![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধারনত নামায পড়ার পর অর্থাৎ নামায শেষ হওয়ার সাথে সাথে আমি দুইটা কাজ করি।
প্রথমতঃ পকেট থেকে বের করে টুপিটা লাগাই !
দ্বিতীয়তঃ মোবাইলটা সাইলেন্ট করি।
শুধু তাই নয় অনেক তাড়া-হুড়ো করে দৌড়ে মসযিদে গিয়ে দেখি; হয় হজুর শেষ বৈঠকে আছেন নাহয় মাত্র সালাম ফিরায়ে নাময শেষ করলেন। আমি খুব মাঝেই মাধ্যোই নামাযটা পুরোপুরি ভাবে পাই।
সবাই হয়ত ভাবছেন এসব আমার খামখেয়ালীপনা, অলসতা বা নিশ্চেষ্টতা। আসলে ব্যাপারটা পুরোপুরি ভাবে ঐ রকম না। এখানে কিছুটা আমার অলসতা থাকলেও মাঝে মধ্যো ভাগ্যের ফেরেও এটা আমার সাথে ঘটে থাকে। তারই দুই-একটা অনুকাহিনী আজকে আমি সবার সাথে শেয়ার করবো।
#ঘটনা ১
"কাজিনদের সবাই কে নিয়ে ঢাকায় আরেকটা কাজিনদের বাসায় বেড়াতে যাবো, প্লাস ঘুরবো।"
ঘটনাটা এবারের বিডি ট্যুরের ঘটনা, কোরবানি ঈদের তৃতীয় দিন আমি, দাদু, কাজিন-লিমা, মারুফ, নিঝুম আর আন্টি ( ওদের আম্মু) সবাই ঢাকা যাবো। যাওয়ার প্ল্যান ১১-১২ টার মধ্যো। ঈদের ঝামেলা হতে পারে তাই ১০টার দিকে কাউন্টার এ চলে গেলাম টিকেট কাটতে। কাউন্টার এ গিয়ে দেখি ৬টার আগে ৬ সিটের কোন টিকেট নাই, তাও একদম পেছনের সারিতে। অবশেষে সবার মতামতের প্রেক্ষিতে ঐ সিটের টিকেটই নিয়ে নিলাম।
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম ৬টা বাজতে এখনো প্রায় ৭-৮ ঘন্টা বাকি, এর মানে হল শয়তান বাবাজী অলরেডি আমাকে পেয়ে বসেছে, তাই ভাবলাম ৬টা বাজতে তো অনেক দেরি এই সুযোগে গ্রামের বাড়ি থেকে একটু ঘুরে আসি। মহিপাল থেকে আমাদের গ্রামের বাড়ি প্রায় ৩০ মিনিট এর পথ। প্ল্যান ছিল দুপুরে খেয়ে দেয়ে ৪টার দিকে মহিপাল বাসায় চলে আসবো, বাসা থেকে স্টার লাইন বাস কাউন্টার ৫ মিনিটের রাস্তা। ৪টার দিকে বের হওয়ার কথা থাকলেও, বের হতে হতে বেজে গেল সাড়ে ৪টা। দেরি হয়ে যাবে ভেবে আরেকটা সংক্ষিপ্ত রাস্তা দিয়ে রওয়ানা দিলাম। কিন্তু ঐ যে আজকে কপালে কিছু লিখা আছে। যেখানে ৬০ সেকেন্ডের মধ্যো ৭০টা সি.এন.জি আসে; সেখানে আজকে কোন সি.এন.জি নাই। যে দুই একটা আসে সব ফুল।
এর মধ্যো দূরসম্পর্কের এক দাদার সাথে দেখা। আমি আছি এক বিপদে ঊনি এসে জানালেন আরেক বিপদের কথা; ঊনার মেয়ের জামাই নাকি কোথাও চুপি চুপি আরেকটা বিয়ে করে ফেলছে। এখন ঊনি ব্যাপারটার সত্যতা জানার জন্য আব্বুর সাথে কথা বলতে চায়। ঊনি আমার কাছে আব্বুর নাম্বার চাইল, আমি আমার ফোন থেকেই আব্বুকে কল করে ঊনার সাথে কথা বলায়া দিলাম। ফাঁকে ফাঁকে দেখছিলাম সি.এন.জি আসে কিনা। এরপর ঊনাকে ধ্রুত বিদায় দিয়ে আবার সি.এন.জি খোঁজাতে মনোযোগ দিলাম। হঠাৎ দেখি একটা বাস, যেটা পুরাই আনএক্সপেক্টেড, কারন এই রোডে বাস চলে না। সিগনাল দিলাম, বাস দাঁড়িয়েও গেল, উঠে মনে হল কোন বিয়ের বাস; তাতে আমার কি? আমার কোন মতে মহিপাল পৌছানো দরকার। এর মধ্যো আমার দুই কাজিন লিমা-মারুক আমাকে কল দেয়া শুরু করে দিয়েছে।
লিমাঃ ভাইয়া ৫টা ৩০ তো বেজে গেল আমরা কি কাউন্টার এ চলে যাব?
