নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"সুরঞ্জনা\"সোনার খাঁচায় বন্দী যে জন -প্রেমিক মাতাল [email protected]

নুর ইসলাম রফিক

প্রেমিক মাতাল

নুর ইসলাম রফিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসুন জেনে নেই যে সকল দেশের রাষ্টধর্ম ইসলাম

২৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৪৩


আমি অনেক দিন যাবত একটি প্রশ্নের উত্তর খুজে ফিরছি। কাউকে জিজ্ঞেস করে এর সঠিক উত্তর পাইনি।
গুগলে সার্চ করেও পাইনি। ভিবিন্ন ব্লগে ঘুরেও উত্তরটা পাওয়া যায়নি।
প্রশ্নটা হচ্ছে- পৃথিবীর কয়টি দেশে রাষ্টধর্ম ইসলাম? এবং কোন কোন দেশ?

আজ আমার প্রশ্নটার উত্তর পেলাম। জানীনা কতোটা সত্য। ভুল হলে আশা করি ভুল গুলি ধরিয়ে দেবেন।
একটা কথা বলে নেই অনেকেই বলছেন রাষ্টের কোন ধর্ম হয়না ধর্ম হয় ব্যক্তির।
তারা আরো বলেছেন রাষ্টের কোন ধর্মের প্রয়োজন নেই।
আমার প্রশ্ন তাদেরকে তবে কেন বিশ্বের ২৬টি মুসলিম দেশে রাষ্টধর্ম ইসলাম ?
যারা ২৬টি দেশের রাষ্টধর্ম ইসলাম করেছেন তারা কি আপনাদের চেয়ে অনাবিজ্ঞ?
নিশ্চয়ই তারা আপনাদের চেয়ে অনাবিজ্ঞ নয়।

আশা করি আমার প্রশ্নের সম্মুখীন যারা তারা আমার এই প্রশ্নের উত্তর দেবেন।

আসুন এবার জেনে নেই কোন কোন দেশের রাষ্টধর্ম ইসলাম-

১) বাংলাদেশ
২) সৌদিআরব
৩) কুয়েত
৪)উমান
৫) সংযুক্ত আরব আমিরাত
৬) বাহরাইন
৭) ইয়েমেন
৮)মিশর
৯) কাতার
১০) মরোক্ক
১১) সোমালিয়া
১২) মালদ্বিপ
১৩) মালয়েশিয়া
১৪) লিবিয়া
১৫) জর্ডান
১৬) কোমোরোস
১৭) আল-জেরিয়া
১৮) আফগানিস্তান
১৯) ব্রনাই
২০) তিউমিসিয়া
২১) ফিলিস্তিনি
২২) ইরাক
২৩) ইরান
২৪) জিবুতি
২৫) মৌরিতানিয়া
২৬) পাকিস্তান


আবারো বলছি ভুল ক্রুটি হলে ভুল গুলি ধরিয়ে দেবেন এবং ক্ষমা করবেন।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৫৬

আশমএরশাদ বলেছেন: ইন্ডিয়ার রাষ্ট্রধর্ম কি হওয়া উচিত?

---> ২৬টি দেশের রাষ্টধর্ম ইসলাম করেছেন তারা কি আপনাদের চেয়ে অনবিজ্ঞ?

না ভাই অনবিজ্ঞ নয় বলতে পারেন আমার আপনার চেয়ে চালাক বলেই।
কারণ রাষ্ট্রধর্ম টার্মটা কে এনেছে সংবিধানে? সামরিক শাসক আলহাজ্জ হু মু এরশাদ রংপুরী। এর আগে ধর্ম নিরপেক্ষতার জায়গায় কে হাত দিয়েছেন: আরেক জন সামরিক শাসক- শহীদ জিয়া।
তাইলে বুঝেন- মানুষ ভুলানো ঘুম পাড়ানি মাসি পিসির ঔষধ হলো রাষ্ট্রধর্ম। যারা রাষ্ট্রধর্ম ব্যাপার গুলা এনেছেন তাদের জীবন কিন্তু খুব একটা ধর্ম ঘনিষ্ট নয়।
রাষ্ট্রধর্ম এ ব্যাপারটিতে আসলে রাজনীতি আছে ধর্ম কতটুকু আছে আপনিই বিচার করুন।
সকল রাজনৈতিক দল গুলাই কম বেশী এই বিষয়টি থেকে ফায়দা লোটার চেষ্টা করেছে।
বোকা ভোটারদেরকে কাজীর খাতায় গরু লিখে দিলেই হয় গোয়ালে থাকতে হয় না।

২৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০৮

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: প্রথমে আপনার মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি বলেছেন- যারা রাষ্ট্রধর্ম ব্যাপার গুলা এনেছেন তাদের জীবন কিন্তু খুব একটা ধর্ম ঘনিষ্ট নয়।
আমার কথা এখানে- যারা রাষ্টধর্ম অতীতে চেয়েছেন এখনো চাচ্ছেন তারা তো ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, ইসলামিক চিন্তাবিদ।
তারা তো আপনার আমার মতো আমজনতা নয়। হয়তো আমি আপনি না বুঝেই দৌড়াই উনারা তো তা নয়।
তবে কি উনারাও (ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, ইসলামিক চিন্তাবিদ) ফায়দা লোটার (আপনার ভাষায়) পায়তারায় আছেন?
আশা রাখি উত্তর দেবেন।

২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৪৫

আশমএরশাদ বলেছেন: কলেজ জীবনে একটা প্রবাদ শুনেছিলাম - যে হাত ধরে ভাত খায় সে ঘুষ খায়।(যদিও সবার ক্ষেত্রে সত্য নয় তবে বেশীর ভাগের জন্য সত্য) তাই যারা রাজনীতি করে তারা জিন্মা টুপি পড়ুক আর হামিদ কারজাই টুপি পড়ুক সবাই ফায়দা লুটবেই।
শুধু রাজনৈতিক ধর্ম ব্যবসায়ীরা নয় রাষ্ট্র চিন্তক ম্যাকিয়াভেলির মতে-“রাষ্ট্রের উচিত ধর্মকে কিংবা জনগণের ধর্মীয় প্রবণতাকে পৃষ্ঠপোষণ করা, কেননা ধর্মপ্রাণ লোকদের শাসন করা সহজ”। ধর্মকে তিনি দেখেছিলেন জনগণকে শাসন করার উত্তম অস্ত্র হিসেবে। আমাদের দেশেও দুই সামরিক শাসক জিয়া এবং এরশাদ ম্যাকিয়াভেলির এই ধূর্ত রাজনৈতিক কূট কৌশলকে ব্যবহার করে ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্য।

৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৪৬

আশমএরশাদ বলেছেন: আর যদি রাষ্ট্রধর্ম একান্তভাবে ঘোষণা করতেই হয় একের অধিক ধর্মকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ঘোষণা দেয়া যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইন্দোনেশিয়ার কথা উল্লেখ করতে পারি। সেখানে ইসলাম ও হিন্দুধর্মসহ ৫টি ধর্মকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে স্বীকৃত দেয়া হয়েছে। অথচ ইন্দোনেশিয়ায় হিন্দু জনসংখ্যা ৫লক্ষের উপরে নয় আর আমাদের দেশে দেড় কোটির উপর হিন্দু ধর্মাবলম্বী বসবাস করে।

একইভাবে মালয়েশিয়াও একের অধিক ধর্মকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তুর্কীও একের অধিক ধর্মকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে নিজেদের রাষ্ট্রিক চরিত্র পরিষ্কার করেছে। এতে ঐসব দেশের বিন্দুমাত্র ক্ষতি হয়নি। বরঞ্চ লাভবান হয়ে রাষ্ট্র। ইসলামে যে সাম্যের কথা বলা হয়ে তা শুধু মসজিদের সাম্য নয়, বরং রাষ্ট্রের সর্বত্র সাম্যের কথা বলা হয়েছে। সামরিক শাসক জিয়া ও এরশাদের ধর্মকে রাষ্ট্রীয় রাজনীতিতে ব্যবহার কোন ধর্মীয় অনুভূতি থেকে নয় বরং নিজেদের ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী রূপ দেয়ার একনায়ক হীন চরিত্রের প্রকাশ মাত্র। কারণ ব্যক্তি হিসেবে এই দুজন কেমন ধার্মিক ছিলেন তা রাজনীতি সচেতন ব্যক্তি মাত্রই জানেন।
http://www.sylhettoday24.com/opinion/details/8/409

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.