![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত ১৮ই মে ২০১৬ তে সিলেট সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত ‘বিশেষ অভিযানে’ সিটি কর্পোরেশনের একটি বুলডোজার, ৯টি ট্রাক, একটি ট্রাক্টর। সংশ্লিষ্ট শাখা প্রধান ছাড়াও কনজারভেন্সি শাখার ৫০ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়ে তিন ঘন্টার অভিযানে সিলেটের প্রধান সড়ক ও ফুটপাত দখল মুক্ত করা হয়। কিন্তু কয়েক ঘন্টা যেতে না যেতেই আবার শুরু হয় রাস্থা ও ফুটপাত দখল করে হকারদের পসরা সাজানোর। যা ১৮ই মে ২০১৬ থেকে আজ পর্যন্ত অল্প কয়েক দিনে সিলেটের প্রধান সড়ক আর পুটপাত গুলি আগের রুপে ফিরে গেছে।
বাণিজ্যিক এলাকার সড়ক ও ফুটপাত দখল হয়ে যাওয়ায় সিলেটের বন্দর বাজার এর পেপার পয়েন্ট, সিটি পয়েন্ট কোর্ট পয়েন্ট, সুরমা মার্কেট পয়েন্ট, ও জিন্দাবাজার মুখি কোর্ট থেকে জিন্দাবার পয়েন্ট পর্যন্ত পথচারীদের চলাচলে বিগ্ন ঘঠছে। সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। যাতে অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন সিলেটের নাগরিকরা।
সিটি পয়েন্টের একজন পথচারী বলেন কয়েক দিন পর পর তো ঠিকি ফুটপাত দখল মুক্ত করা হয়। কিন্তু লাভটা কি হয়? কচু পরিমান লাভটা হয়না আমাদের। যেই লাউ সে কদু।
প্রশাসন যদি হকার উচ্ছেদ না করে হকারদের জন্য নির্ধারিত স্থান নির্ধারণ করে দেয় তবে মনে হয় এই দখলের কিছুটা লাগব হতো।
সিলেটের যানজট নিরসনের জন্য মেয়র আরিফ ২০১৪ সালের শেষের দিকে প্রধান সড়ক গুলিতে আলাদা আলাদা রিক্সা লেন তৈরি করেছিলেন। যেই লেন অল্প কিছু দিনেই নামে মাত্র রিক্সা লেন হয়ে পড়েছিল। রিক্সা লেনে রিক্সা চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল হকারসদের দখলের কারনে। পরবর্তীতে প্রশাসন রিক্সা লেন গুলি অপসারণ করে ফেলে হকারদের হাত থেকে ফুটপাত ও রাস্থা দখল মুক্ত করার জন্য। কিন্তু রিক্সা লেন অপসারণ করেও প্রশাসন নাগরীকদের কোন সুবিদা দিতে পারেনি। ফের অবার দখল হয় সড়ক ও ফুটপাত।
সর্বশেষ অভিনব পন্থায় ১টি বুলডোজার, ৯টি ট্রাক, একটি ট্রাক্টর। সংশ্লিষ্ট শাখা প্রধান ছাড়াও কনজারভেন্সি শাখার ৫০ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়ে অভিযান সাময়ীক সফল হলেও এই সাফল্যতার স্বাধ নগরবাসী একদিনও ভুগ করতে পারেননি।
সিটি পয়েন্ট হকার ও সিএনজি স্ট্যান্ড মুক্ত করতে গত তিন চারদিনে সিটি পয়েন্ট থেকে পোষ্ট অফিস মুখি ওয়ানবাই রাস্থার মাঝখান দিয়ে লোহার শিকল ও লোহার মোটা পাইপ দিয়ে নির্মাণ করা রোড ডিভারশন। কিন্তু আজ হকাররা ফুটপাতের পাশাপাশি রাস্থার মাঝখানের রোড ডিভারশনের দু পাশেই শাক সবজি ফলমূল ইত্যাদির পশরা সাজিয়ে দখল করে আছেন।
যা সিলেটের নাগরিকদের জন্য নব্য নতুন আরেক যন্তনার যাত্রা শুরু বলেই মনে করছেন অনেকে।
কথা হয় রাস্থা পারাপার একজন পথচারীর সাথে। তিনি উপহাস করে বলেন হকাররা গত কাল পর্যন্ত ছিল ফুটপাত আর রাস্থার সাইড দখল করে, আর আজ থেকে দখল করে নিল মাঝ রাস্থা হাহাহা।
রমজানকে সামনে রেখে সিলেটের বাণিজ্যিক এলাকা বন্দর বাজারে মানুশের চলাচল স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশী। ফুটপাত ও রাস্থা দু পাশ হকারদের দখলে থাকায় পথচারীরা রাস্থার মাঝ দিয়ে চলাচল করছেন। এতে ছোট হয়ে পড়েছে রাস্থা প্রস্থ্য। তাই বেড়ে গেছে যানজট। পথচারীদের মাঝ রাস্থা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিদিনই ঘটছে ছোট খাট বিভিন্ন দুর্ঘটনা ।
০৭ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:২৩
নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: জন্মের পর থেকেই দেখে আসছি পুটপাত দখল মুক্ত করা হচ্ছে।
আর সেই দখল মুক্তটা একদিনেরো স্থায়ী হয়না।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:০৭
মামুন ইসলাম বলেছেন: অতি শিগ্রই ফুটফাট দখল মুক্ত করা হোক ।