![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইন্টারনেটের দুনিয়ায় ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইটগুলো এখন তুমুল জনপ্রিয়। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ইন্টারনেট হচ্ছে মুক্ত ভারচুয়াল জগত্ একথা যেমন সত্য তেমনি ইন্টারনেটে কোনো বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত মাতামাতি সর্বনাশের কারণও হয়ে উঠতে পারে। কোন বিষয় ইন্টারনেটে কতটুকু শেয়ার করা উচিত তা মনে না রাখলে উটকো ঝামেলার মধ্যে পড়ারও আশঙ্কা থাকে। এবিসি নিউজের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মার্কিন ইন্টারনেট-নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। কোথাও বেড়ানোর পরিকল্পনা থেকে শুরু করে অফিসের বসের সম্পর্কে ভাবনা সবই ইন্টারনেটে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে দেখা যায়। ইন্টারনেটে অতিরিক্ত তথ্য শেয়ার করার প্রবণতা থাকলে বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে তথ্য চুরি, গোপনীয়তা নষ্ট ও দুর্বৃত্তের কবলে পড়ে অর্থ খোয়ানোর ঝুঁকি থাকে।
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট জেডনেটের এক প্রতিবেদনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের কোনো কিছু পোস্ট করার সময় জিওলোকেশন ট্যাগস ফিচারটি ব্যবহার সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে। যে অ্যাপ্লিকেশন বা ফিচার ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর আসল ঠিকানা, অবস্থান শনাক্ত করতে পারে সেগুলো সম্পর্কে সচেতন হতে বলা হয়েছে। জেড নেটের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর অবস্থান শনাক্ত করে তা থেকে ফায়দা হাসিল করার চক্রান্ত করতে পারে সাইবার দুর্বৃত্তরা।
ড্রাইভিং লাইসেন্স বা ক্রেডিট কার্ডের মতো আর্থিক বা ব্যক্তিগত কোনো সম্পদের ছবি পোস্ট করা থেকে বিরত থাকার কথাও বলেছেন গবেষকেরা। এ ধরনের ছবি ইন্টারনেট থেকে নিয়ে তা বিভিন্ন কৌশলে কাজে লাগিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ব্যাংক পর্যন্ত যাওয়া খুব সহজ।
কোথাও বেড়াতে যাওয়ার আগে কিংবা হোটেলে চেক ইন করার আগে ইন্টারনেটে সেই তথ্য প্রকাশ করলে বাড়িতে চুরির আশঙ্কাও বেড়ে যায়।
গবেষকেরা সতর্ক করে বলেছেন, জিওলোকেশন ট্যাগ, ব্যক্তিগত সম্পদের ছবি পোস্ট, বাড়ি ও গাড়ির তথ্য অনলাইনে দিয়ে রাখা, সব খানে চেকইন করা এবং জন্মদিনের তথ্য সবাইকে দিয়ে রাখার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
Click This Link
©somewhere in net ltd.