নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"সুরঞ্জনা\"সোনার খাঁচায় বন্দী যে জন -প্রেমিক মাতাল [email protected]

নুর ইসলাম রফিক

প্রেমিক মাতাল

নুর ইসলাম রফিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিলেটের সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার উপরে যে কোন সময় তলিয়ে যেতে পারে সিলেট জেলা ও শহর

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:০৫


মাত্র দুদিনে বেড়ে গেছে সুরমার পানি। গত দুদিন আগেই দেখা গেছে সুরমা নদীর আলী আমজাদ ঘাটের পনের ষোলটা সিড়ি নিচে সুরমার পানির অবস্থান। আজ সকাল ১০টায় গিয়ে দেখা যায় সিলেট শহর তলিয়ে যেতে আলী আমজাদ ঘাটের আর মাত্র পাচটা সিড়ি বাকী। অর্থাৎ মাত্র পাঁচ ফিট বাকী। আলী আমজাদ ঘাটের বিপরিত দিকের বস্তিটা তলিয়ে যেতে আর মাত্র দের ফিট বাকী। এক দিনের মুশল ধারার বৃষ্টিই তলিয়ে দিতে পারে নদীর দু-প্রান্ত সিলেট শহরের মুল অংশ।

শহরের শাহজালাল (নতুন ব্রিজ) এর নিচে গিয়ে দেখা যায় নদীর পার ঘেরা রাস্তা থেকে নদীর পানি মাত্র এক দেড় ফিট নিচে। মাছিমপুর, ছড়ারপার,কাস্টগড়, উপশহর, মেন্দীবাগ, সোবহানী ঘাট, সোনারপাড়া ও আশে পাশের এলাকা ডুবিয়ে দিতে সুরমার জন্য কয়েক ঘন্টার বৃষ্টিই যতেষ্ট।

এরই মধ্যে তলিয়ে গেছে সিলেটের গোয়াইনঘাট থানার অনেক নিম্নাঞ্চল। প্রবল স্রোতে ভেঙ্গে গেছে অনেক কাচা পাকা ঘর বাড়ি, সড়ক।

তলিয়ে গেছে সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুরের হাওর অঞ্চল। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন হাজার হাজার কৃষক। হারিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা মুল্যের কৃষি ফসল ধান।

ক্বিন ব্রিজের নিচে আলী আমজাদ ঘাটের পাশের এক চা দোকানি চাচা বলেন- মাত্র দুদিনে এই ঘাটের (আলী আমজাদ ঘাট) সাত আটটা সিড়ি ডুবে গেছে। এই দুদিন কিন্তু তেমন বৃষ্টিপাত হয়নি। আমার ধারনা ভারতের বাধ ছেড়ে দিয়েছে। না হয় এতো পানি আসলো কোথায় থেকে?

ক্বিন ব্রিজ এর নিচে ঘুরতে আসা আরেক দর্শনার্থী জানান- নিশ্চয়ই ভারত বাধ খুলে দিয়েছে। না হয় এই বৈশাখ মাসে সুরমা নদীতে এতো পানি হওয়ার কথা নয়। সারা বাংলাদের মানুষ যে সময় বৃষ্টির জন্য হাহাকার করছে। ঠিক সেই সময় সিলেটের মানুষ বৃষ্টি না আসার জন্য পার্থনা করছেন। ঐ দর্শনার্থী আরো বলেন- আমাদের সিলেটকে ডুবিয়ে দিতে একদিনের বৃষ্টি যতেষ্ট বলে আমার মনে হয়।

কথা হয় এখানে ঘুরতে আসা আরেক দর্শনার্থীর সাথে। উনি রসিকতা করে বলেন এই গ্রীষ্মকালে যদি সুরমার পানি এতো বেশী হয়, তবে তো বর্ষা কালে সুরমার পানি সার্কিট হাউজের (আঙ্গুলের ইশারায় সার্কিট হাউস দেখিয়ে) ছাদে থাকবে।

গত কয়েক দিনের বৃষ্টির কারনে সুরমার পানি কিছুটা বাড়লেও এতোটা বেড়ে যাওয়া মেনে পারছেননা কেউ। সবাই বলছেন ভারতের বাধ ছেড়ে দেওয়ার কারনেই সুরমা নদীর পানি আজ বিপদসীমার উপরে। বৃষ্টির অভাবে গীষ্মের তাপদাহে যে সময় সারা বাংলাদেশ পুড়ছে ঠিক সে সময় সিলেটবাসি বৃষ্টি আসার ভয়ে ঘরের নিচের আসবাপত্র গুলি উপরে তুলে রাখছেন। কখন জানী সুরমার পানি ঘরে এসে ঢুকে যায়। বন্যার ভয় সিলেটবাসীর শান্তির ঘুম কেড়ে নিয়েছে। সবার প্রার্থনা নদীর পানি নিচে না নামা পর্যন্ত যেন বৃষ্টি না আসে।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৩৫

বাংলার নেতা বলেছেন: কেমনে কি?

