নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। ঝোঁক আছে লেখালেখিতে। চেষ্টা করি। অসম্ভব ভালো লাগে সবুজ প্রকৃতি, ভালবাসি প্রকৃতির প্রতিটি অনুষঙ্গ। আরও একটা জিনিস খুব-ই ভালো লাগে তা হলো পূর্ণিমার রাতে চাঁদের রুপালী আলো। মন চায় সে আলোতে হারিয়ে যেতে, বার বার ডুব দিয়ে গোসল করতে।এ

রাশেদ আহমেদ শাওন

রাশেদ আহমেদ শাওন

সবুজ প্রকৃতির ছেলে

রাশেদ আহমেদ শাওন › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিকিৎসার বদলে হতভাগ্য এক পিতার ঠাঁই হলো ডাস্টবিনে

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৩২

ডাস্টবিনের পাশে পড়ে আছেন এক বৃদ্ধ। পরনে তার ময়লা কাপড়। কঙ্কালসার শরীর। কোনোভাবে নিঃশ্বাস নিচ্ছিলেন। যেন দীর্ঘদিনের না খাওয়া। প্রাত ভ্রমণে বের হওয়া অনেকেই তার পাশ দিয়ে যাচ্ছেন। কারো চোখে পড়েন, আবার কেউ ভিুক বা পাগল ভেবে এড়িয়ে যাচ্ছেন। হঠাৎ সহৃদয় এক ব্যক্তি এগিয়ে আসেন ডাস্টবিনের পাশে পড়ে থাকা বৃদ্ধের কাছে। নিঃশ্বাস চলছে দেখে পুলিশের সহায়তায় নিয়ে যান ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এই বৃদ্ধ হতভাগ্য একজন পিতা! নাম গিয়াস উদ্দিন (৭০)। কথা বলতে না পারলেও ইশারায় জানিয়েছেন তার পরিচয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে তার বাড়ি। চিকিৎসার উদ্দেশ্যে নিজের ছেলেরা তাকে ঢাকায় নিয়ে আসে। কিন্তু চিকিৎসার বদলে তার ঠাঁই মেলে রাজধানীর জুরাইনে ডাস্টবিনের পাশে। পাষণ্ড ছেলেরাই তাকে ফেলে যায় ডাস্টবিনের পাশে।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নতুন ভবনের ৬০২ নম্বর ওয়ার্ডের বারান্দার বেডে চিকিৎসা চলছে বৃদ্ধ গিয়াস উদ্দিনের। কথা বলতে পারছেন না, তবে চিকিৎসা পেয়ে শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে। চিকিৎসকেরা বলেছেন, বার্ধক্য ও অপুষ্টিতে দুর্বল হয়ে পড়েছেন বৃদ্ধ। সুস্থ হতে সময় লাগবে।

যেভাবে উদ্ধার হলেন : জুরাইনের কাপড় ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান জানান, মঙ্গলবার ভোরে পশ্চিম জুরাইনে মুন্সিবাড়ির কাছে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ভবনের সামনে একটি ডাস্টবিনের পাশে পড়েছিলেন বৃদ্ধ। স্পষ্ট করে কথা বলতে পারছিলেন না। শুধু মুখ নাড়াচ্ছিলেন আর চোখ দিয়ে পানি গড়াচ্ছিল। তার দেখে মায়া হয়। তিনি রাস্তার পাশে নিয়ে কিছু খেতে দেন। বৃদ্ধ গিয়াস উদ্দিন জানান, নিজের ছেলেরা তার সাথে কিভাবে দুর্ব্যবহার করেছে। তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে বার্ধ্যকজনিত নানা রোগে ভুগছেন তিনি। দুই ছেলে প্রথমে কিছু দিন চিকিৎসা করিয়ে পরে তা বন্ধ করে দেয়। কিছু দিন ধরে তার অসুস্থতা বেড়ে যায়। ফলে ছেলেরা বিরক্ত হয়। গত সোমবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে ভর্তি করার কথা বলে বৃদ্ধকে ঢাকা নিয়ে আসে ছেলেরা। রাত ৩টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঘোরানোর পর ডাস্টবিনের পাশে বসিয়ে রেখে খাবার আনার কথা বলে পালিয়ে যায় তারা।

মেহেদী জানান, সকালে বৃদ্ধকে রাস্তার পাশে রেখে কিছু খাবার ও একটি চাদর দিয়ে যান। সারা দিন কেউ তার খোঁজে আসেনি। সেখানেই লোকটি আরো বেশি অসুস্থ হয়ে যান। একপর্যায় তিনি পুলিশের সহায়তায় চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

শ্যামপুর থানার এসআই আবদুর রউফ জানান, জ্ঞান ফিরলে বৃদ্ধের বিস্তারিত পরিচয় জেনে তাকে বাড়ি পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে। গত রাত পর্যন্ত অসহায় বৃদ্ধের খোঁজে কেউ হাসপাতালে যায়নি বলে জানা গেছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.