নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমুদ্রের যেমন জোয়ার ভাটা আছে, মানুষের জীবনে তেমনি জোয়ার ভাটা আছে। সমুদ্রের এদিক টার সাথে মানুষের জীবনের বড্ড মিল খুঁজে পাই ...

রামিসা রোজা

রামিসা রোজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুই ভূত

০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৩



এক : অনেক বছর আগে আমি যখন ক্লাস ফাইভ /সিক্সে পড়তাম তখন আমাদের বাসায় ঢাকার বাহির থেকে আমার চাচাতো বোন এসেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কোচিং করার জন্য । তখন সিদ্ধান্ত হলো , ওই আপা আমার সাথে এক বিছানাতেই থাকবেন । আমি মহা খুশি হলাম , যাক একজন গল্প করার সঙ্গী-সাথী হলো । ওই আপার নাম নাসরিন।
রাতে বিছানায় শোয়ার পর মজার মজার গল্প কথাবার্তা চলতে থাকে । নাসরিন আপা আমাকে বললেন তুমি রাতে দুই বেনী করে ঘুমাও কেন ? আমি বললাম শুনেছি এতে নাকি চুল লম্বা হয় দ্রুত । নাসরিন আপা আমার মতো দুই বেনী করে রাতে ঘুমাতেন । নাসরিন আপা প্রায়ই মেক্সি পড়তেন । একদিন হলো কি উনি একদম অফ হোয়াইট কালার এর ওপর গোলাপী ছোট বল বল (গুলাপি নাই বললেই চলে) সেটা পড়ে ঘুমালেন।এবং ঐদিন ওনার মাথা ব্যথা ছিল এবং তিনি ঘুমানোর আগে মাথায় অনেক পানি দিয়েছেন তাইচুল আর বেঁধে ঘুমান নাই ।
রাতে আমিও কি কারণে যেনো নাসরিন আপা ঘুমানোর আগে আমি ঘুমিয়ে গেছি বলতে পারিনা ।
আর ঐদিন রাতে হঠাৎ করে ঘুম ভাঙ্গার কারণে তাকিয়ে দেখি, পুরো মাথা উপর করে চুল গুলো ছড়িয়ে বসে আছেন । আমি মধ্যরাতে এতটাই ভয় পেয়েছিলাম ভূত ভূত বলে চিৎকার করে উঠলে বাসার সবাই তখন এসে আমাদের রুমে এসে জড়ো হয়েছেন।
আমার বয়স তখন অল্প অথচ আমি অনেক বকা খেলাম ।

দুই: আমরা যে বাসায় থাকি সে বাসার একটু দূরে দূরে চারতালা /পাচতালা বিল্ডিং এবং মাঝে মাঝে একটু ফাঁকা খালি প্লট পড়ে আছে । আমাদের বাসার পাশে একটা খেলার মাঠ সাথে ছোট্ট একটা দোকান এবং তার পরে আরেক টা বিল্ডিং । এটা সেই নাসরিন আপা আমাদের বাসায় থাকা সময়কার ঘটনা । নাসরিন আপার সাথে সামনের বিল্ডিং এ থাকা একজন খুব সুন্দরী তিনি আপাও( রুবা) বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার জন্য কোচিং করছিলেন । আমাদের বাসায় দুই-তিনবার এসেছেন মাত্র । সেই রুবা আপা আমাদের পাড়ার মধ্যে আলোচিত সুন্দরী মেয়ে ছিলো । কি কারনে যেন উনি বাথরুমের জানালার সাথে ওড়না গলায় পেচিয়ে সুইসাইড করেন । উনার কথা মনে হলে ভয় লাগতো আরো অনেক রাত ঘুমাতে পারি নাই। আমাদের বাসার সাথে নাসরিন আপার কারণে রুবা আপার পরিবারের সাথে সখ্যতা গড়ে ওঠে । আমার মা একদিন সন্ধ্যাবেলায় আমাকে উনাদের বাসায় পাঠালেন কিছু পিঠা ও একটা নারিকেল দিয়ে যা পাঠালেন ।
মাগরিবের আজানের পর সন্ধ্যা নামলে রাস্তাঘাট একটু নীরব হয় তাই তখন আমি আর আমার ছোট ভাইই সেগুলো নিয়ে যাচ্ছিলাম কিন্তু একটু সামনে এগুতেই দেখি যে রুবাআপা সুইসাইড করেছিলেন তিনি খুব স্বাভাবিকভাবে আমাদের সামনে এগিয়ে আসছেন শাড়ি পরা অবস্থায় । মৃত মানুষ এভাবে দেখে আমি আর আমার ছোট ভাই রাস্তায় পিঠা নারিকেল ফেলে দিয়ে রাস্তার ভূত ভূত বলে চিৎকার করে এক দৌড়ে বাসায় আসলাম । আমার মনে হয়েছিল আমি সেখানেই মরে যাবো । আসল ঘটনা হলো , যাকে দেখে আমরা ভয় পেয়েছি তিনি হচ্ছেন সেই মৃত আপার জমজ বোন । উনাকে কখনো দেখি নাই কারন বছরখানেক আগে উনার বিয়ে হয়ে যায় অন্যত্র চলে গিয়েছিলেন । ওই দিনের অভিজ্ঞতা ছিল আমার ভয়ঙ্কর সাংঘাতিক কারণ মনে হয়েছিল মৃত ব্যক্তির আত্মা দেখতে পাচ্ছিলাম ।