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:০২

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: ভারতের পানি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে নিশ্চিত।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:১৯

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: এই লেখাটা প্রকাশিত হওয়ার কয়েক ঘন্টা পরেই রাত ১২-১৫ মিনিটে আমার বাসায় মাত্র এক ৪০-৪৫ মিনিটের বৃষ্টিতে এই বৈশাখে ৩য় বারের মতো পানি উঠে গেছে।
সাধারন তো আমাদের বাসায় আষাঢ় শ্রাবন মাসে টানা পাঁচ সাত দিনের বৃষ্টি দিলেই পানি উঠে। কিন্তু কোন দিন বৈশাখ মাসে পানি উঠেনি।
আষাঢ় শ্রাবনের বৃষ্টিতে আমাদের বাসায় পায়ের ঘিরা বা একটু উপরে পানী উঠে কিন্তু গত কাল ও এর কয়েক দিন আগে আমাদের খাটের তলা ছুয়ে ফেলেছে। খুব ভয়ে আছি দাদা এই আষাঢ় শ্রাবনে ঠিকতে পারবো তো। নাকী বাসা ছেরে পালিয়ে যেতে হবে অন্যথায়।

২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:০৪

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অাচ্ছা তাহলেত দেশের মানুষ কিছুটা পানি দেখতে পাবে , মাছ মাছালি ধরে খাবে।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:১০

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: আর সিলেটের মানুষ কি ঠাই আপনার ঘরে নেবেন।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:১৯

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: এই লেখাটা প্রকাশিত হওয়ার কয়েক ঘন্টা পরেই রাত ১২-১৫ মিনিটে আমার বাসায় মাত্র এক ৪০-৪৫ মিনিটের বৃষ্টিতে এই বৈশাখে ৩য় বারের মতো পানি উঠে গেছে।
সাধারন তো আমাদের বাসায় আষাঢ় শ্রাবন মাসে টানা পাঁচ সাত দিনের বৃষ্টি দিলেই পানি উঠে। কিন্তু কোন দিন বৈশাখ মাসে পানি উঠেনি।
আষাঢ় শ্রাবনের বৃষ্টিতে আমাদের বাসায় পায়ের ঘিরা বা একটু উপরে পানী উঠে কিন্তু গত কাল ও এর কয়েক দিন আগে আমাদের খাটের তলা ছুয়ে ফেলেছে। খুব ভয়ে আছি দাদা এই আষাঢ় শ্রাবনে ঠিকতে পারবো তো। নাকী বাসা ছেরে পালিয়ে যেতে হবে অন্যথায়।

৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:০৫

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ভারতের এই আচরণ আমাদের ওপর অবিচার!!

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:১২

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: শীতে নদীতে বাধ দিয়ে পানি বন্ধ করে আমাদের কৃষি জমিকে করে দেয় মরুচর।
আর বর্ষার আগমতেই ভাসিয়ে দেয় প্লাবনে।
নিশ্চয়ই এটা ভারতের অবিচার।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:১৯

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: এই লেখাটা প্রকাশিত হওয়ার কয়েক ঘন্টা পরেই রাত ১২-১৫ মিনিটে আমার বাসায় মাত্র এক ৪০-৪৫ মিনিটের বৃষ্টিতে এই বৈশাখে ৩য় বারের মতো পানি উঠে গেছে।
সাধারন তো আমাদের বাসায় আষাঢ় শ্রাবন মাসে টানা পাঁচ সাত দিনের বৃষ্টি দিলেই পানি উঠে। কিন্তু কোন দিন বৈশাখ মাসে পানি উঠেনি।
আষাঢ় শ্রাবনের বৃষ্টিতে আমাদের বাসায় পায়ের ঘিরা বা একটু উপরে পানী উঠে কিন্তু গত কাল ও এর কয়েক দিন আগে আমাদের খাটের তলা ছুয়ে ফেলেছে। খুব ভয়ে আছি দাদা এই আষাঢ় শ্রাবনে ঠিকতে পারবো তো। নাকী বাসা ছেরে পালিয়ে যেতে হবে অন্যথায়।

৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:১১

প্রামানিক বলেছেন: ভয়াবহ ব্যাপার

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:১৬

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: জি দাদা অনেক ভয়াবহ ব্যাপার। এই চৈত্র বৈশাখে আমার বাসায় তিন দিন পানি উঠেছে। কিন্তু এমনটা জীবনেও হয়নি।
সাধারন তো বর্ষা মৌসুমেই আমার বাসায় পানি আসে।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:২০

