![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নাম তার ভুলো। পোষা কুকুর কি বিড়াল নয়, ভুলো এক রকমের ভুত। আধুনিক বিজ্ঞান অবশ্য তার অন্যরকম ব্যাখা দেয়, কিন্তু গ্রাম দেশে মানুষ আজও একে ভুলো ভুত বলেই ডাকে। অনেকের মতে ভুলো আসলে এক ধরনের বদ জিন। ভুলো ভুতের ধরন কি, কাজ কি সে সমন্ধে ধারনা পেতে চাইলে তারাশঙ্কর বন্ধ্যপাধ্যায় এর লেখা “ভুলোর ছলনা” পড়ে দেখার অনুরোধ রইল। আমি অবশ্য এই লেখাটি পড়েছি অনেক পরে, মানে আমার সাথে অনুরুপ ঘটনা ঘটার অনেক পরে। পাঠক পাঠিকাদের মধ্যে অনেকেই হয়ত ভুলো ভুতের নাম শুনে থাকবেন, অনেকে হয়ত বাস্তব জীবনে দেখেছেনও। যাদের জানা নেই তাদের জন্য যদি সংক্ষেপে বলি তবে ভুলো হল এমন এক ভুত যা মানুষকে ভুলিয়ে দেয়। ভুলভুলাইয়া বা নিশির ডাকের কথা হয়ত অনেকের জানা, ভুলো ভুতও অনেকটা সেরকমেরই। তবে বিভিন্ন সময়ে ভুলোর খপ্পরে পরা লোকেদের কাছ থেকে যা জানা যায় তাতে ভুলোর প্রকৃতি খুবই ভয়ানক। দিনের যে কোন সময়ে ভুলো মানুষকে ছলনা করে আর তার লক্ষ্য থাকে একটাই, ছলনার শেষে মানুষটির মৃত্যু। আধুনিক বিজ্ঞান বলে ভুলো ভুত বলে কিছু নেই, সবই মানুষের মনের ভুল। যেমন ধরুন আপনার পায়ে ব্যথা, ডাক্তার বলেছেন দৌড় ঝাপ না করতে। আপনিও সে ব্যাপারে সচেতন। কিন্তু অফিস ফিরতি বাস থেকে নামতে গিয়ে আপনি হঠাৎ করেই ভুলে গেলেন সে কথা। লাফিয়ে নামতে গিয়ে কুপোকাত। কপাল ভাল থাকলে বাসের নিচে না গিয়ে হয়ত পায়ে ব্যান্ডেজ নিয়ে বিছানায় শুয়ে আপনি ভাববেন, “আরে আমিতো জানতাম আমার লাফানো বারণ, কিন্তু ভুলে গেলাম কি করে?”। বিজ্ঞানের মতে এটা মনের ভুল ছাড়া কিছুই নয়। তবে যদি কখনো আসল ভুলোর ছলনায় পড়েন, বা দেখেন তাহলে সহজেই বুঝতে পারবেন যে এই দুই, এক জিনিস না। আমার এক চাচার কাছে শুনেছি, তাদের কলেজের এক দারোয়ানকে ভুলোয় মেরেছিল। ভর দুপুর বেলায় সমস্ত কলেজের ছাত্র শিক্ষকদের সামনেই ভুলো তাকে ডেকে নিয়ে ছাদ থেকে ফেলে দিয়েছিল। সে ঘটনা অন্য কোনদিন বলব, কিন্তু আজ যেটা বলব সেটা হয়েছিল আমারই সাথে।
এখন থেকে বছর দশেক আগের কথা। আমি তখন ঢাকায়, নামকরা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্মানের ছাত্র। আমার বাবা ছিলেন সরকারি চাকুরীজীবী। তাই চাকরির সুবাদে আজ এই শহর তো কাল আরেক শহর। ছোট বেলা থেকে তাই দেখেই বড় হয়েছি। প্রতি তিন বছরে একটা নতুন শহর। প্রথমটা বেশ কষ্ট হত, কত স্মৃতি, কত বন্ধু , চেনা স্কুল কলেজ ছেড়ে একদম আনকোরা নতুন জায়গা। তবে কিছুদিনের মধ্যেই সেই কষ্ট চাপা পড়ে যেত নতুন নতুন বন্ধু , নতুন নতুন মজার ভিড়ে। কলেজ পাস করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার পর আমি আলাদা হয়ে গেলাম, মানে পরিবার ছেড়ে ঢাকা শহরে চলে এলাম।