![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পর্ব ১-
সময়: ৩:৪৫ মি: ৩ সেপ্টেম্বর, ২০৩০
ধুসর থাই গ্লাসে চোখ রেখে পূব আকাশের পুরোটা দেখা যায়। আশে পাশে অনেক দালান কোঠা। কিন্তু মারুফের বাড়ীর উচ্চতা আশুলিয়া, মিরপুরের মধ্যে সর্বোচ্চ, প্রায় ৭০ তলা। পাশের দালান টা মাত্র তিরিশ তলাতেই আটকে আছে।তাই শুয়ে শুয়ে আকাশের রংয়ের পরিবর্তন মাপা যায়, চাইলে ছোয়া ও যায় ।মূলত জানালা বললে ভুল হবে, অনেক উপরের তলাকে সে বেছে নিয়েছে, একটু নিরিবিলি ঢাকা শহর কে কফি খেতে খেতে দূর থেকে দেখার স্বাধীনতার জন্য। এই জন্য অবশ্য অনেক টাকা গুনতে হয়েছে । তা প্রায় ৫০ কোটি টাকার মতো। তবু ও শান্তি। মাত্র ২টি ষ্টুডিও বেড, ৩টি বাথরুম, ড্রয়িং, ডাইনিং সহ ১২ শো বর্গফুটের ফ্লাট।ছোট ফ্লাট। ছাদের উপর হেলিপ্যাড, ২৫ তলায় সুইমিং পুল, কমিউনিটি হল, লাইব্রেরি, সিনেমা হল, শপিং মল সহ সব কিছুই আছে।
আজ কিছুতেই মারুফের সহজাত ঘুম আসছে না। পাশেই তিন বছরের ছেলে অর্নব ও স্ত্রী লীনা শুয়ে আছে গভীর ঘুমে। বিবিসির সংবাদ এবং মাসুদ ভাইয়ের বিফিং এর পর কেমন জানি উসখুস উসখুস লাগছে। মনটা ও শরীরের চনমনে ভাব ফিরিয়ে আনার জন্য হালকা করে লীনার ঘন চুলে একটু হাত রাখলো। দেখলো লীনার ঘুম সাত আসমানী স্তরে প্রবেশ করেছে। দেব দূত ইন্দ্র ছাড়া সেই স্তর কেউ প্রবেশ করতে পারবে না, এই মূহুর্তে। আর বেচারীর বা কি দোষ। মারুফের ছয় ফুট উচ্চতার , আর্মি ট্রেনিং এর বানানো শরীরের কোষে কোষে লীনা যেভাবে আজ রাতে সমস্ত সুখ সংগ্রহ করে নিয়েছে, তার জন্য পূর্ন বিশ্রাম দরকার। হয়তো সেই সপ্তম স্তর তারই বহি:প্রকাশ। লীনার বয়স মাত্র ২৯ এবং ছেলের জন্মের তিন বছর পর ও যেভাবে শরীরটাকে মেইনটেইন করছে তাতে বয়স ২৪ এর উপর উঠতেই দেয় নি। বাচ্চাটা নেওয়ার পর আরো ভরা পূনির্মার মতো জোলুসের ঢেউ খাচ্ছে। মারুফ তাই এই গভীর রাতে চেয়ে আছে, লীনার ঘুমন্ত মুখের দিকে। কিন্তু মনের মধ্যে অশান্তি। বার বার ই মনে হচ্ছে, কোথায় যেন কি ঘটছে !
পর্ব ২.
