![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কথা ছিল, সিনেমা হলে গিয়ে বাংলা চলচিত্র দেখবো। দেখলাম, তবে ঘরে বসেই আরাম করে নতুন সালমান খানের হিন্দি চলচিত্র। আগেই ভেবেছিলাম সাধারন মারদাঙ্গা টাইপ ও ঈদের বিজনেস করার ফমূলা নিয়ে এই চলচিত্র। কথা ঠিক, বিজনেস করেছে ঠিকই, ফমুলাটাকে একটু ঘুরিয়ে দিয়ে। ভারতে প্রচুর চলচিত্র তৈরী হয়, অনেক চলচিত্র আমাদের বাংলাদেশের কর্মাশিয়াল চলচিত্র থেকে ও খারাপ হয়, কিন্তু ওরা প্রতি দশক যে হারে নিজেদের পরিবর্তন করছে, আমরা তার ধারের কাছেও নেই। এবার আসি এই চলচিত্রটি নিয়ে কিছু কথা, ধরুন আপনার মন খারাপ, কোন কিছু ভালো লাগছে না, ইট পাথরের মানুষদের দিকে তাকিয়ে ও কোন আবেগ ধরছে না। তাহলে এই চলচিত্রটি দেখে আপনার চোখে অটোমেটিক কান্না চলে আসবে। একটা সাধারন গল্প কে কিভাবে অসাধারন ও আবেগময়ী করতে পারে তারই মুন্সিয়ানা এই ছবির, যদি ‘লেলের মেরে সেলফি’ এর মতো গান ও আছে এবং অনেক ফুটেজ ও অতিরিক্ত। তার পর ও দর্শক কে ঠিকই ধরে রাখবে , এই অনবদ্য মুভিটি। আমি মুভিটির ব্যবসা সফল তার কল্যান কামনা করছি।
বাংলাদেশের চলচিত্র নিয়ে, সাধারন মানুষ হিসাবে কিছু কথা-
* আমরাও বাংলাদেশীরা চলচিত্র দেখতে চাই এবং এক দশক আগেও দেখতাম, সিনেমা হলে। কিন্তু মাত্র ৩/৪ টি হল ছাড়া আর কোন হল ই চলচিত্র দেখে ডাক্তার খরচ ছাড়া আপনি বাড়ী ফিরতে পারবেন না।
* দ্বিতীয় সমস্যা হলো টিকিট নাই, আগেই কালো বাজারে তা বিত্রি হয়ে যায়, যা এখনো হাস্যকর লাগে,
* চলচিত্রটির কোন গল্পই নাই, থাকলেও বলে দেওয়া যায়, কি হতে পারে,
* গল্পের প্রয়োজনে নারী শরীর প্রদর্শন করতে হয় , বুঝলাম । কিন্তু তা এত টাই বমি কর , যে পুরুষ মানুষের উত্তেজনাও বরফ হয়ে যায়।
* তার উপর পুরো সিনেমা ইন্ডাস্টি টা যেহেতু কাচা টাকার জায়গা, তাই মাছ ব্যবসায়ী, পুরান ঢাকার চালের গুমামের মালিকদেরই এখন জয়জয়কার , সুতরাং দর্শক ধরে রাখার কোন ইচ্ছাই মনে হয় নেই,
* তার উপর সিনামা টাইম ও একটা ব্যপার, শেষ হতে হতে রাত হয়, থাকে না কোন ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থা এবং পযাপ্ত নিরাপত্তাও নাই।
তাই এত ঝামেলা করে মধ্যবিত্তের মানুষ কস্টের টাকায় কেনই বা সিনেমা হলে যাবে? তার থেকে ইন্টারনেট থেকেই তো দেখবে , বা কপি এন্ড পেস্ট করবে, এটাই স্বাভাবিক।
আমি ব্যক্তিগত ভাবে আর্ট ফিল্ম, মন্চ নাটক ও শর্ট ফিল্ম এর পরিবেশের সাথে অনেকদিন ধরেই অল্প বিস্তর যোগাযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের এই সব জায়গায় এখনো অনেক ভালো কাছ হচ্ছে, শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন। আমাদের মেধা রয়েছে, শুধু নাই উপযুক্ত সিস্টেমএর রোড ম্যাপ। সবই যেন রাজনৈতিক। হাগু ধরলো, সেটাও রাজনৈতিক। তাই নির্মল বিনোদন চলচিত্র, সেটাও চামচা ও অতি জ্জানী দের দখলে চলে গেছে।
’ডার্টি পিকচার’ মুভির একটা ডায়লগ আছে, দর্শক চায় ইন্টারটেইনমেন্ট , ইন্টারটেইনমেন্ট ও ইন্টারটেইনমেন্ট। সুতরাং উন্মুক্ত বিশ্বের মতো এখনো শাকিব খান, অপু বিশ্বাস ও আরো অনেকের ক্ষেত স্টাইল আমাদের চাইলেও জোর করে গিলিয়ে দেওয়ার টাইম চলে গেছে। আমরা মধ্যবিত্তের দল চাই , টমক্রুজের মতো ষ্টাইল, শাহরুখের মতো ডায়লগ থ্রো, মোস্তফা সারোয়ার ফারুকীর ব্যচেলর চলচিত্রের উন্মাদনা।
তাই ডিম আগে না মুরগী আগে, এই তর্ক না করে, পুরাতন সিনেমা হল গুলো সংস্কার করা উচিত। ধরেন সংস্কার করলো, তার পর কি হবে, ’এই মন, তোমাকে, আমাকে, তাহাকে দিলাম, টাইপ মুভি দিয়ে সিনেমা হল চলবে না। আবারো, শেওলা জমে যাবে । তাই দরকার, ঝকঝকে নতুন ঈদের মুভি, পুজার মুভি, নববর্ষ এর মভি। হিন্দি নতুন মুভিও, ইরানী, আমেরিকান, ফ্রান্স ইত্যাদির মুভি আমাদের বাজারে ওপেন করে দিতে হবে। তাহলে হল মালিকরা, ব্যবসা কন্টিনিউ করবে। আর সিনেমা হল ভেঙ্গে, মার্কেট বানাবে না।
তাই সরকাররের উচিত, নিজে না পারলে, দাতা সংস্থা গুলোর সাথে চলচিত্রের ব্যপারে নতুন নতুন প্রজেক্ট করে , এমনকি ফ্রান্স, ভারত, আমেরিকার চলচিত্র ইন্ডাস্টির সাথে একটা লিংক আপ করে , আমাদের বিনোদনের ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করা। এতে রাজস্ব ও বাড়বে, জনসাধারনের কল্যান ও আমাদের মযাদা বাড়বে। আমরাও ইরানি মুভির মতো একটা রেভুলেশন এনে দিতে পারবো।
©somewhere in net ltd.