নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাবা হারা বড় ভাই ও ছোট ভাইয়ের মধ্যমণি মেঝ জোনাকি । আর মা হচ্ছেন সংসারের বটবৃক্ষের ছায়া।
বড় ভাইয়ের একা আয়ের উপর নির্ভরশীল পরিবারের চার সদস্য । অভাব-অনটনের মাঝে জোনাকির
পড়ালেখা স্থগিত । গ্রামের চতুর্পাশে থেকে বিয়ের প্রস্তাব আসতে থাকে জোনাকির জন্য । নবম শ্রেণীতে
পড়ার সময় জোনাকির বিয়ে হয় গৃহস্থ বাড়ির ছেলে রহমতের সাথে । স্বামীর সংসারে স্বচ্ছলতা আনার জন্য
জোনাকি ঘরের কাজের পাশাপাশি হাতের সেলাইয়ের কাজ করতো । রহমত একদিন কাজে গেলে তিন দিন
ঘরে বসে বিশ্রাম করে । জোনাকির মা হবার খবর শুনে সবাই আনন্দিত এবং প্রার্থনারত হয়ে থাকে শাশুড়ি মা
যেনো একটি পুত্র সন্তান হয় । শাশুড়ি মা অনেক কিছু মানত করেছেন পুত্র সন্তান হয়ে যেন বংশ রক্ষা হয় ।
গর্ভাবস্থায় জোনাকির যেমন আদর যত্ন ঠিক উল্টোটা ঘটে গেল মেয়ে সন্তান (জ্যোতি)র জন্ম গ্রহণের ফলে ।
শুরু হয় জোনাকির উপর শাশুড়ি মায়ের মানসিক এবং রহমতের শারীরিক অত্যাচার । একটা পর্যায়ে জোনাকি
অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে । গ্রাম প্রতিবেশী চাচি এবং জোনাকির মা
জোনাকিকে বুঝিয়ে শ্বশুরবাড়ি পাঠালেন। চাচিও বুঝালেন একবার মেয়ে হয়েছে তাতে কি আরেকবার ছেলে হবে ।
মা ও ভাইয়ের অর্থের টানাপোড়েনের সংসারের না থেকে শ্বশুরবাড়ী ফিরে যাওয়াই শ্রেয় । কিন্তু ফিরে দেখে রহমতের
অন্য মেয়ের সাথে সম্পর্ক যেটা বিয়ের জন্য এগিয়েছে এবং রহমত পরের দিন নিজ কন্যা জ্যোতি সহ জোনাকি কে
বাড়ি থেকে বের করে দেয় । ভোরের ট্রেন ধরে জোনাকি আবার বাবার বাড়ি ফেরত আসে । মা ও ভাই চাইছিল থানা
পুলিশের সাহায্য নেবে কিন্তু জোনাকি চাইল না আর ঝামেলা হোক ।
হাতের সেলাইয়ের কাজ জানতো জোনাকি আগে থেকেই , তাই শুরু হল মেয়েকে নিয়ে সংগ্রামের এক নতুন অধ্যায় ।
লেখাপড়া কম থাকায় হাতের সেলাই এর কাজ কে পেশা হিসেবে বেছে নিল । এভাবে বছর পাঁচেক যাওয়ার পর
জোনাকির মা মারা গেলেন ভাইদের সংসার বড় হতে লাগলো । হাজারো দুঃখ কষ্টের মাঝে জোনাকির চাচা এবং
চাচি এদের পাশে এসে দাঁড়ালেন । জ্যোতি স্কুলে পড়ালেখা করছে এবং জোনাকি আলাদা ঘর ভাড়া করে নিজেদের
মতো করে চলছে দিনপাত।
হিংসুটে খারাপ এক প্রতিবেশী মহিলা জোনাকিকে খুব হিংসা করতো ।
জোনাকিকে নষ্টা মেয়ছেলে বলে গালিগালাজও করতো । জোনাকির সাথে গাছের পাতা কেন ওই প্রতিবেশীর উঠোনে
গিয়ে পড়ে সেজন্য প্রায়ইতুমুল ঝগড়া লেগে থাকত । হিংসুটে স্বামী-স্ত্রী প্রতিবেশী দম্পতি জোনাকিক একদিন একা পেয়ে
গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। জোনাকি মৃত্যুর সাথে ৭ দিন যুদ্ধ করে অবশেষে মারা যায়।
সবচেয়ে বড় কঠিন সত্যের মুখোমুখি হতে হয় জ্যোতিকে । জ্যোতি জন্মেছে বলে বাবার আদর স্নেহ ভালোবাসা কিছুই
পায়নি এবং অল্প বয়সেই মাকে হারিয়েছে । মামা মামির সংসারে শেষ আশ্রয় হয় জ্যোতির ।
জোনাকি মেয়ে সন্তান জন্ম দিয়েছিল বলে আজ জ্যোতির জীবনটাও কি এমনই হবে ?