আমিঃ যা, তোরা গিয়ে ওয়েট কর আমি আইতাছি।
মারুফঃ ভাইয়া আমরা তো এসে বসে আছি, আপনি কই।
আমিঃ এইতো আসতেছি, তোরা বয়।
লিমাঃ কিরে ভাইয়া তুই কই? বাস তো লাইনে চলে আসছে।
আমিঃ কস কি? দাঁড়া আমি এক্ষুনি আসছি। ( ওদেরকে ভয়ে বলিনাই আমি বাড়িতে গেছি)
মারুফঃ ভাইয়া আমরা বাসে উঠে গেছি আপনি কই?
আমিঃ বাসে উঠে বয়, ব্যাগ ট্যাগ নিয়ে ঠিক মত বয়, আমি এসে গেছি। (ভয়ে এখনো বলিনাই, আমি এখনো বাসে, বাড়ি থেকে আসতেছি। বাস শালা পেসেঞ্জার উঠাচ্ছে আর নামাচ্ছে, ইচ্ছা করতেছে শালারে দুইটা লাথি মেরে আমি উড়ে চলে আসি।)
লিমাঃ ভাইয়া বাস ছেড়ে দিতেছে তুই কই?
আমিঃ ( এবার বলতেই হল) লিমা আমিতো বাড়িতে গেছিলাম। এখন বাসে আছি, ৫ মিনিট লাগবে, তুই বাসের সুপারভাইজারকে কোনমতে বুঝায়া বাসটা ২ মিন ওয়েট করতে বল।
লিমাঃ কি?!!! এসব কি কস তুই? টিকেটও তোর কাছে, ওরা কি আমার কথা শুনবে নাকি??!!
যাক অতঃপর বাস মহিপাল এসে পৌচেছে, আমি বাস থেকে লাফ দিয়ে ডিরেক্ট একটা রিকসায়; রিখসাওয়ালাকে বললাম; মামা যত জোরে পার উড়ায়া নিয়া যাও। পাইলটটা চরম ছিল, ৩-৪ মিনিট এ নিয়ে আসলো। এরপর আমি রিকসা থেকে লাফ দিয়ে নামার আগেই তাকে বললাম রিকসা ঘুরায়া দাঁড়াও আমি আসতেছি। এ কথা বলে আমি বুলেট এর গতিতে বাসায় ঢুকে ব্যাগটা নিয়ে রকেট এর গতিতে আবার রিকসায় এসে বসলাম। ভাগ্য ভাল ব্যাগটা সকালেই রেডি করে রেখেছিলাম, ইচ্ছা ছিল যাওয়ার আগে ভয়াবহ একটা গেটাফ দিব, ঐটা আর হল না। পাইলটকে বললাম এবার উড়াল দাও।
ততক্ষনে আমার দুই কাজিন আমাকে কল দিতে দিতে মোবাইল নষ্ট করে ফেলতেছে। যাই হোক ফাইনালি রোডে উঠে গেলাম, এখন বাস আমার সামনে দিয়েই যাবে। ওদের বললাম বাস থামাতে বল আমি বাস দেখতে পাচ্ছি। অবশেষে বাস কাউন্টার থেকে বের হয়ে কিছুদূর এসে আবার আমার জন্য দাঁড়ালো। আমি রিকসা নিয়ে বাসের সামনে গিয়ে দাড়ালাম। রিকসাওয়ালাকে ম্যাক্সিমাম ২০ টাকার ভাড়া ৫০ টাকা দিয়ে বাসে উঠে গেলাম। বাসের যাত্রিদের দিয়ে তাকিয়ে দেখি সবাই চোখ বড়বড় করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে, মুখে খুব বিরক্তির ছাপ! কিন্তু কেন যেন কেউ কিছু বলছে না। ভয়ে আর কারো দিকে না তাকিয়ে সোজা একদম পেছনে নিজের সিটে গিয়ে বসে গেলাম। সেদিন আর ১-২ টা মিনিট দেরি হলে কি হত আল্লাহ জানে। সবশেষে কাজিনদের মার-ধর খেয়ে রওনা হয়ে গেলাম।
ঘটনা #২
