![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কি করে যে অনেক বছর চোখের পলকে পার হয়ে গেল তা একটুও বুঝতে পারলাম না। কাল আমাদের ত্রিশতম বিয়েবার্ষিকী। একটি করে আস্তে আস্তে এতো বছর পার হয়ে গেল। কাল আমাদের ভালোবাসার ফসল প্রথম মেয়ের বিয়ে।
১৯৫৬ সালের ৮ আগস্ট খুলনায় আমার জন্ম। মাত্র দশ বছর বয়সে মাকে হারাই। আমার বাবা তৎকালীন পাকিস্তান আর্মির কর্মকর্তা ছিলেন।
১৯৭১ সালে বাবার সঙ্গে খুলনায় সক্রিয় ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। তখন আমার বয়স মাত্র পনেরো বছর।
১৯৭১ সালে যুদ্ধে বাবা মারা যান।
বড় হই বড় বোনের সংসারে। দুলাভাই ও আপুর আদর-যতেÅ“ মানুষ হচ্ছিলাম।
বাবার ইচ্ছা ছিল আমিও যেন সামরিক বাহিনীতে যোগ দিই।
দুলাভাইয়ের সহযোগিতায় ১৯৭৪ সালে যোগ দিই সামরিক বাহিনীতে।
সদ্য ট্রেইনিং শেষ করা আমি এক তরুণ অফিসার। কুমিল্লা সেনানিবাসে ডিউটি। কোনো পিছুটান নেই আমার। একাকী স্বাধীন জীবন যাপন।
সবার খুব প্রিয় ছিলাম। আমাকে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করতেন আকবর সাহেব ভদ্রলোকের কোনো ছেলে ছিল না তাই হয়তোবা আমাকে খুব স্নেহ করতেন। স্ত্রী মারা যাওয়ার পর ভদ্রলোকের একমাত্র মেয়ে সাবিহা তাসনিমকে নিয়ে সংসার।
আমি সব সময় ওনার বাসায় যাতায়াত করতাম। শুধু ওনার সঙ্গেই কথা বলতাম। জানতাম ওনার একটি মেয়ে আছে। কিন্তু কখনো ওনার মেয়েকে দেখতাম না। আমি বাসায় গেলে সাবিহা আমাকে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখতো। এটি পরে জেনে ছিলাম সাবিহার কাছ থেকে।
চার বছর পর আমি বদলি হই চট্টগ্রাম সেনানিবাসে। চট্টগ্রাম যাওয়ার এক সপ্তাহ পর ১৯৭৮ সালের মার্চের এক সকালে ঠিকানা বিহীন একটি চিঠি পাই। এটা আমার জীবনের প্রথম কারো কাছ থেকে পাওয়া প্রেমপত্র। খুব অবাক হয়েছিলাম সেদিন। অনেক চেষ্টা করেও পত্র লেখিকাকে চিনতে পারিনি।
প্রতি সপ্তাহে একটা করে চিঠি পেতাম। এক আমাকে একটা দোকানের ঠিকানা সেই লেখিকা দিল।
আমি ওই ঠিাকানায় ওকে চিঠির উত্তর দিতাম। না দেখেই এক সময় পত্র লেখিকার প্রেমে পড়ে গেলাম।
এভাবে পার হয়ে গেল আমাদের প্রেমের দুই বছর।
১৯৮১ সালের ১ সেপ্টেম্বর একটি চিঠি পেলাম। তাতে লেখা :
প্রিয়তম
