নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পবিত্র বিয়ের মাধ্যমে স্বীকৃত সম্পর্কের মাধ্যমে নারী ও পুরুষ উভয়েই সংসার জীবনের বর্ণিল স্বপ্ন দেখে । সুখে-দখে একে অপরের সাথে এক ছাদের নিচে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত জীবন পার করবে এটাই আশা রাখে । সেইসাথে পরিবারের সদস্যদের বিশেষ করে মা বাবা হাফ ছেড়ে বাচলেন ফরজ কাজ হয়েছে এবার ছেলে মেয়ে সুখে থাকুক এটাই স্বাভাবিক।
আর মেয়েদের তো উপযুক্ত বয়সের পরে স্বামীর ঘরে প্রবেশ না করা পর্যন্ত মা-বাবা জন্য চিন্তায় অস্থির হয়ে থাকেন । বিয়ের পর সেই মেয়েটির সংসার নামক সুখের জায়গাটিতে নিজেকে হাজারো চেষ্টা করে যদি মানিয়ে নিতে না পারে তখন সেই মেয়েটির যেন আবার পুনর্জন্ম হলো ডিভোর্সের মাধ্যমে অর্থাৎ ডিভোর্সি নারী ।
আমাদের সমাজ নারী বান্ধব সমাজ হয়ে উঠেনি ।
ডিভোর্সের পর সমাজ থেকে মেয়েকে বলা হয় তোমার আর একটু মানিয়ে চলা উচিত ছিল , বিবাহিত জীবনে এমনটাই হতেই পারে সমস্ত দোষারোপ যেন মেয়ের দিকে পড়ে । একটা মেয়ের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে এমন কঠিন সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হতে হয় কিন্তু লোকে যা বলে আর বলতেই থাকে লাগামহীনভাবে ।
মেয়েরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী নয় অনেক ক্ষেত্রেইসেজন্য হয়তো পরিবার থেকেও অনেকটা সাপোর্ট হীনহয়ে পড়ে । আর এক্ষেত্রে যদি বাচ্চা থাকে , তাহলে বলতে হবে নদীতে সাঁতার কেটে পার হতে হবে মেয়ের নৌকা করে পার হওয়া যাবে না । একজন নারী ও পুরুষের ক্ষেত্রে ডিভোর্স এর প্রভাব বৈষম্য হারে পরিলক্ষিত হয় ।
সত্যি কথা বলতে কি আমাদের সমাজে ঘর ভাঙ্গা নারীদের কোনো সম্মান নেই । ডিভোর্সি/ সেপারেশন নেয়া নারীরা উচ্চশিক্ষিতা চাকুরীজীবী হয়েও বাসা ভাড়া নিতে পারেনা । কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষ উভয়েরই বাঁকা চাহনি, তীব্র বিদ্রুপ ,
মেয়েদের ভীরু করে ফেলে । এছাড়াও স্বজনদের ব্যঙ্গ ছোট ভাইবোনদের বিয়ের কথা চলাকালীন ডিভোর্সবিব্রতকর পরিস্থিতি এমন কি ভাই বোনদের বিয়ে ভাঙার ঘটনাও ঘটার আশংকা থাকে । নিজের জৈবিক চাহিদা কথাটা স্বাভাবিক হলেও এটা নিয়ে খুব কম মেয়ে ভাবে । আর যদি যথোপযুক্ত একটা চাকরি নাই থাকে তাহলে একটা মেয়ে অসহায়ত্বের মধ্যে পড়ে থাকে। এভাবেই এ যুগেও পারভার্টেড পুরুষদের সাথে মেয়েরা সংসার করতে বাধ্য হয়। এরপরও কিছু মেয়ে আছে যাদের আত্মসম্মান ও নারীসত্তায় অসম্মান হয়ে সংসার করতে পারে না। এরা কঠিন পথ বেছে নিয়ে নীরবে সমাজের ভ্রুকুটি মেনে নিয়ে আত্মসম্মান নিয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করে ।
অভাব ,একাকিত্বের চেয়েও এদের কাছে সম্মানটুকু বড় ।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:১৯