"এই ঘটনাটাও রিসেন্টলি ঘটেছে। এবার বিডি যাওয়ার দিনের ঘটনা।"
কাজ কাম নাই, সারারাত জেগে থেকে সকালে ঘুমাই, উঠি দুপুরে। এক উইক এর মধ্যো আমার ছুটি ৩ বার কেন্সেল হইছে ৩ বার এপ্রুভ হইছে। যেদিন বাড়ি যাব সেদিন সকাল পর্যন্ত আমার ছুটি ছিল কেন্সেল অবস্থায়। এদিন আমার অন্য একটা কাজ থাকায় আমি সকাল ৮টায় ঘুম থেকে উঠে যাই। ১০টার দিকে কাজটা শেষ হয়ে গেল, কাজটা শেষ করতেই বস্ ডেকে একটা কাজ দিল। ঐ কাজটা শেষ করতে করতে প্রায় ১টা বেজে গেছে। সুযোগ ছিল বস্কে শেষ বারের মত বাড়ি যাওয়ার ব্যাপারটা রিকোয়েস্ট করার। আজকে না হলে আর হবেনা, আমার ইস্যু হওয়া টিকেট কেন্সেল করে দিতে হবে, কারন টিকেটটা আজকে রাতের জন্যই ইস্যুড ছিল। যাই হোক সুযোগটা কাজে লেগে গেল, বস্ রাজি হয়ে গেল। আমার তখন খুশিতে ইচ্ছা করছিল আকাশ ফাটানো একটা চিৎকার দেই। খুশিতে রীতিমত আমি নাচতে শুরু করলাম।
আগের পাস হওয়া ছুটি অনুযায়ী আমার টিকেট আজকে রাতের জন্যই কিন্তু এখনো কোন শপিং করা হয়নাই, তাই বস থেকে ছুটি নিয়ে নিলাম শপিং করার জন্য।
শপিং এর জন্য ছুটি পেয়ে গেলাম, ছুটি পেয়ে আমি তাড়াতাড়ি বাসায় এসে যোহরের নামায পড়ে শপিং করার জন্য বেরিয়ে গেলাম। কিছুদূর যেতেই কল আসলো, বস্ আরেকটা কাজ দিয়েছে, তাড়াতাড়ি ফিরতে হবে, যাওয়ার আগে কাজটা করে দিতে হবে। এটা শুনে সব নাচানাচি মুহূর্তে মাথা নষ্টে পরিনত হল। তখন অলরেডি ৩টা বাজে, মার্কেট পর্যন্ত যেতে যেতে বাজবে ৪টা, কখন শপিং শেষ করবো, কখন বাসায় ফিরবো, বস্ এর কজ শেষ করবো, কখন ব্যাগ গুছাবো। কখন বের হব। মাথা কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে।
কি শপিং করবো সব ভুলে গেছি, কোন রকম ভাবে অর্ধেক করে আর অর্ধেক বাকি রেখে ৯টায় রওয়ানা দিয়ে দিলাম, ১০টায় পৌছালাম। এর মধ্যো এয়ারপোর্ট যাওয়ার জন্য গাড়ির ড্রাইভার ফোন দিয়ে বসছে। তাকে পুরো ঘটনা বুঝায়া বললাম, বললাম আমি আরো ২ ঘন্টা পর যাবো। ড্রাইভারের সাথে ভালো জানা-শোনা থাকার কারনে ড্রাইভার আমার জন্য ২ ঘন্টা সেক্রিফাইস করলো। অথচ ড্রাইভারের ডিউটি হচ্ছে ১০টায় আমাকে এয়ারপোর্ট এ রেখে আসা, কারন তার আবার সকাল ৭টায় ডিউটি।
