নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমুদ্রের যেমন জোয়ার ভাটা আছে, মানুষের জীবনে তেমনি জোয়ার ভাটা আছে। সমুদ্রের এদিক টার সাথে মানুষের জীবনের বড্ড মিল খুঁজে পাই ...

রামিসা রোজা

রামিসা রোজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

এ কেমন বিয়ে?

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৯



ধর্ষণ হলো সম্মতিবিহীন জবরদস্তি যা একটি গুরুতর অপরাধ, যার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। বিয়ে হচ্ছে নারী-পুরুষের পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে একত্র জীবনযাপনের নৈতিক এবং আইনী অনুমোদন। কিন্তু গত নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে দেশের তিনটি জেলায় ধর্ষণের মামলার আসামির সঙ্গে ধর্ষণের শিকার তরুণীর বিয়ে হয়েছে এবং তা হয়েছে আদালতের সম্মতিতে ।
গত ২৭ মে জেলার সোনাগাজীর চরদরবেশ এলাকার এক তরুণীকে ধর্ষণ করে জহিরুল ইসলাম জিয়া নামে এক ইউপি সদস্যের ছেলে। এর পরদিনই ওই তরুণী নিজে থানায় হাজির হয়ে ধর্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। একপর্যায় ২৯ মে ধর্ষক জিয়াকে আটক করে সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশ। পরে অভিযুক্তের পরিবার জামিনে মুক্তি পেলে বিয়ে করবে শর্তে ধর্ষকের জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করে।লাখ টাকা দেনমোহরে ধর্ষণের মতো ঘৃণ্যতা থেকে মুক্তি পেতে এবার হাইকোর্টের নির্দেশে ফেনী জেলা জেলা কারাগারের আয়োজনে বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আরেকটি হলো , ১৮ অক্টোবর রাতে নাটোর জেলার (১৮ অক্টোবর) উত্তরপাড়া গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে মানিক হোসেন একই এলাকার সম্পা খাতুন নামে ওই তরুণীর ঘরে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণ করে। এরপর ১৯ অক্টোবর সেই তরুণী বাদী হয়ে গুরুদাসপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এদিনই ধর্ষক মানিক হোসেনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। পরে নাটোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক তরুণীর সঙ্গে ধর্ষকের বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পর ধর্ষক মানিক হোসেনের জামিন মঞ্জুর করেন। এনিয়ে আদালত পাড়ায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ধর্ষণ মামলায় আট বছর ধরে কারাগারে বন্দী দিলীপ খালকো ২০১২ সালে আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। ধর্ষণের শিকার ওই নারী আদালতে বলেন, আসামিকে জামিন দিলে তার আপত্তি নেই। আদালত কারাফটকেই তাদের বিয়ের আদেশ দেন।