রামিসা রোজা বলেছেন:
এই অপসংস্কৃতি জন্য শিক্ষিত জনগোষ্ঠীও কম দায়ী নয় । স্বাভাবিকভাবে অনেক কিছুই মেনে নিতে পারে না । গ্রামাঞ্চলে এখনো অনেক মেয়ে নানারকম কটুক্তি সইতে না পেরে আত্মহত্যা করে ।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: যারা বিচার বুদ্ধি হওয়ার আগেই শুধু মাত্র আবেগে বিয়ে করে তাদের সংসার টীকে না। বিয়ে মানেই শুধু সেক্স না। বিয়ে মানেই বাংলা সিনেমা।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৩১
রামিসা রোজা বলেছেন:
ভুল করার মাশুল তাকেই দিতে হয় যে ভুল করে । আর কিছু হচ্ছে যারা ভুল না করেও , ভুল দৃষ্টিভঙ্গির ও
নানান সমস্যার শিকার হচ্ছে ।
৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:২৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন: কোথায় যেন পড়ে ছিলাম ঢাকাতে ছাড়াছাড়ি আগের চেয়ে দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে
১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৫২
রামিসা রোজা বলেছেন:
এ ধরনের খবর পড়লে কষ্ট হয় ।
৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৪০
রাশিয়া বলেছেন: যে সমাজে মেয়েদের আত্মনির্ভরশীলতার হার বেশি, সে সমাজে ডিভোর্সের হারও বেশি। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৮০% ডিভোর্স হয় মেয়েদের পক্ষ থেকে - সেইসব মেয়েদের বেশিরভাগই হয় বিত্তশালী পরিবারের সন্তান না হয় আত্মনির্ভরশীল।
তাহলে আপনি সিদ্ধান্ত নেন, মেয়েকে আত্মনির্ভরশীল হবার উপর বেশি জোর দেবেন, নাকি সব পরিস্থিতি 'মানিয়ে নিয়ে' সংসার ধর্ম পালন করে যাবার দিকে বেশি গুরুত্ব দেবেন?
১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৫৩
রামিসা রোজা বলেছেন:
পরিস্থিতি অনুকূলে চলে গেলে আত্মনির্ভরশীল /পরনির্ভরশীল মেয়ের সংসার জীবনের চেয়ে নিজের জীবন বাঁচানো এবং সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার অগ্রাধিকার সবার আগে ।
৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:০৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সত্যি ডিভোসী মেয়ে মানেই নতুন জন্ম। তখন সে বুঝে পরিবেশ , পরিবার, সমাজ, মানুষ কত কঠিন বাস্তবতা।
তবুও কেউ কেউ লড়াই করে বেচে থাকে।
আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টানো দরকার।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৫১
রামিসা রোজা বলেছেন:
আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টানোর পরিবর্তে সেই মেয়েটি কেমন পোশাক-আশাক চলা-ফেরা / বেসিক সাজগোজ নিয়ে
সমালোচনা হয় । এই সংগ্রামের জীবনে পথ চলাটা সত্যিই ভীষণ কঠিন । কারণ প্রাপ্ত সম্মানটুকুও সত্যি কি আদৌ
সবাই পায় ?
মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৩২
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমাদের সমাজে ঘর ভাঙ্গা নারীদের কোন সম্মান নেই - এ কথাটা বোধকরি আমাদের আজকের সমাজে ততটা সঠিক নয়, যতটা দুই দশক আগেও ছিল। সব রকমের চেষ্টার পরেও বনিবনা না হলে আপোষে পৃথক পথ খোঁজাই শ্রেয়ঃ। তালাকপ্রাপ্ত/প্রাপ্তাদের সংখ্যা দিনে দিনে আশংকাজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে কেন, এ নিয়ে সমাজ বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে হয়তো কিছু পথ বাৎলে দিতে পারেন, তবে আসল সমস্যা নৈতিকতায়। আর দশটা ক্ষেত্রের মত প্রেম-প্রণয়ের বেলায়ও নৈতিকতার অবক্ষয় ঘটেছে, দম্পতিরা একে অপরের প্রতি সৎ থাকতে পারছেন না।
একটি ব্রেক আপ হৃদয় বিদারক; নারীর ক্ষেত্রে যেমন, পুরুষের ক্ষেত্রেও তেমনি। এর সংখ্যাটা যেন ন্যূনতম থাকে, সেটাই কাম্য।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৬
রামিসা রোজা বলেছেন:
তারপরও বলে একটা কথা থেকে যায় যে নিশ্চয়ই মেয়েটিও খারাপ তা না হলে হাজবেন্ডের সাথে অ্যাডজাস্ট করে তুলতে পারল না কেন ? এই আঙ্গুল প্রশ্নটি পুরুষদের ক্ষেত্রে অবান্তর ।
সবার দৃষ্টি ভঙ্গি হয়তো সমান নয় সমাজে অনেক পরিবর্তন এসেছে ,
কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই অপরিবর্তিত রয়েছে কিছু মানুষের মন মানসিকতা। আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগছে' এবং ধন্যবাদ ।
৭| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৯
নীল আকাশ বলেছেন: মেয়েদের গুরুত্ব দেয়া বা তাদের যথাযোগ্য সম্মান দেয়ার কালচার এখন আমাদের দেশে ভালো ভাবে গড়ে উঠেনি।
সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হলো বিবাহিতা একজন মেয়ের সবচেয়ে বড় শত্রু হলো আরেকটা মেয়ে। ননদ বা শ্বাশুড়ির রাই সবচেয়ে বেশি যন্ত্রণা করে, দাম্পত্য জীবনে যথেচ্ছা হস্তক্ষেপ করে।
আত্মনির্ভরশীলতা অবশ্যই দরকার। জীবন যাত্রা মান এখন অনেক দামী হয়ে গেছে। অর্থনৈতিক দুরাবস্থাও অনেক সময় দাম্পত্য সর্ম্পকের অবনতি ঘটায়।
আপনি কি মেয়েদের নিয়ে লেখা ব্লগে সবচেয়ে বেশি বার পঠিত গল্পঃ গল্পঃ মিথিলা কাহিনী ১ - একজন বন্ধ্যা মেয়ে বলছি! পড়েছেন?
একা একা একটা মেয়ের বেচে থাকা জীবন যুদ্ধের বাস্তব কাহিনী এটা।
শুভ কামনা রইলো।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৪
রামিসা রোজা বলেছেন:
চমৎকার মন্তব্যের জন্য শুরুতেই ধন্যবাদ । ভালো-মন্দ মিলিয়ে হয়তো শ্বশুরবাড়ি মানুষজন থাকে
সেক্ষেত্রে হাজব্যান্ড এর উপর অনেক কিছুই ডিপেন্ড করে । যেকোনো মেয়েদের আত্মনির্ভরশীল হওয়া খুবই জরুরী।
কঠোর হয়ে কঠিন বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে জীবনে চলা যায় কিন্তু কাঠেরপুতুল হয়ে অনুভূতিশূন্য ভাবলেশহীন জীবন
পার করা যায় না ।
মিথিলার গল্প পড়া হয়নি আমি পড়বো , শুভকামনা রইলো ।
৮| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৩১
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এত সুন্দর পোস্ট এত পরে দেখলাম
মনের কথাগুলোই বলেছেন আপা। এই বয়সে চারিদিকে কত কিছু দেখে যাচ্ছি। মানিয়ে নিতে নিতে এই পর্যন্ত আসা আলহামদুলিল্লাহ
১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৬
রামিসা রোজা বলেছেন:
আলহামদুলিল্লাহ আপনি ভালো আছেন এবং পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো থাকবেন এই দোয়া করি। একটা ডিভোর্সি মেয়ের প্রতিক্ষেত্রে বাধা আর সমস্যা । কতভাবে যে তাকে হেনস্থা হতে হয় এই দৃষ্টিকটু সমাজ থেকে মনে হয় এ পরিত্রান হবে না ।
৯| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:২৩
ঢুকিচেপা বলেছেন: খুব সুন্দর একটা বিষয়ের উপর লিখেছেন।
ভুক্তভোগির কষ্ট অন্য কারো পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়।
এক্ষেত্রে তির্যক দৃষ্টি এবং মন্তব্য উপেক্ষা করে সামনের দিকে এগিয়ে চলা উচিত।
১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৪২
রামিসা রোজা বলেছেন:
সংসার মানে একটা নির্ভরশীলতা!