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের ব্যাপারটা পুরোই আলাদা। জীবনটা হঠাৎই যেন বিশাল বড় হয়ে গেল। নিত্যনতুন মজা, বন্ধুদের সাথে আড্ডাবাজি আর সাথে ক্লাস পরীক্ষা মিলিয়ে সময় যে কোথা দিয়ে যেতে লাগল তা যেন টেরই পেলাম না। বাড়ি যাওয়া হত খুব কম। কোন বছরে একবার, কোন বছরে দুবার। যে বছরের কথা বলছি সেই বছর জুন মাসে গ্রীষ্মের ছুটির আগে আগে হঠাৎ মন ছুটে গেল, অনেক দিন হয়ে গেছিল বাড়িতে যাওয়া হয়নি। বাবা মাকে দেখার জন্য খুব মন অস্থির হয়ে ছিল। সাথে মফস্বলে বেড়ে ওঠা মন হঠাৎ যেন এই ইট পাথরের শহরের ভার নিতে পারছিল না। শেষ যেবার বাসায় যাই তখন বাসা ছিল রাজবাড়ী শহরে। কিন্তু সেই বছরই জানুয়ারি মাসে বাবা বদলি হয়েছিলেন পটুয়াখালী। মনে মনে ভাবলাম বেশ হবে। একদম নতুন জায়গা, অচেনা সব মানুষ। সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম ছুটি হতেই সোজা পটুয়াখালী। যখন কার কথা বলছি তখন মোবাইল টেলিফোনের এত রমরমা ছিল না। বাবার অফিসে ল্যান্ড ফোন ছিল, তাতেই কথা হত। পরদিন দুপুরে বাবাকে ফোন করে জানালাম বাড়ি যাবার কথা। বাবা আমাকে বলে দিলেন কিভাবে যেতে হবে, বাসা কোথায় নিয়েছেন, সেখানে কিভাবে যাব ইত্যাদি ইত্যাদি। ওদিকে যে দোকান থেকে ফোন করেছি সেখানে ভীষণ হট্টগোল, তার মধ্যে কোন রকমে ঠিকানাটা শুনে নিলাম।
ইচ্ছে ছিল ছুটি হবার পরেই যাব, কিন্তু পারলাম না। ছুটি হবার একদিন আগেই চলে গেলাম গাবতলি, সেখান থেকে বাসে রওয়ানা দিলাম। ভাবলাম হুট করে একদিন আগে গিয়ে সবাইকে চমকে দেব। তখন অবশ্য পটুয়াখালী যাবার সবথেকে ভাল আর সহজ পথ ছিল লঞ্চ, কিন্তু সাঁতার না জানার কারনে আমি বরাবরই ওটা এড়িয়ে চলি। তখানকার সময়ে ঢাকা পটুয়াখালী ভাল বাস সার্ভিস খুব একটা ছিল না, তার উপরে পথের অবস্থা যেই কি সেই। ফেরিতে করে পদ্মা নদী পার হতেই দুপুর গড়িয়ে গেল। বাস চলছে তো চলছে, পথের যেন আর শেষ নেই। এর মাঝে আমার পাশের যাত্রী খানিক পর পরই ঘুমে ঢুলে ঢুলে আমার গায়ে পরছিলেন। বার দুয়েক মনে মনে ভাবলাম এর থেকে লঞ্চই ভাল হত। যাই হোক অনেক অনেক পথ পেরিয়ে যখন যাত্রাপথের শেষ ফেরিতে পৌছালাম তখন সন্ধ্যা সাতটার বেশি। তবে মে মাস হবার কারনে তখনো দিনের আলো কিছুটা