বাংলাদেশের প্রচলিত আইনব্যবস্থায় ধর্ষণের অপরাধ ভিক্টিমকে বিয়ের মাধ্যমে আপসযোগ্য নয়। ধর্ষণের শিকার তরুণীরআত্মীয়-স্বজন কিংবা স্বয়ং ভিক্টিমদের অনেকে অপরাধীর সাথে বিয়েতে সম্মতি দেন মূলত সামাজিক ও আর্থিক অনিশ্চয়তা থেকে। আমাদের দেশে ধর্ষণের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ নারীকে উল্টো সামাজিক লাঞ্চনা ও কলঙ্কের সম্মুখীন হতে হয়, ধর্ষণের শিকার নারীর পরবর্তীতে বিয়ে ও সামাজিক সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রে অজস্র প্রতিবন্ধকতা বিরাজমান, এদেশে বিচারপ্রাপ্তির প্রক্রিয়া আর্থিকভাবে ব্যয়বহুল, হয়রানিপূর্ণ এবং আইনের নানান প্যাঁচে পড়ে ও ক্ষমতা কাঠামোর প্রভাবে শেষ পর্যন্ত ন্যায়বিচার না পাওয়ার সমূহ আশঙ্কা– এসব কিছুই একজন ভিক্টিম কিংবা তাঁর পরিবারকে ‘বিয়ের মাধ্যমে সমঝোতা’ করতে বাধ্য করে। বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ’ এর ক্ষেত্রে বাদীর মূল চাওয়াই থাকে বিয়ের দাবি এবং সম্পর্কের স্বীকৃতি; অভিযুক্তের শাস্তি নয়। অন্যদিকে জোরপূর্বক ধর্ষণে ‘জোর’ আছে; ‘প্রেম’ নেই। উচ্চ আদালত হয়তোবা এই আদেশটি বাদীর সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে দিয়েছেন এর ফলে জোরপূর্বক ধর্ষণ এবং বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ এই দুটোর মধ্যে আইনি প্রতিকারের বেলায় প্রথমবারের মতো পার্থক্য সৃষ্টির প্রয়াস পেয়েছে। যে ধর্ষক একজন নারীর অসম্মতিতে জোর করে ধর্ষণ করে আবার সেই ধর্ষকের সাথে নারীর বিয়ে দেওয়া মানে সেই নারীকে আবারো অসম্মান এবং অনিশ্চিত জীবনের দিকে জীবনটাকে চিরতরে ধ্বংস দেওয়া ।
আমাদের দেশে আইন প্রণয়নকারী ও প্রয়োগকারী যাই হোক কিন্তু ধর্ষকের সাথে কখনোই আপোষ নয়।

মন্তব্য ৩৭ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৪৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




একজন ধর্ষক চাইলেই ধর্ষিতাকে বিয়ে করতে পারেন না। এখানে পরিবার ও সমাজের পক্ষে/বিপক্ষে এ বিষয়ে কোনো এনজিও’র/পরিবারের হয়ে উকিল/ব্যারিষ্টার লিভ টু আপিল দাখিল করতে পারেন।

ধর্ষিতা বিচার চাইবেন তিনি বিয়েতে রাজি হয়ে/বিয়ে করে জামিন চাইবেন কেনো?

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:১৫

রামিসা রোজা বলেছেন:
গ্রাম পর্যায়ে সেই একই বিষয় যে সালিশের মাধ্যমে তারা বিয়ে দিয়ে দেয়। এটা বোধায় একটু অন্যভাবে দেখার বিষয় আছে। আমাদের সমাজে যদি ধর্ষকের সাথে বিয়ে হতেই থাকে, তাতে এমন অপরাধে আরও উৎসাহ যোগাবে। আর আপনার মতো এই একটা প্রশ্ন আমার মনেও জাগেছে ,

ধর্ষিতা বিচার চাইবেন তিনি বিয়েতে রাজি হয়ে/বিয়ে করে জামিন চাইবেন কেনো? --- সহমত।

২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৫০

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আইন বিষয়ে লিখালিখি করলে দয়া করে রেফারেন্স লিঙ্ক দেয়ার চেষ্টা করবেন তাতে সাধারন পাঠকদের বুঝতে সুবিধা হবে, পাশাপাশি তারা আইন সম্পর্কে আরো বেশী সচেতন হতে পারবেন। বাংলাদেশে প্রচলিত বিভ্ন্নি আইনের রেফারেন্স দেয়া যেতে পারে আইন মন্ত্রনালয়ের সাইট থেকে। ধন্যবাদ।

বিঃদ্রঃ পূর্ববর্তী মন্তব্যের লিঙ্ক ঠিকমতো কাজ করছিলো না, তাই সঠিকভাবে লিঙ্ক বসিয়ে আবারো মন্তব্য প্রদান করা হলো। পূর্ববর্তী মন্তব্য মুছে দেয়ার অনুরোধ রইলো।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:১৮

রামিসা রোজা বলেছেন:
বাংলাদেশের ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ।
আইনের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল । এখানে একজন বাদীপক্ষ চাইছে বলেই বিয়েটা সমর্থ হয়েছে ।
সামাজিক নানা কারণে বাদীপক্ষ হয়তো এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিন্তু এই আপোষের বিয়ে একজন নারীর জীবনকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয় নয় কি ?