একটা সম্মান, একটা কমিটমেন্ট এবং একটা দায়িত্ববোধ তাই কে চায় এবং নিশ্চিত ও সুন্দর জীবন থেকে বেরিয়ে আসতে ? দুর্ভাগ্যক্রমে যারা এই সিচুয়েশন এর শিকার তাঁরা কেবল সমাজের বৈষম্য ভেঙে সম্মানটুকু চায় ।
সুন্দর কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
১০| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৩০
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: সে দিন আর নেই।
সকল কষ্ট সহ্য করে মুখ বুঁজে পড়ে থাকতে হবে।
১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৫০
রামিসা রোজা বলেছেন:
মেয়েরা সেক্রিফাইস করতে করতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে এমন কঠিন সিদ্ধান্ত যায় ।
কিন্তু তার পরবর্তী সময়ে সংগ্রাম করে জীবন যুদ্ধে এগিয়ে যাক এটাই আমাদের চাওয়া।
ধন্যবাদ আপনাকে ।
১১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:১৮
করুণাধারা বলেছেন: নেশাখোরের কাছ থেকে ডিভোর্স নিলেও মেয়ের দোষ হয়, কেন সে স্বামীকে সুস্থ্য করে তুলতে পারলে না। মেয়েদের সম্মান করতে হবে- আমাদের সমাজ এই ভাবনাটা এখনও ভাবতে পারে না।
১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৪
রামিসা রোজা বলেছেন:
হ্যাঁ তাইতো আপা নেশা করবে মারামারি করবে এবং তা সহ্য করে নিতে হবে । অনেক পরিবার আছে নেশা করে জেনেও বিয়ে দেয় অথচ , রিহ্যাবে পাঠানো হয় না । সমাজটা এখানে নারীবান্ধব হয়ে উঠে নাই ।
ধন্যবাদ আপনাকে ।
১২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:০৩
মা.হাসান বলেছেন: বিয়ে টিকিয়ে রাখার জন্যে নারী-পুরষ দুজনই কিন্তু ছাড় দিয়ে থাকেন। সামাজিক সম্মান, ছেলে-মেয়েদের কথা এসব ভেবে অনেকেই কষ্ট করে হলেও মানিয়ে নিতে চান। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে যে হেতু অনেক মহিলাই নিজের পায়ে দাড়াতে সক্ষম না (শখ করে না, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সক্ষম হতে দেয়া হয় নি), সব কিছু সীমার বাইরে চলে গেলেও মুখ বুজে সহ্য করতে হয়, এই সব ক্ষেত্রে মহিলারাই বেশি সাফার করেন। বাপ-ভাইয়ের সংসারে দাসিবৃত্তি করার চেয়ে স্বামীর অত্যাচার সহ্য করাই ভালো মনে করেন। অনেক মহিলাই আন্তরিক ভাবে চান তার সন্তান যেনো এই কষ্টের মাঝে না পড়ে। কিন্তু বাপ যখন ১৩-১৪ বছর বয়সে বিয়ে দিয়ে দেয় তখন এই চক্র ভাঙা মুশকিল
১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৮
রামিসা রোজা বলেছেন:
যা বলেছেন ঠিকই বলেছেন কিন্তু বিয়ের সম্পর্ক ভেঙ্গে যাওয়ার পর নারী ও পুরুষ উভয়ের মধ্যে বৈষম্যচোখে পড়ার মতো ।
প্রতিটি মেয়েরই যার যেমন যোগ্যতা অনুযায়ী নিজের উপর নির্ভরশীল হতে হবে । আজ গ্রামাঞ্চলে মহিলারা বিভিন্ন এনজিওর মাধ্যমে কাজ করে ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না ।