আশা করি ভালো আছ। পর সমাচার এই যে, গতকাল বাবা তোমার লেখা সব চিঠি দেখে ফেলেছেন। আমাকে অনেক বকা দিয়েছেন। নিষেধ করেছেন তোমার সঙ্গে কোনো প্রকার যোগাযোগ না করতে। বাবা আগামী ২০ তারিখে আমার বিয়ে ঠিক করেছেন। কিন্তু আমার পক্ষে তোমার সঙ্গে যোগাযোগ না করে থাকা সম্ভব নয়। আমাকে যদি তোমার ভালো লেগে থাকে তাহলে আগামী ১৯ তারিখ তুমি কুমিল্লা কোর্টবাড়ীতে এসে আমাকে নিয়ে যেও। কারণ আমি জানি, আমার স্বামী হিসেবে আমার বাবা তোমাকে মেনে নেবেন না। আর যদি তোমার আপত্তি থাকে তাহলে আমাকে জানাবে। আমি সাবিহা। তোমাকে এতো দিন আমার যে পরিচয় দিয়েছিলাম তা সব মিথ্যা। আমি তোমার অপেক্ষায় চেয়ে বসে আছি। আমি মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত। তবুও অন্য কাউকে বিয়ে করতে পারবো না।
ইতি তোমার ভালোবাসার কাঙাল
সাবিহা
চিঠিটা পেয়ে আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গেলাম। সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করলাম আপু ও দুলাভাইয়ের সঙ্গে। আমার অভিভাবক বলতে তারা ছাড়া আর কেউ নেই।
দুলাভাই তখন ঢাকা সেনানিবাসে কর্মরত। আমার চিঠি পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হলেন। দুলাভাই আমার সব কথা শুনলেন। দুলাভাই প্রস্তাব নিয়ে গেলেন সাবিহার বাবা আকবর সাহেবের কাছে।
দুলাভাইকে আকবর ফিরিয়ে দিলেন। কারণ তিনি বর পক্ষকে কথা দিয়েছেন।
দুলাভাই ব্যর্থ মনোরথে ফিরে এলেন। আমাকে প্রশ্ন করলেন, এখন তুমি কি চাও?
বললাম, আমি সাবিহাকে চাই।
১৮ তারিখে দুলাভাইকে নিয়ে কুমিল্লা চলে এলাম।
পরদিন সাবিহা বাসা থেকে পালিয়ে বের হয়ে এলো। এটাই ছিল আমাদের প্রথম দেখা। সাবিহার একটা শাদা-কালো ছবি আমার কাছে ছিল। তা চিঠির সঙ্গে সাবিহা আমাকে দিয়েছিল।
বাস্তবে সাবিহাকে দেখে আমি অনেক অবাক হয়ে গেলাম।
বিয়ের আগে দুলাভাই সাবিহার বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন।
সে রাতে আমাদের বিয়ে হয়েছিল।
সাবিহার বাবা অনেক কষ্ট পেয়েছিলেন। আমাদের সম্পর্ককে অস্বীকার করেন।
শুরু হলো আমাদের সংসার সংসার খেলা।
আপু তার বাসার একটা রুম আমাদের ছেড়ে দিয়েছিলেন।
একটা মানুষ আরেকটা মানুষকে এতো ভালোবাসতে পারে তা হয়তো আমার অজানাই থেকে যেতো।
এক বছর ছিলাম আপুর বাসায়। তারপর আমিও বদলি হয়ে এলাম ঢাকা সেনানিবাসে। কোয়ার্টার পেলাম। শুরু করলাম সাবিহাকে নিয়ে নতুন সংসার।
খুব সুখেই কাটছিল আমাদের জীবন সব দিক দিয়ে।
এভাবে দেড় বছর পার হয়ে গেল।
একদিন অফিস থেকে বাসায় ফিরে দেখি সাবিহা কাদছে। কারণ জিজ্ঞাসা করলাম।
সারা দিন একা নাকি ওর ভালো লাগে না।
সিদ্ধান্ত নিলাম সন্তান নেবো।
এর কিছুদিন পর সাবিহা কনসিভ করলো।
সাবিহার কনসিভের খবর শুনে ওর বাবা বাসায় এলেন মেয়েকে দেখতে। মেনে নিলেন আমাদের সম্পর্ক।
