নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যে ও সুন্দরের পক্ষে সব সময়

রাসেল উদ্দীন

জীবনের সবকিছু মহান স্রষ্টার জন্য নিবেদিত

রাসেল উদ্দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ না ইসলাম?

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৫


১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের ভিত্তি কখনই ধর্মনিরপেক্ষতা ছিলো না, এমনকি ধর্মনিরপেক্ষতার নামগন্ধও ছিলো না সেখানে। বরং ইসলামের কথা ও ইসলামের প্রতি আস্থার কথা ছিল।
এ সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি বক্তব্য সবচেয়ে গুরুত্ব রাখে। রেসকোর্স ময়দানে গণপ্রতিনিধিদের শপথ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন-
“আমরা শপথ করিতেছি-
আমরা জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে আওয়ামীলীগ দলীয় নব নির্বাচিত সদস্যবৃন্দ শপথ গ্রহণ করিতেছি, পরম করুনাময় ও সর্বশক্তিমান আল্লাহ তায়ালার নামে; .............................আমরা শপথ করিতেছি- জাতীয় সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে এই দেশের আপামর জনসাধারণ আওয়ামীলীগের কর্মসূচি ও নেতৃত্বের প্রতি যে বিপুল সমর্থন ও অকুণ্ঠ আস্থা জ্ঞাপন করিয়াছেন, উহার মর্যাদা রক্ষাকল্পে আমরা সর্বশক্তি নিয়োগ করিবো”। ৭ বঙ্গবন্ধুর আলোচনার দ্বারা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নির্বাচনী ইশতিহারের উপর যে বিপুল গণসমর্থন এসেছিলো, সেই গণসমর্থন রক্ষা করতেই ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ হয়।
এখন কথা হচ্ছে, ১৯৭১ সালে আওয়ামীলীগের নির্বাচনী ইশতিহারে কি ছিলো ?
দেখুন নির্বাচনী ইশতিহারে কি বলা হচ্ছে-

"৬-দফা বা আমাদের অর্থনৈতিক কর্মসূচী ইসলাম বিপন্ন করে তুলছে বলে যে মিথ্যা প্রচার চালানো হচ্ছে সেই মিথ্যা প্রচারণা থেকে বিরত থাকার জন্য আমি শেষবারের মতো আহ্বান জানাচ্ছি। অঞ্চলে অঞ্চলে এবং মানুষে মানুষে সুবিচারের প্রত্যাশী কোনও কিছুই ইসলামের পরিপন্থী হতে পারেনা। আমরা এই শাসনতান্ত্রিক নীতির প্রতি অবিচল ওয়াদাবদ্ধ যে, কুরআন ও সুন্নাহর নির্দেশিত ইসলামী নীতির পরিপন্থী কোনও আইনই এ দেশে পাস হতে বা চাপিয়ে দেওয়া যেতে পারেনা "

আমাদের দেশে ধর্মনিরপেক্ষতা আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছিল ১৯৭২ সালে। সদ্য স্বাধীন হওয়া রাষ্ট্রের নতুন সংবিধানের মূলনীতিতে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’কে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। জনগণ তখন জেনেছে এই রাষ্ট্র ধর্মনিরপেক্ষতার জন্য স্বাধীন হয়েছে। বিজয়ের এক বছর পর ১৯৭২ সালের শেষের দিকে সংবিধান প্রণয়ন সমাপ্ত হয়েছে। বস্ত্তত তখনই দেশের সাধারণ জনগণ এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধারা জেনেছে যে, ধর্মনিরপেক্ষতার জন্য এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের ধর্মীয় পরিচয় যাই হোক, অল্প ধার্মিক হোক বা বেশি ধার্মিক যুদ্ধের সময় তারা জানেনি যে, তারা সেকুলারিজম বা ধর্মনিরপেক্ষতার জন্য যুদ্ধ করছেন। এটা জেনেছেন তারা ১৯৭২ এর শেষে স্বাধীনতা যুদ্ধেরও আরো এক বছর পরে। কারণ সংবিধানে এই কথা লিখে দেওয়া হয়েছে যে, যে সব কারণে আমাদের দেশের আবাল, বৃদ্ধ, নওজোয়ানরা মুক্তিসংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তার অন্যতম উদ্দেশ্য ধর্মনিরপেক্ষতা। এটা সংবিধানে লেখা আছে।
এর আগ পর্যন্ত কেউ বলতে পারবে না যে, আমাদের দেশের স্বাধীনতা-সংগ্রাম ধর্মনিরপেক্ষতার জন্য হয়েছে। কোনো ঐতিহাসিক দলিলে সেটা নেই। এছাড়া স্বাধীনতার পূর্বে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানী জনগণ বহু আন্দোলন করেছে। শেখ মুজিবের নেতৃত্বে অনেক আন্দোলন হয়েছে। ঐতিহাসিক ৬ দফা পেশ হয়েছে। ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। ৭০-এর ঐতিহাসিক নির্বাচন হয়েছে। এগুলোর কোথাও ধর্মনিরপেক্ষতার নাম-গন্ধও ছিল না। সুতরাং অত্যন্ত দৃঢ়তা ও আস্থার সাথে বলা যায় যে, সংবিধানের প্রস্তাবনায় লিখিত নিম্নলিখিত বাক্যটি বাস্তবসম্মত নয়।