বাসায় এসে কাজটা আমি অর্ধেক করলাম আর অর্ধেক আমার একটা ফ্রেন্ডকে করে দিয়ে বসকে জমা দিয়ে দিতে বললাম। কাজটা শেষ করে ব্যাগ গুছায়া ১২টায় ফ্রি হলাম। তারপর গেলাম গোসল করতে, গোসল করেই রেডি হয়ে বের হয়ে যাবো। গোসল করতে বাথরুমে গিয়ে মনে হল, সেই যে সকাল ৮টায় টয়লেট গেছিলাম আর সারাদিন মনেও পড়ে নাই, খাওয়া দাওয়া তো দূরের কথা, মুখে এক গ্লাস পানিও এক পড়ে নাই।
বাথরুম থেকে এসে দেখি ড্রাইভার কল দিতে দিতে মরে যাইতেছে। ধ্রুত রেডি হয়ে বের হয়ে গেলাম। তারপর গাড়িতে বসে ড্রাইভার কে সারাদিন এর পুরো স্টোরি বললাম। শুনে সে একটা হোটেলে গাড়ি দাঁড় করালো; দুজনে হালকা নাসতা করে এরপোর্টে চলে গেলাম। বাড়িতে যাবো যে ব্যাপারটা কাউকে জানাতে পর্যন্ত পারিনাই, শুধু বিকেলে শপিং এ যাওয়ার সময় বড় বোনকে একটা টেক্সট করছিলাম। অবশেষে বাড়ি যাচ্ছি, সব টেনশন, ব্যাস্তুতা, ক্লান্তি ছাপিয়ে আবার বাড়ি যাওয়ার সুখকর মধুর অনুভিতি ফিরে পেতে শুরু করেছি।
ঘটনা #৩
"এটা হল ২০১২ সালের ঘটনা, বিডি থেকে ব্যাক করতেছিলাম। এয়ারপোর্টে এক মহাকান্ড ঘটায়া ফেলছি।
আমার ফ্লাইট ছিল এরাউন্ড ভোর সাড়ে ৪টার দিকে, আমি একটু আর্লি এসে গেছিলাম এয়ারপোর্টে। বোর্ডিং শেষ করে ইমিগ্রেশন এর জন্য লাইনে দাড়ালাম। দাড়িয়ে আছিতো দাড়িয়েই আছি, লাইন চুল পরিমান আগানোর কোন নাম-গন্ধ নাই। অবশেষে ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেল, একজনকে জিজ্ঞেস করালাম ভাই কি সমস্যা? লাইন আগায় না কেন? ঊনি বলল সিস্টেম ডাউন আছে তাই লাইন আগাচ্ছে না। আমি একটা দীর্ঘঃশ্বাস ছাড়লাম। তারপর পেছনে তাকিয়ে দেখি একটা বেঞ্ছ খালি আছে, ভাবলাম খুব ঘুম পাচ্ছিল ওখানে কিছুক্ষন ঝিমিয়ে নি। ততক্ষনে সিস্টেম জেগে উঠুক
তারপর কতক্ষন ঝিমালাম জানিনা, ঝিমানি শেষে দেখি লাইন আগের মতই আছে। কিন্তু কেন জানি মনে হল এগুলো আগের সেই মানুষ গুলো না। হঠাৎ লক্ষ করলাম দুইটা লোক খুব হন্তদন্ত হয়ে সবাইকে কি যেন জিজ্ঞেস করতে করতে এদিকেই আসছে। জিজ্ঞস করতে করতে একেবারে আমার সমনে; আমাকে জিজ্ঞেস করল আপনার নাম কি? আমি আমার পুরো নাম বলে শেষও করতে পারলাম না। একজন ধেত মিয়া আপনি ছিলেন কই? আপনারে খঁজতে খঁজতে শেষ বলেই আমার হাত থেকে ব্যাগটা হেছকি মেরে টেনে দুইজন দুই দিক থেকে আমার দুই হাত ধরে যেভাবে দৌড় দেয়া শুরু করল মনে হল আমাকে উড়ায়া নিয়ে যাচ্ছে। আমি ভ্যাবাচ্যাকা হয়ে খালি দুইজনের মুখের দিকে তাকাচ্ছি। কিন্তু তাদের মুখের এক্সপ্রেশন দেখে মনে হচ্ছিল তারা উসাইন বোল্টের সাথে দৌড় প্রতিযোগিতা দিচ্ছে। হঠাৎ কানে ভেসে আসলো মাইকে আমার নাম বলে কি যেন বলছে, দৌড় প্রতিযোগিতার কারনে তা আর বুঝতে পারিনাই।