প্রায়ই দেখবেন স্বামীর অত্যাচারের নারীর মৃত্যু। বাবা-ভাইয়ের দুটো কটু বললেও প্রাণে হয়তো মেরে ফেলন না ।
উন্নত বিশ্বে নারীরা কত সুযোগ সুবিধা পান আর আমাদের দেশে শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা করে ।
আপনার মন্তব্যে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ ।
১৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:১০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমাদের সমাজে ঘর ভাঙ্গা নারীদের কোনো সম্মান নেই । ডিভোর্সি/ সেপারেশন নেয়া নারীরা উচ্চশিক্ষিতা চাকুরীজীবী হয়েও বাসা ভাড়া নিতে পারেনা । কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষ উভয়েরই বাঁকা চাহনি, তীব্র বিদ্রুপ ,
মেয়েদের ভীরু করে ফেলে । এছাড়াও স্বজনদের ব্যঙ্গ ছোট ভাইবোনদের বিয়ের কথা চলাকালীন ডিভোর্সবিব্রতকর পরিস্থিতি এমন কি ভাই বোনদের বিয়ে ভাঙার ঘটনাও ঘটার আশংকা থাকে ।
কঠিন সত্যি।
১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৫২
রামিসা রোজা বলেছেন:
এই কঠিন সত্য মনে হয় অপরিবর্তনশীল থাকবে । সময়টা এখন এমনই নিজেকেই নিজের ভালো রাখতে হবে ।
সামান্য এই কথাগুলো আপনার সাপোর্টে অনুপ্রাণিত হলাম,
ধন্যবাদ আপনাকে ।
১৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৪৩
জাফরুল মবীন বলেছেন: কম আলোচিত কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ডিভোর্সি নারীদের নিয়ে চমৎকার লেখা উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি ব্লগে অনিয়মিত;তাই হয়ত আপনার লেখা পড়ার সুযোগ হয়নি।
আপনার ভাবনা ও ভাব প্রকাশের সাবলীলতা ভালো লাগল।
পরবর্তীতে আপনার লেখা মিস না করতে অনুসরণে নিলাম।
অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৪৯
রামিসা রোজা বলেছেন:
প্রথম আগমনের জন্য আমার আন্তরিক ধন্যবাদ গ্রহণ করুন।
ডিভোর্সের মাধ্যমে একজন নারী নতুন পৃথিবীতে প্রবেশ করে ।
এই নতুন দুঃখের পৃথিবীতে অবশ্যই কিছু বন্ধুবান্ধব পাশে রয় কিন্তু কিছু চেনা মানুষদের অচেনা ব্যবহারে তখন নিজেকেই অচেনা মনে হয়।
আপনার চমৎকার মন্তব্যে আমি ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত হলাম এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ।
হায় হায় আমি তো লজ্জায় পড়ে গেলাম অনুসরণে আছি প্লিজ ভুলগুলো শুধরে দিবেন ।
আপনার জন্য অনেক শুভকামনা।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৫১
চাঁদগাজী বলেছেন:
সমাজের ভুল ধারণার শিকার ডিভোর্সি মেয়েরা।
বাংলার সমাজে আগেরদিনের ও বর্তমানে কোটী কোটী দরিদ্র মেয়ের জীবনা অসার হয়ে গেছে, শিক্ষাহীন জাতির অপসংস্কৃতি।