৩| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:



এগুলো গরীব মেয়ে।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:৫৩

রামিসা রোজা বলেছেন:
মানলাম গরীব , কিন্তু যতটা না গরিব তার চেয়ে বেশি এরা হীনমন্যতা ও মান-সম্মানের ভয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য
হয়েছে ।

৪| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: দরিদ্র পরিবার গুলোতে এরকম ঘটনা অনেক ঘটে।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:৫৫

রামিসা রোজা বলেছেন:
তাই বলে এদের সাথে আপোষ ? কোথায় বাস করছি ...

৫| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ২:০৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সোনাগাজীর আগে এবং পরে সব ঘটনা আপনি কি জানেন।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ২:১৩

রামিসা রোজা বলেছেন:
পরের সব ঘটনাগুলো আমার জানা নেই । কিন্তু বিয়েটা নিয়ে মিডিয়া ও দেশ তোলপাড় ।

৬| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:৪২

অনল চৌধুরী বলেছেন: প্রথম ঘটনার ক্ষেত্রে আদালত কিভাবে এধরণের একটা আদেশ দিলো সেটা আশ্চর্য !!!!
বিয়ের প্রস্তাব ধর্ষণের শাস্তি থেকে বাচার একটা কৌশল।
ধর্ষকরা কোনোদিন ভালো হয়না এবং সুযোগ পেলে বারবার ধর্ষণ করে। এদের স্বভাবও হয় অত্যন্ত জঘন্য।
তবে দ্বিতীয় ঘটনার ক্ষেত্রে বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক ধর্ষণ হবে, এমন আইন পৃথিবীর কোনো দেশে এখন আর মনে হয় নাই।
তবে এক্ষেত্রেই বিয়ের মাধ্যমে প্রতারককে শাস্তি থেকে বাচার কোনো সুযোগ দেয়া যায় না । কারণ যারা বিয়ে না করে প্রবৃত্তি চরিতার্থ করার স্বার্থে কোনো মেয়ের সাথে সম্পর্ক করে কিন্ত নিজের সন্তানের স্বীকৃতি দেয় না, এরাও জঘণ্য ধরনের লোক এবং এদের শাস্তি হওয়া উচিত।
এরা কোনোদিনও সন্মানের প্রতি দায়িত্ব পালন করতে পারবে না।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৬

রামিসা রোজা বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে ।
কারাফটকে বিয়ে করা আমাদের সমাজের রীতি নয়, এমনকি সম্মানজনক বা আনন্দপূর্ণও নয়।
ধর্ষক আত্মিক ও নৈতিক দিক থেকে নিম্ন পর্যায়ের, সে ধর্ষণের শিকার নারীর সমগ্র জীবনকে অভিশপ্ত করে দেয়। আমাদের দেশে আইন প্রণীত হয়েছে ধর্ষকের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। অর্থাৎ ধর্ষণের কারণে ধর্ষক আবার বেঁচে থাকার অধিকার হারায়। যদি সমঝোতার মাধ্যমে সে 'মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত না হয়ে, বিয়ের মাধ্যমে সুখভোগের জীবন লাভ করে এবং জীবনকে মহিমান্বিত করে তাহলে অপরাধ কোন অনুতাপের বিষয় হবে না, অপরাধ আনন্দলাভের উৎস হবে।

৭| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আদালতও কেন এমন আদেশ দিল আশ্চর্য্য,

একটা জঘন্য ধর্ষকের সাথে ধর্ষিতার বিয়ে মানি না। হয়তো ধর্ষিতাও এই জঘন্যটাকে স্বামী করতে চায়নি। পরিবারের সম্মানের কথা চিন্তা করে সে রাজী হয়েছে :(