উপরের উল্লেখিত দুটো ঘটনা আমার কাছের মানুষরা অনেকেই জানে তাই ভাবলাম এখানে শেয়ার করি । তখন অনেক ছোট ছিলাম তাই এই ঘটনাগুলো সেসময়ের একটা বাচ্চা মেয়ের জন্য কিছুটা ভয়ানক ই বটে কিন্তু এখন মনে হলে হাসি পায় ।

মন্তব্য ৩৯ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৩৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:১৭

ওমেরা বলেছেন: আমিও তো ভয় পেয়ে গেলাম আপু ! সত্যি যদি কোন মৃত মানুষ সামনে এসে দাড়ায় কেমন লাগবে তখন ।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:২০

রামিসা রোজা বলেছেন:
সত্যি ভয় পেলেন , উফ তাহলে লেখাটা সার্থক হয়েছে ।
তাহলে এবার বুঝুন আমার ওই সময় কি অবস্থা হয়েছিলো । অনেক ভালো লাগলো এই সামান্য লেখায়
আপনাকে পেলাম ।
ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৩৬

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হা হা হা আপি আমি কেনো যে ছোটবেলা থাইকা এই পর্যন্ত ভুত দেখি নাই ভয়ও পাই নাই।।
ঘটনা মজা লাগলো

০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:২৪

রামিসা রোজা বলেছেন:
আপনার ভাগ্য ভালো আপা সেজন্য আপনি কখনো ভূত দেখান নাই।
একটা কথা আছে না , বনের বাঘে খায় না মনের বাঘে খায় ।
আমার হলো পরবর্তীতে এই অবস্থা। ভুতের ঘটনা আপনার পড়ে মজা লেগেছে সেজন্য আমিও আনন্দিত।
আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা।

৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:০৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: এমনিতে ভয়ে ভয়ে আছি । এখন আবার ভূতের ছবি দেখছি

০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:২৬

রামিসা রোজা বলেছেন:
জানি গল্প পড়ে ভয় পাবেন না সেজন্য ভয়ের একটা ছবি দিলাম ।
অনেক শুভকামনা ।

৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:০৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আমিও কখনো পেত্নী দেখিনাই
ছেলেদের সামনে নাকী পেত্নী
আর মেয়েদের সামনে ভূত আসে !!

০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:২৭

রামিসা রোজা বলেছেন:
মজা পেলাম আপনার মন্তব্য পড়ে ।
বাস্তবে পেত্নী না হয় নাই দেখলেন,
জান্নাতে তো আপনাদের জন্য হুরপরীরা আছেই ।
ধন্যবাদ আপনাকে ।

৫| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:২৩

উম্মে সায়মা বলেছেন: ছোটবেলা থেকে আমরা ভুতের গল্প শুনে বড় হই বলে সহজে ভয় পেয়ে যাই। বিশ্বাস করি বলে।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৩২

রামিসা রোজা বলেছেন:
আমার পোস্টে প্রথম পেয়ে অভিনন্দন !!
আমাদের সময়ের শৈশবে পুতুল খেলা সহ অন্যান্য খেলাধুলা করে বড় হয়েছি আর মায়ের মুখের নানান
গল্প । তাই হয়তো আমরা একটু ভীতু প্রকৃতির ছিলাম ।
আর এখনকার বাচ্চারা খেলাধুলা সামান্য করে বৈকি কিন্তু অ্যাপস এর উপর নির্ভরশীল।
ধন্যবাদ আপনাকে।