আছে। হেল্পারকে জিজ্ঞাসা করে জানলাম জায়গার নাম লেবুখালি। আরও জানলাম বাস পটুয়াখালী শহরে ঢুকবে না, ঢাকা – কুয়াকাটা হাইওয়ে ধরে সেটা চলে যাবে কলাপাড়া। পথে কোন একটা মোড়ে আমাকে নামিয়ে দিয়ে যাবে। আজ এতদিন পরে সে জায়গার নাম আর মনে নেই। ওদিকে কি এক ঝামেলায় ফেরি আটকে আছে নদীর অপর পাড়ে। নদী অবশ্য বিশেষ বড় নয়, অনেকে দেখলাম বাস থেকে নেমে ব্যাগ-ট্যাগ নিয়ে নৌকাতেই পার হয়ে গেল। আমি আর কি করি, নতুন জায়গা, কিছুই চিনি না, সাথে ভারি একটা ব্যাগ। আসার আগে টিউশানির টাকা দিয়ে বাবা আর মায়ের জন্য অনেক কিছু কিনেছি। অগত্যা অপেক্ষা করাই স্থির করলাম। তবে বেশি সময় অপেক্ষা করা লাগল না, ফেরি চলে এল। অবশেষে যখন ফেরি পার হলাম তখন প্রায় রাত সাড়ে আটটা। এদিকে বাসে যাত্রী বলতে পাঁচ ছয় জন। বেশির ভাগ যাত্রী নেমে গেছে বরিশাল শহরে, বাকি কিছু যাত্রী ফেরির দেরি দেখে নৌকাতে পার হয়ে চলে গেছে। সমগ্র বাসে আলো বলতে মাথার উপরে টিম টিমে একটা বাল্ব। আমার পাশের যাত্রীও ওই নৌকা দিয়েই চলে গেছেন। তাই জানালার পাশে বসে জানালা দিয়ে বাহিরে তাকালাম, সেদিকেও একি অবস্থা। রাস্তার দু দিক দিয়ে ঘন গাছের সারি, অন্ধকারে যেন জমাট বেঁধে আছে। মাঝে মাঝে দু একটা বাস গাড়ি যাচ্ছিল উল্টো দিকে। এই, বসে বসে সময় গুনছি, এই বুঝি নামার সময় এল। অবশেষে একসময় অপেক্ষা শেষ হল, আরও চল্লিশ মিনিট বাদে বাসটা আমাকে সেই মোড়ে নামিয়ে দিয়ে গেল। নামার সময় হেল্পার বলল যে এখান থেকে রিক্সা নিয়ে চলে যেতে। কিন্তু কিসের কি? যে জায়গাটায় আমি নেমেছি তার কাছাকাছি কোন মানুষতো ছাড়, কোন পশুপাখিও নজরে পড়ল না। দিনের আলো ততক্ষনে অনেকক্ষণ হয়েছে ফুরিয়েছে। চারিদিকে ঘন অন্ধকার। ভাল করে তাকাতে বেশ খানিকটা দূরে একটা আবছা আলো চোখে পড়ল। ভাবলাম কোন দোকান-পাট হবে হয়ত, তাই এগিয়ে গেলাম। কাছে যেতে দেখলাম কিছুই না, খানিকটা জংলা জমি, তার পাশে একটা ঝাপ বন্ধ দোকান। সেই দোকানের সামনে একটা কাঠের বেঞ্চ। তার পাশে একটা বাশের খুঁটিতে একটা হারিকেন জ্বলছে। দেখে মনে হল যেন সেই দাদি নানিদের মুখে শোনা ব্রিটিশ আমলে চলে এসেছি। তবে সামনের পিচ ঢালা রাস্তাটা মনে করিয়ে দিল যে ব্রিটিশ আমল অনেক আগেই শেষ হয়েছে। মনে মনে ভাবলাম বেশ জায়গা, এখন একটা গরুর গাড়ি জুটলেই সোনায় সোহাগা হয় আর কি। কি করব ভেবে না পাচ্ছিলাম না। একবার ভাবলাম অপেক্ষা করি, হয়ত দোকানে কেউ আসবে। আবার ভাবলাম যদি না আসে, তারথেকে হাঁটা ভাল হবে।