‘‘আমরা অঙ্গীকার করিতেছি যে, যে সকল মহান আদর্শ আমাদের বীর জনগণকে জাতীয় মুক্তিসংগ্রামে আত্মনিয়োগ ও বীর শহীদদিগকে প্রাণোৎসর্গ করিতে উদ্বুদ্ধ করিয়াছিল ... ধর্মনিরপেক্ষতার সেই সকল আদর্শ এই সংবিধানের মূলনীতি হইবে।’’
শেখ মুজিব সরকারের সময়েই সংবিধানে ৪টা সংশোধনী হয়ে গিয়েছিল। এরপর জিয়াউর রহমান ৫ম সংশোধনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের আইন থেকে ধর্মনিরপেক্ষতাকে সরিয়ে দেন এবং তার স্থলে ‘মহান আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ বাক্য স্থাপন করেন। দুই যুগেরও বেশি সময় পর্যন্ত সংবিধানে এ বাক্যটি ছিল। এমনকি ১৯৯৬-২০০১ সময়ের আওয়ামী লীগ আমলেও।
সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের পরপরই বর্তমান সরকার সে অনুযায়ী সংবিধান মুদ্রণ করে এবং এরপর ১৫তম সংশোধনী এনে ধর্মনিরপেক্ষতাকে পুনরায় স্থান করে দেয়। এভাবে উৎফুল্ল হয়ে উঠে দেশের একশ্রেণীর ধর্মবিদ্বেষী শ্রেণী, ধর্মবিরোধী গণমাধ্যমগুলো। আর উপেক্ষিত হয় সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মপ্রাণ মানুষের ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষা।

১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা অর্জনের সময় আমাদের জাতীয় আদর্শ সম্পর্কে কোন দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ছিল না। কারো মনে কোনরূপ দ্বিধা থাকলেও বা জাতীয় আদর্শ বাস্তবায়নে কেউ উদ্যোগী না হলেও প্রকাশ্যে এর বিরুদ্ধে কথা বলার হিম্মত কারো ছিল না। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী মুসলিম লীগ, কৃষক-শ্রমিক পার্টি, নেজামে ইসলামী এবং গণতন্ত্রী দল মিলে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়েছিল। যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনী ইশতেহার হিসেবে যে ২১ দফা কর্মসূচী দিয়েছিল তাতে ধর্মনিরপেক্ষতা বা বা বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের উল্লেখ পর্যন্ত ছিল না। সমাজতন্ত্রের কথা তো দূর অস্ত্। বরং শুরুতেই লেখা ছিল- ‘নীতিঃ কোরাণ ও সুন্নার মৌলিক নীতির খেলাফ কোন আইন প্রণয়ন করা হইবে না এবং ইসলামের সাম্য ও ভ্রাতৃত্বের ভিত্তিতে নাগরিকগণের জীবন ধারণের ব্যবস্থা করা হইবে। ১৯৬৯ সালের ১লা আগস্ট আওয়ামী লীগ যে নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছিল তাতে রাষ্ট্রীয় আদর্শের ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। ইসলাম, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ, বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ বা সমাজতন্ত্র কোনো কিছুরই প্রসঙ্গ তাতে ছিল না। ৬ দফার ভিত্তিতে স্বায়ত্তশাসিত পূর্ব পাকিস্তান গড়ার অঙ্গীকারই ছিল মূখ্য। সে নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর আওয়ামী লীগ পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহণের প্রস্তুতি নিতে থাকে। এই প্রস্তুতির অংশ হিসেবে তারা পাকিস্তানের জন্যে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন করে। এই সংবিধানের Preamble শুরু হয় ‘In the name of Allah, the Beneficial, Merciful, দিয়ে। এই প্রস্তাবিত সংবিধানের ৭ম অনুচ্ছেদে বলা হয়ঃ
‘Further resolving that guarantees shall be embodied in this Constitution to enable the people of Pakistan, Muslim, Hindu, Buddhist, Christian, Persian and of other religions to profess and practice their religions and to enjoy all rights, privileges and protection due to them as citizen of Pakistan, and in pursuance of this object to enable the Muslims of Pakistan, individually and collectively, to order their lives in accordance with the teachings of Islam as set in the Holy Quoran and the Sunnah.’