৬| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:২৮

ঢুকিচেপা বলেছেন: নকল হলেও ভৌতিক অভিজ্ঞতা হয়েছে।
দুইবার যখন হয়েছে তখন তৃতীয়বারের অপেক্ষায় থাকুন, এবার নিজেই ভয় দেখাবেন ভুতদের।

“ ওই আপনার নাম নাসরিন।”
এখানে মনে হয় “আপা” হবে।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৩৬

রামিসা রোজা বলেছেন:
হা হা হাসালেন আপনি আমাকে।
নকল হলেও ভৌতিক অভিজ্ঞতা হয়েছে --সে কি আর বলতে হয় কি যে ভয় পেয়েছিলাম । আম্মা রাত্রে আমাকে দোয়া পড়ে ফু দিলে তারপরে আমার ঘুম আসতো ।
ঠিক ঠিক চান্স পেলে কাউকে ভয় দ্যাখাতে ছাড়ি না ।
মনোযোগ সহকারে পড়ে "আপা "
সংশোধনী করে দেয়ার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতায় বাঁধলেন আমাকে ।
সবসময় শুভকামনা ।

৭| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৫৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দ্বিতীয় ঘটনাটা বেশী ভয়ঙ্কর মনে হয়েছে। প্রথমটা কিছুটা মজা মিশ্রিত ভিতিকর।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৩৮

রামিসা রোজা বলেছেন:
জমজ বোনের মধ্যে এত মিল সেটা আমি সেবারই প্রথম দেখেছিলাম।
হয়তো ছোট ছিলাম বলে খুব বেশী ভয় পেয়েছিলাম । আর নাসরিন আপা রাতে ডিম লাইট জ্বালাতে দিতেন না ।
লেখাটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ।

৮| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: আমি ঘর অন্ধকার করে ল্যাপটপ নিয়ে বসেছি। আর সামনে এলো আপনার পোস্ট। পোষ্টে যে ছবি দিয়েছেন সেটা দেখেই তো ভয় লাগছে।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৪৪

রামিসা রোজা বলেছেন:
ভয় পেলেন ? তাহলে আর একটু ভয় দেখাই । একটা আমি আর একটা আমার ভূত । ঘুটঘুটে অন্ধকার ঘরে
কারা বসবাস করে জানেন তো ?

৯| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:৫১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার ভুতের ছবিটা চমৎকার হয়েছে। নখ কেটে নেইল পলিশ দেয়া এমন সৌন্দর্য সচেতন ভুত আগে কখনও দেখি নাই। ভুত দু'টার চেহারাও খুব একটা খারাপ বলা যাবে না। আচ্ছা, ভুতরা নখ কাটতে কি ব্যবহার করে জানেন?

গল্পের প্রথম অংশ নিয়ে কোন কথা নাই। আপনার ওই বয়সে মানুষ অনেক সময়ে নিজের চেহারা আয়নায় দেখেও চমকে ওঠে। তবে দ্বিতীয় অংশ পড়ে ভাবছি, আমার পরিচিতদের কারো গোপনীয় জমজ আছে কিনা, চেক করতে হবে। কে কখন মরে যায়, আর তার জমজ সামনে চলে আসে ঠিক নাই। জানা থাকলে আসন্ন স্ট্রোক থেকে বাচা যাবে।

এক জায়গায় প্রতি-মন্তব্যে দেখলাম বলেছেন, নাসরিন আপা রাতে ডিম লাইট জ্বালাতে দিতেন না তারপরেও অন্ধকারেও আপনি ওনার খোলা চুল দেখতে পেয়েছিলেন। জানতে ইচ্ছা করছে, এখনও কি আপনি অন্ধকারে নাইট ভিশন ছাড়াই দেখতে পান? =p~