বাস থেকে নামার আগে হেল্পার বলে দিয়েছিল কোন দিকে যেতে হবে, তাই রাস্তা নিয়ে সমস্যা ছিল না। কিন্তু পরক্ষনেই আবার ভাবলাম অচেনা জায়গা, না জানি কি আছে সামনে। দাড়িয়ে দাড়িয়ে এই ভাবছি, এমন সময় দেখি রাস্তার অন্য পাশে দোকানের ঠিক সামনেই আমার বাবা দাড়িয়ে আছে। সেই মুহূর্তে আমার একবারের জন্যও মনে হল না যে বাবা কোথা থেকে এল। আমি তখন যেন অন্ধকারে আলো দেখতে পেয়েছি। রাস্তার অন্যপাশ থেকেই বাবা আমাকে ডেকে বললেন - এই পাশে চলে আয়। আমি ও সাথে সাথে ব্যাগ উঠিয়ে রাস্তায় নামলাম। স্পষ্ট দেখছিলাম বাবা দাড়িয়ে আছেন, তার মুখে সেই চিরচেনা হাসি। বাবা আবারও বললেন – তোকে দেখে তোর মা যে কি খুশি হবে। আমিও তখন হাসছিলাম, আমার মনে তখন যেন লাগামছাড়া খুশির লহর। মনে হচ্ছিল যেন রাস্তার ওপাশেই আমার বাড়ি, কতবার এসেছি এখানে। এই সব হল আমি মাঝরাস্তা পার হবার আগেই, যখন প্রায় মাঝ রাস্তায় তখনই আচমকা কে যেন পিছন থেকে আমার কাঁধ ধরে একটা হ্যাঁচকা টান দিল। আচমকা টানে টাল না সামলাতে পেরে আমি উল্টে পড়লাম রাস্তার মাঝে, আমার হাত থেকে ব্যাগটা ছিটকে গেল। আর তার সাথে সাথেই, মানে এক সেকেন্ড কি দুই সেকেন্ডের মধ্যেই আমার সামনে দিয়ে একটা বাস তীব্র হর্ন দিতে দিতে সাই করে বেরিয়ে গেল।
হঠাৎ করেই যেন চমক ভাংল। বাবাকে দেখার জন্য সামনে তাকালাম, দেখি বাবা সেখানে নেই। এমনকি সেই দোকান , বেঞ্চি কিছুই নেই, সব খাঁ খাঁ শুন্য। আমার মাথা যেন পুরো ফাঁকা হয়ে গেল, কোথায় আছি, কেন আছি কিছুই মনে পরছিল না। খানিকটা দুঃস্বপ্ন দেখে হঠাৎ জেগে উঠে যেমন লাগে তেমনি অনুভূতি। শুধু এটুকু বুঝতে পারছিলাম যে কয়েকজন মানুষ মিলে আমাকে কাঁধে ভর করে নিয়ে যাচ্ছে। এরপরের কিছু সময়ের কথা আমার মনে নেই। একটু যখন স্বাভাবিক হলাম তখন দেখি আমার পাশে অনেক মানুষের জটলা। আমি আধশোয়া হয়ে আছি একটা চায়ের দোকানের বেঞ্চে। আমি জিজ্ঞেস করলাম আমার কি হয়েছিল? আমাকে কথা বলতে শুনে সবাই হই হই করে উঠল। অনেক মানুষ, একসাথে মিলে তারা অনেক প্রশ্ন ছুড়ে দিল আমার দিকে। হাতের ইশারায় তাদের থামিয়ে দিয়ে একজন বুড়ো মত মানুষ আমার নাম ঠিকানা জিজ্ঞেস করলেন। বাবার নাম শুনে চিনতেও পারলেন। এরপর জিজ্ঞেস করলেন আমি কি দেখেছি, জবাবে আমি যা দেখেছি তাই বললাম। আমার কথা শেষ হতেই আবার চারিদিকে একটা গুঞ্জন উঠল। তখন আমি জিজ্ঞেস করাতে উনি আমাকে সবটা বুঝিয়ে বললেন, সেখানেই তাদের মুখে শুনলাম যে এমন ঘটনা এখানে আগেও ঘটেছে, মানুষ মারাও গেছে। ওখানের মানুষ একে