২২ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:১৩
রামিসা রোজা বলেছেন:
অনেক বছরের আগের সত্যি ঘটনা।
শুধু একটি ঘটনা লিখেছি মাত্র হয়তো আমি ঠিক ভাবে উপস্থাপনা করেতে পারি নাই ।
ধন্যবাদ আপনাকে ।
২| ২২ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:১৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
ঘটনা হলে, যারা জোনাকীকে হত্যা করেছিলো, তাদের বিচার হলো কিনা, সেটাও যোগ করার দরকার ছিলো।
২২ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৪৬
রামিসা রোজা বলেছেন:
ওহ্ দুঃখিত বিষয়টি আরো স্পষ্ট করা উচিত ছিলো । ওই প্রতিবেশী পুরুষ টির কুদৃষ্টি ছিল জোনাকির উপর ।
এবং সেখান থেকে ব্যর্থ হয়ে সামান্য তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই প্রতিশোধ ।
তাদের উভয়কে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিলো।
৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৪৮
শায়মা বলেছেন: দশ বছরের কারাদন্ড অনেক কম হলো আপু ওদের যাবজ্জীবন দরকার ছিলো।
২২ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৫৬
রামিসা রোজা বলেছেন:
আপনিও ঠিক আমার মনের কথাটা বলেছেন ।
মৃত্যুর বদলে মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত ছিলো । হয়তো সাক্ষী প্রমাণের অভাব ছিলো ।
ধন্যবাদ আপনাকে ।
৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৫৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ঘটনাটা সত্যি বলেই মনে হচ্ছে। সমাজে নারীরা এখনও কতটা অপাংক্তেয় তার এক নির্মম বাস্তবতা উঠে এসেছে।জ্যোতি মামা মামির সংসারে থাকলেও এই পৃথিবীর রূপ রস তার জন্য অবশিষ্ট নেই। মানুষের সমুদ্রে হাহাকার তার নিয়তি। গল্প লেখার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখুন। একদিন আপনার উৎকৃষ্ট লেখা আমরা পাবোই পাবো।
বিষণ্ণতার পোস্টে ভালোলাগা।
শুভেচ্ছা জানবেন।
২২ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:২০
রামিসা রোজা বলেছেন:
সংকীর্ণতা, ক্ষুদ্র মনমানসিকতা এসবের জন্য এখনও অনেক পিছিয়ে আছি । ঘরে ঘরে অনেক
জোনাকি আছে যাদের পুত্র সন্তান হয়নি বলে এখনো হয়তো কথা শুনতে হয় । আর জ্যোতি'র জীবন
যদি ভাগ্যে ভালো থেকে থাকে ,
একমাত্র বিধাতাই পারেন হয়তোবা
জ্যোতিময় করতে ।
আপনার মন্তব্যে অনুপ্রেরণা পেলাম।
ধন্যবাদ আপনাকে।
৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৪৫
নেওয়াজ আলি বলেছেন: জোনাকির আত্মার শান্তি কামনা করি। এইতো কিছুদিন আগে স্বামীসহ মিলে একটা মেয়েকে মেরে উঠানে মাটি চাপা দিয়ে রাখে অপবাদ দেয় পরকিয়া করে পালিয়ে গিয়েছে। মাত্র কিছু যৌতুকের বলি সে।
২২ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০৩
রামিসা রোজা বলেছেন:
চিন্তাভাবনা,শিক্ষা , মননশীলতায় আমরা যত আধুনিক হই না কেন,
সমাজের একটা অংশ এখনো অন্ধত্বের মাঝে পড়ে আছে ।
ভাবতে গা শিউরে ওঠে যৌতুকের জন্য এখনো কত মেয়ে জীবন দিচ্ছে।
ধন্যবাদ আপনাকে ।
৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৫৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ঠিক আছে।
২২ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০৬
রামিসা রোজা বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে ।
৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: বানোয়াট কাহিনী।
২২ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০৮
রামিসা রোজা বলেছেন:
মানুষের চেয়ে ভয়ঙ্কর প্রাণী আর কিছুই নেই । আপনার কাছে বানোয়াট মনে হতেই পারে ,
কিন্তু এই ঘটনাগুলো কি ঘটছে না ?
