নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মিতক্ষরা

শুভেচ্ছা

মিতক্ষরা

আমি সামু ব্লগে মিতক্ষরা এবং সোনা ব্লগে সাতকরা। এক সময় দেশে থাকতাম, এখন বিদেশ।

মিতক্ষরা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাননীয় বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে বলছি

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৩৪

মাননীয় বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে বলছি।



আস সালামু আলাইকুম। জানিনা আমার এ লেখা আপনার চোখে পড়বে কিনা। তবুও নিজের ভেতরের তাগিদ থেকে এ চিঠি লেখা। নিজের অনুভূতিগুলো প্রকাশ করবার অদম্য আকাংখা আমাকে বাধ্য করেছে কিছু কথা বলতে।



দেশের পরিস্থিতি কারো অজানা নয়। সংঘাত সহিংসতা নিরাপত্তাহীনতা সবার ঘাড়ে জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসে রয়েছে। এই অবস্থা সৃষ্টির জন্য বর্তামান ক্ষমতাসীন সরকার আওয়ামী লীগের যত না দায়ভাগ, তার চেয়ে বেশী দায়ভাগ রয়েছে গত মইনের সরকারের যাদের আপনি ইতিমধ্যেই ক্ষমা করেছেন। মইনের সরকারের কীর্তিকলাপের জন্য জাতি একটি বিরোধী দল বিহীন একতরফা সংসদ পায়। অথচ বাংলাদেশের মানুষের জনমতের প্রকৃত প্রতিফলন সেই সংসদ ছিল না। এর সুদূর প্রসারী প্রভাবে বর্তমান সরকার হয়ে উঠে স্বৈরাচারী, অগনতান্ত্রিক, দলবাজ এবং জুলুমবাজ। প্রশাসনের প্রতিটি স্তর যেন দলবাজির উৎকৃষ্ট জায়গা। মানুষ এসব ভালভাবে নেয় নি। মানুষ সরকারের উপর বিশ্বাস হারিয়েছে। তাই শিবির যখন রাস্তাঘাটে পুলিশ পিটিয়ে চলে যায়, তখন সরকার সমর্থকরা শুধু "রাষ্ট্রদ্রোহিতা" বলে চেচাতেই থাকে, কিন্তু সমাধান আর করতে পারে না। মানুষের চাপা ক্ষোভের আরো প্রতিফলন ঘটেছে চার সিটি কর্পরেশনের নির্বাচনে। এর কোনটিই এত বেশী মাত্রায় হত না যদি সংসদে সরকার এবং বিরোধী দলের ব্যালেন্স থাকত।



উপরের কথাগুলো বলা জরুরী ছিল। সামনে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিবারের মত এবারো সহিংসতা হচ্ছে। যেহেতু এবারকার সরকারের স্বৈরাচার ও বিরোধী দল দমন অতীতের সকল রেকর্ড ভংগ করেছে, সেজন্য সহিংসতা তুলনামূলক ভাবে বেশী হওয়া অস্বাভাবিক নয়। এই সংঘাত অনাকাংখিত যদিও বাস্তবতা।



প্রিয় নেত্রী, পুলিশ বিজিবি সহ রাষ্ট্রের সব আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠান দলীয় নির্দেশে আপনাদের তাড়া করে ফিরছে। এমতাবস্থায় সরকারের যে কোন আলোচনা প্রস্তাব আপনাদের কাছে ফাজলামি এবং বিরক্তিকর লাগছে। যা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু দেশের স্বার্থে মানুষের স্বার্থে আপনাকে আরেকটু সহনশীল ও আপোষকামী হতে হবে। নির্বাচনে জয়ী হওয়া সত্ত্বেও বংগবন্ধু শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত ইয়াহিয়ার সাথে আলোচনা চালিয়ে গিয়েছিলেন। যদিও সেসময় উনার দলের ভেতরে এর তীব্র বিরোধিতা চলছিল।



প্রিয় নেত্রী, আপনি একজন মুসলিম। আল্লাহর রাসুল হুদায়বিয়ার অপমানজনক সন্ধিতে স্বাক্ষর করেছিলেন যদিও সেসময় মুসলিমরা ছিল শক্তিশালী। কালের প্রেক্ষিতে তা সঠিক প্রমানিত হয়েছে। সন্ধি এবং শান্তি ইসলামের প্রান।



এইসব কথার একটিই উদ্দেশ্য। আপনি আলোচনা এবং সংলাপকে অগ্রাধিকার দিন। যত সংঘাত হবে তত মানুষের জান প্রান হানি ঘটবে। এসবের পেছনে সরকার দায়ী না বিরোধী দল দায়ী সেসব বিতর্কে কি ক্ষতিগ্রস্তদের কোন লাভ হবে? কিছুটা ছাড় দিয়ে হলেও শান্তিপূর্ন সমাধানের চেষ্টা করবেন। মনে রাখবেন, জনমত এখন বিএনপির অনুকূলে। কিন্তু মানুষ যদি বুঝতে পারে সংঘাতের পেছনে বিএনপি অহেতুক উস্কানী দিচ্ছে তাহলে সেই জনমত ঘুরে যাওয়া কোন বিচিত্র বিষয় নয়।



নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই। দেশকে সেদিকে পরিচালিত করা আপনাদের দায়িত্ব।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৪২

চাদের জোসনা বলেছেন: হুম ঠিক কইছেন ভাই্

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:২৩

মিতক্ষরা বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৪৭

ইউনুস খান বলেছেন: সুপাঠ যোগ্য লিখা।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৫৬

মিতক্ষরা বলেছেন: ধন্যবাদ। এই মুহুর্তে বিএনপির চাই সঠিক নির্দেশনা। সরকারের জনপ্রিয়তা যে কতটুকু তলানীতে তা তারা নিজেরাও জানে না। সেই ডুবন্ত নৌকা বিএনপির হঠকারিতার কারনে রক্ষা পেয়ে যাক - এটা কেউ চাইবে না।

৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫৩

তিক্তভাষী বলেছেন: যে আশঙ্কা থেকে আপনি কথাগুলো বলছেন তার প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছি। কিন্তু একটু ভাবুন। আওয়ামীরা যে সংবিধান করেছে তাতে প্রতিবার নির্বাচনের সময় এই ক্যাচাল লাগবে। আমাদের একটা স্থায়ী সমাধান দরকার।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৫৪

মিতক্ষরা বলেছেন: তত্বাবধায়ক সরকার যখন সংসদে পাশ হয়েছিল, তখন আমরা ভেবেছিলাম এটা বুঝি স্থায়ী সমাধান। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের। আমরা তা ধরে রাখতে পারিনি। ভবিষ্যতের নির্বাচনে কি হবে তা ভাবার চেয়ে সামনের নির্বাচন নিয়ে ভাবাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। নির্বাচন হয়তবা আটকে থাকবে না, কিন্তু কতটা রক্তপাত হতে পারে সেটা ভেবে শংকিত। এমনও হতে পারে তৃতীয় শক্তি চলে আসতে পারে যাতে দুপক্ষই লোকসান গুনবে। সেজন্য ছাড় দিয়ে হলেও সমঝোতা প্রয়োজন।

৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫৪

কলাবাগান১ বলেছেন: মানুষ ক্রিকেট খেলাও দেখতে চায়...NZ এর সাথে।

" কিন্তু মানুষ যদি বুঝতে পারে সংঘাতের পেছনে বিএনপি অহেতুক উস্কানী দিচ্ছে তাহলে সেই জনমত ঘুরে যাওয়া কোন বিচিত্র বিষয় নয়। "

জামাতিদের কথায় উনি হরতাল প্রত্যাহার করছেন না বলে মনে হয়

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০১

মিতক্ষরা বলেছেন: খালেদা জিয়ার উপরে জামাতের প্রভাব থাকা বিচিত্র কিছু নয়। বিএনপি নেতৃত্বের কোন্দল, সুবিধাবাদিতা ইত্যাদির জন্য নেতাদের পক্ষে অনেক সময় দলকে সঠিক নির্দেশনা দেয়া সম্ভব হয় না। এইসব সমস্যা আওয়ামী লীগে অনেক কম। কেননা সেখানে নিবেদিত প্রান নেতা কর্মীদের অভাব নেই। তবে জামাতের বুদ্ধিতে চললে বিএনপি আরেকবার নিজের সর্বনাশ ডাকবে যেমন ডেকেছিল একবার ২০০৮ এর নোর্বাচনে জামাতী বুদ্ধিতে অংশ নিয়ে।

দ্বিতীয়ত: আওয়ামী লীগও উস্কানি দিয়ে অনেকটা হরতাল দিতে বাধ্য করে। এই কয়েকদিন আগে আওয়ামী লীগের নেতারা ক্রমাগত বলছিলেন, বিএনপির আন্দোলনের মুরোদ নেই!!

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৫০

মিতক্ষরা বলেছেন: বিএনপিতে মাথা আছে। এম কে আনোয়ার, জমির উদ্দীন সরকার সহ প্রায় সবাই বর্ষীয়ান ও ঝানু রাজনীতিবিদ। কিন্তু খালেদা জিয়ার সাথে এদের সবার একটা দূরত্ব রয়েছে। বিশেষত ওয়াশিংটন টাইমসে চিঠি পাঠানোর ঘটনা নিয়ে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠে। এই দূরত্বের জন্য খালেদা জিয়া নিজেও কিছুটা দায়ী। এই আভ্যন্তরীন সমস্যা মোকাবেলা করতে হলে বিএনপিতে চাই গনতন্ত্রায়ন।

জামাতের পেশী শক্তি থাকতে পারে কিন্তু মাথা নেই। তাই খালেদা জিয়া বুদ্ধির জন্য জামাতের দ্বারস্থ হলে বড় রকমের মাশুল দেবেন।

৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০৫

মহসিন০০৭ বলেছেন: সহমত,,, আমিও একখান অনুরোধ রাখছি, তবে রেড ফোনে না । এইখানে

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:১৪

মিতক্ষরা বলেছেন: লিংক কাজ করছে না।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৪৪

মিতক্ষরা বলেছেন: পড়লাম এবং মন্তব্যও রাখলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.