সাবিহাকে পাঠিয়ে দিলাম আপুর কাছে।
সারা দিন ওর সময় কাটে অনাগত সন্তানের কথা চিন্তা করে। সারা দিন পাগলের মতো কথা বলতো সন্তানের সঙ্গে। মার্কেটে ঘুরে কাপড়চোপড় কিনতো। রাতে বাসায় শুরু করতো আমার কাছে তার বর্ণনা।
বিরক্ত হতাম। তবুও ভালো লাগতো ওই পাগলামি।
১৯৮৩ সালের ১৮ ফ্রেব্রুয়ারি জরুরি অফিসার্স মিটিংয়ে ব্যস্তছিলাম। খবর পেলাম সাবিহার প্রসব বেদনা শুরু হয়েছে। মিটিং ছেড়ে পারছিলাম না সাবিহার কাছে যেতে।
আপু সব সময় ওর পাশে ছিলেন।
মিটিং শেষে বাসায় এসে দেখি আমার একটি মেয়ে হয়েছে। জীবনে বাবা হওয়ার অনুভূতি। উফ! ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না।
নাম রাখা হয় জেসমিন তাসনিম।
সাবিহা প্রথমে মেয়ে হওয়াতে মনে খুব কষ্ট পেয়েছিল। কারণ ও চেয়েছিল ছেলে। অনেক কষ্ট হয়েছিল ওকে বোঝাতে।
এভাবে দিন চলে যায়। আমাদের মেয়ে জেসমিন তাসনিম আস্তে আস্তে বড় হতে থাকলো। এক সময় বাবা ডাকতে শিখলো। আধো আধো শব্দে বাবা-আম্মু ডাক শুরু করলো।
হাটি হাটি পা পা করে আমাদের বাবু বড় হতে লাগলো।
জেসমিন হওয়ার পর থেকে আমাদের ভালোবাসার পরিমাণ আরো বাড়তে লাগলো।
আমাকে আর জেসমিনকে নিয়ে কেটে যায় সাবিহার সারাটি দিন।
তারপর এক সময় জেসমিন স্কুলে ভর্তি হলো।
১৯৮৯ সালে সাবিহা দ্বিতীয়বার কনসিভ করলো।
১৯৯০ সালের ৮ আগস্ট আমাদের ভালোবাসার বাগানে দ্বিতীয়বার ফুল ফটলো। এবারও মেয়ে। রুফাইদা তাসনিম।
জন্মদিনে দ্বিতীয়বার বাবা হওয়ার অনুভূতি। আমি অনেক খুশি। যথানিয়মে সাবিহা রাগ।
ওকে অনেক বোঝালাম, ছেলে ও মেয়ে উভয়ই সমান।
এক সময় মেনে নিল।
দিন কেটে যায় সুখে। উফ! এতো সুখ। নিজেকে ভাগ্যবান মনে করতাম। আল্লাহর কাছে সব সময় একটা জিনিস চাইতাম, আল্লাহ, আমাকে তুমি চিরকাল এমন সুখে রেখো।
আমার দুই মেয়ে এক সঙ্গে স্কুলে।
সাবিহা সেই স্কুলে চাকরি নিল।
এক সময় বড় মেয়ে ক্যাডেট-এ ভর্তি হলো।
বাসায় আমি, রুফাইদা আর সাবিহা। সুখী জীবন।
বেশি সুখ কপালে সইলো না। ঘুন পোকা আমার সুখের বাসায় আক্রমণ করলো। তছনছ করে দিল আমার সাজানো-গোছানো অনেক সুখের সংসার।
১৯৯৮ সালের ২৯ আগস্ট। বড় মেয়ে ময়মনসিংহে। বাসায় আমরা তিনজন।
সাবিহা রাতে রুফাইদাকে পড়িয়ে রাতের খাবার খেয়ে আমার পাশে ঘুমাতে আসে রাত এগারোটায়। রাত তিনটায় আমার ঘুম ভেঙে যায়। দেখি সাবিহা বিছানায় নেই। বারান্দায় দাড়িয়ে আছে।
আমি পাশে গিয়ে দাড়ালাম।
আমাকে দেখে ও বললো, আমাকে একটু আদর করবে?