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৯

রামিসা রোজা বলেছেন:
খবরে পড়ে ছিলাম এখনো মনে আছে , ২০১৬ সালে হবিগঞ্জের বাহুবলে ধর্ষকের সাথে বিয়ের চার মাসের মাথায় ১৮ বছর বয়সী এক নারী আত্মহত্যা করে । ওই নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে ২০১৬ সালে আদালতে মামলা দায়েরের পরে আপোষের মাধ্যমে ধর্ষকের সাথে বিয়ে হয়েছিল । এ নারীরা কখনোই এ সমস্ত অসভ্য চরিত্রহীন লোকের সাথে ভালো থাকবে না ।
ধন্যবাদ আপা সাথে থাকার জন্য ।

৮| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৪

অপু তানভীর বলেছেন: সংবাদটা দেখার পর থেকে ভাবছিলাম কত ঘৃণ্য একটা কাজকে জায়েক করা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে এই রকম কাজকে উৎসাহি করা হচ্ছে !

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৬

রামিসা রোজা বলেছেন:
এই খবরটা পড়ার পর থেকে আমারও খুব খারাপ লাগছিল এই ভেবে , যারা জোরপূর্বক ধর্ষণের শিকার তারা প্রতিনিয়ত মনের সাথে যুদ্ধ করে যাবে । আর যারা ধর্ষক অর্থাৎ অপরাধ করে তিরস্কার না পেয়ে মনে হল পুরস্কার পেলো ।
ধন্যবাদ আপনাকে ।

৯| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৮

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: শাস্তি হওয়া উচিত ছিল।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৪

রামিসা রোজা বলেছেন:
এই অপরাধীদের সাথে আপোষে যাওয়াটা ঠিক হয় নাই । মানবিক মর্যাদা ও নারীর সম্ভ্রম এ ধরনের বিয়ে দিয়ে কি রেহাই পাওয়া গেলো? শাস্তি হওয়া উচিত ছিল আমিও মনে করি ।
ধন্যবাদ আপনাকে ।

১০| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৭

মেহবুবা বলেছেন: কত কিছু বলতে ইচ্ছে করছে ! কি হবে বলে ?
কত কি দেখছি এবং মেনেও নিচ্ছি ।
শুধু এইটুকু বলছি " মেয়েরাও মানুষ "।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫৭

রামিসা রোজা বলেছেন:
এ ধরনের ঘটনায় অনেকেই পারিপার্শ্বিক ও সামাজিক চাপে পড়ে মন থেকে ঠিকই মেনে নেয় না কিন্তু মেনে নিচ্ছে ।
এর জন্য দায়ী কে , এই সমাজের মানুষেরা ।
অনেক ভালো লাগলো আপু আপনার মন্তব্যে এবং ধন্যবাদ।

১১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১০

ঢুকিচেপা বলেছেন: খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় সামনে এনেছেন।
হঠাৎ একটি ঘটনা হলে সেটা ঠিক ছিল, কিন্তু একই সিস্টেম চালু হওয়া ভবিষ্যতের জন্য ভালো না।
শাস্তি থেকে বাঁচতেই বিয়ের ব্যবস্থা, আর এই বিয়ে কতদিন টিকবে/টিকেছে তা ভুক্তভোগীই জানেন। সেই কারণে আপোষ না করে শাস্তি নিশ্চিত করা উচিৎ।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪১

রামিসা রোজা বলেছেন:
দেশের প্রাপ্তবয়স্ক কোন যুবক বিয়ের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হতে হয় না। সুতরাং সে আদালতে সোপর্দ হয়েছে প্রাপ্তবয়স্ক যুবক হিসেবে নয় অপরাধী হিসেবে। ধর্ষণের শিকার নারী তাঁর মানবিক মর্যাদা হারিয়েছে ধর্ষক ধর্ষণের মাধ্যমে বিয়ের কোন  নৈতিক দায়িত্ব কর্তব্য পালন করেনি। সুতরাং বিয়ের গুরুত্বপূর্ণ অর্থাৎ কোন অর্থবহ জীবনের সংজ্ঞা খুঁজে পাওয়া যায় না এ বিয়েতে ।
ভালো লাগলো আপনাকে অনেকদিন পর দেখে এবং অনেক ধন্যবাদ।

