নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ক্ষুদ্র গ্রহের ক্ষুদ্র এক মানব...কিন্তু বুকে নিয়ে বেঁচে আছি এক বিশাল স্বপ্ন..

রনজিত দেব রাজ

নিজেকে নিয়ে বিশেষ কিছু বলার নেই আমার। Good for nothing টাইপের একটা ছেলে আমি। Future নষ্ট করার জন্য যা যা করতে হয় তার প্রায় সব-ই আমি করেছি;বাকি গুলো করছি। এখন আমার Aim in life হল একজন ভালো মানুষ হওয়া।কিন্তু সেটাও বোধ হয় হওয়া হবেনা। রাগ,ক্ষোভ,প্রতিশোধ পরায়ণতা খুব বেশি;আর নিজের অভিধানে ক্ষমা নামের শব্দটি না থাকায় ভালো মানুষ-ও হতে পারছিনা।

রনজিত দেব রাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বপ্ন ছাড়া জীবন হয় না

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৭

প্রত্যেক মানুষের জীবনে স্বপ্ন থাকে। স্বপ্ন ছাড়া জীবন হয় না। মানুষ তার নিজের মতো করে স্বপ্ন দেখে আর সেটাকে আখড়ে ধরে বাঁচার চেষ্টা করে। স্বপ্ন শুধু স্বপ্ন থেকে যায় এ কথা ধ্রুব সত্য নয়। স্বপ্ন সত্যিও হয় অনেক সময়। তবে যে বা যিনি স্বপ্ন দেখেন সেটা শুদ্ধ স্বপ্ন হওয়া উচিত। শুদ্ধ মানেটা হল স্বপ্ন পজেটিভ হলে ভাল। নিজের যোগ্যতা এবং পারিপার্শিবক বিবেচনায় রেখে দেখা ভাল। স্বপ্ন যে বিষয়টি নিয়ে দেখা হোক না কেন তা ধীরস্থির ভাবে ভেবে চিন্তে নিতে হবে। স্বপ্ন দেখার ক্ষেত্রে প্রবল আত্মবিশ্বাস থাকা চায়। আর সেই আত্মবিশ্বাস আপনাকে নিয়ে যাবে লক্ষে। শুধু স্বপ্ন দেখলে হবেনা তা বাস্তবায়িত করার জন্য প্রচেষ্টা চালাতে হবে। তা না হলে স্বপ্ন আপনা আপনি সত্যি হবে না। স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার জন্য কাজের মাধ্যমে আস্তে আস্তে এগিয়ে যেতে হবে। স্বপ্ন থেকে এক বিন্দুও নড়ানো যাবে না। তাহলে স্বপ্ন সত্যি হতে বাধ্য। স্বপ্ন একসাথে একাধিক না দেখা ভাল। তা হলে স্বপ্ন এলোমেলো হয়ে যাবে। তখন দেখা যাবে একটাও পূরণ হল না। কষ্টের বোঝা তখন ভারী হবে আর সেটা বয়ে বেড়াতে হবে আজীবন। স্বপ্ন নিয়ে উইলিয়াম বাটলার ইয়েটস এর কবিতার কয়েকটি পঙ্তি

‘আমি নিতান্ত দরিদ্র

আমার স্বপ্ন ছাড়া আর কিছু নেই।

আমার সেই স্বপ্নগুলো

আমি তোমার পায়ের তলায় বিছিয়ে দিয়েছি

তুমি একটু সাবধানে যেয়ো।

দেখো আমার স্বপ্ন গুলো

তোমার পা দিয়ে মাড়িয়ে দিয়ো না।’