অর্থাৎ প্রস্তাবিত এই সংবিধানে সকল নাগরিকের ধর্মীয় স্বাধীনতার কথা বলা হয় কিন্তু আদর্শ হিসেবে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ, বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ বা সমাজতন্ত্রের কোনো উল্লেখ মাত্র ছিল না। বরং মুসলমানরা যাতে ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগতভাবে কুরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করতে পারে তার ব্যবস্থার কথা সুস্পষ্টরূপে বলা হয়। বলা বাহুল্য, পাকিস্তানী সামরিক জান্তা আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করলে এই সংবিধানই কার্যকর হতো।
১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়। কে কখন স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এ নিয়ে বিতর্ক আছে। শেখ মুজিবুর রহমান বা জিয়াউর রহমান যে-ই তা করে থাকুন, তারা কেউই তাদেও সে ঘোষণায় বলেননি স্বাধীন বাংলাদেশের মূলনীতি কী হবে। শেখ মুজিব তার ঘোষণা ‘জয় বাংলা’ বলে শেষ করার আগে বলেন- ‘May Allah bless you.

১৯৭১ সালের ১৪ই এপ্রিল বাংলাদেশ সরকারের প্রচার দপ্তর একটি সার্কুলার জারী করে। সেটি শুরু হয় ‘আল্লাহু আকবর’ দিয়ে, আর ‘জয় বাংলা’ বলে শেষ করার আগে লেখা হয়ঃ ‘স্মরণ করুনঃ আল্লাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ‘অতীতের চাইতে ভবিষ্যৎ নিশ্চয়ই সুখকর।’ বিশ্বাস করুনঃ ‘আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় নিকটবর্তী।’

১৯৫৫ সালের পর মাঝে-মধ্যে ‘ধর্মনির্বিশেষে সকল নাগরিকের সমান অধিকার’-এর কথা বলা হলেও রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে ‘ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ’, ‘সমাজতন্ত্র’ ও ‘বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ’-এর কথা বলা হয়নি। ১৯৭০ সালের নির্বাচনী মেনিফেস্টো, প্রস্তাবিত সংবিধান এবং স্বাধনিতার ঘোষণাপত্রেও এসব কথা ছিল না।

১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধের সময়ও ‘নারায়ে তকবীর’ ‘আল্লাহ আকবর’ ধ্বনি উচ্চারণ করেই নিরস্ত্র-প্রায় বীর মুক্তিযোদ্ধারা আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত প্রবল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মরণপণ সংগ্রামে লিপ্ত হয়েছে, তৌহিদি চেতনা ও ঈমানী তাকাজা তাদের মধ্যে অদম্য সাহস ও প্রেরণা সঞ্চার করেছে, অকুতোভয়ে যুদ্ধ করে নিজ মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য অকাতরে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছে। স্বদেশপ্রীতি ঈমানের অঙ্গ এবং স্বদেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন দান করে শহীদী মর্যাদা লাভের আকাংক্ষায় মুক্তিযোদ্ধারা প্রাণ দিয়েছেন। সে শহীদানের রক্তস্নাত স্বাধীন বাংলাদেশের জাতিসত্তার মূলভিত্তি যে ইসলাম তাতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই।