০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:০১

রামিসা রোজা বলেছেন:
প্রথম আগমনে অভিনন্দন !!
আপনার ভুতের ছবিটা চমৎকার হয়েছে -- হায় হায় শেষপর্যন্ত আমাকে ভুতের প্রতিরূপ হতে হলো? সুন্দরের পূজারী সবাই তাই হয়তো ভূত হাতে নেলপালিশ দিয়েছে । আগের দিনে মাল্টিপ্লাগের করার কথা মনে আছে ? সাদা রাউন্ড একটা প্লাগ এর ভিতর তিন চারটা সকেট থাকতো আর মাঝখানে লাল বড় গোল লাইট । সেই লাইটের আলো ভালো ছিল এবং একটা রাউন্ড শেপের আয়তুল কুরসী (রেডিয়াম ) দেয়াল ঘড়ির মতো ছিল। যার কারণে নাসরিন আপা ডিম লাইট জ্বালাতে দিতেন না।
আমিও এই ঘটনার পরে ডিম লাইট সুইচ অন করে ঘুমাতাম ।
হা হা ভাই দ্বিতীয় ঘটনায় এই বয়স হলে দৌড় দিতে পারতাম না হয়তো স্ট্রোক-ই করতাম।
অনেক অনেক ভালো লাগলো আপনার উপস্থিতি এবং আপনি খুবমজার মানুষ বুঝতে বাকি নেই।
ধন্যবাদ আপনাকে।

১০| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:০০

রাজীব নুর বলেছেন: ভয় পেলেন ? তাহলে আর একটু ভয় দেখাই । একটা আমি আর একটা আমার ভূত । ঘুটঘুটে অন্ধকার ঘরে
কারা বসবাস করে জানেন তো ?

ঠিকই আছে দুটাই আপনার ভূত।
ঘুটঘুটে অন্ধকারে ভূতেরা বসবাস করে।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩৬

রামিসা রোজা বলেছেন:
সঠিক উত্তর , আপনি অনেক বুদ্ধিমান মানুষ ।
আবারো ধন্যবাদ ।

১১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:০২

করুণাধারা বলেছেন: প্রথম টা ভয় পাবার মতো কিছু না, কিন্তু দ্বিতীয়টা সত্যিই ভয় পাবার মতো।

পিঠা আর নারকেলের কী গতি হলো শেষ পর্যন্ত?

০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৪৩

রামিসা রোজা বলেছেন:
প্রথম ঘটনাটা এখনো মনে হলে আমার ভয় লাগে , উনি মাথা উপর করে একবার রাখেন আরেকবার মাথা সোজা করে একবার ডান এনের মাথায় আবার বামে নেন । আমি ঘুমের ঘোরে দেখছিলাম ।
উফ্ মরা মানুষকে এভাবে হঠাৎ সামনে দেখা কতটা যে ভয়ঙ্কর ছিল সেই মুহূর্তে আমি হয়তো সঠিক উপস্থাপনা করতে পারি নাই । আর আমার ছোট ভাই ও কিছু না বুঝেই আমার দেখাদেখি চিৎকার ।
পিঠা ও নারিকেল নাসরিন আপার আম্মা পাঠিয়েছিলেন তাই আমার মা বলেছিলেন রুবা আপাদের বাসায় দিয়ে আসতে । পিঠা যথারীতি রাস্তায় পড়ে গেল বাটি থেকে আর নারিকেল পরে পাওয়া গিয়েছিলো ।
অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো ।

১২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৩

মিরোরডডল বলেছেন:



১) উনি কেনো ওভাবে চুল ছড়িয়ে বসেছিলেন ? এটা কি অন পারপাস ভয় দেখানোর জন্য ? যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে নাসরিন আপা মজার মানুষ । একটা সময় ছিল যখন আমি মানুষকে ভয় দেখিয়ে মজা পেতাম ।

২) যমজ বোনের বিষয়টা না জানার কারনে মৃত ব্যক্তিকে দেখে ভয় পাবারই কথা ।

একসময় মাথায় সারাক্ষন শয়তানি চিন্তা ছিলো কি করে কা কে কখন ভয় দেখাবো । এখন উল্টোটা হয় ।
এ উইকেন্ডে কয়েকজন ফ্রেন্ডের সাথে বাইরে গিয়েছিলাম এক ফার্ম হাউজে । কয়েকশো একরের মধ্যে কোনো বাড়িঘর নেই । সন্ধ্যা পর্যন্ত ভীষণ সুন্দর কিন্তু রাতে খুবই ভয়ংকর । তার মাঝে এক ফ্রেন্ড লেট নাইটে অপ্রত্যাশিত ভাবে গল্পে মশগুল আমাদের তিন জনকে জানালার বাইরে থেকে ভয় দেখায় । তারপর রাত তিনটা পর্যন্ত আড্ডা দিয়ে সব ঘুম । আমার আবার নতুন জায়গায় গেলে রাতে ঘুম হয়না । চারদিক শুনশান নিস্তব্ধতা, বাইরের নিকষ কালো অন্ধকার আর ফ্রেন্ডের ভয় দেখানো সব মিলিয়ে বাকি রাতটা নির্ঘুম কেটেছে :(


