নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শান্তির জন্য যুদ্ধ

সবাইকেই নিজ কর্মের জবাব দিতে হবে

রওনক

রওনক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশ-১: সংক্ষেপে ৪০০০ বছরের ইতিহাস।

২০ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:০৮

বাংলা শব্দটি এসেছে দ্রাবিড়দের বং/বঙ্গা উপজাতি হতে।

বাংলাদেশের মূল অংশ বঙ্গোপসাগর থেকে জেগে উঠেছে। প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই এর কিছু অংশে মানব বসতির অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া যায়। এবং অতি প্রাচীন কাল থেকেই এখানে একটি স্বতন্ত্র সংস্কৃতি বিরাজমান ছিল।

মুসলিম সভ্যতার ইতিহাস থেকে জানা যায়, নবী নূহ আ:-এর ছয় পুত্র। তারা পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে উপনিবেশ গড়ে তোলেন। এর মধ্যে একজন ছিলেন হিন্দ্। এই হিন্দের নামানুসারে হিন্দুস্তানের নাম। হিন্দ্-এর চার পুত্র। তাদের এক ছিল বাং। বাং-এর সাথে আল্ / বাঁধ শব্দ যুক্ত হয়। যা জল প্লাবনের হাত থেকে জনপদ ও শস্যক্ষেত রক্ষা করতো। ‘সুলতান সামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ বঙ্গ শব্দের সাথে সংস্কৃত লাহ্ প্রত্যয় যুক্ত করে, বাংলা শব্দটির সুচনা করেন।

বাংলা শব্দটি এসেছে দ্রাবিড়দের বং/বঙ্গা উপজাতি হতে।

মহাভারত থেকে জানা যায়, রাজা বালির পোষ্য সন্তান ভাঙ্গা নিজের নামে রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। মহাভারত অনুযায়ী, অঙ্গ, বঙ্গ, কলিঙ্গ, পুণ্ড্র ও সুহ্ম - এই পাঁচটি পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতারা একই বংশের সন্তান রাজা বলির পুত্র ছিলেন। মহাভারতে পুণ্ড্র বা পৌণ্ড্র ভারতবর্ষের একটি রাজ্য হিসাবে বর্ণিত হয়েছে। পৌণ্ড্ররাজ্য বৈদিক আচার আচরণের বিরোধী ছিল। তাদের নিজস্ব উন্নত সংস্কৃতি ছিল যা বৈদিক সংস্কৃতি থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিল।

উয়ারি-বটেশ্বর অঞ্চলে ২০০৬ সালে প্রাপ্ত পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রায় ৪ হাজার বছর আগে জনবসতি গড়ে উঠেছিলো। দ্রাবিড় ও তিব্বতীয়-বর্মী জনগোষ্ঠী সেসময় বসতি স্থাপন করেছিল। পরবর্তীকালে অঞ্চলটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যে বিভক্ত হয়ে স্থানীয় ও বিদেশীদের দ্বারা শাসিত হতে থাকে।

আর্যরা প্রথমে অনেক চেষ্টা করেও পুর্ব বাংলার অঞ্চল জয় করতে পারেনি। তাই, এই রাজ্যের অধিবাসীদের গালিগালাজ করে শ্লোক তৈরী করেছিলো।

আলেকজান্ডার বিশ্ব জয় করে বাংলার পশ্চিম প্রান্তে গঙ্গার পারে পৌছান তারপর তার জেনারেলরা তখনকার বাংলার(গঙ্গোরিধি) রাজার বিবরন শুনে আর আগানোর সাহস পান নাই। এই বাংলা অঞ্চল বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গোষ্ঠী দ্বারা শাষিত হয়েছে। শাষকরা এসেছে, আবার চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। আমরা রয়ে গেছি। আমাদের সম্পদ বলতে জমি আর আমি(মানবসম্পদ)। ব্রিটিশরা যখন বাংলাদেশে আসে, তখন বাংলা ছিলো বিশ্বের ৬ষ্ঠ সমৃদ্ধ অঞ্চল। চেস্টা করলে আবার কেন মাথা উচু করে দাড়াতে পারব না?



২০০০ বিসি(- ৪০০০ বছর)ঃ প্রায় চারহাজার বছরের পুরনো তাম্রযুগের ধ্বংসাবশেষ বাংলায় পাওয়া গেছে। গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র নদ বাংলাকে ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল।



ভাষা পরিবার: Indo-European -> * ইন্দো-ইরানীয় -> o ইন্দো-আর্য -> + মাগধী প্রাকৃত -> # অপভ্রংশ অবহট্ঠ -> * বাংলা-অসমীয়া -> o বাংলা।

বাংলা ভাষার ইতিহাস তিন পর্যায়ে বিভক্ত:

প্রাচীন বাংলা (৯০০/১০০০ খ্রিস্টাব্দ – ১৪০০ খ্রিস্টাব্দ) — লিখিত নিদর্শনের মধ্যে আছে চর্যাপদ, ভক্তিমূলক গান; আমি, তুমি, ইত্যাদি সর্বনামের আবির্ভাব; ক্রিয়াবিভক্তি -ইলা, -ইবা, ইত্যাদি। ওড়িয়া ও অসমীয়া এই পর্বে বাংলা থেকে আলাদা হয়ে যায়।

মধ্য বাংলা (১৪০০–১৮০০ খ্রিস্টাব্দ) — এ সময়কার গুরুত্বপূর্ণ লিখিত নিদর্শন চণ্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণকীর্তন; শব্দের শেষে “অ” ধ্বনির বিলোপ; যৌগিক ক্রিয়ার প্রচলন; ফার্সি প্রভাব। কোন কোন ভাষাবিদ এই যুগকে আদি ও অন্ত্য এই দুই ভাগে ভাগ করেন।

আধুনিক বাংলা (১৮০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে) — ক্রিয়া ও সর্বনামের সংক্ষেপন (যেমন তাহার → তার; করিয়াছিল → করেছিল)।



১০০০ বিসি(- ৩০০০ বছর)ঃ ইন্দো-আর্যরা আসার পর অঙ্গ, বঙ্গ এবং মগধ রাজ্য গঠিত হয়। এই রাজ্যগুলি বাংলা এবং বাংলার আশেপাশে স্থাপিত হয়েছিল। যার বর্ণনা প্রথম পাওয়া যায় প্রায় ১০০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে, অথর্ববেদে



৭০০ বিসি(- ২৭০০ বছর)ঃ পুড্রবর্ধন, রাজধানিঃ মহাস্থান-গর (বর্তমান বগুরা)।



৬০০ বিসি(- ২৬০০ বছর)ঃ অঙ্গ ও পুন্ড্র রাজ্যের উথথান। খ্রীষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতক থেকে বাংলার বেশিরভাগ এলাকাই শক্তিশালী রাজ্য মগধের অংশ ছিল। মগধ ছিল একটি প্রাচীন ইন্দো-আর্য রাজ্য। মগধের কথা রামায়ণ এবং মহাভারতে পাওয়া যায়।



হর্য্যঙ্ক সাম্রাজ্য (৬৮৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দ - ৪১৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দ)

শিশুনাগ সাম্রাজ্য (৪১৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দ – ৩৪৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দ)

নন্দ সাম্রাজ্য (৩৪৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দ – ৩২১ খ্রিস্টপূর্বাব্দ)

মৌর্য সাম্রাজ্য (৩২১ খ্রিস্টপূর্বাব্দ – ১৮৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দ)

শুঙ্গ সাম্রাজ্য (১৮৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দ– ৭৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দ)

গুপ্ত সাম্রাজ্য (৩২০ খ্রিস্টাব্দ - ষষ্ঠ শতাব্দী)

মহাভারত ও পুরান অনুযায়ী, এই বৃহদ্রথই মগধ সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা । তিনি বসু চৈদ্য উপারিচারার পুত্র । বৃহদ্রথের বর্ণনা দিতে গিয়ে ঐতিহাসিক রামেশ মেনন লিখেছেন, “ভারতবর্ষে বৃহদ্রথের খ্যাতি ছিল পৃথিবীর বুকে পড়া সূর্যের আলোর মতই” । মগধ সাম্রাজ্যের উত্থানের সময়টুকুকে ঐতিহাসিকরা ‘ষোড়শ মহাজনপদের যুগ’ বলে ডাকেন । ১৬টি মহাজনপদে বিভক্ত ছিল তখন এখনকার এই ভারতবর্ষঃ

১। কাশী

২। কোশল

৩। অঙ্গ

৪। মগধ

৫। বজ্জি / বৃজিসংঘ (বৈশালী গণরাজ্য)

৬। মল্ল / মালব

৭। চেদী

৮। বংশ বা বৎস

৯। কুরু

১০। পাঞ্চাল

১১। মৎস্য

১২। শুরসেন

১৩। অস্মক

১৪। অবন্তী

১৫। গান্ধার

১৬। কম্বোজ





৫৪৪ বিসি(- ২৫৪৪ বছর)রাঢ়/কলিঙ্গের রাজা সিংহবাহুর পুত্র রাজকুমার বিজয় সিংহের লংকা জয় করেন।



বুদ্ধের সময়ে এটি ছিল ভারতের চারটি প্রধান রাজ্যের মধ্যে একটি। মগধের ক্ষমতা বাড়ে বিম্বিসারের (রাজত্বকাল ৫৪৪-৪৯১ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ) এবং তার ছেলে অজাতশত্রুর (রাজত্বকাল ৪৯১-৪৬০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ) আমলে। বিহার এবং বাংলার অধিকাংশ জায়গাই মগধের ভিতরে ছিল।



সিদ্ধাত্থ গোতম বুদ্ধ ছিলেন প্রাচীন ভারতের এক ধর্মগুরু এবং বৌদ্ধধর্মের প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর জীবৎকাল ৫৬৩ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ থেকে ৪৩৮ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যে। সিদ্ধার্থের পিতা ছিলেন শাক্য বংশীয়মায়াদেবী। মায়াদেবী কপিলাবস্তু থেকে পিতার রাজ্যে যাবার পথে লুম্বিনি গ্রামে (অধুনা নেপালের অন্তর্গত) সিদ্ধার্থের জন্ম দেন। জ্ঞানান্বেষণে, মাত্র ২৯ বছর বয়সে ঘুমন্ত স্ত্রী, পুত্র, পরিবারকে নিঃশব্দ বিদায় জানিয়ে তিনি প্রাসাদ ত্যাগ করেন। কিছু দিন যাবার পর তিনি মগধের উরুবিল্ব নামক স্থানে গমন করেন। সেখানে পত্রবৃক্ষতলে ভূমিতে পূর্বমুখি হয়ে তপস্যায় বসেন।