সকাল ১০:০০, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৫
উত্তরার অফিস পাড়াটা মূলত মাল্টিনেশান্যাল অফিসদের ঘিরেই। গার্মেন্টস বায়িং হাউস গুলো গিজগিজ করছে। বেশির ভাগই সরু হয়ে যাওয়া আশুলিয়া নদীর তীর ঘেষা ২০তলা বিল্ডিং। সরকার নিয়ম করে দিয়েছে, ২০ তলার বেশি দালান করা যাবে না। মারুফ এর অফিস তার ই একটা বিল্ডিং এ। আর ফেক্টরি, নারায়ন গন্জ। আর্মি থেকে আরলি রিটেয়ারমেন্ট এ গিয়ে কিছু মূলধন নিয়ে ব্যবসা শুরু করে। তরুন, সাহসী, চৌকষ ও মিশুক ব্যক্তিত্বের জন্য সবার কাছে সে প্রিয়। আর্মিতে থাকা কালীন রাষ্টপতির রেজিমেন্টে ও কিছু দিন কাজ করেছিল। মারুফের বাবা উচ্চপদস্থ সরকারী আমলা হওয়ায় রাষ্টপতি ও সরকারী বড় কর্মকর্তারা বেশ ভালোবাসতো মারুফ কে। রেটিয়ারমেন্ট এর পর, সেই সব চ্যানেল কে কাজে লাগিয়ে আজ সে এখন ঢাকা শহরের অন্যতম সফল ব্যবসায়ী। এছাড়া পার্টিবয় হিসাবে তার সুনাম কম না। চোখের মধ্যে কি জানি এক ধরনের আগুন পোড়া ছাই এর সিগ্ধতা আছে, মেয়েরা তা লুফে নেয়। খু্বই সহজ তার তাকানো । কিন্তু সেই তাকানোয় আছে, হদয় কেড়ে নেওয়ার ক্ষমতা । মেয়েরা তাই স্বঘোষিত আত্মসর্মপন করে । এই নিয়ে লীনার সাথে বিয়ের আগে বহু বাজার কাহিনী আছে।
সকাল বেলা ট্যাবে পত্রিকা পড়তে পড়তে অফিসে যখন চা খাচ্ছিল, তখনই মাসুদ আলমের ধীর প্রবেশ। মাসুদ আলম অথাত মাসুদ ভাই। বয়স ৪০, বর্তমানে ব্যবসায়ী, সাবেক আমলা।ঘরে ঢুকতেই চাবিয়ে চাবিয়ে শুরু করলেন ‘কিহে ০০৭, এখনো ট্যাবে?সকালের খবর দেখছো? কিছু পেলে? ইউএস কিন্তু যথেষ্ট বিরক্ত পাকিস্থানের উপর, এটা কি তুমি বুঝতে পারছো? আমরা ২০৩০ সালের মাথায় গার্মেন্টএ ফাষ্ট, চীন কে হটিয়ে। রাশিয়া যতোই প্রীতি দেখাক না কেন,আমাদের প্রতি।কেন সে ৩০০ MH 530 নতুন রাশায়নিক অস্র সহ জঙ্গী বিমান পাকিস্থান কে দিতে গেল? ভারতের কথা পযন্ত কথা কানে নিল না?’ বলেই চুপ করে চেয়ার এ বসে গেল।
মারুফ,’ মাসুদ ভাই, কি যে বলেন। এই সব। সেই রাষ্টীয় ইনটিলিজেন্স গ্রুপে কিছু দিন কাজের অভিজ্জতা আপনাকে দেখি এখনো ভুগাচ্ছে?
মাসুদ আলম,’ মারুফ, সব খবরই রাখতে হয় , বুঝলে বাছা। ব্যবসা করছো, আর খবর রাখবে না। রাজনৈতিক স্তিতিশীলতা না থাকলে ও তো শিপমেন্টই মার খাবে, ব্যবসা তো লাটে উঠবে।তাই আদার ব্যপারী যেহেতু করি, জাহাজের খবর রাখতেই হয়।’
মারুফ মনে মনে ভাবে, কথা ঠিক। গত বছর ২০২৯ সালের টানা কয়েক ঘন্টা শ্রমিক বিরতীর কারনে, তার প্রায় ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতি হয়েছে। সেটা হয়তো পোষানো গেছে, কিন্তু একটা ভয় ধরিয়ে দিয়েছে। ছোটবেলায় প্রায় ২০/২৫ বছর আগে এই দেশে টানা হরতাল হতো। ফলে গার্মেন্টস ব্যবসায় চীনকে টপকাতে পারে নাই ।কিন্তু আজ এত দিন পর স্থিতিশীল গনতন্ত্র আসার ফলে দেশ অনেক এগিয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশ এখন সিঙ্গাপুর , মালয়শিয়া থেকেও বিভিন্ন বিভাগে উন্নত। দেশের মানুষ দেশেই থাকছে। বাইরে কেউ যেতে চায় না। কিন্তু মাসুদ ভাই যে খবর টা প্রেডিকশন করছে, তা মারুফ কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছে না। যদি সেটা সত্যি হয়, তাহলে আবারো বিশ্ব যুদ্ধ লেগে যেতে পারে এবং সেটা পরিচালনা করবে, এশিয়ার দেশ গুলো।ভাবতেই আতংকে চুপ হয়ে যায় মগজের সমস্ত কোষ গুলো। সিগারেটের ধোয়ায় কোথায় যেন জটলা পাকায়, মনের অজান্তে। মারুফ চুপ চাপ সিগারেট খেতে থাকে।
পর্ব ৩.
