![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
[লেখাটা দু'দিন আগের]
মৃত্যুর পর তাঁকে যেন শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়, তাঁর এই শেষ ইচ্ছেটা তিনি একবারও কি উচ্চারণ করতেন, যদি জানতেন কবরের একটুকু জায়গা না পেয়ে দাফনের অপেক্ষায় তাঁর নিথর মরদেহটি পাঁচ পাঁচটি দিন হাসপাতালের হিমঘরে পড়ে থাকবে ! এই জাতির কাছে তাঁর চাওয়াটা কি খুব বেশি কিছু ?
বায়ান্নতে তৎকালীন শাসক গোষ্ঠি কর্তৃক বাঙালির স্বতঃস্ফূর্ত আবেগে গড়ে তোলা একুশের তাৎক্ষণিক ও প্রথম শহীদ মিনারটি ভেঙে ফেলার প্রেক্ষিত-প্রতিবাদে ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সে সময়কার টগবগে তরুণ ছাত্র-কবি আলাউদ্দিন আল আজাদের রচিত ‘স্মৃতিস্তম্ভ’ কবিতার অমর পঙক্তিগুলো শুরুই হয়েছিলো যে নির্ভরতার পঙক্তি দিয়ে-
‘স্মৃতির মিনার ভেঙেছে তোমার ? ভয় কি বন্ধু, আমরা এখনো চার কোটি পরিবার খাড়া রয়েছি তো !...’
যা প্রকাশিত হয়েছিলো ১৯৫৩ সালে হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত একুশের প্রথম সংকলন ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’তে; বাঙালির সকল আন্দোলন সংগ্রাম আর আবেগের উৎস হিসেবে এই শহীদ মিনারকে বুকে ধারণ করে সেই চার কোটি পরিবারের উত্তর প্রজন্ম হিসেবে আমাদের উপরও তাঁর অন্তহীন আস্থা আর নির্ভরতার কমতি ছিলো না হয়তো। নইলে দেশের বরেণ্য একজন কথাশিল্পী, শিক্ষক ও ভাষাসৈনিক অধ্যাপক ড. আলাউদ্দিন আল আজাদের শেষ ইচ্ছেটা আর যাই হোক মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফনের সরকারি অনুমতি না পেয়ে তাঁর মরদেহ হিমাগারে পড়ে থাকার মতো এতোটা দুর্ভাগ্যজনক নিয়তি-নির্দিষ্ট হতে পারতো না। এ লজ্জাও আমাদের এই মাটিকেই ধারণ করতে হবে !
গত শুক্রবার (০৩-০৭-২০০৯) রাতে রাজধানীর উত্তরায় নিজ বাসভবন ‘রত্নদ্বীপ’-এ মৃত্যুর পর শুক্র ও শনিবার তাঁর মরদেহ বারডেম হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হয়েছিলো। রোববার সর্বস্তরের মানুষের শেষ শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণের পর পরিবারের ইচ্ছানুযায়ী তাঁর মরদেহ শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফনের কথা। কিন্তু সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমতি না পাওয়ায় তাঁর মরদেহ নিয়ে রাখা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিমাগারে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়া হয়েছে, যেহেতু আলাউদ্দিন আল আজাদ খেতাবধারী মুক্তিযোদ্ধা নন কিংবা মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় তার নামও নেই, তাই তাঁকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের যেখানটায় মুক্তিযোদ্ধাদের দাফন করা হয় সেখানে দাফন করা যাবে না। তবে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের অন্য যে কোনো জায়গায় তাঁকে অস্থায়ীভাবে দাফন করা যাবে। সে ক্ষেত্রে ঢাকা সিটি করপোরেশানের অনুমতি লাগবে। কিন্তু প্রয়াতের পরিবার এতে রাজি নন।