ত্রিপিটক বৌদ্ধদের মূল ধর্মীয় গ্রন্থ। খ্রীষ্ট পূর্ব ৩য় শতকে সম্রাট অশোকের রাজত্বকালে ত্রিপিটক পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ হিসাবে স্বিকৃত হয়। ত্রিপিটক পালি ভাষার গ্রন্থ। আর সংস্কৃত, পালি ও প্রাকৃত ভাষার মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষার উদ্ভব হয়েছে।



৪৫০ বিসি(- ২৪৫০ বছর) উয়ারী-বটেশ্বর( বর্তমান নরসীনদি) সভ্যতার বিকাশ।



৩২৭ বিসি(- ২৩৩৯ বছর) ৩২৬ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের সেনাবাহিনী মগধের নন্দ সাম্রাজ্যের সীমানার দিকে অগ্রসর হয়। এই সেনাবাহিনী ক্লান্ত ছিল এবং গঙ্গা নদীর কাছাকাছি বিশাল ভারতীয় বাহিনীর মুখোমুখি হতে ভয় পেয়ে যায়। ওই সময় বাংলা গঙ্গা নদীর জন্য গঙ্গোরিধি নামে পরিচিত ছিল। তখন গঙ্গোরিধির রাজার ২,০০০ রথ, ৪,০০০ হাতি, ২০,০০০ ঘোড়া, ২,০০,০০০ সৈন্য ছিলো। আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের সেনাবাহিনী বিয়াসের কাছে বিদ্রোহ ঘোষনা করে এবং আরও পূর্বদিকে যেতে অস্বীকার করে । আলেকজান্ডার দি গ্রেট ৩ দিন নিজেকে গৃহবন্দী করে রাখেন কিন্তু তার সেনাপতিরা বাংলা আক্রমনে রাজি হন নাই। আলেকজান্ডার তখন তাঁর সহকারী কইনাস (Coenus) এর সাথে দেখা করার পরে ঠিক করেন ফিরে যাওয়াই ভাল।



গঙ্গোরিধির রাজা অগ্রামেস ছিলেন সাধারন ঘরের মানুষ, যিনি খুবই সুদর্শন ও বুদ্ধিমান ছিলেন। রানীর সহায়তায় পুর্বের রাজাকে হত্যা করে তিনি রাজা হন, অল্প দিনেই তিনি জনতার মন জয় করেন।



৩২০ বিসি(- ২৩৩২ বছর) মৌর্য সাম্রাজ্য মৌর্য রাজবংশ-শাসিত এই সাম্রাজ্য ৩২১ থেকে ১৮৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত টিকে ছিল। মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য। মৌর্য সাম্রাজ্যের উৎসভূমি ছিল গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলের মগধ রাজ্য (অধুনা বিহার, পূর্ব উত্তরপ্রদেশ ও বাংলা)। মৌর্য সাম্রাজ্যের মোট আয়তন ছিল ৫,০০০,০০০ বর্গ কিলোমিটার। এই সাম্রাজ্য ছিল সমসাময়িক বিশ্বের বৃহত্তম সাম্রাজ্যগুলির অন্যতম। সাম্রাজ্যের সর্বাধিক বিস্তার ছিল উত্তরে হিমালয়, পূর্বে বর্তমান অসম, পশ্চিমে বালুচিস্তান, দক্ষিণ-পূর্ব ইরান ও আফগানিস্তান পর্যন্ত। সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল পাটলিপুত্র (অধুনা পাটনা)।



৩০০ বিসি(- ২৩১২ বছর) সম্রাট অশোক দ্যা গ্রেট জন্ম ৩০৪ খ্রীষ্টপূর্ব, শাসনকাল ২৯৮-২৭২ খ্রীষ্টপূর্ব; তিনি ছিলেন মৌর্য রাজবংশের রাজা। তার সময়ে মৌর্য সাম্রাজ্য ছিলো এখনকার বাংলাদেশ থেকে শুরু করে ভারতসহ একদম পাকিস্তান-আফগানিস্তান পর্যন্ত। ভারতের ইতিহাসে দুজন রাজাকে গ্রেট উপাধি দেয়া হয়েছে তাদের একজন হলেন অশোক দ্যা গ্রেট আরেকজন আকবর দ্যা গ্রেট। মজার ব্যাপার হল হিন্দু অধ্যুষিত ভারতে একজন হিন্দু রাজাও এই উপাধি লাভ করেননি। অশোক প্রথম জীবনে বৈদিক ধর্মের অনুসারী হলেও পরে বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন। রাজা হওয়ার পরই অশোক সাম্রাজ্য বিস্তারে মনযোগী হন। তিনি পূর্বে বর্তমান আসাম ও বাংলাদেশ, পশ্চিমে ইরান ও আফগানিস্হান, উত্তরে পামীর গ্রন্থি থেকে প্রায় সমগ্র দক্ষিণভারত নিজের সাম্রাজ্যভূক্ত করেন। এরপর অশোক কলিঙ্গ প্রজাতন্ত্র দখলে উদ্যোগী হন। খ্রীষ্টপূর্ব ২৬১ (মতান্তরে খ্রীষ্টপূর্ব ২৬৩) দয়া নদীর ধারে ধৌলি পাহাড়ের কাছে ভীষণ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়। দু'দলের মধ্যে প্রচুর হতাহতের মধ্যে অশোক কলিঙ্গজয় করেন। এই যুদ্ধে কলিঙ্গবাহিনীর ১,০০,০০০ সেনা ও মৌর্য সেনাবাহিনীর ১০,০০০ সেনা নিহত হয় ও অসংখ্য নর-নারী আহত হয়। যুদ্ধের এই বীভত্সতা সম্রাট অশোককে বিষাদগ্রস্থ করে তোলে। তিনি যুদ্ধের পথত্যাগ করে তিনি বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন ও অহিংসার পথে সাম্রাজ্য পরিচালনের নীতি গ্রহণ করেন।



৬০৬ খ্রীষ্টাব্দ (-১৪০৬ বছর) গৌড় রাজ্যঃ বাংলার প্রথম স্বাধীন রাজা ছিলেন শশাঙ্ক যিনি ৬০৬ খ্রীষ্টাব্দ থেকে ৬৩৭ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেছিলে। সম্ভবত তিনি গুপ্ত সম্রাটদের অধীনে একজন সামন্তরাজা ছিলেল ।তিনি সম্ভবত হর্ষবর্ধন-এর ভগিনী রাজ্যশ্রী কে অপহরন করে ছিলেন। এইজন্য হর্ষবর্ধন-এর সঙ্গে তাঁর যুদ্ধ হয় । তাঁর শক্তি বৃদ্ধি হতে দেখে কামরুপ রাজ ভাষ্করবর্মন তাঁর শত্রু হর্ষবর্ধন-এর সঙ্গে মিত্রতা স্থাপন করেন।

৬৩৭ খ্রীষ্টাব্দে শশাঙ্ক-এর মৃত্যুর পর তাঁর রাজ্যের পতন ঘটে ও বাংলাতে এক অরাজক অবস্থার সৃস্টি হয় যাকে বাংলায় মাৎস্যন্যায় বলা হয় । যা প্রায় দেড়শো বছর তা স্থায়ী হয় ।এই সময় বাংলাতে বহু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যের সৃস্টি হয় আত্মকলহ, গৃহযুদ্ধ, গুপ্তহ্ত্যা, অত্যাচার প্রভৃতি চরমে ওঠে।বাংলার সাধারণ দরিদ্র মানুষদের দুর্দশার শেষ ছিল না। স্থায়ী প্রশাসন না থাকাতে বাহুবলই ছিল শেষ কথা।



৭৭৫ খ্রীষ্টাব্দ (-১২৩৭ বছর)ঃ পাল বংশঃ মাৎস্যন্যায়ের সময় বাংলার বিশৃঙ্খলা দমনের জন্য বাংলার মানুষ নির্বাচনের মাধ্যমে গোপাল নামক এক সামন্তরাজা কে বাংলার রাজা হিসেবে গ্রহন করেন । গোপালই হলেন পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা । পাল বংশের সবচেয়ে শক্তিশালী দুই রাজা ছিলেন ধর্মপাল (রাজত্বকাল ৭৭৫-৮১০ খ্রীষ্টাব্দ) এবং দেবপাল (রাজত্বকাল ৮১০-৮৫০ খ্রিষ্টাব্দ)। পাল শাসকদের রাজধানী ছিল ‘রামাবতী নগরী’ কোথায়। সেন নৃপতি বিজয় সেনের রাজধানী ছিল ‘বিজয়নগর’।