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: দাদা এই লেখাটা প্রকাশিত হওয়ার কয়েক ঘন্টা পরেই রাত ১২-১৫ মিনিটে আমার বাসায় মাত্র এক ৪০-৪৫ মিনিটের বৃষ্টিতে এই বৈশাখে ৩য় বারের মতো পানি উঠে গেছে।
সাধারন তো আমাদের বাসায় আষাঢ় শ্রাবন মাসে টানা পাঁচ সাত দিনের বৃষ্টি দিলেই পানি উঠে। কিন্তু কোন দিন বৈশাখ মাসে পানি উঠেনি।
আষাঢ় শ্রাবনের বৃষ্টিতে আমাদের বাসায় পায়ের ঘিরা বা একটু উপরে পানী উঠে কিন্তু গত কাল ও এর কয়েক দিন আগে আমাদের খাটের তলা ছুয়ে ফেলেছে। খুব ভয়ে আছি দাদা এই আষাঢ় শ্রাবনে ঠিকতে পারবো তো। নাকী বাসা ছেরে পালিয়ে যেতে হবে অন্যথায়।

৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:১৭

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ভাই সিলেটে পানি জমে থাকেনা যত মরে নিচু অঞ্চলের মানুষ। তবে আপনা রিপোর্টটিতে মন্তব্যটি আপনার কাছে সিলেটিদের কষ্টের সময় হাস্যরষ মনে হয়েছে আমি এই বলিনি কি বলেছি ব্লগার হলে বুঝে নিবেন।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৩২

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: আপনার মন্তব্যটি কৌতুকপূর্ণই ছিল আছে। এ ছাড়া অন্য কিছু ধারনা করা আমার পক্ষে সম্ভব বলে মনে হচ্ছেনা।
আসলে কারো পক্ষে সম্ভব কিনা আমি সন্ধিহান।

৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:০৪

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এই হল ভারত নানীর দান । বুঝতে পারছেন ভাই।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৪৮

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: ভারত আপনার নানী হয় কেমনে একটু বলবেন কি?

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:১৯

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: এই লেখাটা প্রকাশিত হওয়ার কয়েক ঘন্টা পরেই রাত ১২-১৫ মিনিটে আমার বাসায় মাত্র এক ৪০-৪৫ মিনিটের বৃষ্টিতে এই বৈশাখে ৩য় বারের মতো পানি উঠে গেছে।
সাধারন তো আমাদের বাসায় আষাঢ় শ্রাবন মাসে টানা পাঁচ সাত দিনের বৃষ্টি দিলেই পানি উঠে। কিন্তু কোন দিন বৈশাখ মাসে পানি উঠেনি।
আষাঢ় শ্রাবনের বৃষ্টিতে আমাদের বাসায় পায়ের ঘিরা বা একটু উপরে পানী উঠে কিন্তু গত কাল ও এর কয়েক দিন আগে আমাদের খাটের তলা ছুয়ে ফেলেছে। খুব ভয়ে আছি দাদা এই আষাঢ় শ্রাবনে ঠিকতে পারবো তো। নাকী বাসা ছেরে পালিয়ে যেতে হবে অন্যথায়।

৭| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৫১

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: দাদা এই লেখাটা প্রকাশিত হওয়ার কয়েক ঘন্টা পরেই রাত ১২-১৫ মিনিটে আমার বাসায় মাত্র এক ৪০-৪৫ মিনিটের বৃষ্টিতে এই বৈশাখে ৩য় বারের মতো পানি উঠে গেছে।
সাধারন তো আমাদের বাসায় আষাঢ় শ্রাবন মাসে টানা পাঁচ সাত দিনের বৃষ্টি দিলেই পানি উঠে। কিন্তু কোন দিন বৈশাখ মাসে পানি উঠেনি।
আষাঢ় শ্রাবনের বৃষ্টিতে আমাদের বাসায় পায়ের ঘিরা বা একটু উপরে পানী উঠে কিন্তু গত কাল ও এর কয়েক দিন আগে আমাদের খাটের তলা ছুয়ে ফেলেছে। খুব ভয়ে আছি দাদা এই আষাঢ় শ্রাবনে ঠিকতে পারবো তো। নাকী বাসা ছেরে পালিয়ে যেতে হবে অন্যথায়।

৮| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:০৯

বাংলার নেতা বলেছেন: এদিকে গরমে চরম ফাটাফাটি চৌচির...

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৪১

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: আমাদের প্রতিদিন রাতে বৃষ্টি নামে। তাই রাতে ঘুমাতে পারিনা শান্তিতে ভয়ে।
কিন্তু দিনের বেলা রোদ পুড়িয়ে দেয় আমাদের। এই রোদ দেখে কেউ ভাববেনা যে আজ রাতে বৃষ্টি নামবে।

৯| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৪

বাংলার নেতা বলেছেন: গরমে মইরা যাইতাছি, কই যামু, আন্নেগো সিলেট যাইতাম গা।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১২

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: তবে দিনের বেলা নয় রাতে আসুন কারন দিনের বেলা আমাদের শহরেও রোদের দাপট কিন্তু রাতের বেলা বৃষ্টির।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.