০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৫০

রামিসা রোজা বলেছেন:
মধ্যরাতে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় প্রচণ্ড গরমে উনি সজাগ তাছাড়া আপার মাথাব্যথা করছিলো । বিদ্যুৎ চলে গেলে আমাদের ভরসা ছিল খয়রি রঙের চার্জার লাইট মনে আছে কি?
তখন ঘরে ঘরে আইপি এসে/ জেনারেটর এসব কিছুই ছিল না ।
আমার ঘুম তখন প্রচন্ড ছিল বিকেলে বাহিরে খেলতাম সকালে স্কুল এবং দুপুরের দিকে ম্যাডাম বাসায় পড়াতে আসতেন । আর হ্যাঁ আপনার প্রশ্নটির উত্তরটা হচ্ছে,
নাসরিন আপা ধীরস্থির ও শান্তশিষ্ট টাইপের মেয়ে । আমাকে ইচ্ছে করে ভয় দেখান নাই । আপনার এই প্রশ্নটা পড়ে আমার খুব হাসি পেল ।
কারণ আমি ছোটবেলায় মানুষকে লেজার লাইট/ প্লাস্টিকের সাপ দিয়ে ভয় দেখিয়ে মজা পেতাম । মিলে গেল আপনার সাথে আমার এই দিকটা ।
উফ্ এইভাবে হঠাৎ রুবাবার জমজ বোন কে দেখার পর আমি অনেক অসুস্থ ছিলাম অনেকদিন ।
আপনাদের বন্ধু যে আপনাদের সবাইকে ভয় দেখালো , সেই বন্ধুটার শাস্তি কি দিলেন আপনারা পরে ?
সে ভয় দেখানোর বন্ধুটাকে কোন রেস্টুরেন্টে নিয়ে জরিমানা করা উচিত ছিলো । অনেক ভালো লাগলো এভাবে মন খুলে মন্তব্য করেছেন বলে ।
ধন্যবাদ আপনাকে ও শুভকামনা।

১৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৫৪

জুন বলেছেন: আপনার হাসি পাচ্ছে রামিসা রোজা কিন্ত আমার ভয় করছে বিশেষ করে দ্বিতীয় ঘটনা । ভয়ংকর :-&
আমি হলে ওখানেই অজ্ঞান হয়ে যেতাম । আপনিতো সাহসী বলতেই হবে :)
+

০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১৭

রামিসা রোজা বলেছেন:
আপনার হাসি পাচ্ছে জেনে আনন্দিত হলাম । প্রথম ঘটনাটার জন্য সবাই অনেক বকা দিয়েছে।
কিভাবে কাকতালীয়ভাবে মিলে গেল বলুন তো আপা আপনি আমার পোস্টে মন্তব্য করছেন হ্যাঁ ঠিক তখনি আমি আপনার লেখায় মন্তব্য করছিলাম । আমি সেদিন হয়তো অজ্ঞান হয় নাই , কিন্তু তার পরবর্তীতে আমার এমন অবস্থা হয়েছিল মানুষের সাথে কথা বলতে পর্যন্ত ভয় পেতাম । বর্তমানে এই অবস্থা হলে হয়তো সাইক্রেটিস /কাউন্সেলিং করাতে হতো ।
কিন্তু সে সময়কার প্রেক্ষাপটে এটা হয়তো ওভাবে কেউ গুরুত্ব দেয়নি।
অনেক ভালো লাগলো আপনাকে পেয়ে। ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানবেন ।

১৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:২৬

জুন বলেছেন: রোজা আপনি আমার মন্তব্যটি বুঝতে ভুল করেছেন।
আমার হাসি পায়নি, আপনার হাসি পায় শুনে আমি বিস্মিত হয়েছি। আমিতো ভয়ই পেয়েছি কারন ভুত প্রেত দৈত্য দানোদের আমি এখনো ভয় পাই। বলতে পারেন ভীতুর ডিম :-&

০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৪

রামিসা রোজা বলেছেন:
আপনার হাসি পায় শুনে আমি বিস্মিত হয়েছি --- ওহ্ হো স্যরি।
আমার কাছের আত্মীয় ও বাসার মানুষরা প্রথম ঘটনায় নিয়ে খুব মজা পেয়েছিল আমার খালাতো বোন সোনা রুপার / লোহার পানি ছিটিয়েছে আরো কতো কি ।
আমি এখন ভীতুর ডিম ভূত পেত্নীর বেলায়,
ছোটবেলায় অনেক চঞ্চল ছিলাম আর মানুষকে ভয় দেখিয়ে মজা পেতাম ।
আপনাকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ।

১৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৩২

মিরোরডডল বলেছেন:


আপনাদের বন্ধু যে আপনাদের সবাইকে ভয় দেখালো , সেই বন্ধুটার শাস্তি কি দিলেন আপনারা পরে ?