৯৮২ খ্রিস্টাব্দে (-১০৩০ বছর): অতীশ দীপঙ্কর বিক্রমপুর পরগনার বজ্রযোগিনী গ্রামে জন্মুগ্রহণ করেন, এটি বর্তমানে বাংলাদেশের মুন্সিগঞ্জ জেলার অন্তর্ভুক্ত। মাত্র পঁচিশ বছর বয়সে তিনি একজন প্রখ্যাত নৈয়ায়িক ব্রাহ্মণকে তর্কযুদ্ধে পরাজিত করলে তার খ্যাতি ছড়িয়ে পরে। একত্রিশ বছর বয়সে ধ্যান শিক্ষার উদ্দেশ্যে তিনি মগধের জ্ঞানবৃদ্ধ আচার্য ধর্মরক্ষিতের কাছে যান। এর পর ১০১১ সালে তিনি ১২৫জন অনুগামী ভিক্ষুসহ এক সওদাগরী জাহাজে মালয়দেশের সুবর্ণদ্বীপে যান এবং সেখানে প্রখ্যাত আচার্য ধর্মকীর্তির কাছে ১২ বছর বৌদ্ধশাস্ত্র অধ্যয়ন করেন। পরে কিছু দিন শ্রীলংকায় অবস্থান করে ১০২৫ খ্রিস্টাব্দে ৪৪ বছর বয়সে তিনি আবার ভারতবর্ষে ফিরে আসেন। এ সময় বজ্রাসন মহাবোধি বিহারে (বর্তমান বৌদ্ধগয়া) আয়োজিত সংবর্ধনায় তার অসামান্য পান্ডিত্যের জন্য 'ধর্মপাল' উপাধি দেওয়া হয়। তিব্বতের রাজা চ্যান-চাব জ্ঞানপ্রভ তাঁকে আমন্ত্রণ করলে তিনি ১০৪১ সালে বিক্রমশীলা বিহার থেকে যাত্রা শুরু করে দুর্গম হিমালয় পর্বতমালা পাড়ি দিয়ে তিব্বতে যান। তিব্বতে পৌঁছে দীপঙ্কর রাজকীয় মর্যাদা লাভ করেন। এখনও সেখানকার মঠের প্রাচীরে এই সংবর্ধনার দৃশ্য আঁকা আছে। তিনি বৌদ্ধশাস্ত্র, চিকিৎসা ও কারিগরিবিদ্যা সম্পর্কে তিব্বতি ভাষায় দুইশ'রও বেশি বই রচনা, অনুবাদ ও সম্পাদনা করে তিব্বতবাসীদের মাঝে বিপুল খ্যাতি অর্জন করেন। তিব্বতবাসীরা গৌতম বুদ্ধের পরেই তাঁকে স্থান দেয় এবং তাঁকে 'জোবো ছেনপো' বা মহাপ্রভুরূপে মান্য করে। তারা তাঁকে "অতীশ" উপাধিতে ভূষিত করে। তিনি তিব্বতে বহু প্রাচীন সংস্কৃত পুঁথি আবিষ্কার করেন এবং নিজ হাতে সেগুলির প্রতিলিপি করে বাংলায় পাঠান।



১২০৪ এডি(-৮০৮ বছর)ঃ ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খালজি বাংলা জয় করেন। বাংলায় মুসলিম শাষনের সুচনা হয়। ১২৬৮ থেকে ১২৮১ পর্যন্ত ঝিনাইদহ মুসলিম রাজ্য তথা দিল্লী সালতানাতের অধীনে লক্ষনাবতীর অন্তর্ভূক্ত হয়। ইখতিয়ার উদ্দিন বাংলা জয় করে রংপুর অঞ্চলে তাঁর প্রথম রাজধানী স্থাপন করেন।

১৩৪২ সালে সুলতান শাসুদ্দিন ইলয়াস শাহ্ লক্ষনাবতীকে স্বাধীন সালতানাত ঘোষণা করে বাংলাকে একটি প্রশাসনিক কাঠামোতে আনেন।



১৫৩৪ এডি(-৪৭৮ বছর)ঃ পর্তুগিজদের আগমন ও ব্যবসার অনুমতি লাভ।



১৫৩৮ এডি(-৪৭৪ বছর)ঃ গিয়াসউদ্দিন শাহ ও তার পর্তুগিজ মিত্ররা শের শাহ এর কাছে পরাজিত হন। মঘল সম্রাট হুমায়ুন গৌর দখল করেন, কিন্তু বাংলার সুলতান শের শাহ এর কাছে পরাজিত ও বিদ্ধ্স্ত হন।



১৫৭৮ এডি(-৪৩৪ বছর)ঃ মুঘল সুবেদার খান জাহান বাংলা আক্রমন করে ঈশা খার কাছে পরাজিত হন।



১৫৮৪ এডি(-৪৭৪ বছর)ঃ মুঘল সুবেদার শাহাবাজ খান বাংলা আক্রমন করে ঈশা খার কাছে পরাজিত হন।



১৫৯৭ এডি(-৪৬১ বছর)ঃ মুঘল সেনাপতি মান সিং ঈশা খার কাছে পরাজিত হন।



১৬০৮ এডি(-৪৫০ বছর)ঃ মুঘল সুবেদার ইসলাম খান বাংলা জয় করেন, ঢাকাকে এই অঞ্চলের রাজধানী করেন। মুঘল শাষক জাহাঙ্গিরের নামানুষারে ঢাকার নাম জাহাঙ্গির নগর করেন।



১৭৫৭ এডি(-২৫৫ বছর)ঃ বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার সাথে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পলাশী নামক স্থানে ১৭৫৭ সালের জুন ২৩ তারিখে যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। এই যুদ্ধে সিরাজউদ্দৌলা পরাজিত হন এবং ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠার পথ সূচিত হয়।



১৭৭০ এডি(-২৪২ বছর)ঃ ৭৬-এর মন্বন্তর(বাংলা ১১৭৬- ১১৮০) দের কোটি বাঙ্গালী মারা যায়।



১৮৫৭ এডি(-১৫৫ বছর)ঃ সিপাহি বিপ্লব। ১৮৫৭ খ্রীষ্টাব্দের সিপাহি বিদ্রোহ ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির শাসনের অবসান ঘটায় এবং বাংলা সরাসরি ভাবে ব্রিটিশ রাজবংশের শাসনাধীনে আসে । বাংলা ছিল খুব ভালো ধান উৎপাদক অঞ্চল এবং এখানে সূক্ষ সুতিবস্ত্র মসলিন তৈরি হত । এছাড়া এই অঞ্চল ছিল পৃথিবীর পাট চাহিদার মুখ্য যোগানকারী।



১৮৫০ সাল থেকেই বাংলায় ভারতের প্রধান শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠতে থাকে । এই শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠেছিল মূলত কলকাতার আশেপাশে এবং সদ্য গড়ে ওঠা শহরতলি এলাকায় । কিন্তু বাংলার বেশিরভাগ মানুষ তখনও কৃষির উপরেই বেশি নির্ভরশীল ছিলেন । ভারতের রাজনীতি এবং সংস্কৃতিতে বাংলার মানুষেরা অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করলেও বিশেষ করে পূর্ব বাংলায় তখনও খুব অনুন্নত জেলা ছিল ।

১৮৭৭ খ্রীষ্টাব্দে রানী ভিক্টোরিয়া যখন ভারতের সম্রাজ্ঞী উপাধিতে নিজেকে ভূষিত করলেন তখন ব্রিটিশরা কলকাতাকে ব্রিটিশ রাজের রাজধানী বলে ঘোষনা করে ।



১৯০৫ এডি(-১০৭ বছর)ঃ বঙ্গ-ভঙ্গ।



১৯১৩ এডি(-৯৯ বছর)ঃ আহমদিয়া/ কাদিয়ানিদের উত্থান।



১৯২১ এডি(-৯১ বছর)ঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা।



১৯৪০ এডি(-৭২ বছর)ঃ শের-ই-বাংলা কর্তিক “মুসলম লীগ” গঠন।



১৯৪৭ এডি(-৬৫ বছর)ঃ ভারত ও পাকিস্তানের স্বাধীনতা লাভ। তখন বাংলা ভাগ করে পশ্চিম বাংলা ভারতের একটি অংশ এবং পূর্ব বাংলা পাকিস্তানের একটি অংশে পরিণত করা হয়



১৯৪৮ এডি(-৬৪ বছর)ঃ খাজা নিজামউদ্দিন(ঢাকা) পাকিস্তানের ২য় গভর্নর- জেনারেল হন।

১৯৪৯ এডি(- ৬৩ বছর)ঃআওয়ামী মুসলিম লীগ” গঠন।

১৯৫১ এডি(-৬১ বছর)ঃ খাজা নিজামউদ্দিন(ঢাকা) পাকিস্তানের ২য় তম প্রধানমন্ত্রীর দ্বায়িত্ব গ্রহন করেন।



১৫২ এডি(-৬0 বছর)ঃ ভাষা আন্দোলন



১৯৫৩ এডি(-৫৯ বছর)ঃ “আওয়ামী মুসলিম লীগ” এর নাম পরিবর্তন করে “আওয়ামী লীগ” করা হয়।

মোহাম্মদ আলী (বগুরা) পাকিস্তানের ৩য় তম প্রধানমন্ত্রীর দ্বায়িত্ব গ্রহন করেন।



১৯৫৬ এডি(-৫৬ বছর)ঃ “ইস্কান্দার মীর্জা(মুর্শিদাবাদ/রাজশাহী)” পাকিস্তানের শেষ গভর্নর জেনারেল ও ১ম প্রেসিডেন্ট।। একই বছর হসেন শহীদ সহরোয়ার্দী পাকিস্তানের ৫ম তম প্রধানমন্ত্রীর দ্বায়িত্ব গ্রহন করেন। এই বছরই বাংলা -কে রাষ্ট্রভাষা ঘোষনা করা হয়।



১৯৬৫ এডি(-৪৭ বছর)ঃ ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধেঃ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কাছে কাশ্মীরে চরম মার খায় ভারতীয় বাহিনী। বিশ্ব সেরা গুর্খা রেজিমেন্ট প্রথমেই পলায়ন করে। পরে বাংলার দামাল ছেলেরা খালি হাতে বুকে মাইন নিয়ে ট্যাঙ্ক এর নিচে ঝাপিয়ে পড়ে। সেই সময়ের পাকিস্তান আর্মির অধিকাংশ খেতাব, হিলাল ই জুরাত, সিতারা এ আম উপাধি এই ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট পায়।



১৯৬৬ এডি(-৪৬ বছর)ঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৬ দফা আন্দোলন।



১৯৬৮ এডি(-৪৪ বছর)ঃ আগরতলা ষরযন্ত্র মামলা।



১৯৬৯ এডি(-৪৩ বছর)ঃ ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান



১৯৭০ এডি(-৪২ বছর)ঃ ভোলা সাইক্লোন, প্রায় ৫,০০,০০০ মানুষ মারা যায়।



১৯৭১ এডি(-৪১ বছর)ঃ বঙ্গবন্ধুর সাথে গোলটেবিল বৈঠক সফল না হওয়ায় জেনারেল ইয়াহিয়া খান ২৫শে মার্চ গভীর রাতে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে ও পাকিস্তানী সেনাবাহিনী অপারেশন সার্চলাইটের নামে বাঙালিদের উপর নির্বিচারে আক্রমণ শুরু করে। ২৬ মার্চ চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন।