৮| ২২ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০৭
রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: হতে পারে। অনেক আগের।
২২ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১১
রামিসা রোজা বলেছেন:
যত দিন যাচ্ছে ততই নিত্যনতুন নোংরামো অপরাধ বাড়ছে ।
ধন্যবাদ আপনাকে ।
৯| ২২ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রতিমন্তব্য থেকেই বুঝেছি আমার অনুমান সঠিক। ছোট্ট জ্যোতির জন্য কষ্টদায়ক হয়ে দাঁড়ালো।
২২ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৫৫
রামিসা রোজা বলেছেন:
জাগতিক একটা সত্যি কথা আছে ,
যে শিশুর মা নেই তার পুরো পৃথিবীটাই অন্ধকার ।
অনেক আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন।
১০| ২২ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৫৪
ওমেরা বলেছেন: মানুষ কত খারাপ হতে পারে একজন মানুষকে মেরেই ফেল্ল!
২৩ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৩৩
রামিসা রোজা বলেছেন:
প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের সন্তান কে মেরে ফেলছে ।
আর সেখানে জোনাকি ছিল প্রতিবেশী । এদের কখনোই মনুষ্যত্ব বোধ হবে না।
ধন্যবাদ আপনাকে ।
১১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:০৩
জুন বলেছেন: হিংসা বিদ্বেষ মানুষকে কতখানি নরপশু করে তোলে তাই কাহিনীর শেষে বর্নিত হয়েছে রামিসা রোজা। ভয়ংকর এক জগতে আমরা বাস করছি ইদানীং।
লেখায় ভালো লাগা রইলো।
+
২৩ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৩
রামিসা রোজা বলেছেন:
কিছু মানুষের মনুষ্যত্ববোধ মানবিকতা হিংসার কাছে পরাস্ত , বিকৃতি রুচির মানুষ যা বিচারবুদ্ধির
স্থিরতা নির্ধারণে অক্ষম এমন অবস্থায় হিতাহিত জ্ঞানশূন্য মানব আকৃতি পশুরা কি না করতে পারে।
আপনাকে লেখাতে অনেক ভালো লাগলো , ধন্যবাদ ।
১২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:১৫
ঢুকিচেপা বলেছেন: “ শুরু হয় জোনাকির উপর শাশুড়ি মায়ের মানসিক এবং রহমতের শারীরিক অত্যাচার ।”
এসব ক্ষেত্রে মেয়েরাই মেয়েদের বড় শত্রু, ছেলেকে বোঝানোর বদলে আরো উস্কে দেয়.......
জোনাকিদের মতো মেয়ে যখন সংগ্রাম করে বাঁচতে না পারে সেখানে জ্যোতির ভবিষ্যৎ কোথায় ?
