নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হরপ্পা

``চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই। তা প্রকাশ করতে যদি লজ্জাবোধ হয়, তবে সে ধরনের চিন্তা না করাই বোধ হয় ভাল।' -- প্রাচীন গ্রীক কবি ইউরিপিডিস (৪৮০-৪০৬ খ্রীঃ পূঃ)

রণদীপম বসু

রণদীপম বসু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইয়োগা: সুদেহী মনের খোঁজে ।০৯। আসন: পবন-মুক্তাসন।

২৬ শে জুন, ২০০৯ রাত ৮:৪২





# পবন-মুক্তাসন (Pavana-muktasana):

পেটের আবদ্ধ বায়ুকে মুক্ত করে দেয় বলেই এই আসনটির নাম পবন-মুক্তাসন (Pavana-muktasana)।



পদ্ধতি:

সটান চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ুন। এবার ডান পা উঁচু করে হাঁটু ভেঙে দু’হাত দিয়ে ঐ হাঁটু ধরে ডান বুকে চেপে ধরুন। ২০ সেঃ থেকে ৩০ সেঃ ঐ অবস্থায় রাখুন। তারপর হাত আলগা করে ডান পা পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নিন। এবার বাঁ পা ঐ একইভাবে নিয়ে এসে বাঁ বুকের উপর চেপে ধরুন। এবং একই সময় পরে বাঁ পা ফিরিয়ে নিন। তারপর দু’হাঁটু একসঙ্গে নিয়ে এসে বুকের উপর চেপে ধরুন। প্রতিটি ভঙ্গিমা ৩/৪ বার করে অভ্যাস করুন। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে। প্রথম অভ্যাসের সময় উরু ও হাঁটু যদি পেট ও বুকের সঙ্গে না লাগে তবে পেট ও উরুর মাঝে একটি পাতলা নরম বালিশ দিতে হবে। কেননা আসল উদ্দেশ্য হলো, উরু দিয়ে পেটের উপর চাপ দেয়া। আসনটি অভ্যাসের পর শবাসনে বিশ্রাম নিন।





উপকারিতা:

যাদের পেটে বায়ু জমে তাদের আসনটি অবশ্যই করা উচিৎ। এ আসন অভ্যাস রাখলে কোনদিন পেট ফাঁপা রোগ হয় না। এছাড়াও আসনটি অজীর্ণ, কোষ্ঠবদ্ধতা, অম্ল প্রভৃতি পেটের যাবতীয় রোগ দূর করে, জঠরাগ্নি উদ্দীপ্ত করে, পেট, তলপেট ও নিতম্বের স্নায়ুজাল ও পেশী সবল ও সক্রিয় রাখে। পেট ও বস্তিপ্রদেশের অপ্রয়োজনীয় মেদ কমিয়ে দেহকে সুঠাম ও সুন্দর করতে সাহায্য করে।

আসনটি প্যাংক্রিয়াস গ্রন্থিকে সবল ও সক্রিয় রাখে। ফলে ডায়াবেটিক রোগ হতে পারে না।





সতর্কতা:

যাদের পেটে অত্যধিক বায়ু জমে, যাদের প্লীহা, যকৃৎ অস্বাভাবিক বড় বা যাদের কোনধরনের হৃদরোগ আছে, তাদের রোগ নিরাময় না হওয়া পর্যন্ত সাবধানে আসনটি যতটুকু সহজভাবে হয় ততটুকু করা বাঞ্ছনীয়। জোর করে পেটের উপর অত্যধিক চাপ দেয়া ঐ অবস্থায় কখনোই উচিৎ নয়।

[Images: from internet]



(চলবে...)



পর্ব:[০৮] [**][১০]

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৪/-১

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুন, ২০০৯ রাত ৮:৫৩

যুগান্তকারী বলেছেন: প্রিয়তে।++++++++

২৬ শে জুন, ২০০৯ রাত ৮:৫৬

রণদীপম বসু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ২৬ শে জুন, ২০০৯ রাত ৯:০৬

শয়তান বলেছেন:
আগে করতে পারতাম এই আসনটা । এখন আর পারি না :(

মেদভুড়ি কি করি কেস :P

২৬ শে জুন, ২০০৯ রাত ১১:২০

রণদীপম বসু বলেছেন: শরীরে যেটুকু ধরে সেটুকু থেকেই করার চেষ্টা করতে পারেন। ধীরে ধীরে আয়ত্তে চলে আসবে। মেদভুড়ি কেসেও কাজে লাগবে।

৩| ২৭ শে জুন, ২০০৯ সকাল ১১:৪৮

মুহাম্মদ মোহেব্বুর রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৭ শে জুন, ২০০৯ দুপুর ১:৩৬

রণদীপম বসু বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.