বলে ভুলোয় ধরা। অপঘাতে মারা গেলে নাকি অনেকে ভুলো ভুত হয়ে যায়। তারপর চেষ্টা করে ভুলিয়ে ভালিয়ে মানুষ মেরে নিজের দলে নিতে। এই মোড়েও নাকি তেমনি এক ভুলো আছে। তবে কিভাবে সে ভুলো হয় সেটা কেউ ঠিক জানে না। এই মোড়ে মাঝে মাঝেই নাকি সে আসে, মানুষকে ভুলিয়ে গাড়ির নিচে ফেলে দল ভারি করতে চায়। ভুলো ভুত এমনি, যে সব কিছু ভুলিয়ে দেয়। যেমন আমার ক্ষেত্রে হয়েছিল। আমি যখন বাস থেকে নামি তখন বেশ কয়েকজন লোক ওই দোকানেই বসা ছিলেন। কিন্তু আমি তাদের বা সেই দোকান কিছুই দেখতে পাইনি। আমাকে নামতে দেখে রিকশাওয়ালারা ডাক দিয়েছে, কিন্তু আমি কিছুই শুনিনি। শেষে সেই মুরুব্বী আমাকে বললেন – তুমি খুব বাচা বেঁচে গেছ বাবা। ঠিক সময়ে না ধরা গেলে আজ তুমি বাসের নিচেই যেতে। এরপর আমাকে উনি হাসেম নামে একজন কে ডেকে পরিচয় করালেন। মধ্যবয়স্ক লোক, উনিই নাকি আমাকে পিছন থেকে টান দিয়েছেন। পুরো ব্যাপারটা আমার কাছে তখনও ঘোলাটে, আমার মনে হচ্ছিল এসব কিছুই আমার সাথে হয়নি। তবু উনাকে ধন্যবাদ দিলাম। তাদের সাথে আরও কিছু কথা হল, পরে সেখানেরই এক রিকশাওয়ালার রিক্সায় করে বাসায় চলে এলাম। এসে দেখি আমার বাবা মা দুজনেই বাসায়। আসলে আমি একদিন আগেই চলে এসেছিলাম, তাই আমাকে দেখে দুজনেই ভীষণ খুশি হলেন। আমার হাত একটু ছড়ে গিয়েছিল, মা জিজ্ঞেস করলেন কিভাবে। কিন্তু ভয় পাবে বা দুশ্চিন্তা করবে ভেবে মাকে কিছু বললাম না।
ঘটনা আর বড় করব না। এরপর আমি পটুয়াখালীতে সপ্তাহ দুয়েক থেকে ঢাকায় চলে আসি। অনেক কে বলেছি আমার এই ঘটনা। তবে কেউই বিশ্বাস করতে চায় না। তবে আমি ঠিক জানি আমি সেদিন নেহাত কপাল জোরে বেঁচে গিয়েছিলাম। পরে আরও দু একবার গিয়েছি পটুয়াখালী, তবে লঞ্চে। মনে মনে বলেছি সাঁতার না জানি সমস্যা নেই, কিন্তু ভুতের কবলে আর না।
------------------ || ------------------
১১ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৪১
রাংরাং পাখি বলেছেন: পরের বার খেয়াল রাখব। পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ
২| ১১ ই আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৬:১৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি নিজেই তো ভুত
১১ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৪২
রাংরাং পাখি বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৫:০৭
কিছুটা অসামাজিক বলেছেন: শুরুতে সাইন্টেফিক ক্যাপচা ঢুকায় দিয়ে ভুতের গল্পের টেস্ট টাই মাটি করে দিলেন, ধেত