সরকারের এ বক্তব্যে তাঁর পরিবার থেকে প্রচণ্ড ক্ষোভ ও বিস্ময় প্রকাশ করে প্রয়াতের শ্যালক বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের স্ত্রী মিলি রহমান বলেন, তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা না হলেও বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে ড. আলাউদ্দিন আল আজাদের ভুমিকা অসীম। তাঁকে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে দাফন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী বরাবরে একটি ফ্যাক্স বার্তাও পাঠানো হয়েছে। আশা করা যায় তিনি বিষয়টি বিবেচনা করবেন। আর তা না হলে ড. আজাদকে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে নয়, অন্য কবরস্থানে দাফন করা হবে [সূত্র: দৈনিক ‘সমকাল’ (০৭-০৭-২০০৯)]। জানা যায় এক বছর আগে ড. আজাদের একমাত্র পুত্রও মারা গেছে।
নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার রামনগর গ্রামে বাবা গাজী আবদুস সোবহান ও মা আমেনা খাতুনের চার কন্যার পর ৬মে ১৯৩২ সালে জন্ম নেয়া পরম আকাঙ্ক্ষার ধন একমাত্র পুত্র শৈশবের ‘বাদশা’ থেকে দেশে বিদেশে খ্যাতনামা আলাউদ্দিন আল আজাদ হয়ে ওঠার কাহিনী বেশ রোমাঞ্চকর বলেই জানা যায়। মাত্র দেড় বছর বয়সে মাতৃহারা ও দশ বছর বয়সে পিতৃহারা হলে এই এতিম শিশুর জমি-জিরাত যা ছিলো গ্রামের আত্মীয়-স্বজনরা সব জবরদখল করে নেয়। নিঃস্ব দাদীমার কাছেই লালিত পালিত হতে থাকলেন তিনি। তেরশ পঞ্চাশে দেশজুড়ে ভয়াবহ মন্বন্তরে হৃতসর্বস্ব এক আশ্রিত শিশু বাদশার মনে যেন অলৌকিকভাবেই এই উপলব্ধি আসে যে একমাত্র শিক্ষা ছাড়া তাঁর আর কোথাও যাবার জায়গা নেই। নানান জনের সাহায্য সহযোগিতায় বেড়ে ওঠা বাদশা সেই থেকে যে বইয়ের জগতে ডুব দিলেন, সেখান থেকে আর ফিরেন নি তিনি। প্রাথমিক বিদ্যালয় শেষে উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ে ভর্তির পর থেকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা জীবনের শেষ পর্যন্ত প্রথম ছাড়া জীবনে কখনো আর দ্বিতীয় হননি।
স্কুল জীবন শেষে ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজে ভর্তি হন। লেখাপড়ার খরচ চালানোর জন্য রাতে খবরের কাগজের অফিসে খণ্ডকালীন চাকরি করতে হয় তাঁকে। ইতোমধ্যে তাঁর দাদী বিনা চিকিৎসায় মারা গেলে সিদ্ধান্ত নেন ডাক্তারি পড়ার। কিন্তু খরচের টাকার সংস্থান না হওয়ায় সেটা বাদ দিয়ে বাঙলা অনার্স নিয়ে বিএ পরীায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হন। এমএ-তেও তাই। এরপর প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা দিয়ে বৈদেশিক বৃত্তি নিয়ে উচ্চতর শিক্ষার জন্য লণ্ডনে পাড়ি জমান তিনি। ১৯৭০ সালে লণ্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রী নেন এবং রয়েল সোসাইটির ফেলো নির্বাচিত হন। পরে আমেরিকা আধুনিক ভাষা সমিতির সদস্য হন এবং ১৯৮৩ তে অরেগন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তুলনামূলক সাহিত্যে উচ্চতর ডিগ্রি নেন। অথচ এর বহু আগেই অতি ছোট বেলা থেকে সাহিত্য চর্চায় জড়িত হয়ে অসাধারণ মেধা ও সৃজনশীল রচনার মাধ্যমে বাদশা থেকে আলাউদ্দিন আল আজাদ হিসেবে তাঁর খ্যাতিও সেই অল্প বয়সেই দেশে বিদেশে ছড়িয়ে যায়। গল্প, উপন্যাস, নাটক, কাব্য, প্রবন্ধ, শিশুতোষ রচনা, ভ্রমণ কাহিনী, জীবনী গ্রন্থ ইত্যাদি সাহিত্যের এমন কোন শাখা বাকী নেই যেখানে তিনি তাঁর অনন্য প্রতিভার স্বাক্ষর না রেখেছেন।