একটি জাতি বা রাষ্ট্র গঠনের মূলে যেমন কতকগুলি সুস্পষ্ট নীতি ও আদর্শ অনুপ্রেরণা হিসাবে কাজ করে, সে জাতি বা রাষ্ট্রের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্যও তেমনি সুনির্দিষ্ট নীতি ও আদর্শ অপরিহার্য। ধার করা নীতি বা আদর্শ দিয়ে কোন জাতি বা রাষ্ট্র গড়ে ওঠে না এবং টিকেও থাকে না। নিঃসংশয়িতভাবে সকলকে উপলব্ধি করা প্রয়োজন যে, আমাদের শাশ্বত আদর্শ ইসলাম, ইসলামের চির কল্যাণকর মানবিক আদর্শে সমুজ্জ্বল আমাদের ঐতিহ্য ও পরিচ্ছন্ন উন্নত সাংস্কৃতিক জীবনধারা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও ভৌগোলিক সীমানা রক্ষার অপরিহার্য তাগিদে আমাদের আদর্শ, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও চর্চা আজ অতিশয় গুরুত্বপূর্ণ।
যে জাতির কোন মহৎ আদর্শ নেই, নিজস্ব গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য ও সুস্পষ্ট সাংস্কৃতিক পরিচয় নেই সে জাতি কখনো আপন অস্তিত্ব ও মর্যাদা নিয়ে পৃথিবীতে টিকে থাকতে পারে না। সেদিক দিয়ে আমাদের পরম সৌভাগ্য এই যে, আমাদের রয়েছে ইসলামের অতুলনীয় প্রাণবন্ত মহান মানবিক আদর্শ, হাজার বছরের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য এবং এক সুস্পষ্ট পরিশীলিত উন্নত সাংস্কৃতিক জীবনধারা। তাই পৃথিবীতে সগৌরবে আপন স্বাধীন অস্তিত্ব নিয়ে টিকে থাকার উপযোগী সবকিছুই আমাদের রয়েছে।

তথ্যসুত্র:
১. বাংলা উইকিপিডিয়া, জাতীয়তাবাদ
২. মেইন ক্যাম্প- লেখক: হিটলার, ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত।
৩. পিএস ঘোষ লিখিত ‘Nationalism Versus Ethnicity’ ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত।
৪. দৈনিক ইত্তেফাক, ৪ঠা জানুয়ারী, ১৯৭১; বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র, দ্বিতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা: ৬১২
৫. সূত্র: আওয়ামীলীগের নির্বাচনী ইশতিহার ১৯৭০, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ: সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ও নির্বাচিত দলিল, পৃষ্ঠা: ২৬৫
৬. বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস ও দলিলপত্র, গতিধারা, ঢাকা; পৃষ্ঠা ৮৩
৭. (আওয়ামী লীগ সংবিধান কমিটি কর্তৃক ৬-দফার ভিত্তিতে প্রণীত পাকিস্তানের খসড়া শাসনতন্ত্র (অংশ); বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধঃ দলিলপত্র, দ্বিতীয় খণ্ড, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, তথ্য মন্ত্রণালয়, ঢাকা, ১৯৮২, পৃষ্ঠা ৭৯৩)।
৮. বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের অফিসিয়াল ওয়েব সাইট।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৮

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: চেতনা ফেতনা কিছু নয়। প্রত্যেকটা রাষ্ট্রেই কিছু দালাল পুষে বিদেশিরা। যাদের কাজ হল দেশের মধ্যে কোন অনর্থ তৈরী করা যাতে মানুষের মন-মস্তিষ্ক সেদিকে থাকে এবং অন্যান্য জরুরী বিষয় থেকে দুরে থাকে।

হটাৎ করে সুপ্রীম কোর্টের সামনে ভিনদেশী এক দেবীর মুর্তি স্থাপন । মাথা মোটা জনগণ ওটা নিয়েই থাকলো কিছুদিন।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৬

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: অাগে সাম্রাজ্যবাদীরা জয় করতো ভুখন্ড, ২য় বিশ্বযুদ্ধের পরে দখল করতো বাজার। আর এখন সাম্রাজ্যবাদীরা দখল করে মানুষের চিন্তা।

দখলদারিত্ব করা হয় মানুষের চিন্তার ওপরে। যেমন মনে করুন, একটা দেশ উন্নত কি অনুন্নত সেটা পরিমাপ করার মাপকাঠি কি?

পশ্চিমারা বলে দিচ্ছে, সেটা পরিমাপ করা হবে একটা দেশের উৎপাদন ও ভোগের পরিমান বিচার করে। মানে পুঁজিবাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য উন্নয়নের একটা আদর্শ দাড় করানো হয়েছে। আর গোটা বিশ্ব সেই উন্নয়নের জন্য ছুটছে।

এভাবে আমাদের চিন্তাকে দখল করে আমাদেরকে তাদের মতো করে পরিচালিত করছে। ওদের স্বার্থ হাসিলে কাজ করাতে বাধ্য করেছে।

২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



১৯৭১ সালে, আমরা বাংগালীরা ক্রুসেডে যোগদান করেছিলাম; আপনি ছিলেন লিলিপুটিয়ান সালাদিন!