মানুষ প্রতিনিয়ত স্বপ্ন দেখে। আর এই স্বপ্ন দেখা সুস্থ ভাবে বাঁচার একটি উপকরণ। একটা সুন্দর স্বপ্ন দেখার জন্য একটা সুন্দর মন থাকা দরকার। সুস্থ দেহ এবং সুন্দর মন মিলে একটি সমৃদ্ধ স্বপ্ন দেখা যায়। অনেক মানুষ আবার স্বপ্ন দেখতে ভালো বাসেন। স্বপ্নতে আনন্দ খুঁজে পান। প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে গেলে আমরা প্রত্যেকে কম বেশি স্বপ্ন দেখি। মাঝে মাঝে ছোট ছোট স্বপ্ন গুলো কাকতালিয় ভাবে মিলে যায় অর্থাৎ সত্যি হয় তখন খুব আবাক লাগে এবং আনন্দ ও হয়। আনেকে আবার দিনে ও স্বপ্ন দেখেনে। ছোট খাট স্বপ্ন গুলোর অনেকটা আমাদের মনের অবচেতন ভাবনা চিমত্মা গুলো থেকে আসে। অনেক সময় আমরা দিনে যে বিষয় গুলো নিয়ে বেশি আলোচনা করি সেটা আবার রাতে স্বপ্ন হয়ে দাঁড়ায়। প্রত্যেক বয়সের মানুষ স্বপ্ন দেখতে পারে। স্বপ্ন দেখতে কোন সুনির্দিষ্ট বয়সের প্রয়োজন পরে না। তবে মনে হয় কৈশোর এবং যৌবন কালে স্বপ্নের রঙিন ডানা গুলো পাখা মেলে মুক্ত আকাশে ঘুরে বেড়াতে বেশি ভালবাসে। তখন হাজারো স্বপ্ন উকিঁমারে মনের আঙ্গিনায়। কোনটাকে ফেলে কোনটাকে ধরি তা বিবেচনা করা একটু কষ্টকর হয়ে পড়ে। তবে স্বপ্ন দেখার সময়ে ( কৈশোর ও যৌবন) স্বপ্ন দেখাটা স্বাভাবিক আর না দেখাটা অস্বাভাবিক। পরিবার থেকে স্বপ্ন দেখাটা শুরম্ন হওয়া উচিত। অনেক সময় পরিবারের সচেতন সদস্যরা বাচ্চাদের স্বপ্ন দেখার জন্য অনুপ্রেরনা দিতে পারেন। আমার এক বন্ধুর ছেলে চার বছর বয়সে নিজের অনেক কাজ নিজে করে এবং সে করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে আরো অবাক করার বিষয় হলো সে স্বপ্ন দেখে বড় হলে চাকরি করবে, টাকা আয় করবে, টাকা আয় করে মা-বাবা, আত্মীয় স্বজনকে এটা-ওটা কিনে দেবে ইত্যাদি। একটা ছোট বাচ্চার ভেতরে স্বপ্ন দেখার বীজটা বপন করে দেয়া হচ্ছে তা অবশ্যই একদিন ভাল ফল দিতে পারে। যান্ত্রিক জীবনে আমারা আমাদের মনের অজানতে যন্ত্র হয়ে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত। যন্ত্র হতে অনেকটা বাধ্য। প্রতিদিন সকাল থেকে শুরম্ন করে সন্ধ্যা পর্যমত্ম থাকে নাগরিক ব্যসত্মতা। তার পর বাসায় ফিরে শুরম্ন হয় আবার আগামী কালের প্রস্ত্ততি। অর্থাৎ প্রাণ ভরে নিশ্বাস নেয়ার সুযোগ খুবই কম। কিছু কিছু ÿÿত্রে একটা কথা থেকে দু’টা কথা বেশী বলে বুঝিয়ে দেয়ার অবকাশ অনেকের থাকে না। যন্ত্রের মতুবং ড়ৎ হড় বলে কেটে পড়তে চায়। আর হাসি; হাসতে পারা স্বাস্থ্যর জন্য উপকার। অনেক রোগের ঔষধ হল হাসতে পারা। নাগরিক জীবনে অনেক সময় দেখা যায় মানুষেরা যেন কৃত্রিম হাসি হাসছে। মন থেকে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে হাসতে পারা উপকার। একমাত্র স্বপ্ন পারে যান্ত্রিক জীবন থেকে কিছুটা দুরে নিয়ে গিয়ে আপনাকে আনন্দ দিতে। তাই স্বপ্ন দেখা থেকে দূরে থাকা কখনো উচিত নয়। স্বপ্ন যাতে কখনো দুঃস্বপ্ন না হয় এটাই কাম্য। সবসময় পজেটিভ চিমত্মা থেকে সুন্দর স্বপ্নের আর্বিভাব ঘটতে পারে। স্বপ্নে যাতে কারো ÿতির চিমত্মা না থাকে সেটাও খেয়াল রাখা উচিত। প্রতিদিন ছোট ছোট নতুন নতুন স্বপ্ন মানুষকে আনন্দ দেয়। আর স্বপ্ন নিয়ে মানুষ বাঁচে। স্বপ্নই হোক মানুষের প্রাণ খুলে হাসার একটা মাধ্যম।

কবিগুরম্ন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘স্বপ্ন’ কবিতার কয়েকটি পঙ্ক্তি দিয়ে ইতি টানব

দূরে বহুদূরে

স্বপ্নলোকে উজ্জয়িনী পুরে

খুঁজিতে গেছিনু কবে শিপ্রানদী পারে

মোর পূর্বজনমের প্রথমা প্রিয়ারে।

মুখে তার লোধ্ররেণু, লালপদ্ম হাতে,

কর্ণমূলে কুন্দকলি, কুরম্নবক মাথে,

তনু দেহে রক্তাম্বর নাবীবন্ধে বাঁধা,

চরণে নূপুরখানি বাজে আধা আধা।

বসমেত্মর দিনে

ফিরেছিনু বহুদূরে পথ চিনে চিনে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.