‘নিমন্ত্রণ’ নামে তাঁর প্রথম রচনা প্রকাশিত হয় ১৯৪৩ সালে যুগান্তর পত্রিকার ছোটদের পাতায়। ১৯৪৭ সালে মাসিক ‘সওগাত’ পত্রিকায় সাহিত্য কর্মে আবেগের ভূমিকা নিয়ে প্রকাশিত তাঁর মননশীল প্রথম প্রবন্ধ ‘আবেগ’ যে কোন কিশোরের রচনা হতে পারে, তা ভাবতেই পারে নি কেউ। সেই থেকে নিয়মিত লিখে গেছেন তিনি। এবং তাঁর সাহিত্যকৃতির গুণে মানে সেই সময়ে তাঁকে অলৌকিক বালক হিসেবে ভাবা হতো। প্রথম গ্রন্থ ‘তেইশ নম্বর তৈলচিত্র’ থেকে অবিরাম লিখে চলা আলাউদ্দিন আল আজাদের বিভিন্ন বিষয়ের উপর লেখা গ্রন্থ সংখ্যা ১২০ টি। বাংলা একাডেমী পুরস্কার, একুশে পদক সহ বহু পুরস্কার ও পদকে ভূষিত ড. আলাউদ্দিন আল আজাদ ও তাঁর সাহিত্য কর্ম বাঙালির গর্ব ও অনিবার্য সম্পদ হয়ে ওঠলেও মৃত্যুর পর এই বাঙালি সন্তানের মরদেহ হিমঘরে পড়ে থেকে আমাদের নগ্নতাকে শেষ পর্যন্ত নগ্নভাবেই উপহাস করে যায় !
আজ ০৭ জুলাই, ২০০৯ ড. আলাউদ্দিন আল আজাদের পূর্বনির্ধারিত কুলখানি হবার কথা থাকলেও লাশ দাফন করতে না পারার কারণে তাও আর হয়নি। তবু মৃতের গন্তব্য অনির্দিষ্ট হলেও অপেক্ষা অন্তহীন হয় না কখনো। কিন্তু আমাদের লজ্জা নিবারণের উপায়টাই অনিশ্চিৎ রয়ে গেলো, শেষপর্যন্ত।
১০ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১:৩৩
রণদীপম বসু বলেছেন: আমিও আপনার মতো খুঁজেছি শামীম ভাই। কোন নিউজ না পেয়ে দুঃখে লজ্জায় শেষে..... কী আর বলবো !
২| ১০ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৯
ফালতু মিয়া বলেছেন: তেইশ নম্বর তৈল চিত্র পড়ে আমি মুগ্ধ হয়ৈছিলাম ছাত্র থাকাকালীন। তার একটি বই পড়েই অনেক জানা হয়ে গিয়েছিল, তারপর 'রত্না আমি ও একটি কুকুর' পড়েছি।
তাঁর আত্নার মাগফেরাত কামনা করি।
১০ ই জুলাই, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:১৭
রণদীপম বসু বলেছেন: তেইশ নম্বর তৈলচিত্র- তাঁর প্রথম বই, আসলেই একটা অন্যরকম বই।
৩| ১০ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৭
লুথা বলেছেন:
রাজনৈতিক নেতাদের পা-চাটা ছাডা এইসব মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়ের কাজ কি ??
লজ্জা লজ্জা
১০ ই জুলাই, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:১৮
রণদীপম বসু বলেছেন: যাঁরা লজ্জা পাওয়ার, তাঁরা যদি লজ্জা পেতো... !
৪| ১০ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১২:৫০
এম এস জুলহাস বলেছেন:
উনি কি কোন দলের সাপোর্টার ছিলেন ? বিএনপি করতেন নাকি ?
১০ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১:৩৬
রণদীপম বসু বলেছেন: কখনো কোন টক্ শো বা কোথায় তো তাঁকে দেখেছি বলে মনে করতে পারছি না।
একজন তুখোড় দেশপ্রেমিক হিসেবেই তাঁকে জানি। কোন দলীয় পরিচয় সম্পর্কে আমার জানা নেই।
৫| ১০ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৫
পিংকি বলেছেন: লেখাটা পড়ে খুব খারাপ লাগল। দেশের একজন প্রখ্যাত লেখকের দাফনের জায়গা নিয়ে এই জটিলতা অপত্যাশিত।
৬| ১০ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৬
পিংকি বলেছেন: অপ্রত্যাশিত।
১০ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১:৩৭
রণদীপম বসু বলেছেন: সত্যিই তাই।
৭| ১০ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১:০৮
নাজিম উদদীন বলেছেন: এ খবর আমাদের জন্য লজ্জার।
১০ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১:৩৮
রণদীপম বসু বলেছেন: শুধু লজ্জার নয়, অপমানেরও...