১৫ আগষ্ট,২০৩০ দামেস্কো, সিরিয়া
এক দশক আগে রাষ্টীয় প্রধান বাশার আল-আসাদের সাথে গৃহ যুদ্ধের ক্ষত সিরিয়া এখনো পোষাতে পারে নি। পাশের দেশ গুলোর দখলদারীর রাজত্ব এখন অনেকটা লজ্জাহীন ভাবেই চলছে। ইরাক ও জর্দানের নতুন সীমান্ত সমস্যা আরো প্রকট করছে। যদিও ন্যটোর কাছে আই, এস জঙ্গী বাহিনী কিছুটা দূর্বল।তথাপি এশিয়ার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ও সমৃদ্ধ দেশ গুলো প্রতি তাদের বর্তমান টার্গেট। এই ক্ষেত্রে পাকিস্থান, দুবাই ও মায়ানমারের বিরাট মাফিয়া বাহিনী সক্রিয় । তারা চায়, আই, এস নেটওয়াক দিয়ে এখনো কিছুটা বিশৃঙ্খলা তৈরী করা। আর সেই উদ্দেশ্যে, দামেস্কোর শহরের শেষ সীমানায় একটা ভাঙ্গা বাড়ীতে যা আই, এস নিয়ন্ত্রিত সেখানে জমায়েত হয়েছে সবাই। অপারেশন ‘নিউ ওয়ার ২০৩০’।সবাই মূলত ছদ্মবেশী এজেন্ট। কেউ পাকিস্থানের, কেউ আরব আমিরাতের, কেউ মোসাদ এর । উদ্দেশ্য অপারেশন ‘নিউ ওয়ার ২০৩০’ যেন সফল হয়। আপাতত, ৮০০ বিলিয়ন ডলারের প্রজেক্ট। প্রায় ১লক্ষ আই এস জঙ্গি সরাসরি অপারেশনে অংশ গ্রহন করবে।তাদের ট্রেনিং প্রায় শেষ পযায়ে। অপারেশনটা হবে, বঙ্গোপসাগর হয়ে রাতের শেষ দিকে একযোগে আক্রমন। রাসায়নিক অস্র ও প্রয়োগের অর্ডার আছে। প্রায় তিন ঘন্টার অপারেশন। ২০০ বিশেষ Bell H-1 হেলিক্প্টার অংশ নিবে। উদ্দেশ্য সফল হলে, দক্ষিন এশিয়ার মানচিত্রই পাল্টে যাবে। লাভবান হবে, বিশেষ বিশেষ দেশ। আর সবচেয়ে বেশি উৎসাহিত হবে পৃথিবীর সন্ত্রাস।
পর্ব ৪.