প্রায় ১ কোটি মানুষ শরণার্থী হয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়। মুক্তিযুদ্ধে মোট জীবনহানির সংখ্যার কয়েক লাখ হতে শুরু করে ৩০ লাখ পর্যন্ত অনুমান করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতা ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাঁরা ১৭ই এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আমবাগানে অস্থায়ী সরকার গঠন করেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলে দীর্ঘ ৯ মাস। মুক্তি বাহিনী ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ভারতের সহায়তায় প্রশিক্ষিত পাকিস্তানি সামরিক বাহিনির বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসে জয়লাভ করে। এই সময় অধিকাংশ বাঙ্গালী সামরিক কর্মকর্তা পাকিস্তানে বন্দী ছিলেন। মিত্রবাহিনী প্রধান জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কাছে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তান বাহিনীর প্রধান জেনারেল নিয়াজী আত্মসমর্পন করেন।

প্রায় ৯০,০০০ পাকিস্তানী সেনা যুদ্ধবন্দী হিসাবে ধরা পড়ে, যাদেরকে ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো হয়। স্বাধীনতা পরবর্তীতে মোট ৩৬০০০ স্থানীয় দালাল, রাজাকারকে সরাসরি গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্য ২৬০০০ জনকে বঙ্গবন্ধু সাধারন ক্ষমা করে ছিলেন। বিচারপতি সায়েম সিএমএলএ থাকা অবস্থায় বাকিদের মুক্ত করে দেন।



১৯৭২-১৯৭৫ এডি(-৪০ বছর)ঃ স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ প্রথমে সংসদীয় গণতন্ত্র ব্যবস্থা চালু হয় ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৩ সালের সংসদীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশে ১৯৭৪ সালে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। ১৯৭৫ সালের শুরুতে মুজিব দেশে বাকশালের অধীনে সকল দল এবং ব্যক্তি নিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালু করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট সেনাবাহিনীর কিয়দংশ ষড়যন্ত্রে সংঘটিত অভ্যুত্থানে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হন।



১৯৭৫-১৯৮১ এডি(-৩৮ বছর)ঃ ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর ‘’সিপাহি বিপ্লব’’ নামের আন্দোলনে জিয়াউর রহমান রাজনীতিতে সংশ্লিস্ট হন। ১৯শে নভেম্বরের পর তিনি উপ-প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৭ সালে রাষ্ট্রপতি আবু সাদাত সায়েমের পরে ২১শে এপ্রিল রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন। ১৯৭৮ সালের ৩রা জুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জিয়াউর রহমান জয়লাভ করেন। জিয়াউর রহমান বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ নামের রাজনৈতিক মতবাদ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বর জেনারেল জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন। রাষ্ট্রপতি জিয়া এই দলের সমন্বয়ক ছিলেন এবং প্রথম চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। অধ্যাপক এ. কিউ. এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী এর প্রথম মহাসচিব ছিলেন। ১৯৮১ সালের ২৯শে মে চট্টগ্রামে এক ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে জিয়া নিহত হন।



১৯৮২-১৯৯০ এডি(-৩১ বছর)ঃ ১৯৮২ সালের মার্চ মাসে জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ রক্তপাতবিহীন এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন। এরশাদ স্বৈরশাসক হিসাবে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত শাসন করেন। ৯০-এর গণঅভ্যুত্থানে তার পতনের পর সংসদীয় গণতন্ত্র পুনরায় চালু হয়।



১৯৯১-১৯৯৬ এডি(-২২ বছর)ঃ জিয়ার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেত্রী হিসাবে ১৯৯১ হতে ১৯৯৬ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।



১৯৯৬-২০০১ এডি(-১৭ বছর)ঃ শেখ মুজিবের কন্যা শেখ হাসিনা ১৯৯৬ হতে ২০০১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ক্ষমতায় ছিলেন।



২০০১-২০০৬ এডি(-১২ বছর)ঃ চারদলীয় ঐক্যজোট, জিয়ার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেত্রী হিসাবে ২০০১ হতে ২০০৬ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।



২০০৬-২০০৯ এডি(-০৭ বছর)ঃ তত্ত্বাবধায়ক সরকার,



২০০৯- এডি(-০৪ বছর)ঃ চৌদ্দদলীয় মহাজোট, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ জয়লাভ করে, এবং দলটির সভানেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করেন।



২০১২-বর্তমানঃ স্বাধীনতার ৪২ বছর পর দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আরম্ভ করা হয়।



২০১৪-বর্তমানঃ ভোটার বিহীন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পুনরায় ক্ষমতা গ্রহন, গনতন্ত্র বিলুপ্ত। আওয়ামী লীগ বিরোধী সবাইকে স্বাধীনতা বিরোধী আক্ষা্য়িত করা আরম্ভ।



তথ্য সুত্র:

Click This Link



Click This Link

মন্তব্য ৯২ টি রেটিং +২৭/-০

মন্তব্য (৯২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:১৬

ভাঙ্গাচুরা যন্ত্রপাতি বলেছেন: আসাম, ত্রিপুরা, ইত্যকার বাংলা অধ্যুষিত অঞ্চল নিয়ে গঙ্গারিডাই রাষ্ট প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমাদের রাজভাষা হবে বাংলা ও অসমীয়া। আমাদের রাষ্ট্রধর্ম হবে বৌদ্ধ ধর্ম। গঙ্গারিডাই এর নাগরিকরা বং বলে পরিচিত হবেন। আসেন ভাইসকল দলে দলে প্রাচীন বাংলায় ফিরে যাই।

২০ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:২১

রওনক বলেছেন: পুরোপুরি না হলেও আমিও এরকমটাই চাই।

২| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:২৬

ভাঙ্গাচুরা যন্ত্রপাতি বলেছেন: পুরোপুরি না কোন জায়গায়? রাষ্ট্রধর্ম নিয়া সমস্যা নাকি রাজভাষা নিয়া সমস্যা?

২০ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৯

রওনক বলেছেন: ২ টাই

২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৮

রওনক বলেছেন: রাষ্ট্রধর্ম বা রাজভাষার কি দরকার?

৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৯

জেনো বলেছেন: ভাল লাগল।

২০ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৪০

রওনক বলেছেন: ধন্যবাদ। পারলে পুরোটা পড়েন।

৪| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৪

মাথা ঠান্ডা বলেছেন: আগারগাও ষড়যন্ত্র মামলা হবে না । হবে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা।
পোস্টে +++++

২০ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১২

রওনক বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ মাথা ঠান্ডা ।

৫| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৩

ব্লগার রানা বলেছেন: সত্যি ভাবতেই ভাল লাগে আমরা অতি প্রাচীন একটা সভ্যতার মানুষ। কিন্তু আজ আর তা কেন যেন বোঝা যায় না।

২০ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৫

রওনক বলেছেন: সত্যিই তাই।
এক সময় আমরা মসলিন বানাতাম, আর মিশর, রোমের রাজা-রানী সেই মসলিনের জন্য অপেক্ষায় থাকতো। তুলা থেকে এখনও কেউ মসলিনের চেয়ে উন্নত কিছু তৈরি করতে পারে নাই!!!

৬| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫

কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন: জানলাম

২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৪২

রওনক বলেছেন: জেনে খুশি হলাম

৭| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮

একজন ঘূণপোকা বলেছেন: ৫ম পেলাস



শোকেসে

২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৪২

রওনক বলেছেন: ধন্যবাদ

৮| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: চমৎকার!

সুন্দর সংক্ষেপ করেছেন। একের ভিতর হাজার বছর :)

প্রিয়তে রাখলাম্।

২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:১৫

রওনক বলেছেন: ধন্যবাদ

৯| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:১৫

লালন রিটার্ন বলেছেন: ১৯৪৭ এডি(-৬৫ বছর)ঃ ভারত ও পাকিস্তানের স্বাধীনতা লাভ। তখন

বাংলা ভাগ করে পশ্চিম বাংলা ভারতের একটি অংশ এবং পূর্ব বাংলা পাকিস্তানের একটি অংশে পরিণত করা হয়।

ঠিকমতো যদি ভাগটা হতো আমরা আজ এত খারাপ থাকতাম না....

২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:১৮

রওনক বলেছেন: ভাগটা হওয়াই উচিৎ হয় নাই।
পাকিস্তানিদের মাথা নাই, বাঙ্গালীদের সত নেতা নাই।

১০| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:০৪

সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারলাম ,,, ধন্যবাদ লেখক কে +++

২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:১৯

রওনক বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

১১| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:১১

ভাঙ্গাচুরা যন্ত্রপাতি বলেছেন: তাইলে হবে না, বাদ দেন, আসমী লোকজন তাহলে আসবে না। মাছ খাইবেন চাড্ডা চাড্ডা তেল দিবেন না, এইডা কেমনে হয়।

২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:২৯

রওনক বলেছেন: ঐখানে কি ভাল মাছ পাওয়া যায়? তাহলে মাছ পাঠায়া বলেন কি চান।

যাই হোক আসাম, ত্রিপুরা বাংলার মধ্যে পরে কি না জানি না। আমি চাই অঙ্গ, বঙ্গ ও কলিঙ্গ(ওরিষা), কলিঙ্গ, পুণ্ড্র ও সুহ্ম

১২| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৩০

শিপু ভাই বলেছেন:
++++++++++++++++++++প্রিয়তে!!!

২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৩৭

রওনক বলেছেন: ধন্যবাদ নিবেন

১৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৩৪

বোকামন বলেছেন: সম্মানিত লেখক,
কৃতজ্ঞতা জানবেন .....

