![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আল্লাহর প্রতি অগাধ বিশ্বাস, হযরত মুহাম্মদের (স.) উপদেশ মত ঈমান, নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাত ইত্যাদি সম্পাদন করাই ইসলাম ধর্মের মূল। এসবের পূর্ণফল পেতে হলে নিজেকে সত্যবাদী হতে হয়। ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হযরত মুহাম্মদ (স.) ছিলেন ‘আলামিন’ অর্থাত্ সদা সত্যবাদি। তাই, আমার মনে হয় ঈমান, রোজা, নামাজ, হজ্ব, যাকাতের সঙ্গে আমাদেরকে সদা সত্যবাদী হওয়া একান্তভাবে উচিত। তা নাহলে, ইবলিস্ বা শয়তানেরা মানুষকে মিথ্যা কথা বলা শিখিয়ে বিপথগামী করে ফেলে। এই বিষয়ে আমাদের চিন্তাধারাকে আরও সজল, স্বচ্ছ ও স্পষ্ট করবার জন্য পবিত্র কুরআনের কিছু আয়াত নিম্নে প্রদত্ত করা হলো-
সূরা বাকারা-২ (আয়াত ৩০)ঃ স্মরণ কর যখন তোমার প্রতিপালক ফেরেশ্তাদের বললেন, “আমি পৃথিবীতে প্রতিনিধি সৃষ্টি করিতেছি”, তখন ফেরেশতারা বলিল, “আপনি কি সেখানে এমন কাহাকেও সৃষ্টি করিবেন যে অশান্তি ঘটাইবে ও রক্তপাত করিবে? আমরাই তো আপনার সপ্রশংস স্তুুতিগান ও পবিত্রতা ঘোষনা করি। তিনি বলিলেন, “আমি জানি যাহা তোমরা জাননা”। সুরা বাকারা-২ (আয়াত-৪২)ঃ তোমরা সত্যকে মিথ্যার সহিত মিশ্রিত করিও না এবং জানিয়া শুনিয়া সত্য গোপন করিও না। সূরা মায়েদা-৫ (আয়াত-১১৯)ঃ আল্লাহ্ বলিবেন, ‘এই সেই দিন যেদিন সত্যবাদীগণ তাহাদিগের সত্যবাদিতার জন্য উপকৃত হইবে; তাহাদের জন্য আছে জান্নাত যাহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত; তাহারা তথায় চিরস্থায়ী হইবে। আল্লাহ্ তাহাদিগের প্রতি প্রসন্ন এবং তাহারাও তাঁহার প্রতি সন্তুষ্ট; হইা মহাসাফল্য।’ সূরা আনফাল- ৮ (আয়াত- ৮)ঃ ইহা এই জন্য যে, তিনি সত্যকে সত্য ও অসত্যকে অসত্য প্রতিপন্ন করেন, যদিও অপরাধীগণ ইহা পছন্দ করে না। সূরা হিজ্র ১৫ (আয়াত ২৯)ঃ “যখন আমি উহাকে সুঠাম করিব এবং উহাতে আমার রূহ্ সঞ্চার করিব তখন তোমরা উহার প্রতি সিজ্দাবনত হইও”। সূরা হিজ্র ১৫ (আয়াত ৩০) ও সূরা তাহা ২০ (আয়াত ১১৬)ঃ আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী ফেরেশতারা সকলেই একত্রে সিজ্দা করিল। সূরা হিজ্র ১৫ (আয়াত ৩১)ঃ কিন্তু ইবলীস করিল না, সে সেজ্দাকারীদের অন্তর্ভূক্ত হইতে অস্বীকার করিল। সূরা হিজ্র ১৫ (আয়াত ৩২)ঃ আল্লাহ্ বলিলেন, ‘হে ইবলীস! তোমার কি হইল যে, তুমি সেজ্দাকারীদের অর্ন্তভূক্ত হইলে না?’ সূরা হিজ্র-১৫ (আয়াত ৩৩)ঃ সে বলিল, “আপনি ছাঁচে-ঢালা শুস্ক ঠন্ঠনে মৃত্তিকা হইতে যে মানুষ সৃষ্টি করিয়াছেন আমি তাহাকে সেজ্দা করিবার নহি।” সূরা হিজ্র-১৫ (আয়াত-৩৪)ঃ আল্লাহ্ বলিলেন, “তবে তুমি এখান হইতে বাহির হইয়া যাও, কারণ তুমি অভিশপ্ত।” সূরা- হিজ্র ১৫ (আয়াত-৩৫)ঃ “এবং কর্মফল দিবস পর্যন্ত তোমার প্রতি রহিল লা’নত।” সূরা হিজ্র-১৫ (আয়াত-৩৬)ঃ সে বলিল, “হে আমার প্রতিপালক! পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত আমাকে অবকাশ দিন।” সূরা- হিজ্র ১৫ (আয়াত-৩৭)ঃ তিনি বলিলেন, “যাহাদিগকে অবকাশ দেওয়া হইয়াছে তুমি তাহাদিগের অন্তরভুক্ত হইলে।” সূরা- হিজ্র ১৫ (আয়াত-৩৮)ঃ “অবধারিত সময় উপস্থিত হওয়ার দিন পর্যন্ত।” সূরা হিজ্র ১৫ (আয়াত ৩৯)ঃ সে বলিল “হে আমার প্রতিপালক! আপনি যে আমাকে বিতাড়িত করিলেন তজ্জন্য আমি পৃথিবীতে মানুষের নিকট পাপকর্মকে শোভন করিয়া তুলিব এবং আমি উহাদিগের সকলকেই বিপথগামী করিব।” সূরা হিজ্র-১৫ (আয়াত-৪০)ঃ ‘তবে উহাদিগের মধ্যে তোমার নির্বাচিত বান্দাগণকে নহে।’ সূরা হিজ্র ১৫ (আয়াত-৪১)ঃ আল্লাহ্ বলিলেন, ‘ইহাই আমার নিকট পৌঁছিবার সরল পথ।’ সূরা- হিজ্র ১৫ (আয়াত-৪২)ঃ “বিভ্রান্তদিগের মধ্যে যাহারা তোমার অনুসরণ করিবে তাহারা ব্যতীত আমার বান্দাদিগের উপর তোমার কোন মতা থাকিবেনা।
http://sabujsylhet.com/?p=18139
©somewhere in net ltd.