১২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৮

সোহানী বলেছেন: একটি অসহায় মেয়েকে আরো অসহায় বানানোর চেষ্টায় পুরো সমাজ। ধিক্ এ সমাজকে।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৫

রামিসা রোজা বলেছেন:

আমরা এখোনে অনেক গোঁড়ামিতে পিছিয়ে আছি এবং এর থেকে মুক্তির সম্ভাবনা অদূর ভবিষ্যতেও হবে কি-না সন্দেহ । একজন অপরাধীর শাস্তি হবে এটাই স্বাভাবিক ছিলো অথচ হলো এর উল্টোটা ।
ধন্যবাদ আপনাকে।

১৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০২

শায়মা বলেছেন: কি আশ্চর্য্য! এই মেয়ে তাকে বিয়ে করবে কেমনে সেটা কেউ ভাবে না! মেয়েটর মনের অবস্থা কি হয় এই নরপশুকে দেখে!
মেয়ের উচিৎ বিয়ের পর বেটাকে বিষ খাইয়ে দেওয়া।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৭

রামিসা রোজা বলেছেন:
মেয়ের উচিৎ বিয়ের পর বেটাকে বিষ খাইয়ে দেওয়া -- এই কথাগুলো পড়ে কষ্টের মাঝেও আমি হাসতে হাসতে শেষ । তবে আপা আপনার ধারণা মনে হয় একেবারে মিথ্যে নয় কারণ এই ক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত ওই মেয়েই ধুকে ধুকে মরে আর না হয় আত্মহত্যা করে।
নরপশু আর আমাদের সমাজ ঠিকই ভালো থাকে অথচ যা ক্ষতি হওয়ার সেই মেয়েটার হয়ে গেলো ।
অনেক ভালো লাগলো আপনাকে লেখায় পেয়ে এবং অসংখ্য ধন্যবাদ ।

১৪| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২৯

শায়মা বলেছেন: হাসির কথা না আমি হলে এটাই করতাম আপু....... ফার্স্টে বেটাকে নাকানি চুবানি খাওয়াতাম। পানিতে ডুবাতাম, আগুনে পুড়াতাম। মানে জীবনের উদ্দেশ্যই করে নিতাম বেটাকে শিক্ষা দীক্ষা দেবার........ তারপর নিজে হাতে বিষের শরবৎ বানিয়ে গিলায় দিতাম..... :)

তারপর মরনেও দুঃখ থাকিতোনা...... :)

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৭

রামিসা রোজা বলেছেন:
একটা মেয়েকে জীবন্ত লাশ বানিয়ে তাকে পাশে সং সাজিয়ে ঘুরানোর মানুষ কি সত্যিকার অর্থে জীবন সাথী হতে পারে? সেই মেয়ে তো অনেক আগেই একবার মরে গেছে অর্থাৎ নিজের কাছে । এ ধরনের বদমাশ পুরুষকে বিয়ে করার চেয়ে একা থাকা অনেক ভালো অথবা ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড সেটাই ভালো ছিলো । পুনরায় এলেনা আপা কৃতজ্ঞতা রইলো ।

১৫| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩০

শায়মা বলেছেন: এই লেখা পড়ে শিখে নাও কেমনে শিক্ষা দিতে হয় :)


যখন আমার রাগ হলো, ইচ্ছে হলো দুহাত দিয়ে দেই টিপে তার গলাX(X(X(
২৬ শে জুন, ২০১২ রাত ৮:৪০

যখন আমার রাগ হলো -
ইচ্ছে হলো দুহাত দিয়ে
দেই টিপে তার টুটি,
আজীবনের জন্য তার হোক
বদমাইশির ছুটি।

দুমুখো সাপ, এক টানে তোর
ছিড়বো জিবের গোড়া
দশ টুকরো করে দেবো
এক টুকরোয় জোড়া।

আচঁডে দেবো? কামড়ে দেবো?
নাকি তুলেই আছাড় দেবো?
গুন্ডা দশেক লেলিয়ে দেবো
পাগলা কুকুর খেলিয়ে দেবো?

