নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন খারাপ লাগে, তাই লিখতে বসেছি.............

একা আকাশ

পুরোপুরি নাগরিক অস্তিত্ব সম্পন্ন মানুষ।

একা আকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রথ দেখা ও কলা বেচা………..১৮.০৭.২০১৫

২৫ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১:৫১


অনেক দিন ধরেই শুনছি যে বাংলাদেশে ধামরাই উপজেলায় জগন্নাথ মন্দিরের রথ যাত্রা অনেক বিখ্যাত, প্রাচীন ও সুন্দর। যদি কেহ রথ যাত্রার ইতিহাস ও তার সমস্ত বর্ণনা জানতে চান, তবে গুলল মহাশয় সবই উত্তর দিতে পারবে, https://bn.wikipedia.org/wiki একটা লিংক ও দিলাম, আজ ঈদ উপলক্ষে ঘুরা ঘুরি , রথ দেখা ও কলা বেচার লক্ষে পরিবার সহ ঘুরে এলাম, ধামরাই এর রথ উ্যসবে। একটু সংযোজন করি, এই রথ দেখা এখনো কিছুটা অকৃত্রিম ই রয়েছে, বর্তমানে ঢাকায় যাহা হয়, তাহা স্যটেলাইট চ্যানেলের মনোযোগের কারনে……অতি কায় নাচুনি ও কুদনি হয়…….যেটা দেখে মাঝে মাঝে বাংলা লিংক এ্যড এর মতো ’বেশি বেশি’ লাগে। ভাই তুমি ভক্তি সহ রথ টানো, ট্রাক ভাড়া করে, কপালে চুলে হিন্দি গানের সাথে পোস্টার ঝুলিয়ে নাচতে হবে কেন? ইহা ডিস্টাব ছাড়া আর কিছুই না। তাই অকৃত্রিমতা জন্য ও এখন ঢাকার বাইরেই যাওয়া লাগে……..।

১) যাতায়াত পদ্ধতি……
ঢাকার অতি কাছে ধামরাই, ঈদের দিন রাস্তা ছিল ফাকা , তার উপর ঝির ঝির বৃস্টি। গাবতলী দিয়ে সোজা নাক বরাবর সাভারের স্মৃতিসৌধ, তার পাচ ছয় কিলোমিটার পরেই ধামরায়ের বাসস্ট্যান্ড। সেখান থেকে কালাম বাজারের পাশ অতিক্রম করেই রাস্তার পাশেই মন্দির পড়বে। খুবই সহজ যাওয়া। গুগল ম্যপ ও এই ব্যপারে পুরো পুরি সহায়তা দিতে পারে। Click This Link

২ ) আশে পাশে……………….
মানিকগন্ঝ জেলা হিসাবে অনেক সমৃদ্ধ। যত বারেই যাই, মুগ্ধ হয়ে যাই। আশে পাশের দৃশ্য গুলো অতি সু্ন্দর। আশে পাশের অনেক পুরাতন মন্দির ও দালান রয়েছে, তার রচনা শৈলী ভারী নান্দনিক। হাত দিয়ে স্পর্শ করলে, এখনো পুরাতন শহরের গল্প শুনতে পাবেন।

৩ )এবং রথ…..
গিয়ে দেখি, রথ টানা হবে বিকাল পাচ টায়। কিন্তু তার প্রস্তুতি পর্ব শেষ করে রাখা হয়েছে। আমার সংঙ্গে আমার মা ও বাবা এবং আঙ্কেল, আন্টি রয়েছে….। মূলত, আমি একজন দক্ষ ও অপেশাদার ড্রাইভার হিসাবেই গমন। যে কিনা, ধর্মে নাই কিন্তু উ্যসবে সবার আগে ! রথটা দেখার পর চলে গেলাম মূল মন্দিরে, বলে রাখা ভাল, মন্দির ও রথ দুটোই সংস্কার করে রাখা হয়েছে, দুই এক বছর আগে।

৪) মেলা……
রথ যাত্রা উপলক্ষে, পুরো এলাকাই একটা মেলায় পরিনত হয়। তারপর ও মন্দির ঘিরে মেলার উপস্থিতি, দেশ বিদেশ এর বহু পযটকএর ঘুর ঘুর কিছুটা আন্তর্জাতিক মাত্রার ছোয়া রয়েছে। এছাড়া দয়াল বাবা, কেবলা কাবার উপস্তিতি মেলাটাকে বৈচিত্রতা এনেছে।

৫) ভোগের প্রসাদ…………
কেহ যদি না খেয়ে যান, তাহলে বলে রাখি যে মন্দিরে টিকেট কেটে ভোগের প্রসাদ পাওয়া যায় । কোন রকম সংকোচ না করে , খেয়ে দেখবেন শেরাটনের খিচুরির খেকে কোন অংশে কম না………শুধু পার্থক্য ডেকোরেশন ও ভক্তিতে। আমার আবার ভক্তির থেকে ক্ষিদের জোর বেশি…..সুতরাং বুঝতেই পারছেন…….

৬) বেবি ডল……ও সানি লিউন……
বুঝলাম না, গেলাম ভক্তিময় জায়গায়….কিন্তু সানি আপার ‘ এই দুনিয়া পিত্তল দি’ এই গানটা কেন যেন মাথায় ঘুরছে…..পরে বুঝলাম পিতল ও কাসার দোকান দেখে ….আমার এই ভিমরতী। আসলে ধামরাই এ রয়েছে অনেক প্রাচীন পিতল ও কাসার শিল্প। সুতরাং সেই সব জায়গা ঘুরার সাথে সাথে ….গানটা গাইলেও দোষ নেই।

৭) শংঙ্খ নদী……..
ধামরাইয়ের শরীর ঘেষে ঘেষে যে নদী চলছে, তা হলো রুপময় শংঙ্খ নদী। বর্ষায় যেন, সদ্য বিবাহিত কন্যা। এ অন্চলে এসে তার রুপ দেখে যাবেন না……..বেচারী রাগ করতে পারে !

৮) তার পর……
ধামরাইএর কিছুটা পাশেই আছে , বালিয়াহাটির জমিদার বাড়ী, প্রায় পনোর কি:মি: দূরে …। এত দূরেই যখন গেছেন, আর একটু না হয় …কষ্টই করলেন, ঘুরে আসতে পারেন…..আর দেখে আসতে পারেন……আপনি কতটা দরিদ্র। আই মিন, তারা কতটুকু জমিদার ছিল…….এক দেরশো বছর আগেও তারা বর্তমান রাজা, রানীদের থেকেও ধনী জীবন যাপন করে গেছেন।
সুতরাং…….ঘুর ঘুর হুর হুর সারা বেলা….সারা দিক …..এদিক ও দিক কেটে চলে এলাম নিজের ডেরায়।
এরই মধ্যে দেখি ১২০ কি:মি: পযন্ত বেড়ানো হয়ে গেছে। মনের মধ্যে একটা গান গুন গুন করছে……’আমার এই পথ চলাতেই আনন্দ’……. ধন্যবাদ সবাই কে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:১১

শান্তি প্রিয় একজন মানুষ বলেছেন: মনে হয় খুব মজা করেছেন। আমরা সবাই আসলে বাংলাদেশের এই দর্শনীয় স্থান গুলো না দেখে বিদেশের দর্শনীয় স্থান দেখার জন্য অনেক পাগল থাকি। ধন্যবাদ এরকম পোষ্ট করার জন্য।

২৫ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:২৭

একা আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনি ঠিকই বলেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.