মানুষের গায়ে কেরোসিন দিয়ে যারা আগুন জ্বালাতে পারে তারা অন্ততঃ মানুষের পর্যায়ে পড়ে না, মৃত্যুদন্ডই ছিল ঠিকঠাক।
২৩ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:২১
রামিসা রোজা বলেছেন:
যুগ-যুগান্ত থেকে দেখে আসছি নারীর মন মমতায় ভরা , নারীই ভালবেসে সমগ্র সংসারকে মায়া মমতায় বেঁধে রাখে অথচ একটা কন্যা শিশুর জন্মের কারণে অনেকের মনেই খুঁতখুঁত করে ।
কারণ সমাজস্ত বলেই দিয়েছে পুত্রসন্তান বংশের প্রদীপ ।
জোনাকিদের মতো মেয়ে যখন সংগ্রাম করে বাঁচতে না পারে সেখানে জ্যোতির ভবিষ্যৎ কোথায় ? --- এই প্রশ্নটা আমারও মনে জাগে।
সময়, সমাজ ও পরিস্থিতি অনুকূলে
থাকলে হয়তো মেয়েটা সুন্দর ভাবে বাঁচতে পারবে ।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
১৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন:
মানুষের চেয়ে ভয়ঙ্কর প্রাণী আর কিছুই নেই । আপনার কাছে বানোয়াট মনে হতেই পারে ,
কিন্তু এই ঘটনাগুলো কি ঘটছে না ?
দুনিয়ার সব মানুষ খারাপ না। অল্প কিছু মানুষ খারাপ।
২৩ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:২৬
রামিসা রোজা বলেছেন:
দুনিয়ার সব মানুষ খারাপ না। অল্প কিছু মানুষ খারাপ -- সঠিক ।
ধন্যবাদ ।
১৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৫১
জাফরুল মবীন বলেছেন: দারিদ্রতা, শিক্ষা বঞ্চনা, নারী ও পুরুষের বিষয়ে সমাজের অসম দৃষ্টিভঙ্গি মূলত এই তিনটি উপাদান কিভাবে একজন তরুণী মা'কে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের উপজীব্য করে তা লেখায় ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন।সেটা বুঝতে পেরেছি।
পাঠক যখন কোন লেখা পাঠ করে তখন তার চোখ ঘটনা দেখে ও কান কথা শোনে।একারণে ঘটনা চিত্রায়নের বিষয়টা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।আশা করি আপনার লেখা আরও সাবলীলভাবে সমাজের অনেক অসঙ্গতি ফুটিয়ে তুলবে মনকে নাড়া দেওয়ার জন্য।
অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
২৩ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩২
রামিসা রোজা বলেছেন:
ঘটনার মূল থিম গুলো আপনি পর্যায়ক্রমে সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। একজন নারী কিভাবে নিগৃহীত হয় পরিবার তথা সমাজে থেকে সেটাই আমি বলতে চেয়েছি।
পারিবারিক শিক্ষা, মূল্যবোধ ও দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে পারে নারীর জীবনকে । নারী-পুরুষের সমতার অভাব, পুরুষতান্ত্রিক মন মানসিকতা, পারিবারিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ এবং মতামতের সুযোগ না থাকা , পৈত্রিক সম্পত্তিতে নারীর সমঅধিকার না থাকা আরো অনেক কারণ একজন নারীর প্রতি হেয় মনোভাব গড়ে উঠেছে।
আমার মনে হয় না কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা নিয়ম ভাঙতে পারবো ।
জোনাকির মতো অনেক নারীই আছেন যারা জীবনের সাথে কঠিন লড়াই করেও শেষ পর্যন্ত হেরে যান ।
পাশে থাকার জন্য এবং আপনার গঠনমূলক মন্তব্যে আমি ভীষণ কৃতজ্ঞ হয়ে রইলাম ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
১৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৮
করুণাধারা বলেছেন: খুব দুঃখের গল্প, সত্যি ঘটনা জেনে খারাপ লাগছে।
যে প্রতিবেশী এই কষ্টে বেঁচে থাকা মহিলাটিকে এমন ভাবে হত্যা করল, তার কি একবারও মনে হয়নি জ্যোতির কি হবে!! এর সারাজীবনের জন্য বন্দী থাকা দরকার ছিল!!