মারুফ আর বিছানায় শুয়ে থাকতে পারে না। উঠেই হাত মুখ ধুয়ে, বারান্দায় চলে আসে। এখনো রাত ৩ টা বাজে নাই। কিন্তু আকাশে কি জানি দেখা যায়? মারুফের চোয়াল শক্ত হয়ে আসে । আর্মিতে থাকা কালিন সময়ে, কঠিন সময় গুলোতে তার মাথা অনেক শার্প কাজ করতো। দ্রুত ফ্রাস্ট ট্রাকের বিশেষ এডিশন এম ৫ ঘড়িটা পড়ে নেয়। আলমারি থেকে দ্রুত আমেরিকার পাসপোট, ডলার ও রিভলবার টা নিয়ে নেয়। সময়ের হিসাবে মাত্র ১৩ সেকেন্ড সময়ে শেষ করে কাজ। এখন কাজ হলো লীনা ও ছেলে টা কে তাড়াতাড়ি রেডি করা। যেটা করতে লাগবে ১ ঘন্টা। সেই সময় আজ নেই। দেশ এখন ৫০০ বছরের সর্বনাসী খপ্পরে পড়তে যাবে। প্রতিটি সেকেন্ড এখন কোটি কোটি মানুষের জানের সমান। লীনা কে এক টানে উঠিয়ে , বাচ্চাটাকে কোলে নিয়ে কমান্ড করে ঘর থেকে নেমে এলো। লীনা এখনো বুঝতে পারছে না কি হলো, কি হতে যাচ্ছে ।মারুফ বলল, এখনই যেতে হবে এয়ার পোর্ট। ঘড়িটা ইন্টারনেট যুক্ত। এরই মধ্যে আমেরিকার ফ্লাইট বের করে ফেলেছে সে। মাত্র ২ ঘন্টা বাকী। লীনা কে বলল, সব কথা গাড়ীতে হবে।
গাড়ীতে উঠেই লীনাকে জিনস, টপস পড়তে বললো। লীনার পড়নে হলুদ নাইটি। আর মোবাইল ফোন থেকে ক্রেডিট কার্ডএর পিন ব্যবহার করে, ঢাকা টু ফ্লোরিডার ফ্লাইট টিকেট পারচেজ করতে বলল। লীনা স্মাট মেয়ে। কেনাডিয়ান স্কলার। এক কালে র্যাম্পে অনেকদিন কাজ করেছে। তারকা খ্যাতি ও কম না। আর তার বাবা কেনাডিয়ান লোক। মা বাঙ্গালী। চেহারায় বনিয়াদী ভাব টা দূর থেকে দেখলেই বোঝা যায়। কিছু দিন আমেরিকায় একটা ফার্মেএ কাজ করতো। সেখানেই মারুফের সাথে পরিচয়। তার পর লিভ টুগেদার এবং অবশেষে বিয়ে। গাড়ী প্রায় ১৫০ কি:মি: জোড়ে চলছে। আশুলিয়া বেরিবাধ হয়ে মিরপুর ডিওএস হয়ে ওভার ব্রিজ দিয়ে এয়ার পোট। প্রায় ১২ মিনিটের পথ্। মারুফ জানে আজ সেটা ৫মিনিটে শেষ করতে হবে। কিভাবে তা জানে না। সে এই রাতে ছুটছে প্রচন্ড বেগে। লীনা ও গাড়ীর পিছনের সিটে বসে, এক টান দিয়ে নাইটি টা খুলে সাদা টপস ও জিনস প্যান্ট মুহুতে পড়ে ফেলল। সেই সাথে সেল ফোনের মাধ্যমে টিকেটের কাজ ও শেষ। এরই মধ্যে মারুফ এয়ারপোট এ চলে এসেছে। ৫ মিনিটের জায়গায় সময় লেগেছে, ৭ মিনিটি ৩ সেকেন্ড। আমেরিকান মাল্টিপল ভিসা সবার আগেই নেওয়া আছে। প্রতি ছয় মাসে এক বার অন্তন্ত জাওযা হয়। সেখানে বিজনেস , পরিবার সবাই আছে। মারুফ সম্পূন নিশ্চিত কি হতে যাচ্ছে, আর ৩ ঘন্টা পর। সে তার অপারেশন শুরু করে দিয়েছে, শত্রুপক্ষকে কিছু বোঝার আগেই।
পর্ব ৫