তারপর আমাকে দুইজন মিলে সবাইকে ডিঙিয়ে, লাইনের কোন তোয়াক্বা না করে উড়ায়া নিয়া একটা ইমিগ্রেশন পুলিশের সামনে ফেলল, আর বলল এটাই সেই লোক যাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। এই কথা বলে আমার পাসপোর্ট তাকে দিল। পুলিশ পাসপোর্টে সিল মারতে মারতে আমাকে জিজ্ঞেস করলো; ঐ মিয়া ছিলেন কই আপনি? আমি পুলিশের আনসার দেয়ার আগেই পুলিশের সিল মারা শেষ। তারপর ঐ দুই লোক আমাকে আর দুইটা লোকের হাতে তুলে দিল। তারা আগের চেয়ে আরো ভয়াবহ গতিতে আমাকে নিয়ে শুরু করল রকেট দৌড়। বিমানে উঠে যাওয়ার আগে লাস্ট আরেকটা চেক দেয়, ওখানে একটা মহিলা ছিল, ঊনি আমাকে স্টুপিড বলে বকে-টোকে বললো তাড়াতাড়ি যান। আমি এতটাই নার্ভাস ছিলাম দৌড়ানোর শক্তিও হারায় ফেলছি।
বিমানের গেইটে গিয়ে দেখি দুই-তিনজন ক্যাবিন ক্রু আমার দিকে ভয়ংকর দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। রাগান্বিত কন্ঠে আমাকে জিজ্ঞেস করলো where the hell were you?! we were waiting for you। আমি কিছু না বলে এমন একটা ভাব করে তাকালাম যেন আমি ভাজা মাছ উল্টে খেতে পারিনা; (কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাঁচার জন্য এই মেথডটা ভালোই কাজ করে)। তারপর তারা আমাকে আমার সিট দেখিয়ে দিয়ে ভিতরে যেতে বললো।
ভিতরে ঢুকতেই দেখি কেউ দাঁড়িয়ে, কেউ একজন আরেকজনের গায়ের উপর দিয়ে আমাকে দেখছে। মনে হচ্ছে আমি ভিন্ন জগতের কোন এলিয়েন। আমি কোন মতে গিয়ে আমার সিটে বসে গেলাম। কিছুক্ষন পরই বিমান ছেড়ে দিল।
উপরের তিনটি ঘটনাতে আমার দোষ না থাকলেও হয়ত আমি আরেকটু কেয়ারফুল হলে আরেকটু সতর্ক হলে এই ধরনের সিচ্যুয়েশনের মুখোমুখি হতাম না। সেদিন আমি গ্রামের বাড়িতে না গেলে হয়ত ঐ পরিস্থিতিই সৃষ্টি হত না। বিমানবন্দরে না ঘুমিয়ে গিয়ে অন্যদের মত লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে পারতাম।
এই ধরনের ছোটখাট অসংখ্য ঘটনাই মানুষের জীবনে ঘটে থাকে আমার জীবনে হয়ত আমার কারনেই একটু বেশিই ঘটে।