জ্বালিয়ে দেবো, পুড়িয়ে দেবো
ফাঁসি কাষ্ঠে ঝুলিয়ে দেবো।
দুই হাতে কান মুলিয়ে দেবো
টান দিয়ে চুল ছিড়েই দেবো।

মৌচাকে ঢিল ছুঁড়েও দেবো
বিষাক্ত হুল ফুঁটিয়ে দেবো।
বাঘের খাঁচায় আটকে দেবো
কেইস দিয়ে ফাটকে দেবো।

জ্যান্ত পুঁতে কবর দেবো
পেপারে তার খবর দেবো
তলোয়ারটা শানিয়ে নেবো।
কল্লাখানা নামিয়ে দেবো।

বিষ শরবৎ গুলিয়ে নেবো
নিজের হাতে গিলিয়ে দেবো
আত্মারামটা দুলিয়ে দেবো
ভুতেরগলি পাঠিয়ে দেবো।

সুঁই দিয়ে মুখ সেলাই দেবো
উপর থেকে ফেলাই দেবো
ছাল ছাড়িয়ে শুঁকাই নেবো
ছাদের তারে মেলাই দেবো।

চামড়া দিয়ে ডুগডুগাবো
সারে গামা পাধা গাবো
কাঁটাঘায়ে লবন দেবো
গরম তেলে ফোঁড়ন দেবো।

গ্রাইন্ড মেশিনে গুড়গুড়াবো
মুড়ির মত মুড়মুড়াবো
ধোঁপার বাড়ি পাঠিয়ে দেবো
ধোলাই করে ফিরিয়ে নেবো।

ধোলাইখালেই পাঠিয়ে দেবো?
পার্ট বাই পার্ট খুলেই নেবো
জন্মেও আর জুড়বো না তা
হিংসুক আর মিথ্যে যা তা।

সমুদ্দুরে ডুবিয়ে দেবো
পাথর বুকে চাপিয়ে দেবো
রেইললাইনে ধরবো গলা
ঘুচবে তখন ছলাকলা।

ল্যাঙ মেরে ঠ্যাং ভেঙে দেবো
গাছের আগায় টাঙিয়ে দেবো।
নখের ডগায় পিন ফুটাবো
কানের গোড়ায় টিন বাঁজাবো।

বুকের পাঁজর মাড়িয়ে দেবো
অচিনপাখি উড়িয়ে দেবো
চৌদ্দপুরুষ ভুলিয়ে দেবো
ফুলিয়ে বেলুন ফাটিয়ে দেবো।

হাঙর দিয়ে খাইয়ে দেবো
ভাটির টানে ভাসিয়ে দেবো
হাজার মাইল হাঁটিয়ে নেবো
একশো বছর খাঁটিয়ে নেবো।

শিলনোড়াতে থেতলে দেবো
চপার দিয়ে চপচপাবো
টুকরো করে আঁচার দেবো
ভাতের সাথে মিশিয়ে খাবো।

না না ওকে কাঁচাই খাবো
লবন মরিচ মাখিয়ে নেবো?
ওয়াক থু থু ছুড়েই ফেলি
ট্রাকের চাঁপায় মেরেই ফেলি।

কিংবা টম আর জেরীর মত
হাতুড়ীটা জায়গামত
তাক করে ঠিক মাথায় মাঝে
ধাই করে দেই ঘিলুর ভাঁজে।

দেখুক সরষে ফুলগুলো সব
চোখের তারায়, ভীষন আজব
ভনভন ওর ঘুরুক মাথা
ধরবো সেথা উলটো ছাতা।

চুন মাখিয়ে সারা মুখে
কালি দিয়ে আঁকবো সুখে
উলটো গাঁধায় চড়িয়ে দেবো
ঢাকা শহর ঘুরিয়ে নেবো।

কিল, চড় আর লাঠির বাড়ি
কোনটা আমি ভালো পারি???
তারচে বরং ভুলেই যাবো
রাগটা না হয় তুলেই নেবো।

না না না কখনও না
তাহার কাছে হার মানিনা
রাগটা থাকুক, ভীষন দামি
তাকেই ভুলে যাবো আমি।

ইরেজারের ঘসায় ঘসায়
ছাল চামড়া খোসায় খোসায়
পুরু করে তুলবো তারে
আমি ছাড়া আর কে পারে?

