরিশ্রম, ধ্যর্যের প্রসার ঘটিয়ে যারা আজ পৃথিবীকে কলুসমুক্ত করার নিরন্তর প্রচেষ্ঠা অতীতে চালিয়ে গেছে এবং বর্তমানেও যাচ্ছে তাদের স্থান সর্বদা উচুতেই হয় আমার বিশ্বাস। মহান এই ব্যক্তিগনের মধ্যে কাজী নজরুল ইসলাম, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এর নাম না বললেই নয়, যারা জন্মে নয় বরং কর্মের মাধ্যমে নিজের পরিচয় আমাদের জানান দিয়ে গেছেন। তাই শত সহস্র স্যালুট এই মহানদের।

তাই আবারো বলতে চাই কর্মই মানুষের জীবনের আসল পরিচয়। জন্ম-পরিচয়ের উর্ধ্বে আপন কর্ম পরিচয় তুলে ধরাই মানুষের ব্রত হওয়া উচিত ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.