![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নাসরুল আনোয়ার, হাওরাঞ্চল
প্রাইভেট পড়ানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে গিয়ে স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানি করেছেন শিক্ষক। শুধু তাই নয়, এ ঘটনা প্রকাশ করায় মেয়েটির বাবা লাঞ্ছিত হয়েছেন। বাজিতপুরের ডুয়াইগাঁও সুলতানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন এক শিক্ষক এমন কুকর্ম ঘটিয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ উপজেলায় প্রায়ই ঘটছে এমন যৌন হয়রানির ঘটনা। ঘটনার বিচার না হওয়া এবং নিপীড়নকারীদের পক্ষে অনেক ক্ষেত্রে প্রভাবশালীরা ভূমিকা রাখায় এসব হয়রানি বেড়ে চলেছে।
শিক্ষকের অনৈতিক কর্মকাণ্ড : শিক্ষকের অশালীন প্রস্তাবের বর্ণনা দিয়ে মেয়েটি জানায়, ওই দিন অযথাই 'সোহেল স্যার' তাকে প্রাইভেট পড়তে যেতে বলেন। সেখানে তাকে নানা ধরনের আজেবাজে কথা বলা হয়। স্কুলছাত্রীর পল্লী চিকিৎসক বাবা জানান, স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে এ বিষয়ে তিনি মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ পাওয়া গেছে, বদরুল আলম সোহেল নামে ডুয়াইগাঁও সুলতানপুর স্কুলের ওই শিক্ষক বেশ কয়েকজন ছাত্রীর সঙ্গে এমন আচরণ করেছেন। সুযোগ পেলেই ওই শিক্ষক ছাত্রীদের কুপ্রস্তাব দেন।
এদিকে সাংবাদিকের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলায় শিক্ষকের পক্ষে মোবারক হোসেন খাঁ নামের স্কুল কমিটির এক অভিভাবক সদস্য মেয়েটির বাবাকে লাঞ্ছিত করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে মেয়েটির বাবাকে ডেকে নিয়ে মোবারক অকথ্য গালাগাল করেন।
ছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টা : উপজেলার হিলচিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন নিকলীর পাড়া বাজিতপুর গ্রামের বখাটে জাহাঙ্গীর। মেয়েটির পরিবার ও স্কুল সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন ওই ছাত্রী সহপাঠীদের নিয়ে স্কুল থেকে ফিরছিল। পথে কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে জাহাঙ্গীর মেয়েটির হাত ধরে টানাটানি করে এবং অপহরণের চেষ্টা চালায়। ছাত্রীদের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন দৌড়ে এলে বখাটেরা পালিয়ে যায়।
মেয়েটির বাবা গতকাল শনিবার কালের কণ্ঠকে জানান, ঘটনার পর তিনি প্রধান শিক্ষকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। প্রধান শিক্ষক আবেদনটি থানার ওসির কাছে পাঠান। কিন্তু প্রশাসন বখাটেকে গ্রেপ্তারে কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি।
মেয়েটি ছাড়ল স্কুল, মার খেলেন কাকা : বখাটেদের অত্যাচারের শিকার একই স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর আরেক ছাত্রী দুই সপ্তাহ স্কুলে যায়নি। প্রতিবাদ করতে গিয়ে মেয়েটির কাকা প্রহৃত হয়েছেন। জানা যায়, হাঁপানিয়া গ্রামের সম্ভ্রান্ত সংখ্যালঘু পরিবারের সপ্তম শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে এলাকার গোলাম মোস্তফার ছেলে শফিক দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করছিল। অভিযোগ, স্কুলে যাওয়া-আসার পথে ছেলেটি ও তার বন্ধুরা মেয়েটির পিছু নেয়। নানা অশ্লীল কথা বলে। শফিকের চরম বাড়াবাড়ির মুখে দুই সপ্তাহ আগেই মেয়েটি স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়।
অভিযুক্ত শিক্ষক, অভিভাবক সদস্যের ভাষ্য : ছাত্রীর বাবাকে লাঞ্ছিত করার কথা অস্বীকার করেছেন স্কুল কমিটির সদস্য ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মোবারক হোসেন খাঁ। তিনি জানান, তাঁদের মতো 'নেতা' থাকতে ঘটনাটি সাংবাদিকদের জানানোর কারণ জানতে চেয়েছিলেন। এর বেশি কিছু নয়। শিক্ষকের বখাটেপনার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তিনি জানান, প্রয়োজনে ওই শিক্ষককে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হবে।
কথিত শিক্ষক বদরুল আলম সোহেল বলেন, 'ঘটনাটি কিছুই না। এটা মানুষের বানানো।' তিনি প্রধান শিক্ষককে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করার পরামর্শ দিয়ে ফোন রেখে দেন।
সামাজিক নেতৃত্ব, প্রশাসন কী ভাবছে : ডুয়াইগাঁও-সুলতানপুর উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এমরানউদ্দিন ভূঁইয়া এংরাজ জানান, তাঁর এলাকায় বখাটেদের তৎপরতা বেড়েছে। তিনি জানান, শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর স্কুলের শিক্ষকরা ওই শিক্ষককে সতর্ক করে দিয়েছেন। প্রধান শিক্ষক মোবারক হোসেন জানান, ছাত্রীরা প্রায়ই বখাটেদের নিগ্রহের শিকার হচ্ছে, এসব ঘটনার স্থায়ী প্রতিকার প্রয়োজন।
বাজিতপুরের ইউএনও এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে বখাটেদের আইনগত বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
LINK Click This Link
২| ২৮ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২৩
ফুরব বলেছেন: শিক্ষার নামে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত যত শিক্ষার্থী ধর্ষিত হয়েছে তা মনে হয় আর কোণ প্রতিষ্ঠানে হয় নাই।
সরকারের অবিলম্বে গার্লস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পুরুষ শিক্ষকদের সব নিয়োগ বাতিল করা দরকার।
এবং স্কুল কলেজ ব্যাঙ্ক এই জাতীয় প্রতিষ্ঠানে শুধুমাত্র মহিলা কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে এই ধর্ষন থেকে জাতিকে রেহাই দিতে পারে।।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৫৯
কাক ফ্রাই বলেছেন: শিক্ষক নামে এইসব পশুদের জবেহ করা হক ।