আমি এগিয়ে যেতেই ও আমার কোলে এলিয়ে পড়লো গিটারের ছেড়া তারের মতো।
কিছুক্ষণ ডাকাডাকি করলাম। কোনো সাড়া না পেয়ে ভয় পেয়ে গেলাম। পাশের বাসার ভাবীকে ডাকলাম।
ভাবীকে রুফাইদার কাছে রেখে সাবিহাকে পাজাকোলে করে দৌড়ে নিচে চলে এলাম। নিস্তব্ধ শহরে আমি একা। অনেক চেষ্টা করেও রাস্তায় কোনো গাড়ি পেলাম না। কোলে করেই নিয়ে এলাম সিএমএইচ-এ।
ডাক্তার বললেন, ব্রেইন স্টোক। অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয় আইসিইউ-তে।
সকাল সাড়ে আটটায় সাবিহা আমাদের ছেড়ে চলে যায় না ফেরার দেশে।
লাশ নিয়ে আমার গ্রামের বাড়িতে কবর দিই সাবিহাকে।
সাবিহাকে যখন কবরের ভেতর রাখি তখন ভাবছিলাম, কাকে রেখে যাচ্ছি! আমার ভালোবাসা, আমার সতেরো বছরের দাম্পত্য জীবন। নিজেকে ঠিক রাখতে পারিনি তখন। জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।
তখন দুই মেয়েকে নিয়ে এক মাস গ্রামের বাড়িতে ছিলাম। এই এক মাস প্রতিদিন রাতে কবরস্থানে গিয়ে বসে থাকতাম। একা বসে আনমনে কথা বলতাম সাবিহার সঙ্গে।
আমার বড় মেয়ে এসে আমাকে ডেকে নিয়ে যেতো।
দুই মেয়েকে নিয়ে এক সঙ্গে ঘুমাতাম আর ভাবতাম, সাবিহা তুমি নেই। কিন্তু তোমার স্পর্শ আমার কাছে আছে এ দুই মেয়ের মধ্যে। ওদের কখনো এমন করে কাছে পাইনি।
এখনো যখন দুই মেয়ের দিকে তাকাই তখন সাবিহার ছায়া দেখতে পাই।
বড় মেয়ে তখন ক্লাস নাইনে আর ছোট মেয়ে ক্লাস ফোরে পড়ে।
ওদের পড়ালেখার কথা চিন্তা করে এক সময় চলে আসতে হলো সেই ঢাকায়।
ঢাকায় এসে বড় মেয়ে ময়মনসিংহ চলে যায়।
রুফাইদা আর আমি বাসায়।
এক সময় রুফাইদাকে আপু নিয়ে যান নিজের কাছে।
আমি পুরোপুরি একা হয়ে পড়ি। সেই ঘর, সেই সংসার, তার ব্যবহৃত সবই আছে, নেই শুধু সেই মানুষটা। সব কিছুতে তার স্পর্শ লেগে আছে।
তিন বছর পর রুফাইদাও ক্যাডেটে ভর্তি হয়।
ততোদিন আপুর কাছে যতেÅ“ই ছিল রুফাইদা।
মাত্র বিয়াল্লিশ বছর বয়সে বিপত্মীক হয়েছিলাম আমি। সবাই বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে থাকে।
আমি পারিনি সাবিহার স্থানে কাউকে বসাতে। আমি একাকী জীবন যাপনে ব্যস্ত হয়ে পড়ি।
মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আপু ও দুলাভাই অনেক চেষ্টা করেছেন। পারেননি।
আমার জীবনে আপু ও দুলাভাই ছিলেন রৌদ্র উজ্জ্বল দিনের বটের ছায়ার মতো। সারাটা জীবন আমাকে আগলে রেখেছেন আদর আর ভালোবাসা দিয়ে। জীবনে কখনো আপু-দুলাভাইয়ের অবাধ্য হইনি। এ ব্যাপারে তাদের অবাধ্য হতে আমার খুবই কষ্ট হয়েছিল।