কিন্তু এখন আমি আমাকে নিয়ে অনেক চিন্তিত, জীবনে প্রথমবার মনে হচ্ছে আমি নিজেকে নিয়ে এতটা চিন্তিত, জীবনে প্রথমবারের মত নিজেকে ম্যাচিউর মনে হচ্ছে, মনে হচ্ছে নিজেকে নিয়ে এই প্রথমবার ভাবছি, নিজের ফিউচার নিয়ে ভাবছি, জীবনে প্রথমবার ফ্যামিলিকে নিয়ে ভাবছি, প্রথমবারের মত রিয়ালাইজ করলাম আমি অনেক ছেলেমানুষ ছিলাম; অনেকে ছেলেমানুষী করেছি। জীবনে প্রথমবার রিয়ালাইজ করলাম অনেক সময় নষ্ট করে ফেলেছি। আর হেয়ালি নয়, আর অবহেলা নয়, নষ্ট করার মত সময় আর নেই; এবার কিছু করতে হবে, কিছু করার চেষ্টা করতে হবে। নিজের জন্য, নিজের ফিউচার এর জন্য, পরিবারের জন্য। এবার নিজেকে বদলাতে হবে,এবার কিছু করতেই হবে।
নতুন বছরটা সারা পৃথিবীর সব দেশের জন্য, কিন্তু আজকে আমাদের দেশে নতুন বছর শুরু হচ্ছে হরতাল দিয়ে।
নতুন বছরে আমি আমাকে বদলানোর পণ করে ফেলেছি। আমি চাইবো আজকে যাদের কারনে দেশ এবং সমাজের এই করুন দশা তারাও নতুন বছরে নিজেদের বদলে নেবে। সবার স্মমিলিত চেষ্টাই পারে সুন্দর দেশ এবং একটি সুস্থ সমাজ গড়তে! নিজের অতীতকে বিচার করে ভবিষ্যতের প্রয়োজনীয়াতা চিন্তা করে সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে নিজেকে বদলে নেবে। একে অন্যের সুখে-দুঃখে এগিয়ে আসবে, একে অপরকে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিবে। সবশেষে দেশ ও দেশের সকল মানুষের জন্য রইল শুভ কামনা। নতুন বছর সবার জন্য সৌভাগ্য বয়ে আনুক। সবাই সুস্থ থাকুক সুন্দর থাকুক।
"সকলের একটাই স্লোগান হোক "বদলে যাও, বদলে দাও"।
Happy New Year 2015
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:২৬
রাসেল_ফেণী বলেছেন:
২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:১০
হাসান মাহবুব বলেছেন: চরম বোরিং।
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:২৬
রাসেল_ফেণী বলেছেন:
৩| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৫৫
দ্য েস্লভ বলেছেন: হুমম চরম খেল দেখিয়েছেন। ভাল লাগল পড়ে
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৩৭
রাসেল_ফেণী বলেছেন: উপরে একজনের বরিং লেখেছে, আরেকজনের লেগেছে চরম বরিং। :প
আপনার ভালো লাগা দেখে আমারও ভালো লেগেছে।
সবাইকে ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:১৬
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: হ্যাপ্পি নিউ ইয়ার
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:৩১
রাসেল_ফেণী বলেছেন: ধন্যবাদ !
হ্যাপ্পি নিউ ইয়ার টু ইউ ঠু !
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৪২
খেলাঘর বলেছেন:
বোরিং