২৩ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৪১
রামিসা রোজা বলেছেন:
এই একবিংশ সমাজে বাস করেও গতবছর একজন নারীকে ছিনতাইকারী ভেবে গণপিটুনি দিয়ে
মেরে ফেলল । ওই মহিলার শিশু বাচ্চাকে কি জবাব দিবে আইন?
জোনাকির পার্শ্ববর্তী হিংস্র প্রতিবেশী হয়তো জানে যে , আইনের সুশাসন নেই ।
পাশবিকতা দমন করে মানবিকতার ফুল ফুটানো তা আর সম্ভব হচ্ছে না ।
আপনাকে লেখায় পেয়ে খুবই ভালো লাগছে এবং আমার আন্তরিক ধন্যবাদ গ্রহণ করুন ।
১৬| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৯
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: মেয়েদের জীবনে এমন দুঃখজনক আর নির্মমতার ঘটনা মোটেও নতুন নয়। গল্পের মেয়ে দুজনের জন্য দুঃখ আর সমবেদনা। কিন্তু জোনাকিকে গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারার মোটিভ কী ছিল সেটা গল্পে উল্লেখ করলে আরও সুখপাঠ্য হতো। সামান্য ঝগড়াঝাঁটির ব্যাপারটা হত্যার মত বড় ক্রাইমের দিকে মোড় নেওয়াটা একটু অবিশ্বাস্য ঠেকল।
গল্প বেশি সংক্ষিপ্ত আর মোটামুটি লেগেছে।
২৪ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৪২
রামিসা রোজা বলেছেন:
নারী নির্যাতন খুবই সাধারণ এবং জাতীয় সমস্যা । অনেকেই ব্যক্তিগত কারণে আইনের সহায়তা নেয় না।
তাই সমবেদনা রয়েই যায় তাদের প্রতি ।
ওই প্রতিবেশী পুরুষটির কুদৃষ্টি ছিল জোনাকির উপর এটাও একটি ক্ষোভের কারণ হতে পারে ।
ধন্যবাদ আপনাকে।
১৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:১৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: গল্পের জোনাকি আর জ্যোৎস্না দুজনের দুঃখের জীবন। মনে আঘাত পেলাম।
২৪ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৪৫
রামিসা রোজা বলেছেন:
দুঃখে যাদের জীবন গড়া তাদের আবার দুঃখ কি --- এই কথাটির সাথে আপা আমরা সবাই পরিচিত ।
ভাগ্য নামেরর একটি কথা আছে যা আমরা চাইলেও এড়িয়ে যেতে পারি না । আশাকরি জ্যোতির জীবন সত্তিকারের জ্যোতিময় হয়ে উঠুক ।
অনেক অনেক ভালো লাগলো আপনাকে পেয়ে এখন আমার ধন্যবাদ নিন ।
১৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৫২
মা.হাসান বলেছেন: আগে পড়েছিলাম, সময়াভাবে মন্তব্য করা হয় নি।
জোনাকি তাও ক্ষনিকের জন্যে হলেও শাশুড়ির আদর পেয়েছিলো, যখন শাশুড়ি ভেবেছিলেন ভবিষ্যত বংশধর ছেলে হবে। কিন্তু বাস্তবে অনেককেই জীবনে এর চেয়েও মর্মান্তিক পরিনতি ভোগ করতে হয়। গর্ভাবস্থায় পিটুনি খেয়ে মারা গেছে এমন ঘটনা মাঝে মাঝেই চোখে পড়ে। সব এমন গা সওয়া হয়ে গেছে যে মেয়ে মানুষ স্বামী-শাশুড়ির মার খাবে এটাই যেনো স্বাভাবিক বলে মেনে নিয়েছি।
২৬ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:১১
রামিসা রোজা বলেছেন:
অসুবিধা নেই , আপনি এসেছেন এতেই আমি আনন্দিত ।
সমাজ তো মানুষেরই তৈরি আর মানুষও সামাজিক দলবদ্ধ জীব।
সমাজ তথা পিতা-মাতারা হয়তো এটাই ভেবে থাকেন, কোন এক কন্যাসন্তানের জন্ম মা নেই তাকে কালের নিয়মে রাতে মা বাবার ঘর থেকে অন্য সংসারে যেতেই হবে।
তখন সেই মেয়ের দায়িত্ব কর্তব্যবোধের অধিকাংশটাই বর্তাবে নতুন সংসারের প্রতি । কিন্তু কন্যা সন্তানের পরিবর্তে যদি পুএ সন্তানের জন্ম হয় তাহলে তার ক্ষেত্রে পরিস্থিতিটাই হয় সম্পূর্ণ আলাদা।
নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে উচ্চবিত্ত--
সমাজের সর্বস্তরের নারীরা কোন না কোনভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন । আর গর্ভাবস্থায় নির্যাতন যা অত্যন্ত গর্হিত কাজ ।
প্রাসঙ্গিক মূল্যবান মন্তব্য অনেক ভালো লাগলো , ধন্যবাদ।
১৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৩৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: অভাব-অনটনের মাঝে জোনাকির পড়ালেখা স্থগিত । গ্রামের চতুর্পাশে থেকে বিয়ের প্রস্তাব আসতে থাকে জোনাকির জন্য । নবম শ্রেণীতে পড়ার সময় জোনাকির বিয়ে হয় গৃহস্থ বাড়ির ছেলে রহমতের সাথে । ''পড়ালেখা স্থগিত'' আর ''নবম শ্রেণীতে পড়ার সময় জোনাকির বিয়ে হয়''............কন্ট্রাডিক্টরীমূলক হয়ে গেল না!!
রহমতের মতো অলস লোক নিয়ে বেশী কিছু বলতে চাই না। কারন, আমি নিজেও অলস। তবে, জোনাকীর শ্বাশুড়ি আর প্রতিবেশী মহিলাকে নিয়ে কথা আছে। আমি সবসময়েই বিশ্বাস করি, বাংলাদেশে নারী নির্যাতনে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই মুখ্য বা ইন্ধনদাতার ভূমিকা পালন করে নারীরা।
ঘটনা বাস্তবধর্মী এবং বেদনাদায়ক। এটাকে আপনি কিছু ডায়ালগ দিয়ে খুব সুন্দর একটা গল্প লিখতে পারতেন। তারপরেও যতোটুকু লিখেছেন, ভালো হয়েছে। ভবিষ্যতে আপনার কাছ থেকে আরও দারুন লেখা চাই।
আর হ্যা......আপনার লেখাটা পড়েছি আগেই। এ'কদিন দৌড়ের উপরে থাকায় ব্লগে আসা হয়নি। আশাকরি, নিজগুনে ক্ষমা করবেন।
২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:২২
রামিসা রোজা বলেছেন:
প্রথম আগমনের জন্য অভিনন্দন !!
খুব সুন্দর একটি পয়েন্ট নিয়ে কথা বলেছেন, নবম শ্রেণীতে পড়াকালীন সময়ে বিয়েটা আমার কাছেও অসংগতি মুলক । আগের প্রেক্ষাপটে গ্রামে ৬/৭ বছর বয়সে প্রাথমিক বিদ্যালয় ভর্তি হতো । আর বাল্যবিবাহ এখনো হচ্ছে ।
বাংলাদেশে নারী নির্যাতনে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই মুখ্য বা ইন্ধনদাতার ভূমিকা পালন করে নারীরা ---এই কথা অস্বীকার করার উপায় নেই । তবে অনেকটাই ডিপেন্ড করে হাসবেন্ড এর উপর ।
হায় হায় আপনি তো দেখছি আমার দলে আমিও অনেক অলস প্রকৃতির
মানুষ ।
অবশ্যই পরবর্তীতে চেষ্টা করব আরও ভালো করে লেখার । আপনার সুন্দর উপদেশ আমার মনে থাকবে । গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য কৃতজ্ঞতা ও আন্তরিক ধন্যবাদ
নিবেন ।
ব্যস্ততার মাঝে সময় করে এসেছেন এতেই আমি আনন্দিত ।
২০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৩২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার মন্তব্য কিন্তু বাল্যবিবাহ সম্পর্কিত ছিল না। প্রথমে বলেছেন পড়ালেখা স্থগিত, তাহলে নবম শ্রেণীতে পড়ার প্রসঙ্গ কিভাবে আসলো, সেটাই আমার বলার উদ্দেশ্য ছিল। বোঝাতে পারি নাই। আমার ব্যর্থতা।
হাসব্যান্ডের কানের কাছে যদি দিনরাত ঘ্যানর ঘ্যানর করতে থাকে, তাহলে সে একবার উল্টাপাল্টা কিছু করতেই পারে। কথা হলো, এই ঘ্যানর ঘ্যানর এর কাজটা নারীরাই করে।
আপনার লেখাকে আরো পরিশীলিত করা সম্ভব। আমি সমালোচনা করতে পছন্দ করি খোচা দেয়ার জন্যে না, লেখাকে আরো আকর্ষনীয় করার জন্যে। ভালো না লাগলে নিঃসঙ্কোচে বলবেন। তাহলে শুধু প্রশংসাই করবো। নো প্রবলেম!!