শাস্তি না বরং উল্টোটাই হয়েছে । ভয় দেখাবার কারনেই সেই রাতের আড্ডা আরও জমে উঠেছিলো :)
তখন ভয় পেলেও পরবর্তীতে এটা নিয়ে সবাই ফান করেছে ।

থ্যাংকস রামিসা ।


০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩০

রামিসা রোজা বলেছেন:
শুনে ভালো লাগলো যে পরবর্তীতে আপনাদের আড্ডা আরো জমে উঠেছিল আর এখনও মাঝে মধ্যে এটাই আলোচনার টপিক থাকে।
অনেক ভালো লাগলো পুনরায় আবার আমাকে জানানোর জন্য।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

১৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৫২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হেহেহে আমি তো রীতিমত ভয় পেয়ে গেলাম। প্রথমটাতো জম্পেশ হয়েছে।

আর দ্বিতীয়টা দুঃখজনক রবি আপার ওভাবে সুইসাইড করাটা। তবে জমজ ভাই বোনের একজন কষ্ট পেলে আর একজন তার ব্যথা টেলিপ্যাথিতে পেয়ে যায়।

পোস্টে ভালোলাগা। ‌
শুভকামনা রইল।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:৫৪

রামিসা রোজা বলেছেন:
প্রথম ঘটনাটা বয়স অল্প থাকার কারণে ভয়টা মনে গেঁথে গিয়েছিল ,
কিন্তু নাসরিন আপার বসার ধরনটাই ছিলো ভয় পাওয়ার মতো । আর দ্বিতীয় ঘটনাটা আপনাকে বলছি রুবা আপা প্রেমঘটিত কারণে সুইসাইড করেছিলেন । হঠাৎ করে মারা মানুষকে এভাবে যদি কেউ সন্ধ্যায় দেখে সেই আর বেঁচে ফিরল কিনা সন্দেহ । আপনি পড়েছেন সে জন্য আপনার প্রতি রইলো আমার অনেক আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা ।
আশা রাখি সবসময় এভাবে পাশে থাকবেন ।

১৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:১৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ভূত না হলেও আসলেই ভয় পাবার মতই ব্যাপার স্যাপার।

১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:৩৩

রামিসা রোজা বলেছেন:
একজেক্টলি আপনি ঠিকই বলেছেন।
ভূত টুত কিছুই না কিন্তু তারপরও কত ভয়ংকর । ধন্যবাদ আপনাকে লেখাটা পড়ার জন্য ।

১৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



সুইসাইডটা বেদনাজনক।

১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:৩৪

রামিসা রোজা বলেছেন:
রুবা আপা প্রেমঘটিত কারণে সুইসাইড করেছিলেন যা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা । একটা মানবিক দিক আপনি লক্ষ্য করেছেন ।
ধন্যবাদ আপনাকে লেখাটা পড়ার জন্য ।

১৯| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৫৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: শুরুতে ভয়ের হলেও পরে কিন্তু মজাই লাগে এসব গল্প !

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:২০

রামিসা রোজা বলেছেন:
আসলেই ঠিক বলেছেন আপা ওই ঘটনাগুলো এখন আমাদের স্মৃতি এবং মনে করলেই ভীষণ হাসি পায়।
আপনাকে পেয়ে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো , ধন্যবাদ ।

২০| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: রবি আপার সুইসাইড করার কথাটা জেনে খারাপ লাগলো। হয়তো ওনার সৌন্দর্যই কোন কারণে কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল!

"পিঠা আর নারকেলের কী গতি হলো শেষ পর্যন্ত?" (১১ নং মন্তব্য) - সত্যি, মানুষের আগ্রহের কোন সীমা পরিসীমা নেই। পাঠকের এমন আগ্রহ দেখতে পেলে লেখক হিসেবে আমি খুবই মুগ্ধ হই! :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.