৮| ১০ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১:০৯
অগ্নিগিরি বলেছেন: আমাদেরকেও একদিন এভাবে ধুকে ধুকে মরতে হবে....!
১০ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১:৪১
রণদীপম বসু বলেছেন: কিন্তু মরার পরে মরদেহটাকেও যদি একটু কবর পাবার জন্য ধুকতে হয়, সেটা তো আরো অনেক বেশি পরিতাপের... বিব্রতকর এবং অপমানেরও !
৯| ১০ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১:২৬
শয়তান বলেছেন: কিছু কিছু লজ্জায় মূক হয়ে থাকাটা সুখকর ।
হায়রে আমার অভাগা দেশ । দেশবিরোধীর মরদেহ দাফন হয় সংসদ চত্তরে আর দেশের জ্ঞানীগুনীজন পরে থাকেন নিদারুন অবহেলায় ।
১০ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১:৪৮
রণদীপম বসু বলেছেন: হুম, শয়তান ভাই, ঠিকই বলেছেন। ছোট বেলায় একটা ডাকের কথা শুনতাম-
ভদ্রলোকে চড় খায়, গাল হাতাইয়া বাড়িত যায়...
আমাদের জ্ঞানীগুণীজনেরা তো ভদ্রলোকই। তাঁরা তো আর কোন পার্টিজান টেরর না !
১০| ১০ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১:২৯
সোনালী তিস্তান বলেছেন:
একটু জায়গায়ই তো চেয়েছিলেন তাও কি এ দেশ তাকে দেবে না তিনি কি তা পাবার দাবিদার না????
আশা করি আল্লাহ তার শেষ ইচ্ছাটা অবশ্যই পূর্ণ করবেন।
হে কবি আপনার প্রতি রইল আমার অনেক অনেক ভালবাসা......................
রণদীপম বসু আপনাকে লেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ,খুবই ভাল লেগেছে।
১০ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১:৫০
রণদীপম বসু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
বড় কষ্ট নিয়েই লেখাটা লিখেছি...
১১| ১০ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১:৫৩
আশীফ এন্তাজ রবি বলেছেন: এটাই তো স্বাভাবিক, এই দেশ, এই দেশের মানুষ, সরকার, এরা তো এভাবেই দেশের যোগ্য সন্তানদের ট্রিট করে ...
শেষ খবর পাওয়ার অপেক্ষায় থাকলাম...
আরেকটি আশ্চর্য হচ্ছে, পত্রিকার পাতায় একটি লাইনও নেই... এই নিয়ে ...তারা মেতে আছে সাবেক স্পীকার জমিরউদ্দিন, বসুন্ধরার মালিক সোবহান এবং মাইকেল জ্যাকসন নিয়ে ...
বাংলাদেশে বাস করে প্রতি মুহুর্তে ভাবি আশ্চর্য হবো না, তবুও প্রতি বেলায় ....
১০ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ২:২১
রণদীপম বসু বলেছেন: চারদিকে আসলে এতো বেশি বেশি বিস্ময়কর ঘটনা ঘটনা ঘটছে যে, আমরাও একটু একটু করে আশ্চর্য হওয়ার গুণটাকে ক্রমেই হারিয়ে ফেলছি।
হয়তো এমনো দিন এসে যাবে যে, কিছুতেই আর আশ্চর্য হবো না আমরা।
১২| ১০ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১:৫৫
এম এস জুলহাস বলেছেন: লেখক বলেছেন: একজন তুখোড় দেশপ্রেমিক হিসেবেই তাঁকে জানি।
আমিও একটু-আধটু তা-ই জানতাম।
"কিন্তু কোন দলীয় পরিচয় সম্পর্কে আমার জানা নেই।"............. তাহলে জ্ঞানী-গুণীর সমঝদার এই সরকারের আমলে তাঁর মরদেহের এ অবস্থা কেন? এই প্রশ্নটা কার কাছে করতে পারি ?