মাসুদ ভাই ’র’ থেকে আগেই একটা খবর পেয়েছিল। এছাড়া বাংলাদেশ জাতিসংঘের শান্তি রক্ষীর গোপন ক্লাসিফাইড নিউজ থেকে ডিজিএফআই আচ করতে পাচ্ছিল, কিন্তু বিশ্বাসই করতে পারছিল না। এত বড় অপারেশন এর রিস্ক কি নিবে? আই এস? অপারেশন সফল হলে বিশ্ব যুদ্ধ। আর সেটাই আজ গভীর রাতে মারুফ মনে মনে ভাবছিল এবং আকাশে অনেক উপরে হ্যালিকপ্টারের নিভু আলো ছায়া নিশানায় সে কর্নফাম হয়েছে, অপারেশন রান করা হয়েছে। মারুফের একটা বাইনাকুলার আছে। নাসা থেকে তার ভাই তাকে পাঠিয়েছিল। এমনকি অনেক দেশের ইনটিলিজেন্টস গ্রুপ এর কাছেও তা নেই । মাত্র কয়েকিটি এডিশন নাসা তৈরী করেছে, মারুফ বিশেষ অনুরোধে তা আনতে পেরেছে। সেখানেই সে দেখতে পেয়েছে, আকাশের প্রায় ৭০ হাজার ফুট উচু তে প্রায় রাডার কে ফাকি দিয়ে হ্যালিক্পটার গুলো ঢাকার পথে এগুচ্ছে। কি ভাবে সম্ভব? সরাসরি বঙ্গোপসার বরাবর হয়ে আসা। মারুফের মনে হতে লাগলো, শুধু মাত্র ঢাকা শহর কে কেন্দ্র করে তাদের অপারেশন। ঢাকা রাজধানী। শুতরাং ঢাকা কে আক্রমন করতে পারলে, বহি: বিশ্বের কাছে আই, এস এর শক্তি কতো বড় তা দেখানোর চমৎকার সুযোগ। এছাড়া বাংলাদেশে উগ্র ধর্ম ভিত্তিক বহু সংগঠন আছে, যা সরাসরি তাদের সাপোট করে, তাদেরও উত্থান ঘটবে। সুতরাং সারা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ ২০৩০ সালে যে ভাবে তিলে তিলে উজ্জল তার কালিমা লেপন করার মধ্যপ্রাচ্যর আরেক টা চেষ্টা। অনেক ত্যাগের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্ম ১৯৭১ সালে। মুক্তিবাহিনী, বাংলার জনগন স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিয়েছিল মাত্র ৯ মাস যুদ্ধ করে। আবারো এই দেশ টাকে পেছনে ফেলার চেস্টা। মারুফ ভাবতে থাকে, তাকে অনেক কিছু করতে হবে। সেই সময় সে ছিল না। তার জন্মই হয় নি। কিন্তু আজ সে প্রশিক্ষিত এক জন আর্মি অফিসার। তার অনেক দেওয়ার আছে এই দেশকে। তার ই সেরা সুযোগ, আবারো মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার। মুক্তিযোদ্ধারা যুগে যুগে জন্মায় , দেশের জন্য।
পর্ব ৬
লীনা কে পাচ মিনিট বিফিংএ সব গুছিয়ে বলে, লীনাকে কি করতে হবে। আপতত তাকে ফ্লোরিডায় মা বাবার কাছে যেতে হবে। পরে তার সাথে কনটাক হবে। লীনাকে ও বাচ্চাকে জড়িয়ে ধরে বিদায় জানায় মারুফ। তার অনেক কাজ। তাকে এখন যশোর বর্ডারে যেতে হবে। সেখানে যশোর বেইস ক্যাম্প এ মেজর জেনারেল আবীর আহমেদ আছেন । বাইরের এই সন্রাসী অপারেশন কে নষ্ট করতে হবে। পৃথিবীকে জানাতে হবে কি হতে যাচ্ছে। হয়তো ২০০ হেলিকাপ্টার ৭০ হাজার ফিট থেকে নীচে নামার সাথে সাথে র্যাপিড ফাইরিং করলে নিমিষেই আকাশে ধুলার মতো উড়ে যাবে। তাছাড়া বঙ্গপোসাগরে তাদের জাহাজের বেইজ ক্যাম্প ডুবিয়ে দিওয়াও ৫ মিনিটের কাজ। সেই সব সিদ্ধান্ত গুলো নেওয়ার এখনই সময়। দেরী হয়ে গেলে সবুজ বাংলা ধুলোময় বাংলা হয়ে যাবে। মারুফ, আর পিছনে ফিরে তাকায় না। এয়ারপোটে তার প্রাইভেট এফ জি টি হ্যালিকাম্পরে রওয়া হয়ে যায় যশোর এর উদ্দেশ্যে। ভোরের নতুন আলো এখনও ফুটতে অনেক বাকী।
©somewhere in net ltd.