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০৬

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: সম্ভব হলে যৌক্তিক সমালোচনা করে যান। আজাইরা কথা বলে গ্রহণযোগ্যতা হারাবেন না।

যুক্তি-প্রমাণ ছাড়া কোন কথা অন্তত আমি বলি না।

৩| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: নাম হলো মুক্তি যুদ্ধ। এখানে ধর্ম বা ধর্মনিরপেক্ষ কীভাবে আসে? তাদের সাথে এক সাথে ছিলাম। পরে আলাদা হয়েছি। কোন চেতনা নাই। যারা চেতনা ফ্যাতনা বলছে তারা জ্ঞানপাপী...

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৩

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: তাদের সাথে একসাথে ছিলাম। পরে আলাদা হয়েছি।

কিন্তু আলাদা হলাম কেন? কি উদ্দেশ্যে? এখানে সেই কারণ বা উদ্দেশ্যই হল চেতনা। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কি ছিল, তা অবশ্যই আমরা জানতে চাইব! মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল কি ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য? আজ মুক্তিযুদ্ধকে কেন ইসলামের বিপক্ষে দাড় করানো হচ্ছে?

৪| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমাদের মুসলিম বেরাদার পাকিষ্তান বাহিনী, রাজাকার বাহিনী যখন আমাদেরকে পাখীর মতো গুলি করে মারছিলো, আমরা ধর্ম কর্ম নিয়ে মাথা ঘামাইনি, আমরা ওদেরকে নিস্তব্ধ করতে ব্যস্ত ছিলাম; আর আপনি হয়তো ধর্ম নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, জাতি নিয়ে নয়!

৫| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: যারা দাঁড় করাচ্ছে তারা জ্ঞানপাপী। তাদের সংখ্যা খুবই কম। এরা মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। এদের কথার সাথে বেশীর ভাগ সাধারণ জনগণ সহমত পোষণ করে না...

৬| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



বিজয় দিবসে এসব ম্যাঁও প্যাঁও পোষ্ট কম দিয়েন, ১৪ই আগষ্টে দিয়েন।

৭| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।

৮| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৪

জাহাঙ্গীর কবীর নয়ন বলেছেন:
হে রাজাকার, আলবদর, হে বরাহসন্তানেরা। হে জাতির কলঙ্ক, বিশ্বাসঘাতকেরা! হে খুনী রক্তলোভী জেহাদী সন্ত্রাসীরা! একাত্তরে তোমরা ইসলাম রক্ষার নামে হানাদারদের সঙ্গ দিয়াছ। বঙ্গবন্ধু তোমাদের দেশছাড়া করিতে চাহিয়াছিলেন দেখিয়া জাতির পিতাকে হত্যা করাইয়াছ। আজও তোমরা জাতির পিতার খুনীদের বেহেশত নসীব করিবার জন্য দোয়া কর।
হে নীচ নরকের কীটেরা! হে পাষন্ড পাকী চেলারা! তোমরা আজও এদেশের তরুণ সমাজকে নষ্ট করিবার জন্য নিজেদের কার্যক্রম চালাইতেছ! আজও তোমরা কোরআন-হাদীসের লাইন বেলাইন আজাইরা ব্যাখ্যা দিয়া সাম্প্রদায়িকতার বীষবাষ্প ছড়াইতেছ।
হে নীর্লজ্জরা! তোমরা আজ তোমাদের কোরআন তাফসীরের স্টাইলে জাতির পিতার ভাষণের অপব্যাখ্যা করিয়া নিজেদের নোংরা স্বার্থ চরিতার্থ করিবার আশায় আছ? একদলা থুতু তোমাদের মুখে। তোমাদের জাতি কোনওদিন মেনে নেবে না। নিজের ভালো চাইলে চলে যাও নিজেদের অভিশপ্ত পাকিস্তান বা আফগানিস্তানের গুহায়। নচেৎ গোলাম আযম, মতিউরের মতো পরিণতি হবে তোমাদেরও। তোমাদের স্থান এদেশে নয়। তোমরা সভ্য সমাজের অংশ নও।

এটা তোমাদের দল। ফিরে যাও নিজেদের দলে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.