২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৩৮

রওনক বলেছেন: যথাযথ সম্মান প্রদর্শন পুর্বক আপনাকে ধন্যবাদ

১৪| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৪১

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: আমি হাত তুললাম ।একসাথে সীমান্তে যাব ।তারপর বার্লিন প্রাচীর ।ইতিহাস হয়ে যাবে ।তবে একটা কথা কোনো আর্য কিম্বা আরবীয় ধর্ম কে পাত্তা দেওয়া যাবে না ।লালন কিম্বা অতীশ দিপান্কারের(যেদিকে ভোট বেশি পরে ) আদর্শে দেশ চলবে ।@ভাঙ্গাচুরা যন্ত্রপাতি

লেখক + নেন ।

২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:০০

রওনক বলেছেন: একি আপনারা সবাই হাত মিলালে আমরাতো সংখালঘু হয়ে যাব!! তাও আসেন।
দেখেন পাটনা ছিলো একসময়ার ৫০,০০,০০০ বর্গ কিলোমিটারের বিশাল রাজ্যের রাজধানী।

১৫| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৫১

কাউসার আলম বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারলাম ,,, ধন্যবাদ

২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:০১

রওনক বলেছেন: ব্রিটিশরা যখন বাংলাদেশে আসে, তখন বাংলা ছিলো বিশ্বের ৬ষ্ঠ সমৃদ্ধ অঞ্চল। চেস্টা করলে আবার কেন মাথা উচু করে দাড়াতে পারব না?

১৬| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৪৪

ভাঙ্গাচুরা যন্ত্রপাতি বলেছেন: সাধারণ পাবলিকের যে অবস্থা তাতে জান বাচানিরই সময় নাই আর ইতিহাস দুর অস্ত। ধর্ম আমাদের মজ্জায় মিশে গেছে। এখনও সময় হয় নাই। তবে যখন হবে তখন অনেক দেরী হবে যাবে বলেই আমার ভয়। কিছু আর করার থাকবে না। নিয়তি কোথায় নিয়ে যায় আমাদের দেখা যাক। @সিদ্ধার্থ

১৭| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৪৬

কালোপরী বলেছেন: ++++++++++

২৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:০০

রওনক বলেছেন: সবগুলো + দেশের জন্য

১৮| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭

বিপদেআছি বলেছেন: ভালো।

২৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:০১

রওনক বলেছেন: আমাদের ইতিহাস তাই বলে।

১৯| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৩২

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: প্লাসসহ অনুসারিত.....

২৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:০৫

রওনক বলেছেন: অন্য মানুষকে না আমাদের দেশকে অনুসরণ করি, হাজার বছর ধরে শুধু দিয়েই যাচ্চে, না নাই। আর আমরাও দিচ্ছি, দেশের মাটির উপর বিষাক্ত শিল্প বর্জ! আর দেশের মানুষের উপর .....

২০| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৬

চিকন আলি বলেছেন: এতো শর্টকাট মারলে কি চলে বস......? তয়, ভালা হইছে।

২৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:১৭

রওনক বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

আমি শুধু মানুষকে জানাতে চেয়েছি যে, আমরা এখন যেমন দেখি অতীতে বাংলাদেশকে এমন ছিলো না। ব্রিটিশরা যখন বাংলায় হা রাখলো, বাংলা তখন বিশ্বের ৬ষ্ঠ সমৃদ্ধ রাজ্য!

২১| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯

বিপদেআছি বলেছেন: বৌদ্ধ ধর্ম নিলেই সব সমস্যার সমাধান ??? বর্তমানে তথাকথিত বৌদ্ধ দেশ গুলোই সকলের সামনে অন্য ধর্মের , জাতির মানুষ মেরে শান্তি প্রতিষটায় নামছে, শ্রীলংকা, বার্মা, চীন সব জায়গায় সকলের সামনে অন্য বিশ্বাসের মানুষদের কে নির্বিচারে কচুকাটা করা হচ্ছে।

২৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০৫

রওনক বলেছেন: ধর্ম খুবই গুরুত্বপূর্ন, তাই বলে সব নয়।
নবীজী মুহাম্মদুর রাসুলিল্লাহ সা. বলেছেন, জাহেল যুগে যারা ভাল মানুষ ছিলো তারা ইসলামের যুগেও ভাল, আর যারা জাহেল যুগে খারাপ ছিলো তারা এখনও ....।
ঐক্য ও ভ্রাত্যিত্ব বোধ সবচেয়ে গুরুত্ব পূর্ণ। আর ইসলাম প্রথমেই এই ঐক্য ও ভ্রাত্যিত্বের ডাক দেয়।
নবীজী মুহাম্মদুর রাসুলিল্লাহ সা. বলেছেন, যে সংঘের (ঐক্যের) বাইরে গেল, সে ইসলাম থেকে বেরিয়ে গেল। তার সালাত, সওম কোন উপকারে আসবে না।
নবীজী মুহাম্মদুর রাসুলিল্লাহ সা. প্রতিবেশী ৪০ ঘরের খোজ খবর রাখতে বলেছেন। এখানে তিনি ধর্মের কথা উল্লেখ করেন নাই।
ইমাম আজম র. কখনও শাষকের দরবারে যেতেন না। তারপরও একবার এক ক্রিষ্টান মুচির জন্য সুপারিশ করতে শাষকের দরবারে গিয়রছিলেন। কারন ঐ ক্রিষ্টান মুচি ওনার প্রতিবেশী ছিলো।

২২| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:০২

অজানা এক আমি বলেছেন: বেশ

২৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০৭

রওনক বলেছেন: আমিও বলি বেশ,
নয় এটাই শেষ।
উঠবো আবার জেগে,
সময় বলছে ডেকে।

২৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:১০

আমরা তোমাদের ভুলব না বলেছেন: ১৪ নং পিলাস টা লন

২৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০৮

রওনক বলেছেন: + এর জন্য ধন্যবাদ গ্রহন করে বাধিত করুন।

২৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:১৭

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: +

২৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১০

রওনক বলেছেন: ছেলে মেঘনা পাড়ের,
প্রোপিক কেন মেয়ের?

ধন্যবাদ

২৫| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৩২

বিপদেআছি বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধর্ম খুবই গুরুত্বপূর্ন, তাই বলে সব নয়।
নবীজী মুহাম্মদুর রাসুলিল্লাহ সা. বলেছেন, জাহেল যুগে যারা ভাল মানুষ ছিলো তারা ইসলামের যুগেও ভাল, আর যারা জাহেল যুগে খারাপ ছিলো তারা এখনও ....।
ঐক্য ও ভ্রাত্যিত্ব বোধ সবচেয়ে গুরুত্ব পূর্ণ। আর ইসলাম প্রথমেই এই ঐক্য ও ভ্রাত্যিত্বের ডাক দেয়।
নবীজী মুহাম্মদুর রাসুলিল্লাহ সা. বলেছেন, যে সংঘের (ঐক্যের) বাইরে গেল, সে ইসলাম থেকে বেরিয়ে গেল। তার সালাত, সওম কোন উপকারে আসবে না।
নবীজী মুহাম্মদুর রাসুলিল্লাহ সা. প্রতিবেশী ৪০ ঘরের খোজ খবর রাখতে বলেছেন। এখানে তিনি ধর্মের কথা উল্লেখ করেন নাই।
ইমাম আজম র. কখনও শাষকের দরবারে যেতেন না। তারপরও একবার এক ক্রিষ্টান মুচির জন্য সুপারিশ করতে শাষকের দরবারে গিয়রছিলেন। কারন ঐ ক্রিষ্টান মুচি ওনার প্রতিবেশী ছিলো।

কোন দ্বিমত নাই, আমার কথাগুলু ছিল সিদ্ধার্থ. ও ভাঙ্গাচুরা যন্ত্রপাতির উদ্দেশ্যে।

২৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫২

রওনক বলেছেন: বুঝেছিলাম।
ভাঙ্গাচুরা যন্ত্রপাতি কে জবাব দেই নাই, সেটা আপনার এখানে দিলাম আর কি।

২৬| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫৬

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ওরে, এই পোস্ট আগে দেখলে কী হত?

ভাই আগে প্লাসায়িত ও প্রিয়রিটাইজড, তারপর অন্য কথা।

২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:১২

রওনক বলেছেন: দেখবেন কিভাবে? গত ৫ বছর ধরে কিছুদিন পর-পর ডিলিট করে নতুন করে পোষ্ট দেই। দেখেন না এখন পর্যন্ত পাঠ সংখা ৩৮৮, যার অর্ধেকই আমার নিজের!!!!!!!!!!!!

২৭| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:১১

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ব্রিটিশরা যখন বাংলায় হা রাখলো, বাংলা তখন বিশ্বের ৬ষ্ঠ সমৃদ্ধ রাজ্য! !:#P সাব্বাস, আমাদের নিজেদের চিনতে হবে। আত্মপরিচয় সবচে বড় পরিচয়।

কোনো আর্য কিম্বা আরবীয় ধর্ম কে পাত্তা দেওয়া যাবে না ।লালন কিম্বা অতীশ দিপান্কারের(যেদিকে ভোট বেশি পরে ) আদর্শে দেশ চলবে ।

হেসে ফেলব কিন্তু! লালন আর দীপঙ্করের ধর্মই তো আর্য আর আরবীয়র ধর্ম। আসলে ধর্মতে সমস্যা নেই, সমস্যা হল ধর্মের অপব্যাখ্যায়।

তবে কথাটা খুব ভাল লেগেছে, লালন আর দীপঙ্করের ধর্ম। আহ্ , তোফা তোফা।

বাংলা ভাগ করে পশ্চিম বাংলা ভারতের একটি অংশ এবং পূর্ব বাংলা পাকিস্তানের একটি অংশে পরিণত করা হয়।

ঠিকমতো যদি ভাগটা হতো আমরা আজ এত খারাপ থাকতাম না....

লেখক বলেছেন: ভাগটা হওয়াই উচিৎ হয় নাই।
পাকিস্তানিদের মাথা নাই, বাঙ্গালীদের সত নেতা নাই।


এখন কইতে গেলে হাজিসাবের মুখ খারাপ। ঘটনা হল, বাংলা ভাগ হয়ে ভাল হয়নি, আমরা দুর্বল হয়েছি। বিভক্ত হয়েছি। কিন্তু এই বাংলা নিয়ে আমরা তুষ্ট।

তবে সেই ভারত পাকিস্তান তৈরির সময় যে তিন দেশের প্রপোজাল এসেছিল, ১. পাকিস্তান ২. ভারত ৩. আসাম-বঙ্গ (সব মিলিয়ে ব্রিটিশের ৮/১০ টা অঙ্গরাজ্য) তাহলে কিন্তু আজকে ভারত বা বার্মা আমাদের সাথে পার্ট নিতে পারত না। আর আমরাও জাতিগতভাবে একই ধরনের মানুষরা একই দেশে থাকতাম কাছাকাছি ভাষা নিয়ে। আল্টিমেটলি আরাকানও চলে আসত বৃহদবঙ্গে। কারণ আরাকান ছিল বৃটিশের কাছে। আর এই দেশে তা যুক্ত হত।

এখন ভারতের মুখের কাঁটা আমরা, তার সেভেন সিস্টাররে খাওয়াইতে কষ্ট হয়।

আর সেভেন সিস্টার এবং পশ্চিমবঙ্গটাকেও দেখুন না, সেখানে ভাষা বলতে আছে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ও ণৃগোষ্ঠীর নিজস্ব ভাষা প্লাস মাত্র একটা ভাষা, সেটা হল বাংলা-অহমিয়া- চাঁটগামি। বাংলা আর অহমিয়ার মধ্যে আলাদা প্রায় কিছুই নেই। চাটগামি তো বাংলাই। তাই সবগুলোকেই একই ভাষা বলা চলে।

তাহলে, মোদ্দা কথায় ঠকল কারা? বাংলাভাষীরা, আসামী ভাষাভাষীরা, আরাকানের রোহিঙারা যারা প্রকৃতার্থে ভাষাগোষ্ঠীর দিক দিয়ে বাঙালি- বোরো সহ সব ণৃগোষ্ঠীর ভাষাভাষীরা তথা শুধু আমরাই।

আমাদের নিয়ে একটা বৃহত দেশ তখন গঠিত হলে মন্দ হত না।
এখন আর বৃহদবঙ্গ গঠন করা সম্ভব নয় তিনটা কারণে-

১. পশ্চিমবঙ্গের বেশিরভাগ মানুষ আর বাঙালি জাতীয়তাবাদে নন, ভারতীয় জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী।
২. পানি এতদূর গড়িয়েছে যে, এখন আর আসাম বা বোরোল্যান্ড বাংলার সাথে যুক্ত হওয়ার জন্য আন্তরিক হবে সে আশা করা দুষ্কর।
৩. সেভেন সিস্টারের ণৃগোষ্ঠীগুলো পুরোপুরি পাশ্চাত্য জীবনধারা গ্রহণ করেছেন। দে ডোন্ট গিভ আ শিট অ্যাবাউট কান্ট্র্রি।

আর তার বাইরে তো যুদ্ধ মুদ্ধের ঘনঘটা আছেই।
তাই কল্পনাবিলাসের চেয়ে এই বাংলা এবং তার মানচিত্রেই আমরা তুষ্ট।

আর বাংলাতে কোনকালেই ধর্ম সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়নি, দাঁড়াবেও না।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:০৭

রওনক বলেছেন: আর বাংলাতে কোনকালেই ধর্ম সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়নি, দাঁড়াবেও না।
ঠিক,
আমার বাংলা মা যে যা চায়, তাকে তাই উজার করে দেয়। নিজের বলতে সে কিছুই রাখে না।
শায়েস্তা খান বা সুলতান গিয়াস উদ্দিন এর ১ জন, ১০১ গাড়ি সোনার অলংকার মক্কায় হাদিয়া করেছিলো, তা বাংলায় কি কোন সোনার খনি ছিলো? না। ঐ ১০১ গাড়ি সোনার গহনা এই মাটিতে ঘাম ঝরিয়েই এসেছিলো। সেই মাটিতেই হয়েছিলো ইতিহাসে খাদ্য সংকটে ছিয়াত্তরের মনান্তর (১৭৬৯-১৭৭০) এর কারণে এক-তৃতীয়াংশ মানুষের মৃত্যু হয়!!!!!

২৮| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:০৮

ভাঙ্গাচুরা যন্ত্রপাতি বলেছেন: 29th November 2002, 17:45
yayati yayati is offline
Registered User



Join Date: Nov 2002
Posts: 746
Lets create a independant greater Bengal. First West Bengal gets independance from India. Then Bangladesh and W.Bengal unite. Islam and Hinduism, the two foreign religions are both slowly discouraged and we all become Buddhist, the great Pala civilization recreated. The new nation will have anather religion along with Buddhism i.e National Socialism or Bengalism (Vangalism) or Bengali nationalism. This will be the state religion. More details later.



Reply With Quote
yayati
View Public Profile
Find all posts by yayati
#2 (permalink)
Old 29th November 2002, 17:47
yayati yayati is offline
Registered User



Join Date: Nov 2002
Posts: 746
The only state religion will be Bengalism or Bengali National Socialism. ie. Forget god, care for the future of Bengalis first. That we are Bengali first, Hindu, Christian or Muslim second. Besides Hinduism and Islam are both foreign religions and steps will be taken to abolish them. Similarly communism a foreign concept will be destroyed. Besides Buddhism will be encouraged as it was under the Palas. Christianity (Mother Terresa kind) will be tolerated, but missionary activities will be observed. Confucius's philosophy might be introduced to improove the people and state in our progress.

Most importantly we have to decide a Bengal flag, a new capital (mostly Mushidabad, the last capital of independant Bengal renamed as Aurobindabad), the question of non bengalis living in bengal. For us neither Mecca nor Haridwar will be holy places. For us the holy place on earth would be Bengal itself.



Reply With Quote
yayati
View Public Profile
Find all posts by yayati
#3 (permalink)
Old 29th November 2002, 17:49
yayati yayati is offline
Registered User



Join Date: Nov 2002
Posts: 746
The new Bengali Nation will need a new Monarch. How we will get one and how much power he shall have is a matter of debate. We should take the Meiji restoration of Japan as an example. By removing the aristocracy and having a centralized monarchy helped propel Japan as a super power. More reasons to have a monarchy are-

A monarch, as the living symbol of the Bengal, will be more easy to identify with than a constitution or ideology.

The dignity and prestige of our monarch will enhance the status of Bengal.

The monarch will stand above politics, not owing allegiance to any political party or group and not beholden to any business interest which might fund a presidential campaign.

A monarch will be able to unite Bengal for ever by representing all castes, creeds, classes and political beliefs, because a monarch will not have to curry favour for votes from any section of the community.

A monarch is almost invariably more popular than an Executive President, who can be elected by less than 50% of the electorate and may therefore represent less than half of the people. A monarch is trained from birth for the position of Head of State. The people know who will succeed, and this certainty gives a nation invaluable continuity and stability.

Elected presidents are concerned more with their own political futures and power, and as we have seen (in Brazil for example), may use their temporary tenure to enrich themselves. Monarchs are not subject to the influences which corrupt short-term presidents. A monarch looks back on centuries of history and forward to the well-being of the entire nation under his heir. Elected presidents in their nature devote much energy to undoing the achievements of their predecessors and setting traps for their successors. With monarchs it is the reverse: they build on the achievements of their forebears in order to strengthen the position of their successors.


However no aristocracy will be tolerated. Remember the new mantra, Monarchy good and aristocracy bad.


Reply With Quot

এক ফোরামে পাইছিলাম। আইডিয়াটা পছন্দ হইছিল। তাই বলছিলাম। ধর্মতত্ত্ব নিয়া তর্ক করার ইচ্ছা নাই এখন। তাই উপরে যারা আমার মন্তব্য নিয়া যা বলেছেন সব মেনে নিলাম, ইসলামকে শ্রেষ্ঠ মানলাম। ভাল থাকবেন।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:১৩

রওনক বলেছেন: আপনার লেখার ইংরেজী অংশ সময় নিয়ে পড়ে বুঝে মন্তব্য করতে হবে।

ধর্ম সমুহ বিভিন্ন নামে পরিচিত হলেও সবই আসলে ইসলাম ধর্ম।
আপনি যেমন ভাবছেন, ইসলাম মুহাম্মদ দ্বারা প্রচারিত ১টি ধর্মের নাম। তা ঠিক নয়। বরং ইহুদি, খ্রিস্টান এরাও এক সময় ইসলাম ধর্নই ছিলো, তারপর তারা নিজেদের ধর্মকে পরিবর্তিত করে ফেলায় নতুন ধর্ম গ্রন্থ "কোরআন শরিফ এসেছে। ইহুদি, খ্রিস্টানরা ধর্মকে পরিবর্তিত করেছে তার প্রমান হল, "তাদের কারও কাছেই মুল ভাষায় লিখিত তাওরাত বা বাইবেল নেই, যা আছে সবই অনুবাদ"। আর অনুবাদ য্ত ভালই হোক, তা কখনও মূল গ্রন্থের ভাবনা ধারন করে না।
একই ভাবে-
আরবিতে নুহ>মনুহ>মনু,
নুহ এর পুত্র/প্রপুত্র সনাতন> ভারতের সনাতন ধর্ম
নুহ এর পুত্র/প্রপুত্র হিন্দ >হিন্দুস্থান
ইবরাহিম>আব্রাহাম>ব্রাহম>ব্রাহ্ম>ব্রহ্মা,

সনাতন ধর্মেঃ
ব্রহ্মাকে জাতির অধ্যক্ষ বলা হয়। ইসলামও ইবরাহীম কে জাতীর পিতা স্বীকার করে।
ব্রহ্মার ১টি ত্রীনও অগ্নী ধন করতে পারে নাই, ইবরাহীম কে ৭ দিন আগুনে ফেলে রেখে হয়েছিলো, তার ১টি লোমও পোড়ে নাই।
ব্রহ্মার ২ স্ত্রী, ইবরাহীমেরও ২ স্ত্র.
ব্রহ্মা ত্রিলোক বিস্ত্রিত কুপ খনন করেন, ইবরাহীমও জমজম কুপ তার ছেলের সাহায্যে বাধাই করেন।
ব্রহ্মার কুপের অবগাহন করলে মোক্ষ লাভ হয়, ইবরাহীমের জমজম কুপেই মক্কা হয়েছে।

২৯| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:১৯

অ-পার্থিব বলেছেন: ভাল পোস্ট +++++++

০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:২০

রওনক বলেছেন: ধন্যবাদ

৩০| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:২৬

সপ্তম ইন্দ্রিয় বলেছেন: B-)) pore pormu nia rakhlam

৩১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:১১

সপ্তম ইন্দ্রিয় বলেছেন: সামুর পোস্ট গুলা খেলা, খাওায়া পলিটিক্স যা কিছু দিয়েই শুরু হোক না কেন ।।তা শেসে ধর্মতে চলে আসে! /:)


পোস্ট এখন পড়লাম , এত কাটসাট না করে সিরিজ আকারে দিলে ভালো লাগত, নিজের পূর্ব পুরুষ দের জানতে অনেক মন চাই , এখনকার মানুশ জাতি সম্পর্কে এত ভাবেনা, দেশ থেকে ফেবু তে প্রোফাইল পিক র লাইক দেয়াতে ব্যাস্ত! ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ না করা হলে বাংলা নিয়ে আরেকটা দেশ হত ৪৭ ই ... আলি জিন্নাহ দিজাতি তত্তর বিষ দিয়ে দুটো দেশ ই বানাই নাই , তার সাথে ভারতবর্ষে সাম্প্রদায়িকতার জন্ম দিয়েছিলেন ভালোমতই,

ধর্ম নিজের ঘরে নিজের মনে নিজের বিশ্বাসে না রেখে যখন আরেকজনের উপর চাপাইয়া দেওয়া হয় তখন তার ভিতরে ফুটো তো থাকবেই।

হা! ধর্ম নিয়ে কচলানি চুলকানি ০.১% লোকের থাকলেও আমজনতার এইটা নিয়ে মাথা ব্যাথা নাই। সমস্যা এই ০.১% ভাগেরই এরাই গোঁড়া এরাই ঝামেলাবাজ।

The Great Bengal Nation Still possible যদি ধর্ম নিয়ে কচলানি না হই, যার ধর্ম তার তার কাছেই রাখনা নারে ভাই! :#)

০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৫৮

রওনক বলেছেন: কি আর করা!!!

৩২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৪৪

নতুন বলেছেন: খুবই ভাল লাগলো... আমাদেরও ইতিহাস ৪০০০+ বছরের... ভাবতে ভালই লাগে...

০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৫৯

রওনক বলেছেন: শুধু ভাবতেই থাকবেন?

৩৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:১৬

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: ইসলাম আর আর্য ধর্ম কে ছুড়ে ফেলার কোথায় এতদূর জল গড়িয়েছে !

জার্মান বা কোরিয়া দের সাথে এখানেই আমাদের পার্থক্য ।
@গোলাম দস্তগীর লিসানি
"লালন আর দীপঙ্করের ধর্মই তো আর্য আর আরবীয়র ধর্ম। "

এইডা আপনি কি বললেন ?
অতীশ দীপঙ্কর যেইটা প্রচার করেছিলেন সেটা ছিল বেদ বিরোধী ।এর জন্য ওনাকে "নাস্তিক " আখ্যাও পেতে হয়েছে ।আর বেদ আর্য দের সৃষ্টি ।

আর লালন রে মুসলমান বানায় দিলেন ?এর স্পষ্ট উত্তর তো লালন তার গানেই দিয়ে গেছেন ।

"কিন্তু এই বাংলা নিয়ে আমরা তুষ্ট।"
পরীক্ষায় ৫০ % নাম্বার পেয়েও কেউ তুষ্ট থাকে ।লেটার মার্কস কেন পাচ্ছি না সেটাও তো দেখা উচিত ,তাই নয় কি ?

"বাংলাতে কোনকালেই ধর্ম সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়নি, দাঁড়াবেও না।"
জ্বি আপনার সাথে এক্কেবারে একমত ।
১৯৪৭ সালে কোনো সমস্যা হয় নি ।
১৯৭১ সালে কোনো সমস্যা হয় নি ।
১৯৯২সালে কোনো সমস্যা হয় নি ।
২০০১ সালে কোনো সমস্যা হয় নি ।
এখনো কোনই সমস্যা হচ্ছে না ।

ভাই সাব কেউ কি কোনো সমস্যা দেখতে পাচ্ছেন ?












৩৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:২০

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: "তবে কথাটা খুব ভাল লেগেছে, লালন আর দীপঙ্করের ধর্ম।"
খেয়াল করে দেখেন আমি ধর্ম কথা টা বলিনি ।আমি আদর্শ বলেছি ।
বুদ্ধ কোনো ধর্ম তৈরি করে যান নি ।তিনি একটা পন্থা দিয়েছিলেন ।মাধ্যম পন্থা ।এই কথাটা আপনার পোস্টে আগেও বলেছি ।@গোলাম দস্তগীর লিসানি

৩৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: "পশ্চিমবঙ্গের বেশিরভাগ মানুষ আর বাঙালি জাতীয়তাবাদে নন, ভারতীয় জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী।"

আমারে আগে বলেন বাঙালি জাতীয়তাবাদ কি জিনিস ?
বাঙালি জাতীয়তাবাদ বলে আদপেই যদি কিছু থেকে থাকে তবে আপনার নাম আরবী তে কেন ?আমার নাম সংস্কৃত তে কেন ?
আপনি বাংলায় ইশ্বরের কাছে পার্থনা না করে, আরবী তে কেন করেন ?আর হিন্দু রা কেন সংস্কৃত তে করে ?

এর জন্য কে দায়ী ?ধর্ম না মানুষ ?

আসল সমস্যা টা কোথায় ?@গোলাম দস্তগীর লিসানি





২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৫

রওনক বলেছেন: বাঙালি জাতীয়তাবাদ আসলে একটা অর্থহীন কথা। বাঙ্গালদের বোকা বানানর জন্য ভারতপন্থীদের অপচেষ্টা।

৩৬| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৫০

মাহমুদুর রাহমান বলেছেন: +

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:১৬

রওনক বলেছেন: ধন্যবাদ

৩৭| ২৭ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫১

ইমরান হক সজীব বলেছেন: প্রথম কমেন্টার ভাঙ্গাচুরা যন্ত্রপাতির সাথে একমত ।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪০

রওনক বলেছেন: আপনিও রাষ্ট্র ধর্ম বৌদ্ধ চান!!!

৩৮| ২৭ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পোস্টে প্লাস।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪১

রওনক বলেছেন: ধন্যবাদ

৩৯| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৪

মদন বলেছেন: +

২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭

রওনক বলেছেন: ধন্যবাদ

৪০| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯

ইমরান হক সজীব বলেছেন: রাষ্ট্রের কোন ধর্ম চাইনা । তবে যদি রাখতেই হয় তবে বৌদ্ধ চাই, কারন সে মন্দের ভালো ।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০১

রওনক বলেছেন: আশাকরি বার্মা, চীন বা জাপান -এর সাথে আরব, ইরান-ইরাক বা আফগানিস্তান কে তুলনা করে তারপর বলছেন?
আর না করে থাকলে ২য় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের, রহিংগাদের উপর বার্মার আর নিজ দেশের লোকদের উপর চীনের আচরণ বিশ্লেষণ করে তারপর দেখেন।

৪১| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৪

বিজন শররমা বলেছেন: উপরে বলা হয়েছে – “ধর্ম সমুহ বিভিন্ন নামে পরিচিত হলেও সবই আসলে ইসলাম ধর্ম।
আপনি যেমন ভাবছেন, ইসলাম মুহাম্মদ দ্বারা প্রচারিত ১টি ধর্মের নাম। তা ঠিক নয়। বরং ইহুদি, খ্রিস্টান এরাও এক সময় ইসলাম ধর্নই ছিলো, তারপর তারা নিজেদের ধর্মকে পরিবর্তিত করে ফেলায় নতুন ধর্ম গ্রন্থ "কোরআন শরিফ এসেছে। ইহুদি, খ্রিস্টানরা ধর্মকে পরিবর্তিত করেছে তার প্রমান হল, "তাদের কারও কাছেই মুল ভাষায় লিখিত তাওরাত বা বাইবেল নেই, যা আছে সবই অনুবাদ"। আর অনুবাদ য্ত ভালই হোক, তা কখনও মূল গ্রন্থের ভাবনা ধারন করে না।“
উত্তর – যে খোড়া যুক্তিতে উপরের কথা বলা হয়েছে সেই একই যুক্তিতে বলে যায় –
– “ধর্ম সমুহ বিভিন্ন নামে পরিচিত হলেও সবই আসলে হিন্দু / খৃষ্ট / বৌদ্ধ / ইসলাম (ইত্যাদি) ধর্ম। আপনি যেমন ভাবছেন, হিন্দুধর্ম আর্য্যদের / খৃষ্টধর্ম যীশু খ্রীষ্টের / বৌদ্ধধর্ম গৌতম বুদ্ধের / ইসলাম ধর্ম হজরত মুহম্মদ (দঃ) এর (ইত্যাদি) দ্বারা প্রচারিত একটি ধর্মের নাম তা ঠিক নয়। বরং ইহুদি, খ্রিস্টান, মুসলমান এরাও এক সময় হিন্দু / খৃষ্ট / বৌদ্ধ / ছিলো, তারপর তারা নিজেদের ধর্মকে পরিবর্তিত করে ফেলায় নতুন নতুন ধর্ম গ্রন্থ এসেছে।“
(ভারতে হিন্দু বা বুদ্ধরা যে পরে তাদের ধর্ম পরিবর্তন করেছে তা ঐতিহাসিক ভাবে সত্য । বর্তমানে চালু প্রধান প্রধান ধর্মগুলি প্রাথমিক ভাবে দীর্ঘকাল মৌখিক ভাবে প্রচলিত ছিল । এরপর এগুলি কাগজে / পাতায় / চামড়ায় লেখা হয় । তাই এখানে মৌলিক আর অনুবাদের যুক্তি কোন যুক্তিই নয় । যদি কোন প্রচারক তার বলা কথা নিজে লিখে যেতেন বা তার জীবিত থাকা কালে কেউ লিখেছে এমন লেখা পড়ে অনুমোদন করে যেতে পারতেন, তাহলে তাকে মৌলিক বলা যেতো । অনেক ধর্মের ক্ষেত্রেই মূল প্রচারক গ্রন্থে কি লেখা হয়েছে তা দেখে যাবার সুযোগ পান নি । এক্ষেত্রে তাদের শিষ্যদের পরবর্তী কালে ঐসব লেখকদের সততার উপর নির্ভর করা থাকা উপায় থাকে না । অনুবাদের ক্ষেত্রেও এ কথা প্রযোজ্য মানুষের ভালো করাই যদি ধর্মের উদ্দেশ্য হয়, তাহলে পরবর্তী কালে দেশ ও সমাজের প্রয়োজনে তা পরিবর্তন করলে সমস্যা কোথায় ? দু একটি ধর্ম ছাড়া পৃথিবীর প্রায় সব ধর্মই এমন পরিবর্তন এনেছে । )

২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৪

রওনক বলেছেন: কোরআনে ইব্রাহীম(আঃ) কে সকল সত্য ধর্মের পিতা বলা হয়েছে। ইহুদী, খ্রিষ্টান ছারাও হিন্দু ধর্মেও ইব্রাহিম-কে পাওয়া যায়। অধিকাংশ ধর্ম বিশ্লেষণ করলে ইব্রাহিম/নুহ এর নাম পাবেন।
এইসব ধর্ম বিশ্লেষণ করলে আদি কালের নবীদেরকে অবতার হিসেবে পাওয়া যায়। কিন্তু বৌদ্ধ ধর্মে তেমনটা পাওয়া যায় না।

ধর্ম ও ইতিহাস নিয়ে প্রচণ্ড ভুল ধারনা থেকে আপনি উপরের কমেন্ট করেছেন।

এক সময় যারা হিন্দু / খৃষ্ট / বৌদ্ধ / ছিলো তারা এখনও তাই আছে। ঈসা(আঃ) বা যিশু খিস্তান ধর্ম প্রচার করেন নাই, বা মুসা(আঃ) ইহুদী ধর্ম প্রচারক ছিলান না। পরে তার অনুসারীরা নাম বদল করে খ্রিষ্টান বা ইহুদী করেছে। কিন্তু মুহাম্মদ(সাঃ) ইসলাম ধর্ম প্রচার করেছিলেন আর তা এখনও ইসলাম নামেই আছে।

৪২| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৬

বিজন শররমা বলেছেন: "ইহুদী, খ্রিষ্টান ছারাও হিন্দু ধর্মেও ইব্রাহিম-কে পাওয়া যায়। অধিকাংশ ধর্ম বিশ্লেষণ করলে ইব্রাহিম/নুহ এর নাম পাবেন। " এ সব জ্ঞান পাপীদের বানানো মিথ্যা কথা - যা কেউ কেউ বলতে ভালোবাসে ।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮

রওনক বলেছেন: দয়া করে না জেনে মন্তব্য করবেন না।

৪৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৭

বিজন শররমা বলেছেন: সমস্যাটা অন্য জায়গায় । যারা কোন ধর্ম মানে না বা ধর্মে বিশ্বাস করে না তারা একধরনের শান্তি বা স্বস্তিতে আছে । এক ধরনের শান্তিতে আছে তারা, যারা অন্ধ ভাবে ধর্ম মানে । এরকম অন্ধ ভাবে ধর্ম মানা সম্ভব সেই সব দেশে যেখানে একটি মাত্র ধর্ম চালু আছে এবং বিজ্ঞানের তেমন প্রসার নেই । কিন্তু সেকুলারীর, বহু ধর্মের অথবা বিজ্ঞানের চর্চা আছে এমন দেশে এই যুগে বিজ্ঞানের বিভিন্ন কর্মকান্ড দেখে বা বিজ্ঞানের কাছে অনেক ধর্মীয় কথা বার্তার পরাজয় দেখে অন্ধ ভাবে ধর্ম মানা লোকেরা “পরকালের পুরস্কার” সম্বন্ধে সন্ধিহান হয়ে পড়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা । সমস্যায় আছে এরাই ।
বিভিন্ন ধর্ম “পরকালের পুরস্কার” সম্বন্ধে নানা কথা বলেছে । এই কথার উপর বিশ্বাস করে ধর্মের লোকেরা বিপুল পরিমান সময়, টাকা, আনন্দ বিসর্জন দিয়েছে (আশা একটাই, পরকালে অনেককিছু পাবে ) । মৃত্যুর পর মানব দেহ পুড়ে বা মাটিতে গলে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় । “পরকালের পুরস্কার” পেতে হলে একটা দেহ তো লাগবে । বিজ্ঞান নানা অসম্ভবকে সম্ভব করেছে, নানা রহস্য উন্মোচন করেছে । কিন্তু এমন আশা দেখা যায় নি যে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া মানব দেহ থেকে “পরকালের পুরস্কার” ভোগ করতে পারে এমন একটা দেহ পাওয়া যাবে । অথচ এই আশায় ইতিমধ্যেই বিসর্জন দেয়া হয়েছে কতকিছু । সব কিছুই তাহলে পানিতে হেলো ? এমনটা মনে হলে ধর্মে বিশ্বাসীদের মাথা খারাপ হবার মতন অবস্থা হওয়া স্বাভাবিক নয় কি ?

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৯

রওনক বলেছেন: শুধু মন্তব্য না করে সাথে প্রমান/উদাহরন দেয়া উচিৎ।

৪৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৩৩

রাকীব হাসান বলেছেন: ভাল পোষ্ট

৪৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৪৫

শাহ আজিজ বলেছেন: প্রিয়তে রেখে দিলাম। আমার আবার বাংলা বা বঙ্গকে নিয়ে কচকচি অনেক দিনের। যে সম্ভাবনায় বঙ্গের উঠে আসার প্রয়োজন ছিল তা মেটেনি । আমিও একীভূত হওয়ার পক্ষে । আসলে একীভূত তো ছিলই যেমন আসাম -বাংলা প্রভিন্স ।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৫৯

রওনক বলেছেন: আসলে একীভূত তো ছিলই যেমন আসাম -বাংলা প্রভিন্স ।

ধন্যবাদ।

৪৬| ১৩ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:৪০

নাইমুল ইসলাম বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম :)

৪৭| ১৩ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:০২

খাটাস বলেছেন: অনেক পুরান পোস্টে টাটকা প্লাস দিয়ে বক্সে নিলাম ও শুভেচ্ছা আর কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গেলাম ভাই। :)

৪৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৩৬

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: ++++

৪৯| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৮

প্রবালরক বলেছেন: আলেকজান্ডার বাহীনিকে প্রতিরোধ করার জন্য গঙ্গারিদ্ধি একা নয় - গঙ্গার এপারে নন্দ সাম্রাজ্যের সেনাদের সাথে মিলে প্রতিরক্ষা রচনা করেছিল । সেকালে গঙ্গা যে কতটা ভীতির বস্তু ছিল বর্তমানের শীর্ন পদ্মা দেখে বোঝার কোন উপায় নেই। আলেকজান্ডার দি গ্রেট-এর সাথে আগত গ্রীক ইতিহাসবিদরা গঙ্গাকে লিখেছেন - গঙ্গা নদী ১০০ফুটের বেশী গভীর, কোন কোন যায়গায় ২ মাইলের বেশী চওড়া, প্রবল স্রোতের নদী।
একটা ব্যাপারে আশ্চর্য্য হই। শক্তিশালী সমুদ্র বিহারী জাতি কিভাবে সমুদ্র-বিহার ভুলে সমুদ্রের উপর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলে। নৌপথ নিয়ন্ত্রনে না থাকায় বহিরাগত তস্কররা এতদঞ্চলে বার বার ঢুকে পড়ে বার বার তান্ডব চালায়।
বাংলাদেশ, আসাম ত্রিপুরা, ওরিষ্যা মিলে একটা কনফেডারেশন কিংবা ফেডারেশন হলে চমত্কার হত। প্রথম বা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মত সারা পৃথীবিব্যাপী কয়েকটা প্রবল আলোড়ন হলে পরে হয়ত তা সম্ভব হতে পারে। তবে ওদেরকে মানে আসাম ত্রিপুরা ওরিষ্যা, বিহার পশ্চিম বাংলাকে আগে ভারত থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীন হতে হবে। তারপর আমরা ভেবে দেখব ওদেরকে আমাদের ফেডারেশনে নেয়া যায় কিনা।

৫০| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৪

প্রবালরক বলেছেন: ২০০৬-২০০৯ এডি(-০৭ বছর)ঃ তত্ত্বাবধায়ক সরকার[/sb

প্রথমে নিয়মতান্ত্রিকভাবে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহন করে। তার কিছু দিন পরে সামরিক সমর্থিত একটা গ্রুপ 'তত্ত্বাবধায়ক সরকার" ছদ্মনামে অবৈধভাবে অস্ত্রবলে ক্ষমতা দখল করে। তারা ২০০৮ সনের ২৯শে ডিসেম্বরে গোপন আঁতাতের নির্বাচন করিয়ে ১৪ দলীয় জোটকে নিরন্কুশ ভোটে জয়ী ঘোষনা করে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পদে বসিয়ে দেয়।

৫১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০১

Necropolis Voices বলেছেন: "মুসলিম সভ্যতার ইতিহাস থেকে জানা যায়, নবী নূহ আ:-এর ছয় পুত্র। তারা পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে উপনিবেশ গড়ে তোলেন। এর মধ্যে একজন ছিলেন হিন্দ্। এই হিন্দের নামানুসারে হিন্দুস্তানের নাম। হিন্দ্-এর চার পুত্র। তাদের এক ছিল বাং। বাং-এর সাথে আল্ / বাঁধ শব্দ যুক্ত হয়। যা জল প্লাবনের হাত থেকে জনপদ ও শস্যক্ষেত রক্ষা করতো। ‘সুলতান সামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ বঙ্গ শব্দের সাথে সংস্কৃত লাহ্ প্রত্যয় যুক্ত করে, বাংলা শব্দটির সুচনা করেন। " এই কথাগুলো কোন সোর্স থেকে পেয়েছেন।

সর্বোপরি এই ব্লগে সবগুলো কথার রেফারেন্স দিলে ভালো হতো। জানার খুবই ইচ্ছা। মানে কোন কোন বই পড়লে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবো। ধন্যবাদ...।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.