এটাই আমার পারতে হবে
তাকেও যে শিখতে হবে
কষ্ট পেয়ে দেখতে হবে
ভীষন কঠিন জগৎটাকে।

মানতে হবে জানতে হবে
একদিন ঠিক কাঁদতে হবে
ঠিক যেমনই তাহার তরে
আজ কেঁদেছি আমি !

সেদিন তাকে বুঝতে হবে
কাউকে তাহার খুঁজতে হবে
জয় পরাজয়, ক্ষোভ বিদ্বেষ
লাভ আর ক্ষতির হিসেব নিকেশ!

সব পেরিয়ে বুঝবে যেদিন
পৃথিবীতে একটি জিনিস সবচাইতে দামী!!!


উৎসর্গঃ একজন শত্রুকে X(......

https://www.somewhereinblog.net/blog/saimahq/29624712

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০৫

রামিসা রোজা বলেছেন:

আপনি এত চমৎকার ভাবে প্রতিবাদী কবিতা লিখেছেন একদম বিশ্লেষণ সহকারে , আমি পড়ে অভিভূত হলাম ।
এই কবিতাটি আমাকে পড়ানোর জন্য আপনাকে অনেক অনেক আন্তরিক ধন্যবাদ ।

১৬| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩৩

শায়মা বলেছেন: যখন আমার রাগ হলো -
ইচ্ছে হলো দুহাত দিয়ে
দেই টিপে তার গলা,
আজীবনের জন্য ভুলুক
সকল ছলা কলা ।

একটুখানি এডিট করলাম ......

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১০

রামিসা রোজা বলেছেন:
যখন আমার রাগ হলো -
ইচ্ছে হলো দুহাত দিয়ে
দেই টিপে তার গলা,
আজীবনের জন্য ভুলুক
সকল ছলা কলা ।
--হা হা হা ঠিক বলেছেন তবে এই বদমাশ গুলোর জন্য ফাঁসির দড়ি উপযুক্ত

১৭| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। আমাদের আর্থিক দুরবস্থা, অশিক্ষা গরিব নারীদেরকে এভাবে জীবন্মৃত করে আপস করতে বাধ্য করে।এর হাত থেকে নিষ্কৃতির রাস্তা নেই...

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১০

রামিসা রোজা বলেছেন:
শুধু দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা নয় এদেরকে একদম মৃত্যুর সাথে আলিঙ্গন করে দেয়া হলো । ভাই, জগৎসংসারের সংসার জীবন বড়ই কিন্তু সব জেনে শুনে এমন চরিত্রহীন লোকের সাথে কি করে থাকা সম্ভব ? ওই ধর্ষককে আরো কয়েক বছর জেলখানায় বন্দি রাখার দরকার ছিলো ।
আপনার মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি ।

১৮| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:৪৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:

খুবই মুল্যবান কথামালা সমৃদ্ধ পোষ্ট ।
শুভেচ্ছা রইল

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩০

রামিসা রোজা বলেছেন:

স্বাগত আপনাকে ।
লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ সহ কৃতজ্ঞতা রইলো ।

১৯| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:২৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আদালতের রায় নিয়ে কোন কথা নেই, কিন্তু একজন ধর্ষকের সাথে ধর্ষিতার বিয়ের ব্যবস্থা করে দেয়ার এই আয়োজনগুলো আমার কাছে মোটেই ভালো লাগে নি। এগুলোকে মনে হয়েছে একটি বড় অপরাধকে ছোট করে দেখার প্রবণতা।

পোস্টের শেষ কথাটাই আসল কথা; সেটার সাথেই একমত।

পোস্টে সপ্তম ভাললাগা। + +

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.