এক সময় তারাও আমাকে ছেড়ে চলে যান না ফেরার দেশে।
২০০৮ সালে দুলাভাই এবং ২০১০ সালে আপু মারা যান।
অনেক কষ্ট পেয়েছিলাম সেদিন।
জীবন চলে জীবনের মতো। দুই মেয়ে ক্যাডেট কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে সামরিক বাহিনীতে যোগ দেয়।
বড় মেয়ে বর্তমানে সামরিক বাহিনীতে কর্মরত আছে। কিন্তু ছোট মেয়ে প্রশিক্ষণকালে পায়ে ব্যথা পেয়ে ফিরে আসে সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে। এক সময় দেশের বাইরে চলে যায় পড়াশোনা করতে। এখন নিউ জিল্যান্ডে আছে।
আমি একাকী আছি। দুইবার ব্রেইন স্টোক করে মৃত্যুর হাত থেকে ফিরে এসেছি। ডায়াবেটিসের রোগী আমি। রক্তে সুগারের পরিমাণ ঊনত্রিশ।
সাবিহার অনেক শখ ছিল একটা ছেলের।
সাবিহার সে শখ পূরণ না হলেও আমার হয়েছে। আমার এখন একটা ছেলে আছে। চাদের নিজের কোনো আলো নেই, সে অন্যের আলোয় আলোকিত হয়। আমিও অন্যের একটা ছেলেকে নিজের ছেলে করে নিয়েছি। আমাকে সব সময় দেখাশোনা কওে সে।
বড় মেয়েটাকে দেখে-শুনে বিয়ে দিয়েছি গত ১৪ নভেম্বর। সে চলে গিয়েছে শ্বশুরবাড়ি।
ছোট মেয়ে আমার ছেলেটাকে পছন্দ করে। ওরা নিজেদের ব্যবস্থা নিজেরা করে নেবে। আমি ওদের সেই অনুমতি দিয়েছি।
ছেলেটার একটা ব্যবস্থা বড় মেয়ে করে দেবে।
সব দায়িত্ব শেষ আমার।
আমার অসমাপ্ত কাজগুলো বড় মেয়ে শেষ করবে। এখন বাকি দায়িত্ব ওর।
এখন শুধু সাবিহার কাছে চলে যাওয়ার অপেক্ষায় আছি।
কর্মজীবন শেষ। ফেব্রুয়ারি থেকে অবসর জীবন যাপন শুরু করেছি।
জীবনে কম উপার্জন করিনি। দুই-দুইটা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান আমার। তাসনিম ফ্যাশন ইন্টারন্যাশনাল ও সাবিহা হার্ট সেন্টার। দেখাশোনা করার কেউই নেই।
মেয়েরা অবসর জীবনের সময়টুকু ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান দেখাশোনা করে কাটাতে বলছে।
আমার তেমন ইচ্ছা নেই। ভাবছি, অবসর জীবনটা খুলনায় কাটাবো। ছোটখাটো, সুন্দর একটা শহর খুলনা। তাছাড়া সেখানে আমার সাবিহা আছে। সাবিহার পাশাপাশি অন্তত থাকতে পারবো। সব সময় ওর সঙ্গে কথা বলতে পারবো।
কর্মজীবনের ব্যস্ততায় বছরে এক থেকে দুইবারের বেশি ওর সঙ্গে দেখা করার সময় পাইনি। ওকে বলার মতো অনেক কথা জমা হয়ে আছে। জীবনের শেষ কয়টা দিন না হয় ওর সঙ্গে কথা বলেই কাটিয়ে দিই!
মূল লেখক // আরিফ,
মৌচাকে ঢিল ।।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩৫
হিমু্_017 বলেছেন: