নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শান্তির জন্য যুদ্ধ

সবাইকেই নিজ কর্মের জবাব দিতে হবে

রওনক

রওনক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঈশ্বরের সন্ধানে: থিউরি অব এভ্রিথিং

০৩ রা মে, ২০১৫ ভোর ৫:৩৩

ডাইমেনশন বা মাত্রার প্রচলিত অর্থ ডিরেকশন, যার ডাইমেনশন যত বেশি তার বিস্তৃতি তত বেশি। আমাদের মতে ডাইমেনশন মানে হচ্ছে সীমানা/প্রতিবন্ধকাত। যার ডাইমেনশন যত বেশি, সে আসলে তত সীমাবদ্ধ। ১ মাত্রার উপাদান ১টি মাত্র সীমানা, দৈর্ঘ্য, দ্বারা আবদ্ধ, যেমন সময়। ২ মাত্রার উপাদান দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ এই ২টি সীমানায় আবদ্ধ, যেমন শক্তি/বিকিরন। ৩ মাত্রার উপাদান দৈর্ঘ্য, প্রস্থ আর উচ্চতা এই ৩টি সীমানায় আবদ্ধ, যেমন বস্তু। অর্থাৎ মাত্রা যত বৃদ্ধি পায়, ততই তার পরিমাপযোগ্য প্যারামিতার বারতে থাকে। আমরা ৪ মাত্রার বস্তুর প্রজেকশন করতে পারি, কিন্তু ১/২ মাত্রার কিছু কখনওই বানাতে পারি না। কারন ২ মাত্রার কিছু বানাতে হলে উচ্চতার সীমানা অতিক্রম করতে হবে। অপরদিকে ২ মাত্রার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের সাথে উচ্চতা যোগ করে ৩য় মাত্রায় পৌছান সম্ভব।
আমরা শক্তিকে ২ মাত্রার বলছি কারন অতি বিক্ষ্যাত ঝালর পরীক্ষায় দেখা যায় শক্তি বা আলো একই সাথে একাধিক ছিদ্র দিয়ে যেতে পারে। ত্রিমাত্রিক জগতে ঝালরের ছিদ্রগুলি আলাদা-আলাদা তলে অবস্থান করলেও দ্বিমাত্রিক জগতে ঝালরের ছিদ্রগুলি একই তলে অবস্থান করে, ফলে আলো একসাথে একাধিক ছিদ্র দিয়ে যেতে পারে।
সময়ের মাত্রা ১, দৈর্ঘ্য। সময় চলছে ত চলছেই। এর শুরু বা শেষ নেই, কারন শুরু বা শেষ করতে হলে আরেকটা ডাইমেনশন দরকার হবে। সময়ের দৈর্ঘের গায়ে প্রস্থ বসিয়ে তাতে শক্তি/বিকিরন আশ্রয় নেয়, আর বিকিরনের গায়ে উচ্চতা বসিয়ে বস্তু জন্ম লাভ করে।
বস্তু ভাঙ্গতে থাকলে শেষ প্রযন্ত কোয়ারক/ক্লারক পাওয়া যায়। কোয়ারকের ভেতরে পাওয়া যায় ২ মাত্রার তরঙ্গ। অর্থাৎ ২ মাত্রার শক্তি পুঞ্জীভূত হয়ে ৩ মাত্রার বস্তু গঠন করে। কিন্তু বস্তু পরস্পর যুক্ত হয়ে শক্তি গঠন করার কোন উদাহরণ পাওয়া যায় নয়া।
বিজ্ঞানীরা অনেক বছর ধরে শক্তি/বিকিরনের প্রবাহের ১টি মাধ্যম খুজেছে। কিন্তু পায় নাই, ফলে সিদ্ধান্ত নিয়াছে যে বিকিরনের সঞ্চারনের জন্য মাধ্যম দরকার না। আসলে মাধ্যম দরকার হয়। সময় হচ্ছে সেই মাধ্যম। মহাবিশ্বের শক্তি ও বস্তু মূলত সময়ের একক মাত্রার উপরে মহাবিশ্ব/স্পেস গড়ে তুলেছে। আমরা বলি স্পেস, আসলে স্পেস হলো সময়ের ১ মাত্রার উপর বস্তু ও শক্তির শয্যা। বস্তু যত গতি লাভ করতে থাকে তত তা ৩য় মাত্রা “উচ্চতা” থেকে মুক্ত হতে থাকে, এবং আলোর গতিতে বস্তু ৩য় মাত্রা “উচ্চতা” থেকে পুরোপুরি মুক্তি লাভ করে শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। তখন ১টি মজার ঘটনা ঘটে।
আমরা যখন পথ চলি তখন ১ টি মাত্রা দৈর্ঘ স্থির থাকে, প্রস্থ ও উচ্চতার মাত্রা ২টির ক্ষেত্র পরিবর্তিত হয়। কিন্তু শক্তি যখন পথ চলে তখন যে মাত্রা স্থির থাকে তা হচ্ছে সময়। যার ফলে শক্তির কখনও ব্য়স বারে না। উদাহরণ হিসেবে গ্যাভিট্রনের কথা নেয়া যাক। যে গ্র্যাভিট্রন সুর্য ও পৃথিবির আকর্ষনের দায়ি আমাদের দৃষ্টিতে তার সুর্য থেকে পৃথিবিতে আসতে ৮ মিনিট, কিন্তু গ্র্যাভিট্রনের কাছে মনে হবে যে সে সুর্য ও পৃথিবিকে একই সাথে ধরে রেখেছে।
আমরা ৩/২/১ মাত্রা সম্পর্কে জানলাম। এখন মাত্রা যদি ০ হয়? এর কোন সীমানা থকে না। অর্থাৎ এটা অসীম হয়ে যায়। ধর্মে ঈশরকে নিরাকার বলা হয়েছে। কেউই নিরাকার হতে কারে না, যদিনা সে অসীম বা শুন্য হয়।
সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা করলে আপনি ১ টা প্রশ্নে এসে আটকে যাবেন। প্রশ্নটা হচ্ছে, তার আগে কি?
০ ডাইমেনশন বিবেচনা করলে দেখবেন দেখবেন এটি নিরাকার, এবং এর আগে কিছু হতে পারে না।
আমরা আস্তিক-নাস্তিক সবাই স্রষ্টাকে আমাদের মতই অতি পাওয়ারফুল কেউ বলে কল্পনা করি। এটা মানতে পারে না বলে অনেকে নাস্তিক হয়। আসলে স্রষ্টা এরকিমি কিছুই নয়। বরং তিনি স্বয়ং ০ মাত্রা যা শূন্যের ও আগে। আর ১ মাত্রার “সময়” হচ্ছে স্রষ্টার চেতনা। ফলে কন কিছুই স্রষ্টার অগোচরে থাকতে পারে না। সৃষ্টির প্রত্যেকটা অনু-পরমানু তাঁকে জানিয়া তারই অনুমতি নিয়ে নরা-চরা করে।
তাহলে মানুষের বিশেষত্য কি?
মানুষের বিশেষত্য হল স্বাধিন মন! মানুষ নিয়ত করতে পারে, চেষ্টা করতে পারে। আর হাশরের ময়দানে মানুষের প্রচেষ্টা বা নিয়তের হিসাব নেয়া হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.