২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৩১
রামিসা রোজা বলেছেন:
আপনার মন্তব্য বাল্য বিবাহ সম্পর্কিত নয় সেটা আমি বুঝতে পেরেছি এখানে কোন ভুলবোঝাবুঝি হয়নি । আর আমিও আপনাকে বুঝাতে পারিনি কারো অভাব-অনটনের কারণে পড়া বন্ধ হয়ে যায় এবং এই একবিংশ শতাব্দীতে এসেও প্রবাসী পাত্রস্থ করার জন্য বাল্যবিবাহ হচ্ছে ।
ঘটনা প্রসঙ্গক্রমে আপনি প্রাসঙ্গিক কথাই বলেছেন । ঘরের গুরুত্বপূর্ণ
কোন ব্যক্তি যদি নেগেটিভ/ পজেটিভ যেটাই বলুক না কেন,
সেটা একটু হলেও কেউ না কেউ কানেও নিবে । আপনার এই আলোচনা এখানে যৌক্তিক আছে ।
লেখায় আলোচনা-সমালোচনা সবই হবে এটাই তো স্বাভাবিক । আমার কোনো ব্যাখ্যা যদি অসঙ্গতি লাগে আপনি অবশ্যই সমালোচনা করবেন মোস্ট ওয়েলকাম । আর আমি নতুন আমার ভুল হতেই পারে বোঝানোর ক্ষেত্রে/ বলার ক্ষেত্রে সেটা ধরিয়ে দিলে আমারিতো উপকার । অনেক অনেক ধন্যবাদ রইলো ।
২১| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:০০
খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্পের স্ট্রাকচারে বেশ কিছু অসঙ্গতি থাকলেও, মনুষ্য সমাজের একটা পাশবিক দিক গল্পে বা ঘটনায় তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন, এজন্য আপনাকে সাধুবাদ।
পরপর দুটো মন্তব্য করে গল্পের একটা সাংঘর্ষিক অসঙ্গতির কথা ভুয়া মফিজ তুলে ধরা সত্ত্বেও আপনি তার পয়েন্টটা বুঝতে পেরেছেন, তা আপনার প্রতিমন্তব্য দুটো থেকে ঠিকভাবে বোঝা যাচ্ছে না। তিনি হয়তো বোঝাতে চেয়েছেন, যার ''পড়ালেখা স্থগিত'' হয়ে আছে, তারই আবার ''নবম শ্রেণীতে পড়ার সময়" বিয়ে হয়, এটা একটা সাংঘর্ষিক অসঙ্গতি (কন্ট্রাডিকশন)। বলা যেত ''নবম শ্রেণীতে পড়া স্থগিত থাকার সময়" তার বিয়ে হয়, এতটুকুই পার্থক্যের প্রতি হয়তো তিনি ইঙ্গিত করেছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:০০
চাঁদগাজী বলেছেন:
গল্পের মতো করেও লেখা হয়নি, ঘটনা বলেও মনে হচ্ছে না।