![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার কাজিন হিমেলভাইয়ার বিয়ে। আমরা সবাই এ বিয়েটার জন্য অপেক্ষা করছিলাম সব কাজিনরা একত্র হয়ে অনেক দিন পর মজা করতে পারবো এ জন্য। হিমেলভাইয়ার পছন্দেই বিয়েটা হচ্ছিল। চাচা প্রথমে রাজি হননি। কিন্তু হিমেল ভাইয়া স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি অন্য কোথাও বিয়ে করবেন না।
কি আর করা! চাচাকে রাজি হতে হয়েছিল।
চাচাকে কনের বাবা খুব করে ধরলেন। কারণ তারা বিয়ের অনুষ্ঠানটি তাদের গ্রামের বাড়িতে করতে চাচ্ছেন। চাচা তাদের সিদ্ধান্ত মেনে নিলেন। লঞ্চে এই প্রথম বরযাত্রী যাবো, এটা ভেবে আমরা সবাই ছিলাম একসাইটেড। কাক্সিক্ষত দিনটি এসে হাজির হলো। দুপুর বারোটার দিকে আমরা রওনা হলাম।
লঞ্চটি কীর্তনখোলার বুক চিরে গন্তব্যের দিকে ছুটে চলছে। সকালটা রোদে ভরা ছিল। কিন্তু হঠাৎ চারদিক অন্ধকার হয়ে বৃষ্টি শুরু হলো, সঙ্গে দমকা হাওয়া। বাতাসের বেগ ছিল প্রচ-। আমাদের লঞ্চ একদিকে কাত হয়ে পড়লো। লঞ্চে পানি উঠছে।
সবাই ভয়ে চিৎকার-চেচামেচি শুরু করে দিল। মুরুব্বিরা সবাইকে শান্ত হয়ে বেশি বেশি আল্লাহকে স্মরণ করতে বলরেন। আনন্দঘন পরিবেশটি নিমেষেই কান্নার শব্দে ভারি হয়ে গেল।
তখনকার অবস্থার কথা লিখে বোঝাতে পারবো না। আমরা মৃত্যুর খুব কাছে চলে গিয়েছিলাম। কিন্তু আল্লাহর রহমতে ঝড় হঠাৎ করেই যেমন শুরু হয়েছিল তেমনি হঠাৎ করেই থেমে গেল। সবাই যেন হাপ ছেড়ে বাচলাম। আমরা সবাই আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করলাম। পরে শুনেছি তখনকার অবস্থা দেখে মুরুব্বিরাও ভয় পেয়েছিলেন।
যাই হোক। অবশেষে আমাদের লঞ্চ গন্তব্যে পৌছালো। বৃষ্টির পর মাটির রাস্তার ছিল করুণ অবস্থা। অনেক কষ্টে আমরা কনের বাড়িতে পৌছালাম। বিয়েবাড়ির সব আনুষ্ঠানিকতা সেরে নববধূকে নিয়ে বরিশালের উদ্দেশে রওনা হলাম। বরিশালে পৌছাতে আমাদের অনেক রাত হয়ে গেল।
বিয়ের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত হিমেলভাইয়াকে প্রাকৃতিক ঝড়সহ নানান রকম ঝড়ের মুখোমুখি হতে হয়েছে।
এ জন্য আমরা এখন ভাবীকে টর্নেডোভাবী নামে ডাকি।
২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩২
পথহারা নাবিক বলেছেন: নামের সাথে পোষ্টতো একদম মিলে যাচ্ছে!!
৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫১
গ্রাম্যবালক বলেছেন: এ ভারী অন্যায়।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১৫
ডরোথী সুমী বলেছেন: টর্নেডো ভাবী! যথার্থই নাম দিয়েছেন।