১০ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ২:২২
রণদীপম বসু বলেছেন: প্রশ্নটা জাতির কাছেই রাখুন।
১৩| ১০ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১:৫৯
সীমন্ত ইসলাম বলেছেন: খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আলাউদ্দিন আল আজাদ যে মারা গেছেন তা জানলাম আপনার পোষ্ট পড়ে। কোন পত্রিকায় চোখে পড়লো না।
১০ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ২:২৬
রণদীপম বসু বলেছেন: মৃত্যু সংবাদ অবশ্য পত্রিকাগুলো দিয়েছিলো পরের দিনই। তবে কেন যেন তেমন গুরুত্ব পাননি।
বাণিজ্যায়নের এই যুগে হয়তো তেমন কোন পণ্যমূল্য ছিলো না তাঁর !
১৪| ১০ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ২:১০
রিয়াজুল ইস্লাম বলেছেন: ড. আজাদকে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করলে সমষ্যা কোথায়?
১০ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ২:২৭
রণদীপম বসু বলেছেন: সেটাই তো বুঝিনা ভাই !
১৫| ১০ ই জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৩:০৫
সোনালী চিল বলেছেন:
কিছুই বলার নাই।
১০ ই জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৩:০৭
রণদীপম বসু বলেছেন: এই না বলাটাও একটা বলা.....
১৬| ১০ ই জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৪:০২
সাদা কালো এবং ধূসর বলেছেন: যাকে একুশে পদক দেবে রাষ্ট্র তার প্রতি কি আরেকটু মনোযোগ সবাই দিতে পারে না?
অদ্ভুত দেশ অদ্ভুত সমাজ!!!
১০ ই জুলাই, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:১৪
রণদীপম বসু বলেছেন: আসলেই অদ্ভুত !
১৭| ১০ ই জুলাই, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩৪
শয়তান বলেছেন: আজকে কি কোন আপডেট হয়নাই ?
১০ ই জুলাই, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০৫
রণদীপম বসু বলেছেন: এখন পর্যন্ত কোন আপডেট জানি না তো !
১৮| ২২ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১০:০৬
ফকির ইলিয়াস বলেছেন: হায় জীবন ! হায় আমাদের স্বকাল !!!!
২২ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১০:৫২
রণদীপম বসু বলেছেন: ভাবলেই কষ্টে ভরে যায় বুক...
১৯| ৩১ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১১:০০
পরবাসীবাংলা বলেছেন: একজন দেশপ্রেমিককে তঁার প্রাপ্য সম্মান দিতেও এত কার্পণ্য-এত মানসিক দৈনতা!
যে দেশে সবসময় বিভিন্ন কারনে মহাসমাবেশ, মহামিছিল হয় সেখানে কোন দৈনিক পত্রিকাতেও এই বিষয়ে সামান্য প্রতিবাদ বা আপডেট নেই?
লজ্জা!!!
০২ রা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৫৬
রণদীপম বসু বলেছেন: এ লজ্জা আমার, আপনার, সকলের ! কিন্তু আমাদের লজ্জাবোধটাই নেই হয়তো !
২০| ৩১ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১১:১০
বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত বলেছেন: একজন সৎ মানুষের কবরের জন্য সারে তিন হাত যায়গা নাই|
সব এম.পি -মন্ত্রি-উপদেষ্টা ও দলীয় চামচারা উত্তরার প্লট পাবে!
উনি যদি আজ ক্ষমতাসীন দলের চাটুকার বা দালাল হতেন তবে এ সমস্যা হতো না| এদেশে যত গুনী মেধাবী হোন না কেন, ক্ষমতাসীনদের দালালী না করলে আপনি কোন বুদ্বিজীবি না, আপনি কোন মুক্তিযোদ্বা না|
০২ রা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৫৭
রণদীপম বসু বলেছেন: ... আর এটাই আমাদের নিঃস্বতার পারদ-মিটার !
২১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৪:৪১
সোহেল সি এস ই বলেছেন: রবিন্দ্রনাথের ''সোনার তরি'' কবিতা মনে পড়ে গেল.......
আশা করি আল্লাহ তার শেষ ইচ্ছাটা অবশ্যই পূর্ণ করবেন।
১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:১৫
রণদীপম বসু বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১২:৩০
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: শেষ খবরটি কী ? পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ সাইটগুলো খুঁজলাম। কোন খবরই তো পেলাম না। এটাও তো বেশ লজ্জার ব্যাপার।